ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল বাণিজ্যের সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডাকঘর ডিজিটাল করা অপরিহার্য। ডিজিটাল যুগের উপযোগী ডাক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ডাকঘর ডিজিটাইজেশনের নকশা তৈরি হচ্ছে।
সোমবার (২০ জুন) রাতে ঢাকা জিপিও মিলনায়তনে আয়োজিত ডাক অধিদফতরের বিদায়ী মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিনের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ডাক ব্যবস্থাকে ডিজিটাইজ করার পাশাপাশি কর্মরত ৪৫ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারীকেও ডিজিটাল দক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে ডাকঘর ডিজিটাল করার কাজ আমরা শুরু করেছি। চিঠি আদান প্রদান যুগীয় ডাক ব্যবস্থা অচল হয়ে গেলেও ডকুমেন্টসহ বিভিন্ন পণ্য ডেলিভারির বিশাল চাহিদা পুরণে ডাকঘরকে উপযোগী করা হবে।
তিনি বলেন, আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো চিঠিপত্রের যুগ শেষ হওয়ায় দুর্দশাগ্রস্থ ডাক সার্ভিসকে একটা ভাল অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। আমরা ইতিমধ্যে সেটা পেরেছি। ই-কমার্সের জন্য ডাকঘর এখন একটা নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
ডাকমন্ত্রী বলেন, ডাকঘরকে ডিজিটাল যুগের উপযোগী করে গড়ে তুলতে প্রণীত ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাবের (ডিএসডিএল) প্রস্তাব ডিজিটাল ডাকঘর প্রতিষ্ঠায় একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। এর ফলে উৎপাদনমুখী কর্মকাকাণ্ডের ডিজিটালাইজেশনের ভিত তৈরি হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ডাকঘরকে ডিজটাল করার মাধ্যমে একটি উন্নত ডাকসেবা প্রতিষ্ঠায় গৃহীত কর্মপরিকল্পনা সফলতার সাথে এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্টদের নিরলসভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। তিনি বিদায়ী মহাপরিচালকের কর্মপ্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং তিনি তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ডাক অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হারুন উর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত মহাপরিচালক রিয়াজুল ইসলাম, সাবেক পোস্ট মাস্টার জেনারেল বাহিজা আক্তার, খুলনা রেঞ্জের পিএমজি মো. শামসুল আলম এবং ডাক অধিদফতরের পরিচালক এসএম হারুনুর রশিদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম উপস্থিত ছিলেন।