বিদেশি অস্ত্র ও ২ লাখ ইয়াবাসহ র‍্যাবের হাতে আটক ৪

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার | 2024-03-19 17:48:52

২ লাখ ইয়াবাসহ ইয়াসিন আরাফাত ওরফে কালু নামক এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে র‍্যাব। এছাড়াও পৃথক অভিযানে অস্ত্র ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের ৩ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ইয়াবা, ১টি বিদেশি পিস্তল ও ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে বলে জানায় র‍্যাব।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে কক্সবাজারের র‌্যাব-১৫ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-১৫ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, টেকনাফের জাদিমুড়া এলাকার ইমান হোসেনের হোসেনের ছেলে ইয়াসিন আরাফাত ওরফে কালু (২১), হোয়াইক্যংয়ের উনছিপ্রাং এলাকার মো. হোসাইনের ছেলে আবুল কাশেম (৩৮), খুলনার দাকোপ উপজেলার সুতারখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা নওশের মোড়লের ছেলে নুরুজ্জামান (২৮), খুলনা সদর উপজেলার আবুল কালামের ছেলে সাকির আহাম্মদ সাগর (২৬)।

সংবাদ সম্মেলনে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সোমবার রাতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের রইক্ষ্যং এলাকায় অস্ত্রের বিনিময়ে মাদকের চালান লেনদেনের জন্য কিছু লোকজন অবস্থান করছে, এমন খবর পেয়ে র‌্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। র‌্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে চার-পাঁচজন সন্দেহজনক লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে আটকদের হেফাজত থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও দুটি গুলি পাওয়া যায়।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, আটকরা স্বীকারোক্তি দিয়েছে, তারা তিনজনই মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী। তারা খুলনা থেকে অস্ত্রের চালান এনে টেকনাফের বিভিন্ন অপরাধী চক্রের কাছে তুলে দিত। চক্রটি নগদ টাকার পাশাপাশি মাদকের বিনিময়েও এসব অস্ত্র লেনদেন করত।

এদিকে সোমবার রাতে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব জাদিমুরা এলাকায় নাফ নদ সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে মাদকের বড় একটি চালান পাচারের খবর পাওয়া যায়। পরে পৃথক অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ইয়াবাসহ ইয়াসিন আরাফাত ওরফে কালুকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।

তিনি বলেন, আটক ব্যক্তির দেওয়া তথ্য মতে, তার বসত ঘরে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা ২ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

র‍্যাবের দাবি, গ্রেফতারকৃত ইয়াসিন আরাফাত ওরফে কালু জানায় যে, পার্শ্ববর্তী দেশ হতে ক্রয়কৃত মাদকের মূল্য বাবদ নগদ অর্থ প্রদান এবং কখনো কখনো হুন্ডি ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করতো। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আবুল কাশেম একজন সন্ত্রাসী। সে তার আধিপত্য বিস্তারের জন্য দেশি-বিদেশি অস্ত্র-শস্ত্রের ভয়-ভীতি দেখিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, চাঁদা আদায় ও পরিকল্পিত হামলাসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। একই সাথে সে দীর্ঘদিন ধরে মাদকের ব্যবসা করে আসছিল।

এছাড়াও গ্রেফতারকৃত নুরুজ্জামান ও সাকির আহাম্মদ সাগর দু’জনই অস্ত্র ব্যবসায়ী। তারা খুলনা থেকে দেশী, বিদেশি অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে কক্সবাজারের হোয়াইক্যং এর উনচিপ্রাং এলাকায় এসে সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতো।

তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেেও জানানো হয় র‍্যাবের পক্ষ থেকে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর