রাত পোহালেই টাঙ্গাইলের দুই উপজেলায় নির্বাচন: কে হাসবে শেষ হাসি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) এই দুই উপজেলা নিয়ে সংসদীয় আসন গঠিত। এ আসনের এমপি ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী। এই দুই উপজেলায় ড. আব্দুর রাজ্জাক চেয়ারম্যান পদে দুই জন প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগেরই অন্য নেতারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছেন ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপির প্রার্থীরা। কে হাসবে শেষ হাসি এ নিয়ে চলছে ভোটারদের মাঝে হিসাব নিকাশ।

বুধবার (৮ মে) টাঙ্গাইলের এই দুই উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে। ইতোমধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে নির্বাচনী সরঞ্জাম।

আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য দলের কেউ এই নির্বাচনে প্রার্থী হননি। মধুপুরে আওয়ামী লীগের তিন নেতা এবং ধনবাড়ীতে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানান, গত ১০ বছর ধরে এই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছরোয়ার আলম খান আবু। গত দুই মেয়াদেই স্থানীয় এমপি ড. আব্দুর রাজ্জাকের সমর্থন ছিল তাঁর দিকে। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আবু টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে ঘোষণা দেন। এ নিয়ে স্থানীয় এমপি ড. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব সৃষ্টি হয়। মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ভাগ হয়ে যায়। একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। যদিও দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় আবু সংসদ নির্বাচনে আর প্রার্থী হননি। তবে তিনি এবারও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ দলের বড় একটি অংশের সমর্থন আছে আবুর দিকে।

ভোটার আরিয়ান আহমেদ কাকন বলেন, আমরা যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয় করবো। যে উন্নয়ন করবে আমাদের পাশে থাকবে তাকেই আমরা ভোট দিব। আমরা সুষ্ঠ সুন্দর নির্বাচন চাই।

অন্যদিকে চেয়ারম্যান পদে স্থানীয় এমপি ড. আব্দুর রাজ্জাকের সমর্থন নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও শোলাকুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের পদত্যাগকারী চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী। এ ছাড়াও আব্দুর রাজ্জাকের অংশের অপর নেতা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর ফরহাদুল আলম চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। এই তিন প্রার্থীর দিকে ভাগ হয়ে গেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

মধুপুরের সাবেক এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী ২৩ বছর পর গত শনিবার মধুপুরে যান। তিনি ছরোয়ার আলম খানের পক্ষে গণসংযোগে অংশ নেন।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছরোয়ার আলম খান আবু জানান, দলের অধিকাংশ নেতা-কর্মী আমার পক্ষে আছে। মধুপুরে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হলে আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো।

ড. আব্দুর রাজ্জাক সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াকুব আলী জানান, ছরোয়ার আলম খান আবু দীর্ঘদিন উপজেলা চেয়ারম্যান থেকেও জনগণের আশা আকাঙ্খা পূরণ করতে পারে নাই। মধুপুরের মানুষ পরিবর্তন চায়। নতুন চেয়ারম্যান চাই। তাই আমার পক্ষে দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। আমি শতভাগ আশাবাদী বিপুল ভোটে এ উপজেলার মানুষ আমাকে বিজয়ী করবে।

একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে মধুপুর উপজেলা গঠিত। এ উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৫৫ হাজার ২১৮ জন। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ধনবাড়ী উপজেলা-

ধনবাড়ীতে নির্বাচনী মাঠে পাঁচ প্রার্থী। ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে এমপি ড. আব্দুর রাজ্জাক সমর্থন করেছেন ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ হীরাকে। হীরা ড. আব্দুর রাজ্জাকের খালাতো ভাই। ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হলেও এবার আরও চারজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে তাঁকে লড়াই করতে হচ্ছে।

তাঁরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ তালুকদার সবুজ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান রনি এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম।

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানান, হারুনার রশিদ হীরা আব্দুর রাজ্জাকের খালাতো ভাই। অপর প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম তপন আব্দুর রাজ্জাকের মামাতো ভাই। এই উপজেলার নেতা-কর্মীরাও বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।

ড. আব্দুর রাজ্জাক সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুনার রশীদ হীরা বলেন, আমার পক্ষে দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন। মানুষ উন্নয়ন চাই। আমি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় এ উপজেলায় অনেক উন্নয়ন করেছি। আবারও জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করাবে।

নিজেকে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও বর্তমান এমপি ড. আব্দুর রাজ্জাকের সাথে আমার রক্তের কোন সম্পর্ক নেই। সে আমার মামাতো ভাই না বলে দাবি করেছেন অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন। তিনি বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ বর্তমানে ভালই আছে। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হলে আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবো।

একটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে ধনবাড়ী উপজেলা গঠিত। এ উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৫৮ জন। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ূর রহমান জানান, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। কেউ কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা করার চেষ্টা করলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতো মধ্যে বিভিন্ন কেন্দ্রে কেন্দ্র নির্বাচনের সরঞ্জাম পৌঁছে গেছে।

   

মেরিন ড্রাইভে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের-টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কে মোটরসাইকেলের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবলীগ নেতাসহ ২ আরোহী নিহত হয়েছেন।

রোববার (১৯ মে) দুপুরের দিকে কক্সবাজার- টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন বাহারছড়া বড়ডেইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হরিখোলা গ্রামের লাতাইঅং চাকমার ছেলে বারিক্কা (প্রকাশ) কিরন চাকমা (৪০) ও ঢাকা ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার মাযহারুলের ছেলে জিহাদ (৩০)। নিহত কিরন চাকমা হোয়াইক্যং ইউনিয়ন যুবলীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ (পরিদর্শক) মো. সামিউদ্দিন।

তিনি বলেন, রবিবার দুপুরের দিকে কক্সবাজার- টেকনাফের বাহারছড়া বড়ডেইল এলাকায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দু'জন নিহত হয়।

নিহতের মধ্যে বারিক্কা (প্রকাশ) কিরন চাকমা (৪০) টেকনাফের হোয়াইক্যং হরিখোলা গ্রামের ও মো. জিহাদ (৩০)ঢাকা ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টারের বাসিন্দা।

জানা গেছে, নবদম্পতি জিহাদ ও তার স্ত্রী পরিবার নিয়ে গত পরশু দিন কক্সবাজার এসেছে। তারা তারকামানের হোটেল ওশান প্যারাডাইসে উঠেছে। সকালে বাইক ভাড়া নিয়ে মেরিনড্রাইভে ঘুরতে গিয়ে শামলাপুরে দুর্ঘটনার শিকার হয়। সেখান থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে জিহাদকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে রয়েছে। আইনি কার্যক্রম শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।

;

স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কাউন্সিলরের সঙ্গে ডিএনসিসি মেয়রের বৈঠক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রম নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ ও কাউন্সিলরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

রোববার (১৯ মে) গুলশান নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছেন। প্রথম ধাপে ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। করোনা, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধসহ অন্যান্য কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় জমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে অর্থ ছাড় পেতে সময় লাগছে। কিন্তু এই নতুন এলাকায় বহু মানুষের বসবাস। তাদের দুর্ভোগের বিষয় বিবেচনা করে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করেছি।’

মেয়র আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এই এলাকায় টেকসই উন্নয়নের জন্য ড্রেন নির্মাণ করে তারপর রাস্তা করতে হবে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিক না হলে রাস্তা করলে জলাবদ্ধতা হবে। সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না৷ আগামী এক বছর এই নতুন এলাকায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ড্রেনেজ ও রাস্তার কাজ চলবে। আশা করছি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জনগণের চলাচলে কষ্ট দূর হবে।

এসময় ডিএনসিসি মেয়র ড্রেন নির্মাণ ও সড়ক প্রশস্ত করণের জন্য এলাকাবাসী যেন জায়গা ছেড়ে দিয়ে সহযোগিতা করে সে বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কাউন্সিলরদের প্রতি আহবান জানান।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য ওয়াকিল উদ্দিন, ঢাকা ১৮ আসনের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী এবং নতুন ১৮টি (৩৫ থেকে ৫৪নং) ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ।

এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মোঃ মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান এবং সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ।

;

১৫৬ উপজেলায় প্রচার শেষ মধ্যরাতে, সোমবার ভোট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বিতীয় ধাপের ১৫৬ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা শেষ হবে মধ্যরাত ১২টায়। নির্বাচন কমিশন ইসি জানিয়েছে, এই সময়ের পর কোনো ধরনের প্রচার, মিছিল করতে পারবেনা প্রার্থীরা।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব আতিয়ার রহমান জানান, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলায় আগামী ২১ মে ভোট গ্রহণ করা হবে। এই ধাপে মোট একহাজার ৮২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তারমধ্য চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আইন অনুযাযী, প্রচার শেষ করতে হয় ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা পূর্বে। ১৫৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে ২১ মে সকাল ৮টায়। তার ৩২ ঘণ্টা পূর্বে বলতে রোববার মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত প্রচারের সময় বোঝায়।

এদিকে একই সময় থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার জন্য ভোটের এলাকায় নিষেধ থাকবে মটর সাইকেল চলাচল।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ভোটের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য মাঠে অবস্থান নিয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যরা৷ কেন্দ্রে কেন্দ্রে অবস্থায় নিযে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ।

নির্বাচনি আচরণি বিধি প্রতিপালনের জন্য মাঠে রয়েছে ইউনিয়ন প্রতি একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া নির্বাচনি অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচার কাজ সম্পন্ন করতে নিয়োজিত রয়েছেন ১৫৭ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।

এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, আমরা আশাকরি আমাদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে। ছোটখাটো যে সব সমস্যা হয়েছে, সেগুলো যাতে না হয়, সেজন্য প্রশাসন ও পুলিশ অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন প্রথম ধাপের নির্বাচনের চেয়েও সুষ্ঠু হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হযেছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন আগামী ২১ মে, ২৯ মে তৃতীয ও ৫ জুন চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;

সিলেট-কক্সবাজার রুটে ট্রেন সার্ভিস চালুর দাবিতে মানববন্ধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে সিলেটবাসী।

রোববার (১৯ মে) বিকাল ৫ টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই মানববন্ধন সিলেটের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সিলেট এবং কক্সবাজার দুটো এলাকাই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। সিলেট যেমন সুন্দর সিলেটের মানুষজনও সৌন্দর্যপিপাসু ও ভ্রমণ প্রিয়। কিন্তু সিলেট থেকে বিশ্বের দীর্ঘতম ‘প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত’ কক্সবাজারে যাওয়ার জন্য সরাসরি কোনো ট্রেনে সার্ভিস নেই। যার ফলে সিলেটের মানুষজনকে পরিবার পরিজন নিয়ে কক্সবাজার যেতে প্রচুর ঝামেলা পোহাতে হয়। এই ঝামেলা এড়াতে ও স্বল্প খরচে কক্সবাজার যেতে সিলেট-কক্সবাজার রুটে ট্রেন সার্ভিসের কোনো বিকল্প নেই। সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী এটি। এই ট্রেন সার্ভিস চালু হলে সিলেট এবং কক্সবাজারের পর্যটন আরও সমৃদ্ধ হবে, ব্যবসায়িক যোগাযোগও বৃদ্ধি পাবে। তাই এই রুটে ট্রেন সার্ভিস চালু করা এখন সময়ের দাবি।

বক্তারা আরও বলেন, সিলেটের রেলপথ সেক্টর বরাবরই অবহেলিত। তাই এ ব্যাপারে যারা সংসদ নেতা আছেন তাদেরকে সোচ্চার হতে হবে এবং সিলেটের জনগণের দাবি সংসদে উপস্থাপন করতে হবে। তাহলে ভ্রমণপিপাসু মানুষদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত হবে।

এই মানববন্ধনের সমন্বয়কারী ফটো সাংবাদিক মামুন হোসেন, ফটো সাংবাদিক পল্লব ভট্টাচার্য, সাংবাদিক নাবিল এইচ জানান, সিলেট-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস চালু না হওয়া পর্যন্ত তারা সিলেটবাসীকে নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করবেন।

গনমাধ্যমকর্মী নাবিল হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিবেশ কর্মী ও দৈনিক খবরের কাগজের সিলেট ব্যুরো অফিসের ফটো সাংবাদিক মামুন হোসেন ও ফটো সাংবাদিক পল্লব ভট্টাচার্য।

মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বাসদ মার্কসবাদী সিলেট জেলা আহবায়ক উজ্জ্বল রায়, ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (ইমজা) সভাপতি সজল ছত্রী, ভূমিসন্তান বাংলাদেশের সমন্নয়ক আশরাফুল কবির, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত, সিলেট ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম, সিলেট ট্যুরিজম ক্লাবের সভাপতি হুমায়ুন কবির লিটন, সিলেট উইমেনস জার্নালিস্ট ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাকিলা ববি, যুব ইউনিয়নের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিউর রহমান, সিলেট বিভাগ গণদাবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ, ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান প্রান্তিক, পরিবেশকর্মী শাহ সিকান্দর শাকির, সমাজকর্মী কয়েস আহমদ সাগর, সংস্কৃতি কর্মী জয়ন্ত কুমার দাস।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মামুন হাসান, মাই টিভির সিলেট প্রতিনিধি মৃণাল কান্তি দাস, ফটো সাংবাদিক এইচ এম শহিদুল ইমলাম, আজমল আলী, রেজা রুবেল, যমুনা টিভি সিলেট ব্যুরো অফিসের ক্যামেরা পার্সন আহমদ শাহীন, ফটো সাংবাদিক এহিয়া আহমদ, কৃতিশ তালুকদার, বার্তা২৪.কম’র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (সিলেট) মো.মশাহিদ আলী, সংস্কৃতি কর্মী ও ডিবিসি নিউজের মাল্টি মিডিয়া রিপোর্টার নয়ন সরকার নিমু, ফটো সাংবাদিক রেজুয়ান আহমদ, সিলেট ভিউ ২৪.কম’র রিপোর্টার নিবেন্দু তালুকদার, দৈনিক শ্যামল সিলেটের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার রুম্মান আহমদ, ডিবিসি নিউজের সাস্ট প্রতিনিধি শাদমান সাবাব, যুক্তধারার সুরাইয়া আহমেদ রিমা।

;