ঢাকায় বিএনপির বিক্ষোভ, আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ

বিবিধ, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 00:58:10

ঝিমিয়ে পড়া আন্দোলনকে চাঙ্গা করতে আবারও মাঠে নামছে বিএনপি। তারই অংশ হিসেবে আজ শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশে দুপুর ২টায় শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহবায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য, সিনিয়র ও অঙ্গ সংগঠন নেতৃবৃন্দ সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।

সঞ্চালনায় থাকবেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি সদস্য সচিব আমিনুল হক ও রফিকুল আলম মজনু।

এদিকে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগও। ঢাকা মহানগরীর উত্তর ও দক্ষিণের দুই অংশে আজ শনিবার পৃথক দুটি শান্তি সমাবেশের মাধ্যমে রাজধানীতে বড় ধরনের শোডাউন করবে ক্ষমতাসীন দলটি।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এবং দলের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের ব্যানারে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশ দুটিতে সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতিও শেষ করেছে সংশ্লিষ্টরা। বিএনপির ‘অব্যাহত নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও সহিংসতার’ বিরুদ্ধে এ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশটি হবে বিকেল ৩টায় রাজধানীর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী শহীদ মিনার চত্বরে। এতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা বক্তব্য দেবেন।

অন্যদিকে, যুবলীগের পৃথক শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বিকেল ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। সেখানেও আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, গত কয়েক মাসের আন্দোলন কর্মসূচির মতো বিএনপির আজকের সমাবেশকে ঘিরেও সংঘাত-সংঘর্ষ ও নৈরাজ্য সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

এ জন্য শান্তি সমাবেশের মাধ্যমে রাজপথ নিজেদের দখলে রাখতে চান তারা। একই সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘাত-সহিংসতা মোকাবিলায় রাজপথে দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীকে সতর্ক অবস্থানেও রাখা হবে। এর উদ্দেশ্য বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে কোথাও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিলে তা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগী শক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর