ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য অর্থায়ন ফের শুরু করবে ইতালি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘ সংস্থায় ইতালি অর্থায়ন ফের শুরু করবে বলে শনিবার (২৫ মে) জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি।

রয়টার্স জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তাজানি এ কথা বলেন।

ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে তাজানি বলেন, ‘আমি মুস্তাফাকে জানিয়েছি যে, ইতালি সরকার ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য মোট সাড়ে তিন কোটি ইউরোর একটি নতুন তহবিলের ব্যবস্থা করেছে। এর মধ্যে ৫০ লাখ ইউরো ইউএনআরডব্লিউএ-তে বরাদ্দ করা হবে।’

এদিকে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে ফিলিস্তিনের রাফাতে দখলদার ইসরায়েলের চলমান হামলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। শুধু তাই নয়, ইসরায়েলি সেনাদের ওই এলাকা ছেড়ে দেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ মে) হেগ ভিত্তিক জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইসরায়েলকে এ নির্দেশ দেন। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

রায়ে আইসিজের প্রধান বিচারপতি নওয়াফ সালাম বলেন, ‘রাফাতে তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলের হামলা বন্ধ করতে হবে। ওই এলাকায় ঘিরে এমন কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না যাতে অঞ্চলের বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’

তিনি জানান, রাফায় মানবিক পরিস্থিতি বিপর্যয়কর। তাই যত দ্রুত সম্ভব সেখানে ইসরায়েলি সেনাদের হামলা বন্ধ করতে হবে।

আদালতের বিচারকরা বলেছেন, ইসরায়েল গাজার বাসিন্দাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে যেসব প্রতিশ্রতি দিয়েছে এবং রাফা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া ব্যবহার করছে সেটিতে তারা সন্তুষ্ট নন।

এর আগে রাফাতে ইসরায়েলের হামলা বন্ধের দাবি নিয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের দারস্থ হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটি দাবি করে, গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এ কারণে সেখানে হামলা বন্ধ করতে হবে।

দক্ষিণ আফ্রিকা আবেদনে বলেছে, রাফাহ শহরসহ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলিদের সামরিক অভিযান বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।

   

হজ করতে গিয়ে তীব্র গরমে ১৯ জনের মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরবে মক্কায় পবিত্র হজ পালনের সময় জর্ডান ও ইরানের কমপক্ষে ১৯ হাজির মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৬ জুন) দেশটিতে তীব্র তাপদাহের মাঝে ওই হজযাত্রীরা মারা গেছেন বলে উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, হজের রীতি পালনের সময় জর্ডানের কমপক্ষে ১৪ জন হজযাত্রী মারা গেছেন এবং আরও ১৭ জন নিখোঁজ হয়েছেন। তীব্র তাপদাহের কারণে সান স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ওই ১৪ জন নিহত হয়েছেন বলে মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে।

আর ইরানের রেড ক্রিসেন্টের প্রধান পীরহোসেন কুলিবান্দ পৃথকভাবে বলেছেন, ‌‌এ বছর হজের সময় মক্কা ও মদিনায় এখন পর্যন্ত ইরানি পাঁচ হজযাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন।

তবে তারা কিভাবে মারা গেছেন সেই বিষয়ে কোনও তথ্য জানাননি তিনি।

বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মীয় সমাগমগুলোর একটি পবিত্র হজ। ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভের একটি এই হজ। ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী, প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ও সামর্থ্যবান মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য জীবনে অন্তত একবার হজ করা ফরজ।

মরু আবহাওয়ার দেশ সৌদি আরবে তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছাড়িয়ে গেছে। হজ পালনের সংকল্প করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সৌদিতে আসা প্রায় ১৮ লাখ মুসলিম তীব্র গরম উপেক্ষা করেই হজ পালন করছেন।

সৌদি আরবের সরকার হজ পালনের সময় হজযাত্রীদের হতাহতের বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। তবে জলবায়ু-নিয়ন্ত্রিত এলাকাসহ তাপ প্রশমনের বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে দেশটি। এছাড়া হজযাত্রীদের মাঝে বিনামূল্যে পানি বিতরণ ও সূর্যের তাপ থেকে নিজেদের সুরক্ষার পরামর্শ দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

সৌদি আরবের সরকারি এক কর্মকর্তা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, গত বছর হজের সময় ১০ হাজারের বেশি তাপজনিত অসুস্থতার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১০ শতাংশই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

;

৪০ হাজারের বেশি মুসল্লি নিয়ে আল-আকসায় ঈদের জামাত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরাইলি বাহিনীর ব্যাপক কড়াকড়ির মধ্যেই জেরুজালেমের আল আকসা মাসজিদে ঈদের নামাজে ঢল নামে মুসল্লিদের। পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের জন্য রোববার (১৬ জুন) ভোর থেকেই আল আকসা প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি।

আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, তারা সেখানে গাজা উপত্যকায় আট মাস ধরে চলা ইসরায়েলের হামলা নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন।

জেরুজালেমের ইসলামিক এনডাউমেন্টস বিভাগ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লি সেখানে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। যদিও কয়েক হাজার মুসল্লিকে সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী আজ সকালে আল-আকসা মসজিদে যাওয়ার পথে এবং সেখান থেকে বের হওয়ার সময় নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায় এবং অনেক মুসল্লিকে ঈদের নামাজ পড়তে প্রবেশ করতে বাধা দেয়।

;

বুরকিনা ফাসোতে হামলার দায় স্বীকার করেছে আল-কায়েদা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: আল জাজিরা

ছবি: আল জাজিরা

  • Font increase
  • Font Decrease

বুরকিনা ফাসোতে হামলার হামলার ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে আল-কায়েদার সাথে সম্পৃক্ত একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী, জামাত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিম (জেএনআইএম)। ম্যানসিলা এলাকায় ঐ হামলায় ১০০ জনেরও বেশি সৈন্যকে হত্যা করেছিল। নাইজারের সাথে সীমান্ত এসআইটিই ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

রোববার (১৬ জুন) এসআইটিই এক বিবৃতিতে বলেছে, পাঁচ দিন আগে যোদ্ধারা শহরে একটি সামরিক পোস্টে হামলা চালায়, যেখানে ১০৭ জন সৈন্যকে হত্যা করে এবং সাইটটির নিয়ন্ত্রণ নেয়।

জেএনআইএম অনলাইনে শেয়ার করা বেশ কয়েকটি ভিডিওতে সেনা ঘাঁটির চারপাশে তুমুল গোলাগুলি দেখা গেছে। অন্য একটি ভিডিওতে গোলাবারুদ এবং কয়েক ডজন অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়েছে এবং সেখােনে দেখা যায় অন্তত সাতজন বুরকিনা ফাসো সৈন্যকে বন্দী করেছে।

কনরাড অ্যাডেনাউয়ার ফাউন্ডেশনের সাহেল প্রোগ্রামের প্রধান উলফ লেসিং আল জাজিরাকে বলেছেন, সরকার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করার চেষ্টা করছে তবে এটি করার জন্য পেশাদার সৈন্য নিয়োগ করেনি।

তিনি বলেন, ৫০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকেই অল্প সময়ের প্রশিক্ষণ পেয়েছে। তাই তারা ক্ষতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং দুর্ভাগ্যক্রমে এটি খুব কার্যকর নয়। এখন প্রায় প্রতিদিনই এরকম ঘটনা ঘটছে

তিনি আরও বলেন, মুহুর্তে বুর্কিনা ফাসোর ভূখণ্ডের ৫০-৬০ শতাংশ সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে। সরকার কঠোর চেষ্টা করছে, তারা অস্ত্র কিনছে, তাদের রাশিয়ার সাথে সামরিক অংশীদারিত্ব রয়েছে কিন্তু তারা খুব বেশি সফল নয়।

নাইজার এবং মালিও আল-কায়েদা এবং আইএসআইএল (আইএসআইএস) এর সাথে যুক্ত লড়াই নিয়ন্ত্রণে লড়াই করছে। অস্থিরতা সাহেল অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকেও হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে কারণ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি বুরকিনা ফাসো এবং মালির বিভিন্ন অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে, তারা দক্ষিণ উপকূলীয় দেশগুলিকে লক্ষ্যবস্তুতে ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করে৷

2023 সালের শেষ নাগাদ বুরকিনা ফাসো জুড়ে 36টি অবরুদ্ধ শহরে প্রায় দুই মিলিয়ন বেসামরিক লোক আটকা পড়েছিল।

;

গাজায় হামাসের অতর্কিত হামলায় ইসরায়েলের ৮ সেনা নিহত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের আল-কাসাম ব্রিগেডের অতর্কিত হামলায় ইসরায়েলের ৮ সেনা নিহত হয়েছে।

শনিবার (১৫ জুন) পশ্চিম রাফা শহরের তাল আস-সুলতান জেলায় সশস্ত্র গোষ্ঠীটির আল-কাসাম ব্রিগেড এই হামলা চালিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে কাসাম ব্রিগেড জানায়, তাঁদের সেনারা পশ্চিম রাফা শহরের তাল আস-সুলতান জেলায় ইসরায়েলি সেনাদের গাড়িতে অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা হতাহত হয়। তাঁদের যোদ্ধারা ইসরায়েলি সেনাদের গাড়ি লক্ষ্য করে প্রথমে রকেট চালিত গ্রেনেড (আরপিজি) নিক্ষেপ করে এবং গুলি চালায়।

পরবর্তীতে ইসরায়েলে সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে আট সেনা নিহতের কথা নিশ্চিত করে। দক্ষিণ গাজায় অভিযান-সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের সময় তাঁরা নিহত হন বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ঠিক কীভাবে হামলাটি সংগঠিত হয়েছে, তা তদন্ত করা হবে বলে

গত ২৭ অক্টোবর স্থল অভিযান শুরুর পর গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০৭ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও কয়েক হাজার।

;