সাংগঠনিক কাঠামো সংস্কারের লক্ষ্যে পুলিশের জনবল বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনে নেত্রকোনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামো সংস্কারের লক্ষ্যে জনবল বৃদ্ধির বিষয়টি পরিকল্পনায় রয়েছে। ইতোমধ্যে গত ২০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে আগামী পাঁচ বছরে পুলিশের জনবল পর্যায়ক্রমে আরো ৫০ হাজার বৃদ্ধির বিষয়ে মত প্রকাশ করেন।’
‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদে, ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পুলিশের বিভিন্ন পদবির মোট ৩৩ হাজার ১০২টি পদ সৃজন করা হয়েছে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৪ সালে থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৫০ হাজার পদ সৃজনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ৫০ হাজার পদের মধ্যে পুলিশের বিদ্যমান বিভিন্ন ইউনিটের কাঠামো সংস্কারসহ বিভিন্ন পদবির মোট ৪৮ হাজার ২৯৯টি পদ সৃজন সম্পন্ন হয়েছে।’
বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাজস্ব বাজেটের অর্থায়নে সারাদেশে ৩৩টি নতুন থানা ভবন নির্মাণ ও ৬০টি থানা ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।’
‘এডিপির অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন 'পুলিশ বিভাগের ১০১টি জরাজীর্ণ থানা ভবন টাইপ প্ল্যানে নির্মাণ' শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ৫৯টি থানার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট ৪২টি থানার নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।’
চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার প্রেক্ষিতে কারাবন্দীদের আত্মীয় স্বজনের সাথে টেলিফোনে কথা বলার পাইলট প্রকল্প টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে শুরু হয়েছে। টেলিফোনে কথা বলার কার্যক্রম অন্যান্য কারাগারে চালু করার জন্য 'দেশের সকল কারাগারে প্রিজন লিংক স্থাপন' শিরোনামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। একটি নীতিমালার ভিত্তিতে মনিটরিং করা হবে।’
বন্দীদের আত্মীয়-স্বজনের সাথে মোবাইল ফোনে কথোপকথন রেকর্ড করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সিনিয়র জেল সুপার/জেল সুপারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি কমিটি সার্বিক বিষয়টি মনিটরিং করবে। জঙ্গি, টপটেরর ও বিভিন্ন মামলার স্পর্শকাতর বন্দীদের এ সুবিধার বাইরে রাখা হবে। তাই কারাগার থেকে মোবাইল ফোনে অপরাধে মদদ দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না।’