এস. আলম গ্রুপ নিয়ে ডেইলি স্টারের বিতর্কিত প্রতিবেদনের পর অনুসন্ধানে দেওয়া হাইকোর্টের রুল আপিল বিভাগে খারিজ

, আইন-আদালত

নিউজ ডেস্ক | 2024-02-05 18:18:08

এস. আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন এর বিরুদ্ধে দ্য ডেইলি স্টারের ‘বিতর্কিত’ প্রতিবেদন ‘এস আলম’স আলাদিন’স ল্যাম্প’ বিষয়ে হাইকোর্ট এর রুল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আপিল বিভাগের এ আদেশের ফলে হাইকোর্ট ওই রিপোর্ট পরবর্তী যে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন তা বাতিল হয়ে গেল।

বিগত বছরের আগস্টে পত্রিকাটিতে ছাপানো ওই ‘বিভ্রান্তিকর’ রিপোর্টে উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই দাবি করা হয়েছিল- সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন সিঙ্গাপুরে কমপক্ষে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। রিপোর্টে আরো অভিযোগ করা হয়- এস আলম গ্রুপ কখনোই বিদেশে বিনিয়োগ বা তহবিল স্থানান্তরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেয়নি। পরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন।

তবে এস. আলম গ্রুপ বরাবরই দ্য ডেইলি স্টারের এই অভিযোগ ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’, ‘অসত্য’, ও ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে অভিমত দিয়েছে।

পত্রিকাটিতে পাঠানো এক রিজয়েন্ডারেও এ বলা হয়েছে- এস আলম এবং তার, এস আলম গ্রুপ বাংলাদেশে এবং বিদেশে সুপরিচিত। এস আলম এবং এস আলম গ্রুপ উভয়ই তাদের সকল ব্যবসায়িক উদ্যোগে, বৈধতা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার সম্মতির সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনটি প্রাথমিকভাবে বেনামি উৎস এবং বাছাই করা তথ্যের উপর ভিত্তি করে করা হয়, যা সামগ্রিক কিংবা পরিপূর্ণ ধারণা প্রদান করে না।

এছাড়া- মোহাম্মদ সাইফুল আলমের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আজমালুল হোসেন যুক্তি দিয়ে জানিয়েছিলেন যে, হাইকোর্ট একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিতে পারেন না।

তিনি আরো জানান, আইনজীবী সুমনের মতো বিভিন্ন ব্যক্তি, যারা পক্ষভুক্ত নন তারা সাময়িকভাবে এই ধরনের মামলায় যুক্ত হন এবং 'রাজনৈতিক সুবিধার জন্য' আদালত থেকে এই ধরনের রুল পান।

এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অর্থ স্থানান্তর নিয়ে এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেন। আজ এই চূড়ান্ত রায় প্রদান করা হলো।

এ সম্পর্কিত আরও খবর