সড়ক আইন বাস্তবায়নে উত্তাল ছিল পরিবহন সেক্টর

, ফিরে দেখা

তৌফিকুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-30 00:32:30

পরিবহন সংশ্লিষ্টদের আন্দোলনে নাকাল ছিলো ২০১৯। ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’ নানা কারণে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে পরিণত হয়। এছাড়া সাধারণ মানুষের ভোগান্তিতো ছিলই।

আইনটি পাশের এক বছর দুই মাস পর চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে নতুন সড়ক পরিবহন আইনটি কার্যকরের তারিখ ঘোষণা করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ধারা ১ এর উপধারা (২) এ দেওয়া ক্ষমতাবলে সরকার ১ নভেম্বর থেকে আইন কার্যকর হওয়ার তারিখ নির্ধারণ করল।’

এর আগে, শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-বিল’টি সংসদে তোলা হয়। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর তা সংসদে পাস হয়। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর ৮ অক্টোবর আইনটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। এর আগে একই বছরের ৬ আগস্ট মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয় ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’।

আইনটি সংশোধন বা পরিবর্তন ছাড়াই চলতি বছরের পহেলা নভেম্বর থেকে কার্যকর করতে গেলে পরিবহন মালিকরা কর্মবিরতির ডাক দেন।  বাস, মিনিবাস, ট্রাক চালানো রাস্তায় বন্ধ করে দেন। হঠাৎ করেই আইন বাস্তবায়নের প্রতিবাদে পরিবহন সেক্টর উত্তাল হয়ে ওঠে। রাস্তায় বাস বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছায়।

আইনটি নয়টি ধারা নিয়ে আপত্তি তোলেন মালিক ও শ্রমিকরা। তারা এসব ধারা সংশোধনের দাবি জানান। ধারাগুলো হলো-৭৪, ৭৫, ৭৬, ৭৭, ৮৪, ৮৬, ৯০, ৯৮ ও ১০৫।

আইনটির ৭৪ নম্বর ধারায় ‘মালিকানা পরিবর্তনের বৈধতা’ নিয়ে বলা হয়েছে, মোটরযানের মালিকানা পরিবর্তনের ৩০ দিনের মধ্যে হস্তান্তরকারী নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে কর্তৃপক্ষকে জানাবেন এবং তার অনুলিপি নতুন মালিককে দেবেন। আইনের ২১ ধারায় বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।

কিন্তু নতুন মালিক যদি এসব বিধান ভঙ্গ করা হলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে এবং সেজন্য অনধিক এক মাস কারাদণ্ড, অনধিক পাঁচ হাজার টাকা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

৭৫ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে যে, ফিটনেস সনদ ছাড়া, মেয়াদ উত্তীর্ণ ফিটনেস সনদ ব্যবহার, ফিটনেসের অনুপযোগী, ঝুঁকিপূর্ণ বা ক্ষতিগ্রস্ত, রংচটা, বিবর্ণ বা পরিবেশ দূষণকারী ইত্যাদি মোটরযান ব্যবহার করা হলে তা ধারা ২৫ লঙ্ঘন করা হবে। সেক্ষেত্রে শাস্তি হিসাবে অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড, অনধিক ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

৭৬ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি যদি ট্যাক্স টোকেন (গাড়ির ট্যাক্স প্রদাণের স্টিকার) ব্যতীত বা মেয়াদ উত্তীর্ণ ট্যাক্স টোকেন ব্যবহার করে মোটরযান চালনা করে (মোটর ভেহিকেল আইন অনুযায়ী অব্যাহতিপ্রপ্ত মোটরযান ব্যতীত) ধারা ২৬ ভঙ্গ করেন, তাহলে অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

৭৭ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে কোন ব্যক্তি যদি ধারা ২৮ এর উপধারা-১ ভঙ্গ করেন, যেখানে বলা হয়েছে যে, সরকারের দেয়া এবং প্রতি-স্বাক্ষরিত রুট পারমিট ছাড়া কোন পরিবহন যানের মালিক পাবলিক প্লেসে পরিবহনযান ব্যবহার করতে বা ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারবেন না।

এছাড়া রুট পারমিটে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ না থাকলে স্টেইট ক্যারিট কন্ট্রাক্ট ক্যারিজ. স্টেইট ক্যারিজে পণ্য পরিবহন, মালিক ব্যবসায়িক বা বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ব্যক্তি বা পণ্য পরিবহন করতে পারবেন না।

এরকম কোন অপরাধ করা হলে অনধিক তিন মাসের কারাদণ্ড, অনধিক বিশ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

ডান দিকে স্টিয়ারিং থাকতে হবে এমন একটি বিষয় ৮৪ নম্বর ধারায় উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও এ ধারায় আরও বলা হয়, মোটরযানের নির্মাণ, সরঞ্জামাদির বিন্যাস, রক্ষণাবেক্ষণ এমনভাবে করতে হবে যাতে চালক কার্যকরভাবে সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হন।

কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত কারিগরি নির্দেশনার বাইরে মোটরযানের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা, আসন বিন্যাস, হুইল বেইজ, রিয়ার ওভার হ্যাংগ, ফ্রন্ট ওভার হ্যাংগ, সাইড ওভার হ্যাংগ, চাকার আকৃতি, প্রকৃতি ও অবস্থা, ব্রেক ও স্টিয়ারিং, গিয়ার, হর্ন, সেফটি গ্লাস, শব্দ নিয়ন্ত্রণের মাত্রা ইত্যাদি বা সমজাতীয় অন্য কিছুর পরিবর্তন করা যাবে না। রেজিস্ট্রেশন করা মোটরযানের কারিগরি ও অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।

এসব বিধান লঙ্ঘন করা হলে অন্তত এক বছরের কারাদণ্ড ও অনধিক তিন বছরের কারাদণ্ড, অনধিক তিন লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

অতিরিক্ত ওজন নিয়ে মোটরযান চালানোর বিষয়টি নিয়ে ৮৬ নম্বর ধারায় বলা হয়, ধারা ৪৩ অনুযায়ী, কোন মোটরযান চালক বা কোনো ব্যক্তি সড়ক বা মহাসড়কে অনুমোদিত লেডেন ওজন, ট্রেইন ওজন বা এক্সেল ওজন এর অতিরিক্ত ওজন নিয়ে মোটরযান চালাতে পারবেন না। রেজিস্টেশন সনদে উল্লেখিত ওজন বৃদ্ধিও করতে পারবেন না।

ওই ধারা লঙ্ঘন করা হলে অপরাধ হবে, সেজন্য অনধিক এক বছরের কারাদণ্ড, অনধিক এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। চালকের ক্ষেত্রে দোষসূচক দুই পয়েন্ট কাটা যাবে।

মোটরযান পার্কিং, যাত্রী বা পণ্য ওঠানামার নির্ধারিত স্থান ব্যবহারের বিষয়টি ৯০ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত ধারা ৪৭-এ বলা হয়েছে, সরকার বা স্থানীয় সরকার, ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান পুলিশের সাথে পরামর্শ করে মোটরযান পার্কিং এলাকা, থামানোর স্থান, যাত্রী ও পণ্য ওঠানামার স্থান ও সময় নির্ধারণ করে দিতে পারবে। নির্ধারিত সেসব স্থান ছাড়া পার্কিং করা বা যাত্রী ও পণ্য ওঠানামা করানো যাবে না বা মোটরযান থামানো যাবে না। কোন যাত্রীও এরকম অনুরোধ করতে পারবেন না।

কোন ব্যক্তি যদি এই বিধান অমান্য করেন, তাহলে অনধিক পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা হবে এবং চালকের অতিরিক্ত দোষসূচক হিসাবে এক পয়েন্ট কাটা যাবে।

৯৮ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে ওভারলোডিং বা নিয়ন্ত্রণহীন মোটরযান চালানোর ফলে দুর্ঘটনায় জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি যদি নির্ধারিত গতিসীমার অতিরিক্ত গতিতে বা বেপরোয়াভাবে, ওভারটেকিং বা ওভারলোডিং বা নিয়ন্ত্রণহীন মোটরযান চালানোর ফলে কোন দুর্ঘটনায় জীবন বা সম্পত্তির ক্ষতি হয়, তা হলে মোটরযানের চালক বা কন্টাক্টর বা সহায়তাকারী ব্যক্তির অনধিক তিন বছর কারাদণ্ড, অনধিক তিন লক্ষ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। আদালত অর্থদণ্ডের সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে দিতে পারবেন।

দুর্ঘটনা সংক্রান্ত অপরাধের বিষয়টি নিয়ে ধারা ১০৫ নম্বরে বলা হয়, মোটরযান চালানোর ফলে কোন দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে কোন ব্যক্তি আহত হলে বা তার প্রাণহানি ঘটলে, এরকম অপরাধ পেনাল কোড ১৮৬০ এর অধীনে অপরাধ বলে গণ্য হবে। এছাড়া কোন ব্যক্তির বেপরোয়া বা অবহেলাজনিত মোটরযান চালানোর কারণে কেউ গুরুতর আহত বা মৃত্যু হলে, উক্ত ব্যক্তির অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

আইনের ধারাগুলোর আপত্তির বিষয়টি নিয়ে বাংলাদে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক রুস্তম আলী খান বলেন, আমরা নতুন আইনটি বিরোধিতা করছি না। এই আইনের অসংগতিগুলো সংশোধনের দাবি জানিয়েছি। কেননা কিছু ধারায় এমন জরিমানা ধার্য করছে যে সেটা গাড়ি চালাইয়া দেয়া সম্ভব না, জায়গা জমি বিক্রি করে দেয়া লাগবে এমন অবস্থা।

সংসদে ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ পাসের পর পরিবহন মালিক শ্রমিকদের এক বছর সময় দিয়ে কার্যকর করা হয়েছে আইনটি। এই দীর্ঘ সময়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার বদলে পরিবহণ শ্রমিক ও মালিকদের একটা অংশ সড়ক-মহাসড়কে নৈরাজ্যের অপচেষ্টা শুরু করে। আইনটি কার্যকরের প্রথম দিনই খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। কেন্দ্রীয় নেতারা মুখে নতুন আইন বাস্তবায়নে সরকারকে সহায়তার কথা বললেও পর্দার আড়ালে তাদের ইন্ধনেই দুই বিভাগে অনির্দিষ্টকালের জন্য জন্য বাস ধর্মঘট করেছে।

এসময়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, পহেলা নভেম্বর থেকে আইন কার্যকর করা হয়েছে। তবে নতুন আইনে প্রথম সাতদিন কোনো মামলা করা হচ্ছে না। তাছাড়া সড়ক পরিবহন আইন নিয়ে বাড়াবাড়ি না করারও নির্দেশ দেন তিনি।

এক সপ্তাহ পর আবারও সড়ক পরিবহন আইন মাঠে কার্যকর করার চেষ্টা করা হলে। রাজধানীসহ সারাদেশেই বাস মালিক পরিবহন শ্রমিকরা কর্মবিরতি ডাক দেন এবং বাস-ট্রাক চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর করার প্রতিবাদে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলায় বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়ে পরিবহন শ্রমিকরা। পূর্ব কোন ঘোষণা ছাড়াই কর্মবিরতি পালন করছে তারা। নতুন সড়ক পরিবহন আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে যশোর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, মাগুরা, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গার পরিবহন শ্রমিকরা এই কর্মবিরতি পালন করেছিলেন।

শ্রমিকদের অঘোষিত কর্মবিরতির ফলে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছিল রাজধানীতে বসবাস করা মানুষরা। কারণ পণ্য পরিবহনের ট্রাক বন্ধ থাকায় রাজধানীতে কাঁচাপণ্য না আসায় দাম বেড়ে যায় পণ্যের। এবং রাজধানীতে চলাফেরার জন্য বাস বন্ধ থাকায় রাজধানীতে চলাফেরার জন্য সাধারণ মানুষের পড়তে হয় বিপাকে।

এমন অবস্থায় পরিবহন মালিক শ্রমিকদের সাথে দফায় দফায় বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে দুই দফায় বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনানুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন শেষে জানান, পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তাছাড়া বৈধ লাইসেন্স সংগ্রহের জন্য চালকদের ২০২০ সালের ৩০শে জুন পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। এসময়ের মধ্যে সড়ক আইন শিথিল থাকবে।

তিনি আরও জানিয়েছিলেন, যে লাইসেন্স দিয়ে তারা গাড়ি চালাচ্ছিলেন, সেই লাইসেন্সটি বহাল থাকবে। কিন্তু আগামী ৩০শে জুনের মধ্যে তারা তাদের সঠিক লাইসেন্সটি বিআরটিএ'র মাধ্যমে গ্রহণ করবেন, সেই ভাবে তারা কাজ শুরু করবেন। এই প্রতিশ্রুতিতে আমরা একমত হয়ে সেই দাবিটা মেনে নিয়েছি।

নতুন এই আইনের শাস্তির বিধানগুলো তুলে ধরা হলো:

১.ফুটপাত দিয়ে মোটরসাইকেল চালালে-৩ মাস কারাদণ্ড এবং ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা।

২.সংরক্ষিত নারী আসনে বসতে না দিয়ে কেউ ওই আসনে বসলে এক মাসের কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।

৩.গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে।

৪.সাধারণ চালকের বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর এবং পেশাদার চালকদের বয়স হতে হবে কমপক্ষে ২১ বছর।

৫.লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে-ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। হেলপার বা শ্রমিক গাড়ি চালাতে পারবেন না।

৬.প্রতিযোগিতা করে গাড়ি চালালে, সেক্ষেত্রে দুর্ঘটনা না হলেও চালকের- ২ বছরের জেল বা ২ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। গতিসীমা লঙ্ঘন করলেও একই শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

৭.দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ও নিহতের ঘটনা ঘটলে দণ্ডবিধির আওতায় বিচার হবে।

৮.সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এই আইনে আমলযোগ্য অপরাধে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় দায়ীকে আটক করতে পারবে।

৯.হেলপারেরও লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

১০.চালকের সহকারীর লাইসেন্স না থাকলে এক মাসের জেল বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা।

১১.নেশা জাতীয় দ্রব্য বা মদ পান করে কেউ গাড়ি চালালে ৩ মাসের কারাদণ্ড এবং ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা। ফুটপাত দিয়ে মোটরসাইকেল চালালে ৩ মাস কারাদণ্ড এবং ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা।

১২.গাড়ী চালানোর সময় মোবাইল ফোন বা এরূপ কোনো ডিভাইজ ব্যবহার করলে এক মাসের জেল বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন চালক।

এ সম্পর্কিত আরও খবর