শান্তিরক্ষী নিয়ে ডয়চে ভেলের তথ্যচিত্র বিভ্রান্তিমূলক: আইএসপিআর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশ সেনা সদস্যদের নিয়ে ডয়চে ভেলে ‘টরচারার্স ডেপলয়েড এজ ইউএন পিসকিপার্স’ শিরোনামে প্রচারিত তথ্যচিত্রটি বিভ্রান্তিমূলক প্রতিবেদন বলে দাবি করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।

শনিবার (২৫ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে আইএসপিআর।

এতে বলা হয়, শান্তিরক্ষী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের কঠোর নির্বাচন এবং যাচাইকরণ প্রক্রিয়া অনুসরণপূর্বক সবসময় সবচেয়ে যোগ্য এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাইকৃত সেনাসদস্যদের মোতায়েন নিশ্চিত করে। সর্বদা এই প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শান্তিরক্ষী নির্বাচনে উচ্চমানের আচরণবিধি এবং পেশাগত দক্ষতার দায়বদ্ধতা প্রমাণ করেছে।

কিন্তু তথ্যচিত্রে উপস্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে ডয়চে ভেল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কোনো মন্তব্য নেয়নি। পক্ষপাতমূলক ও একপেশে এই প্রতিবেদনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রশ্নবিদ্ধ মনে করে আইএসপিআর।

তথ্যচিত্রে অপ্রাসঙ্গিকভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করে অপর একটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মানহানি করাই এর মূল অভিপ্রায় ছিল বলে প্রতীয়মান। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি পক্ষপাতদুষ্ট অভিপ্রয়াস, যা তথ্যচিত্রের বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা বিনষ্ট করেছে।

বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানবতার কল্যাণে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৩১ জন বীর সেনানী সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ স্বীকার করেন এবং ২৩৯ জন আহত হন; জাতিসংঘের পতাকা সমুন্নত রাখার চেষ্টায় এটি একটি বিরল উদাহরণ।

এছাড়াও, বিগত তিন দশকে জাতিসংঘের অধীনে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীরা কোনো রূপ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ মুক্ত, যা একটি দৃষ্টান্তমূলক অর্জন।

উপরোক্ত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে, আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে গণমাধ্যমসমূহের ন্যায্য এবং ভারসাম্যপূর্ণ প্রতিবেদনের নীতি মেনে চলা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

এছাড়া, বিভ্রান্তিমূলক প্রতিবেদন উপস্থাপন এবং সংবাদ প্রচার বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষী বাহিনীর বিশ্বাসযোগ্যতা ও কার্যকারিতা বহুলাংশে ক্ষুন্ন করবে বলে মনে করছে আইএসপিআর।

   

সাড়ে ৩ লাখ চামড়া সংগ্রহ করতে চায় চট্টগ্রামের আড়তদাররা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
সাড়ে ৩ লাখ চামড়া সংগ্রহ করতে চায় চট্টগ্রামের আড়তদাররা

সাড়ে ৩ লাখ চামড়া সংগ্রহ করতে চায় চট্টগ্রামের আড়তদাররা

  • Font increase
  • Font Decrease

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে গেল বছরের মতো এবারও সাড়ে ৩ লাখ কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করার প্রস্তুতি নিয়েছেন কাঁচা চামড়া আড়তদাররা। কাঁচা চামড়া সংরক্ষণের প্রথম এবং প্রধান উপকরণ হলো লবণ।

এখন লবণ কেনা, চামড়াজাত করার জন্য গুদাম ভাড়া এবং শ্রমিক ঠিক করে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানিয়েছে বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমবায় সমিতি।

কোরবানির সময়ে পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে লবণের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। লবণ ছাড়া কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার অন্য কোনও উপায় নেই। অতি প্রয়োজনীয় এই লবণ নিয়ে এবার বেশ স্বস্তিতে কাঁচা চামড়া আড়তদাররা। দামও গত বছরের চেয়ে বস্তাপ্রতি (৭৪ কেজি বস্তা) কমেছে প্রায় ১০০ টাকা।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা প্রতিবছর সাড়ে তিন থেকে চার লাখ চামড়া সংগ্রহ করলেও এক লাখ চামড়া নেয় চট্টগ্রামের রিফ লেদার ট্যানারি। বাকি চামড়া বিক্রি করতে ঢাকার ট্যানারির ওপর নির্ভর করতে হয়। এবারও রিফ লেদার গত বছরের মত চট্টগ্রামের আড়তদারদের কাছ থেকে এক লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশে পশুর চামড়ার যে চাহিদা, তার ৮০-৯০ শতাংশই পূরণ হয় কোরবানির ঈদে। ফলে এটাই চামড়া সংগ্রহের মৌসুম।

রেওয়াজ অনুযায়ী পরের দুই দিনও কিছু পশু কোরবানি চলবে। ওই সময় পাড়া-মহল্লা থেকে কাঁচা চামড়া কিনে বা সংগ্রহ করে মৌসুমী ক্রেতারা তা বিক্রি করবেন আড়তে। আড়ত সেই চামড়া কিছুটা প্রক্রিয়াজাত করে ট্যানারিগুলোর কাছে বিক্রি করবে।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন বলেন, গতবছর চট্টগ্রামে কোরবানির ঈদে প্রায় তিন লাখ ৪৫ হাজার কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করেছিলাম আমরা (আড়তদাররা)। এর মধ্যে আড়াই লাখের বেশি ছিল গরুর চামড়া। এবার গরু, ছাগল, মহিষ মিলে সাড়ে ৩ লাখ চামড়া সংগ্রহের টার্গেট আছে আমাদের। এখন আমাদের লবণ ক্রয়, লোকবল ঠিক করা-গুদাম ঠিক করাসহ সার্বিক প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।

তিনি বলেন, লোকসান গুণতে গুণতে আমাদের এই ব্যবসা (কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী) থেকে অনেকেই দেউলিয়া হয়ে গেছে। অনেকেই এই ব্যবসা গুটিয়ে অন্য ব্যবসায় চলে গেছে। আগে চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য ছিল ১১২জন। আমাদের সমিতির বাইরে ছিল আরো ১০-১২জনের মতো। এখন আমাদের সমিতির সদস্য সংখ্যা ১১২ জন থাকলেও গত দুই বছরে ৩০-৪০ জনের বেশি কেউ চামড়া ক্রয় করে না। প্রতি বছর লোকসান দিতে দিতে ঋণের বোঝা বইতে বইতে অনেকেই এই ব্যবসা ছেড়ে অন্য ব্যবসায় চলে গেছে। তাছাড়া আমাদের চট্টগ্রামে আগে মদিনা ট্যানারি ও রিফ লেদার ট্যানারি নামে দুটি ট্যানারি ছিল। বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) না থাকায় ছয় বছর আগে মদিনা ট্যানারি বন্ধ করে দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর।

আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, এবছর গরমের তীব্রতা আগের বছরগুলোর চেয়ে বেশি, যেটা চামড়া সংগ্রহের জন্য অনূকূলে নয়। চামড়া রেখে দিলে খুব তাড়াতাড়ি সেগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। তাই মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছে অনুরোধ থাকবে চামড়া সংগ্রহ করার পর যাতে দ্রুত আড়তে নিয়ে আসে অথবা লবণ দিয়ে স্থানীয় ভাবে মজুদ করে রাখা হয়।

তিনি মৌসুমী ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামটি সংরক্ষণের পরের দাম, যা অনেক কোরবানিদাতা কিংবা মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বোঝেন না। তারা মনে করেন সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে আড়তদাররা চামড়া কিনবেন মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। তাই তাদেরকে বেশি দামে চামড়া ক্রয় না করার অনুরোধ জানান তিনি।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহার কোরবানির চামড়া স্থানীয়ভাবে ৭ থেকে ১০ দিন সংরক্ষণ করতে হবে। চামড়া যেন বর্ডার ক্রস না করে সে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। সংরক্ষণ করতে গিয়ে চামড়া যেন নষ্ট না হয় সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। চামড়া আমাদের জাতীয় সম্পদ। এ সম্পদকে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করে কাজে লাগাতে হবে।

৬৩ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছে জানান বিসিক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপ-মহাপরিদর্শক নিজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, এবার ৭ সাড়ে হাজার মেট্রিক টন লবণ প্রয়োজন। সাড়ে ২১ হাজার লবণ মজুদ রয়েছে আমাদের। লবণের কোন সংকট নেই। চামড়া সংরক্ষণের জন্য আমরা গত বছর ২০ টন লবণ বিনামূল্যে সরবরাহ দিয়েছি। এ বছর ২৫ টন লবণ বিনামূল্যে দেব।

এর আগে, ঈদ সামনে রেখে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। ঢাকায় গরুর চামড়ার দাম গতবারের চেয়ে ৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩ টাকা বেড়েছে। ট্যানারি ব্যবসায়ীদের এবার ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া কিনতে হবে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়; গত বছর এই দাম ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।

চট্টগ্রামে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম হবে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, গতবছর যা ৪৭ থেকে ৫২ টাকা ছিল।

;

বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার পাঁচ জামাত অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার নির্ধারিত ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সোমবার (১৭ জুন) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ১০টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহর ইমামতির মাধ্যমে পঞ্চম ও শেষ ঈদুল আজহার জামাতটি অনুষ্ঠিত হয়।

শেষ জামাতে মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মোঃ আক্তার মিয়া।

শেষ জামাতে নামাজ শেষে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের বিশেষ খুতবা। এসময় দেশের সার্বিক উন্নয়ন কামনা, মুসলিম উম্মাহর প্রতি শান্তি কামনাসহ কবরবাসীর প্রতি শান্তি কামনা করে মোনাজাতের মাধ্যমে দোয়া করা হয়। নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোলাকুলির পাশাপাশি একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।


বায়তুল মোকাররমে নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লি আকরাম আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ সবার সঙ্গে নামাজ আদায় করতে পেরে ভাল লাগছে। এখন বাসায় গিয়ে কোরবানি দিব। আল্লায় এই কোরবানিতে সন্তুষ্ট হলে সেই উসিলায় যেন সমাজে মানুষে মধ্যে থাকা হিংসা বিদ্বেষ গুলোও কোরবানি হয়ে যায়।

এদিকে, পঞ্চম জামাতের আগে সকাল ৭টায় প্রথম জামাত, ৮টায় দ্বিতীয় জামাত, ৯টায় তৃতীয় জামাত, ১০ টায় চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

;

শোলাকিয়ায় লাখো মানুষের ঢল, দেশের শান্তি কামনা করে দোয়া



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কিশোরগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহে ১৯৭তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে ঈদ জামাতে আসে মানুষ। 

সোমবার (১৭ জুন) সকাল ৯ টায় লাখো মুসল্লির উপস্থিতিতে জামাত হয়৷ কোরবানির আনুষ্ঠানিকতা থাকায় ঈদুল আজহার জামাতে দূরের মানুষ কম আসেন৷

উপমহাদেশের অন্যতম বৃহত্তম ও প্রাচীন ঈদগাহ শোলাকিয়ায়র জামাতে ইমামতি করেন কিশোরগঞ্জ মারকায মসজিদের ইমাম মাওলানা হিফজুর রহমান খান।

শোলাকিয়া ঈদগাহের রেওয়াজ অনুযায়ী জামাত শুরু হওয়ার আগে শটগানের গুলি ফুটিয়ে জামাত শুরু করা হয়। নামাজ শেষে দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ও দেশের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিদের জন্য দোয়া করা হয়। দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য মহান আল্লাহর দয়া কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদজামাত অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আগে থেকেই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রশাসন। ঈদ জামাত সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ড্রোন ক্যামেরা, বাইনোকুলারসহ দুই প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাব, বিপুল সংখ্যক পুলিশসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন করা হয়। এ ছাড়াও মাঠে ওয়াচ টাওয়ার এবং সিসি ক্যামেরা দ্বারা পুরো মাঠ মনিটরিং করা হয়। প্রতিটি মুসল্লিকে তল্লাশি করে মাঠে প্রবেশ করানো হয়।

অ্যাম্বুলেন্সসহ মেডিকেল টিম এবং ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট সার্বক্ষণিক মোতায়েন ছিল। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটসহ পুলিশের কুইক রেসপন্স টিমও প্রস্তুত রাখা হয়। স্কাউটস সদস্যরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

দূরের মুসল্লিদের সুবিধার্থে ঈদের দিন ময়মনসিংহ টু কিশোরগঞ্জ ও ভৈরব-টু কিশোরগঞ্জ রুটে শোলাকিয়া এক্সপ্রেস নামে দুটি স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং মুসল্লিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৭ জুলাই ঈদুল ফিতরের দিন শোলাকিয়া ঈদগাহের কাছে আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পুলিশের চেকপোস্টে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের দুজন কনস্টেবল আনসারুল হক ও জহিরুল ইসলাম, স্থানীয় গৃহবধূ ঝর্ণা রাণী ভৌমিক ও আবির রহমান নামে এক জঙ্গি নিহত হন। জঙ্গি হামলার পর থেকেই প্রতি বছর ঈদেরদিন শোলাকিয়ায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

;

সেন্টমার্টিনে আনন্দের বদলে শঙ্কার ঈদ



আবদু রশিদ মানিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার 
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সেন্টমার্টিন দ্বীপে আনন্দের বদলে শঙ্কার ঈদ কাটছে বলে জানিয়েছেন দ্বীপের বাসিন্দারা। দুই সপ্তাহ ধরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকার কারণে ঈদেও দ্বীপে আটকা রয়েছে ১০ হাজার বাসিন্দা।

সোমবার (১৭ জুন) সকাল ৮-৯ টার মধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বেশিরভাগ মসজিদে ঈদের জামাত শেষ হয়েছে। তবে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সেন্টমার্টিনের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে। সেখানে নামাজ আদায় করেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ দ্বীপে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের ঈদের জামাত শেষ হয়েছে। ঈদের নামাজ শেষে মোনাজাতে সেন্টমার্টিনে যে সংকট সেটা কাটিয়ে যোগাযোগ যেন স্বাভাবিক হয় সেটার জন্য দোয়া করা হয়েছে।

তবে সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা জানিয়েছেন এবারের ঈদ অন্যান্য বারের মতো নয়। এবারের ঈদে আনন্দের বদলে শঙ্কা বেশি রয়েছে। এবারে কোরবানির পশু টেকনাফ থেকে আনতে না পারায় অনেকেই কোরবানি দিতে পারছে না। অন্যান্য ঈদে টেকনাফ, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতো সেখানকার বাসিন্দারা। তবে এবার দ্বীপেই আটকে থাকতে হবে তাদের।


সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, যোগাযোগ নিয়ে আমরা সবাই শঙ্কায় আছি। অন্যান্য সব বিষয় ঠিক আছে। বরাবরের মতোই আমরা ঈদের নামাজ আদায় করেছি। সংকট কাটিয়ে উঠার জন্য দোয়া চেয়েছি।

সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা ওসমান গনি বলেন, সেন্টমার্টিনের সংকট শেষ হওয়ার জন্য সবাই দোয়া করেছি। আমাদের মাঝে এবারের ঈদ অন্যান্য ঈদের মতো নয়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় অনেক আত্মীয়স্বজন দ্বীপে আসতে পারেনি। আমরাও দ্বীপে আটকে আছি। এটাই আমাদের মূল শঙ্কার কারণ।

সেন্টমার্টিন ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি রশিদ আহমদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ৫ জুন থেকে আজকে ১৭ জুন পর্যন্ত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। একারণে আমাদের এবারের ঈদে আনন্দের চেয়ে শঙ্কা বেশি। সবাই সরকারের কাছে একটাই দাবি জানাচ্ছেন স্বাভাবিক নৌযান চলাচল যেন শুরু হয়। যোগাযোগ যেন স্বাভাবিক হয়।

মিয়ানমারের সংঘাতের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল করলে মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে বারবার বাংলাদেশি নৌযান লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়া হচ্ছে। একারণে ৫ জুন থেকে এই নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

;