লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকা ডুবিতে নিখোঁজ বাঙালি অভিবাসীদের মধ্যে এ পর্যন্ত ছয় জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের বাড়ি সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায়। স্বজনরা তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের মৃত চার জনের মধ্যে রয়েছেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কটালপুর এলাকার মুয়িদ পুর গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে আব্দুল আজিজ (২৫)। একই গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে আহমদ (২৪) ও সিরাজ মিয়ার ছেলে লিটন (২৪)। এ ঘটনায় ফেঞ্চুগঞ্জের দিনপুর গ্রামের আরেক জন মারা গেছেন। তার পরিচয় জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে মৃত আজিজের ভাই মফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শনিবার (১১ মে) বেলা ৩টার দিকে তিউনিসিয়া উপকুল থেকে বেঁচে যাওয়া তার চাচা মুয়িদপুর গ্রামের দিলাল ফোন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অন্যদিকে অপর মৃতদের মধ্যে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শারয়িার আলম সামাদের ছোট ভাই আহসান হাবিব শামীম ও তার শ্যালক কামরান আহমদ মারুফ রয়েছেন। শনিবার (১১ মে) রাত ১টায় শাহরিয়ার আলম সামাদের স্ত্রী শাহরিয়ার শারমিন তাদের মৃত্যুর বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেন।
নৌকাডুবিতে বেঁচে যাওয়া লোকজন তিউনিসিয়ার রেড ক্রিসেন্টকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (৯ মে) গভীর রাতে লিবিয়ার উপকূল থেকে ৭৫ জন অভিবাসী একটি বড় নৌকায় করে ইটালির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। গভীর সাগরে তাদের বড় নৌকাটি থেকে অপেক্ষাকৃত ছোটো একটি নৌকায় তোলা হলে ছুক্ষণের মধ্যে সেটি ডুবে যায়।
তিউনিসিয়ার জেলেরা ১৬ জনকে উদ্ধার করে শনিবার সকালে জারযিজ শহরের তীরে নিয়ে আসে। উদ্ধার হওয়া অভিবাসীরা জানায়, ঠাণ্ডা সাগরের পানিতে তারা প্রায় আট ঘণ্টা ভেসে ছিল। উদ্ধার হওয়া ১৬ জনের ১৪ জনই বাংলাদেশি বলে জানা গেছে।