মুমিনের ভালোবাসা আল্লাহর জন্য

প্রবন্ধ, ইসলাম

সাকী মাহবুব, অতিথি লেখক, ইসলাম | 2024-02-13 19:49:43

একজন মুমিন হিসেবে আমাদের প্রথম কর্তব্য হলো- মহান আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা। আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা হবে অন্যসব ভালোবাসার ঊর্ধ্বে। এ বিষয়ে মহান আল্লাহ বলেন, ‘যারা ঈমান এনেছে, তারা যেন আল্লাহকে অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে বেশি ভালোবাসে।’ -সুরা বাকারা : ১৬৫

বর্ণিত আয়াত থেকে বুঝা যায়, আল্লাহতায়ালাকে ভালোবাসা ঈমানের দাবি। একজন মুমিনের কাছে আল্লাহর সন্তুষ্টি অন্য সবার ওপর অগ্রাধিকার লাভ করবে।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মহান আল্লাহ যখন কোনো ব্যক্তিকে ভালোবাসেন, তখন হজরত জিবরাইল (আ.)-কে ডেকে বলেন, আমি অমুক ব্যক্তিকে ভালোবাসি, সুতরাং তুমিও তাকে ভালোবাসো। এরপর হজরত জিবরাইল (আ.) তাকে ভালোবাসতে থাকেন। তারপর আকাশবাসীকে বলে দেন, আল্লাহ অমুক ব্যক্তিকে ভালোবাসেন। অতএব তোমরাও তাকে ভালোবাসো। তখন আকাশের সব ফেরেশতা তাকে ভালোবাসতে থাকেন। অতঃপর ওই ব্যক্তির জন্য জমিনে জনপ্রিয়তা দান করা হয়। আর আল্লাহতায়ালা যখন কোনো বান্দাকে ঘৃণা করেন, তখন হজরত জিবরাইল (আ.)-কে ডেকে বলেন, আমি অমুক ব্যক্তিকে ঘৃণা করি, তুমিও তাকে ঘৃণা কর। তখন হজরত জিবরাইল (আ.) তাকে ঘৃণা করেন। এরপর আকাশবাসীকে বলে দেন, মহান আল্লাহ অমুক ব্যক্তিকে ঘৃণা করেন। তোমরাও তাকে ঘৃণা কর। তখন আকাশবাসী তাকে ঘৃণা করতে থাকেন। অতঃপর তার জন্য জমিনে মানুষের মনে ঘৃণা সৃষ্টি করা হয়। -সহিহ মুসলিম

আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ঈমান পরিপূর্ণতার লক্ষণ। মুমিন ব্যক্তি মূলতঃ আল্লাহকেই ভালোবাসে। মানুষের ভালোবাসাও যদি হয় আল্লাহর জন্য তখন স্বয়ং আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন।

মানুষের সহজাত প্রেরণা অন্যকে ভালোবাসা। আর এই ভালোবাসা যদি হয় নিঃস্বার্থ ও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তবে এর পুরস্কার অফুরন্ত। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কেয়ামতের দিন আল্লাহতায়ালা ঘোষণা করবেন, যারা আমার সন্তুষ্টির জন্য একে অন্যকে ভালোবেসেছিল তারা আজ কোথায়? আজ আমি তাদেরকে আমার আরশের ছায়াতলে আশ্রয় দান করব। -সহিহ মুসলিম

এ সম্পর্কিত আরও খবর