প্রকল্প পরিচালকদের এলাকায় থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেছেন, গুণগতমান বজায় রেখে প্রতিটি প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়িত হোক। এজন্য প্রকল্পের পরিচালক যিনি থাকবেন তাকে প্রকল্প শেষ হওয়ার পরও দায়িত্ব নিতে হবে, যেন ওই প্রকল্পের মান নিয়ে জনগণের মনে কোনো সংশয় না থাকে।
বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা বিভাগের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নের অগ্রগতি সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ এই পর্যালোচনা সভার আয়োজন করে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার চলতি অর্থবছরে এক লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশব্যাপী এক হাজার ৫০৭টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে খুলনা বিভাগে তিন হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৮টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে গৃহীত এ সব প্রকল্পের মান বজায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে, যাতে জনগণ এর সুফল ভোগ করতে পারে।
বর্তমান সরকার অত্যন্ত স্বচ্ছতার সাথে দেশ পরিচালনা করতে চায় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। প্রত্যেক নাগরিক যেন সরকারি সকল কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারে, সেজন্য সরকার তথ্য অধিকার আইন করেছে।
সভায় খুলনা বিভাগের ৫৮টি প্রকল্প পর্যালোচনা করা হয়। এ সময় পরিকল্পনা মন্ত্রী ঐতিহ্যবাহী যশোর-খুলনা মহাসড়ক নির্মাণ কাজ, কয়রা-পাইকগাছা এলাকায় ৫৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজসহ আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দেন।
বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডি’র সচিব আবুল মনসুর মো. ফয়েজউল্লাহ ও মহাপরিচালক মো. সিদ্দিকুর রহমান, ডিআইজি মো. দিদার আহমেদ, কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার সরদার মাহবুবার রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, সকল প্রকল্পের পরিচালক, খুলনা বিভাগের সকল জেলা প্রশাসকসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।