ক্রাইস্টচার্চের নারকীয় সন্ত্রাসের কবল থেকে ক্রিকেটারদের রক্ষা!

, ফিরে দেখা

স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 00:32:25

সামান্য সময়ের এদিক-ওদিক হওয়ায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যরা। ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালের আল নূর মসজিদে ক্রিকেটাররা জুম্মার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। তারিখটা ছিল ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বহনকারী বাস একটু দেরিতে মসজিদে আসায় প্রাণে রক্ষা পান ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটাররা সেই মসজিদে যাওয়ার খানিক আগে সেখানে এক উগ্রবাদী সন্ত্রাসী বেপরোয়া গুলি চালিয়ে খুনে উল্লাসে মেতে উঠে। ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান এই খুনি সেদিন ৪৯ জন মানুষকে হত্যা করে। মসজিদের ভেতর ঢুকে পড়ে সে নির্বিচারে গুলি চালায়। যাকে সামনে পায় তাকেই হত্যা করে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বহনকারী বাস যখন মসজিদ প্রাঙ্গনে পৌঁছায় তার কিছুক্ষণ আগে খুনি সেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। কিন্তু চারধারে তখন নিহতদের রক্তাক্ত শরীর ছড়িয়ে ছিটিয়ে। পাঞ্জাবি পরে নামাজ পড়তে আসা আহতরা গুলির আঘাতে মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছেন! চারধারে এই ভয়াবহ দৃশ্য দেখে ক্রিকেটাররা প্রচন্ড মানসিক ধাক্কা খান। বাসে বসে থাকলে সহজেই খুনির টার্গেটের শিকার হবেন-এই চিন্তায় ক্রিকেটাররা বাস থেকে নেমে ভিন্ন পথে পার্কের ভেতর দিয়ে দৌড়ে প্রাণ বাঁচিয়ে মাঠে ফিরেন। সেখান থেকে কড়া নিরাপত্তায় পরে হোটেলে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন থেকে শুরু হওয়া ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট বাতিল করা হয়। দ্রুততম সময়ে ক্রিকেটারদের ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করা হয়।

মৃত্যুকে সেদিন খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন ক্রিকেটাররা। চোখের সামনে এমন ভয়াবহ সন্ত্রাসী ঘটনায় পুরো ক্রিকেট দল ভীষণভাবে মানসিক চোট পায়।

নিউজিল্যান্ডকে মনে করা হতো বিশ্বের নিরাপদ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। সেই নিউজিল্যান্ডেই খুনে সন্ত্রাসের থাবায় ঝরে গেল ৪৯ টি তাজা প্রাণ। তিনজন প্রবাসী বাংলাদেশিও এই সন্ত্রাসী ঘটনায় খুন হয়েছেন। অথচ এরা সবাই নামাজ পড়ার জন্য শহরের মসজিদে এসেছিলেন!

শান্তি- সুখ ও সুন্দরের দেশ হিসেবেই পরিচিত ছিল নিউজিল্যান্ড।  সন্ত্রাস-খুনের এই রক্তহোলি নিউজিল্যান্ডের সেই সুন্দর সেই গর্ব কালিতে ঢেকে দিলো।

ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে চোখে দেখা সেই নারকীয় ঘটনার ভয়াবহতা কখনো ভোলার নয়। সেখান থেকে ফিরে আসার পর সেই দুঃস্মৃতি আজো ক্রিকেটারদের তাড়িয়ে বেড়ায়!

এ সম্পর্কিত আরও খবর