বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এই সার্চ কমিটি হুদা কমিশনের চাইতেও বড় কোন বেহুদা কমিশন বানানোর জন্য সর্বান্তকরণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এবারের নির্বাচন কমিশন ভোর রাতে, সন্ধ্যায় নাকি রাতে নির্বাচন করবে তা বলা মুশকিল।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে ‘নির্বাচন কমিশন গঠনের নাটক এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশনে যারা যাবেন তারা অত্যন্ত যোগ্য ও দক্ষ লোক হবেন। কিন্তু এখন সব মিছিল করে যাচ্ছেন সার্চ কমিটির কাছে নির্বাচন কমিশনের সদস্য হবার জন্য। এই যে আধিখ্যেতাপনা, এরা যদি নির্বাচন কমিশনে আসে তাহলে দেশের গণতন্ত্রের কী পরিণিতি হবে? ভোটের কী পরিণিতি হবে? তা আমরা সকলে বুঝতে পারি।
বিদায়ী সিইসি নুরুল হুদার কোন ব্যর্থতা নেই মন্তব্য করে রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন বলছে আমার কোন ব্যর্থতা নেই। সত্য কথা বলেছেন আপনি। নুরুল হুদার কোন ব্যর্থতা নেই, শুধুই সফলতা আছে। কারণ ইভিএম মিশিন কিনতে গিয়ে শতকোটি টাকার দুর্নীতি এইটা তো হুদা সাহেবের সফলতা। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য যে বিশেষ বক্তব্যের আয়োজন করে সেখানে কোটি কোটি টাকা খরচে যে দুর্নীতি হয়েছে সেইটা তো হুদা সাহেবের সফলতা। নির্বাচন কমিশনে চাকরির নামে যে কোটি কোটি টাকা লোপাটের ব্যবস্থা করেছেন। তা নুরুল হুদা সাহেবের বিশাল সফলতা। সুতরাং তার কোন ব্যর্থতা নাই।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গণতন্ত্রের লাশ এখন কঙ্কালে পরিণিত হয়েছে। এরপর মাটির সাথে মিশে যাবে। অবৈধ ক্ষমতায় থাকার কারণে তাদের মধ্যে এমন বোধ তৈরি হয়েছে এদের কেউ কিছু করতে পারবে না।
কোনও নিষেধাজ্ঞা আওয়ামী লীগ তোয়াক্কা করে না জানিয়ে রিজভী বলেন, কোনও বিধি নিষেধে এদের কিছু হয়নি। অবৈধ ক্ষমতায় থাকার কারণে তাদের মধ্যে এমন বোধ তৈরি হয়েছে এদের কেউ কিছু করতে পারবে না। গত পরশুদিন রাত দেড়টার সময় বরগুনা উপজেলার ছাত্রদলের সদস্য ইমরান হোসেনকে এবং গতকাল বিকাল পাঁচটার সময় খুলনার ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা তুহিনকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে আসছে। তাদের কোন খোঁজ নেই। তাহলে তারা কোথায় থামলো।
সকল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, প্রতিদিন শত শত নেতাকর্মী কোর্টে হাজিরা দিতে হয়। এই যে একটা নির্যাতন এটা থেকে বাঁচতে ঝাঁক বেঁধে রাজপথে নামতে হবে। আন্দোলনের ডাক আসছে। কে দেখল বা কে দেখল না সেটা দেখার বিষয় না একবারে ঝাঁক বেঁধে নেমে এ সরকারকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করে তার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করে একটা স্বচ্ছ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।