দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে থাকা গাজাবাসীর কাছে সমুদ্র পথে প্রথম খাদ্য সহায়তা বহনকারী সাইপ্রাসের জাহাজটি উপকূলে পৌঁছেছে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) স্থানীয় সময় রাতে জাহাজটি গাজায় পৌঁছায়। এর আগে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সাগরপথে প্রায় ২০০ টন খাবার নিয়ে সাইপ্রাসের লারনাকা বন্দর ছেড়ে গাজার উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করেছিল জাহাজ ওপেন আর্মস।
কোনো বন্দরহীন এই গাজা উপত্যকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহযোগিতায় খাদ্য সরবরাহ করছে ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রারাল কিচেন (ডব্লিউসিকে)। জাহাজে চাল, ময়দা, লেবু, টিনজাত শাকসবজি এবং টিনজাত প্রোটিন পাঠানো হয়েছে। কোনো বন্দর না থাকায় অস্থায়ীভাবে ডব্লিউসিকে দল একটি জেটি বানিয়ে তার মাধ্যমে জাহাজ থেকে খাদ্য নামাচ্ছে। তবে এসব খাবার কীভাবে বিতরণ করা হবে সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।
শনিবার (১৬ মার্চ) সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরাইল হামলা চালানোর পর আকাশ এবং সীমান্ত পথে ত্রাণ পাঠানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় ফিলিস্তিনে সমুদ্র পথে ত্রাণ পাঠানোর ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এরই অংশ হিসেবে এ ত্রাণ পাঠানো হয়।
নতুন সামুদ্রিক পথ চালু হলে গাজায় ক্ষুধার্ত মানুষের সংকট কিছুটা কমতে পারে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা। যদিও সাহায্য সংস্থাগুলো বলেছে, সমুদ্রপথ ও বিমান থেকে ফেলে এই অঞ্চলের বিশাল চাহিদা মেটানো যথেষ্ট হবে না।
এদিকে হামাসের নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরাইল। একইসঙ্গে একে হাস্যকর বলে অভিহিত করেন নেতানিয়াহু। তবুও খুব শিগগিরই যুদ্ধ বিরতিতে দুই পক্ষ পৌঁছাতে পারবে বলে আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্র।
বিশ্বব্যাপী তীব্র নিন্দা উপেক্ষা করেই শুক্রবার গাজার প্রায় ১২ লাখ ফিলিস্তিনির নিরাপদ আশ্রয়স্থল রাফাহ শহরে স্থল অভিযানের অনুমতি দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী। তবে, এর বিরোধীতা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, অভিযান চালাতে চাইলে ইসরাইলকে সুস্পষ্ট পরিকল্পনা দেখাতে হবে।
এরই মধ্যে উপত্যকাটিতে অভিযানের পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।