রাখাইনে ১০০ দিনেও খুলে দেয়নি ইন্টারনেট

এশিয়া, আন্তর্জাতিক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-25 11:17:54

১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে রাখাইন রাজ্যে ইন্টারনেট বন্ধ রেখেছে মিয়ানমার সরকার। বেসরকারি সহায়তা সংস্থা (এনজিও) ও ব্যবসায়ী নেতাদের মতে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেশটি মানবিক সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। সরকারের উচ্চ বিনিয়োগের পরিকল্পনা ধাক্কা খেয়েছে। জঙ্গি দমনের নামে ২০১৯ সালের ২১ জুলাই থেকে রাখাইন ও চিন রাজ্যে মিয়ানমার ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রেখেছে।

২০ জুলাই মিয়ানমারের ট্রান্সপোর্ট ও কমিউনিকেশন মন্ত্রণালয় এক নির্দেশে চারটি টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিকে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এর সমালোচনা করে বলছে, এর ফলে ওই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের জীবনে নিরাপত্তা আরও বিঘ্নিত হতে পারে।

জাতিসংঘ উদ্বেগ জানিয়ে রাখাইনের আটটি এবং দক্ষিণ চিনের একটি জনপদে কোনো সতর্কতা ছাড়াই ইন্টারনেট পরিষেবা আবারও চালু করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘ এটিকে একটি বিপজ্জনক নজির বলে সতর্ক করে দিয়েছে।

অধিকার সংগঠন ফ্রিডম এক্সপ্রেশন মিয়ানমারের (এফইএম) এক মুখপাত্র রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন, ‘কয়েক মাস ধরে কয়েক হাজার নিরীহ মানুষকে ইন্টারনেট সেবা থেকে বাঞ্চিত করা হয়েছে যা গভীর সংকট সৃষ্টি করেছে।’

আগামী বছর মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক উত্তরণকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে এ পন্থা ব্যবহার হতে পারে। দেশটির সংসদ সদস্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এ ইস্যুতে।

জাতিসংঘ সোমবার ( ৩০ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ অঞ্চলে মানবিক কাজ ও যোগাযোগ রক্ষা করার ক্ষেত্রে এই শাটডাউনটিকে ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা’ বলে অভিহিত করেছে।

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তথ্যের লেনদেন এবং বাকস্বাধীনতার জন্য ইন্টারনেট গুরুত্বপূর্ণ, যা অন্যান্য মৌলিক মানবাধিকারকে সক্ষম করে তোলে।

মিয়ানমারের এনজিও জোটের নির্বাহী পরিচালক ইউ অং কো কো বলেছেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের মৌলিক মানবাধিকারের অংশ হিসেবে তথ্যের অধিকার রয়েছে। যদি আমরা এই পরিস্থিতিতে চুপ করে থাকি, তবে সরকার আবার এটি করবে, শুধু রাখাইনে নয়, সম্ভবত কাচিনে বা অন্য কোনো রাজ্য শানে।’

মিয়ানমারে বিদেশি ব্যবসায়ীরাও রাখাইন ও চিন রাজ্যে বন্ধ করে রাখা ইন্টারনেট খুলে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।

ইয়াংগুনে পাঁচটি ইউরোপীয় ব্যবসা গোষ্ঠী ইন্টারনেট খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, এর ফলে সম্প্রতি উন্মুক্ত হওয়া মিয়ানমারের বিদেশি বিনিয়োগ ক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিনিয়োগকারীদের মাঝে নেতিবাচক সংকেত যেতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করেছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর