খেজুরের পরিবর্তে বরই দিয়ে ইফতার শিল্পমন্ত্রীর নিজস্ব বক্তব্য: কাদের

আওয়ামী লীগ, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-03-10 14:09:22

ইফতারে খেজুরের পরিবর্তে বড়ই-পেয়ারা খাওয়ার শিল্পমন্ত্রীর পরামর্শ তার নিজস্ব বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আঙুর, খেজুরের পরিবর্তে বরই পেয়ারা দিয়ে ইফতার করার জন্য শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, সেটা তার পার্সোনাল অপিনিয়ন, কথায় কথায় বলে ফেলেছেন। এগুলো তো দলের কোন বিষয় নয়।

আপনাদের এক নেত্রী (আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহম্মেদ) গতকালের নির্বাচনে ভোটাররা যেনো ভোটকেন্দ্রে না আসেন সেজন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সেটা আমি ঠিক জানি না। আমাদের দেখতে হবে তিনি আসলে কি বলেছেন। শুধু আমাদের দেশ নয়, পৃথিবীর সব দেশের বড় বড় দলে অনেক নেতৃবৃন্দ আছে। পার্সোনাল অপিনিয়ন থাকতে পারে। তার নিজস্ব আঙ্গিকে, তার নিজের এলাকায় যেটা বিষয় সেখানে হয়তো সে বিচ্ছিন্নভাবে কোন বক্তব্য রাখতে পারেন। এটা আমাদের দলের বক্তব্য নয়।

সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে বিএনপির সমমনাদের সহিংসতা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সমমনস্করা যদি ষড়যন্ত্র করে, সন্ত্রাস করে, তার মানে বিএনপি'র সংশ্লিষ্টতা নেই এটা মনে করার কারণ নেই। সন্ত্রাস যেখানে আছে, বিএনপি সেখানে আছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাম্প্রতিক রিপোর্ট নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের নিজস্ব একটা হিসাব নিকাশ আছে এবং পশ্চিমা বিশ্বের অ্যালায়েন্স, সে অ্যালায়েন্স রক্ষা করার বিষয়টি আছে, তারা কিছু নীতিমালা অনুসরণ করে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যে মন্তব্য করেছে, এখানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের সুরেই কিছুটা সুর মিলিয়েছেন। তবে আমরা গুরুত্ব দিব মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে কি বলেছেন। তারা বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী। তাছাড়া মানদণ্ডের বিষয়টি একেক জনের কাছে একেক রকম। বাংলাদেশে যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এই নির্বাচনের মানদণ্ড যদি খুবই তলানিতে গিয়ে পৌঁছাতো তাহলে আজকে ইউরোপে ইউনিয়ন, ওয়াশিংটন হাউসের প্রশংসাসূচক মন্তব্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতাম। বাংলাদেশের বাস্তবতায় নির্বাচনের মানদণ্ড ঠিক আছে। রিয়ালিটর সাথে আমাদের কন্টাক আছে।

মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে সেতুমন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন, মধ্যবর্তী নির্বাচন কোন দুঃখে? মামা বাড়ির আবদার!

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন মন্ত্রী। জানান, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনসহ ২৩১টি স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। যেখানে ভোট পড়েছে গড়ে ৬০ শতাংশ। নির্বাচন মোটামুটি অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। সরকার কোন প্রকার হস্তক্ষেপ করেনি। ভোট শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু হওয়ায় তিনি নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও বিজয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর