ভারতে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমে নিহত ২, তলিয়ে গেছে রানওয়ে

ভারত, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-12-04 20:08:34

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টির কারণে দেয়াল ধসে দক্ষিণ ভারতে চেন্নাইয়ে অন্তত দুই জন মারা গেছে এবং ভারতের অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দরের রানওয়ে ডুবে গেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এ সময় বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এমনকি তা সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার গতিতেও প্রবাহিত হতে পারে বলে দেশটির আবহাওয়া অফিস বলেছে।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) প্রতিবেশী তামিলনাড়ু রাজ্যের চেঙ্গলপাট্টু জেলায় প্রবল বৃষ্টির কারণে দেয়াল ধসে দুইজন নিহত হয়েছে বলে রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক সি. মুথুকুমারান রয়টার্সকে জানিয়েছেন।

ভারী বর্ষণে তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইয়ের বন্যার পানিতে রাস্তার গাড়িগুলো ভেসে যেতে দেখা গেছে। এছাড়াও খারাপ আবহাওয়ার জন্য ভারতের অন্যতম প্রধান ব্যস্ত বিমানবন্দর চেন্নাই বিমানবন্দরের সব ধরনের বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে বলেছেন, 'শহরের বেশ কয়েকটি এলাকা হাঁটু পানির নিচে তলিয়ে গেছে এবং সোমবার সকাল থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন তারা।' 
তিনি আরও বলেন, 'এই পরিস্থিতি ২০১৫ সালের ডিসেম্বর এর স্মৃতি জাগিয়ে তোলে। ভয়াবহ সেই বন্যায় তামিলনাড়ুতে প্রায় ২৯০ জন মারা গিয়েছিল।' 

ক্ষয়ক্ষতি কমাতে দুইটি রাজ্যের কর্তৃপক্ষই আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করেছে। এজন্য উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া রাজ্যের কর্মকর্তারা বলেছেন, জেলেদের সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আবহাওয়ার কারণে চেন্নাইসহ তামিলনাড়ুর অন্তত চারটি জেলায় সোমবার ও মঙ্গলবার স্কুল, কলেজ, অফিস এবং ব্যাংক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় অন্ধ্র প্রদেশের কিছু অংশে ২০০ মিলিমিটারের (৮ ইঞ্চি) বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, অন্ধ্র প্রদেশে কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই আটটি উপকূলীয় জেলায় প্রায় ৭ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে এবং ঘূর্ণিঝড়ের পথ এবং তীব্রতার উপর নির্ভর করে মোট ২৮ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর