নোয়াখালী সদর হাসপাতালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর অভিযানের সময় হাসপাতালের ওষুধ বাহিরের এক ফার্মেসীতে পাচাররত অবস্থায় ধরা পড়েন এক নারী স্টাফ। এসময় তিনি সরকারি ৮ প্যাকেট ওষুধ বাহিরের একটি ফার্মেসীতে দিতে যাচ্ছিলেন বলে জানা যায়।
রোববার (১৪ জুলাই) দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত অফিসের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদের নেতৃত্বে এ অভিযান কালে ধরা পড়েন ওই নারী (সিটু রানী দাস) ওষুধ পাচারকারী। তিনি সদর হাসপাতালের একজন স্টাফ বলে জানায় দুদক।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী সদর হাসপাতালে বিভিন্ন অনিয়ম ও জনসাধারণকে চিকিৎসা সেবা দিতে হয়রানি করার অভিযোগ এ অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। অভিযানে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটিতে চরম অব্যবস্থাপনার চিত্র ফুটে উঠে বলেও জানায় দুদক।
অভিযানকালে দুদক টিম জানতে পারে, উক্ত হাসপাতালের ৪ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে মোট ৬৩ জন ভর্তিকৃত শিশুর কাউকেই স্যালাইন দেয়ার জন্য বিশেষায়িত মাইক্রো ব্যুরেট সেট দেওয়া হয়নি। অথচ হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ মাইক্রো ব্যুরেট সেট মজুদ রয়েছে বলে প্রমাণ পায় দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম।
এদিকে, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মাইক্রো ব্যুরেট সেট মজুদ থাকার সত্যতা স্বীকার করেন বলে জানান দুদক। এসময় রোগীদের দেওয়া ঔষধ ও অন্যান্য উপকরণ সরবরাহে গাফিলতির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হাসপাতাল তত্বাবধায়ক দুদককে জানায়। পাচারের অভিযোগে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালের অভিযুক্ত স্টাফকে ওএসডি করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।