নাদির জুনায়েদ ইস্যুতে ঢাবি প্রশাসনকে ১০ দিনের আলটিমেটাম

, ক্যাম্পাস

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2024-02-18 13:53:03

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ১০ দিনের আলটিমেটাম দিয়ে শ্রেণিকক্ষে ফিরেছেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাবির সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদ ভবন প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফিজ খান।

তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিতে চাই, আগামী ১০ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে বিচারিক প্রক্রিয়া এগিয়ে না নেয়, অথবা এতে কোনোরূপ অবহেলা, পক্ষপাতিত্ব অথবা স্বচ্ছতার ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়, অথবা কোনো মহল বিচার প্রক্রিয়াকে কোনোভাবে প্রভাবিত করছে বলে প্রতীয়মান হয়, তাহলে পুনরায় ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনে ফিরতে বাধ্য হব।

প্রসঙ্গত, গত ৭ ফেব্রুয়ারি নম্বর কম দেওয়া নিয়ে উপাচার্য বরাবর স্নাতকোত্তরের ১২তম ব্যাচের কিছু শিক্ষার্থীর অভিযোগের পর ১০ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও অমানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে প্রক্টরের কাছে লিখিত দেন বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী। যদিও তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এর পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য দেখছেন বলে দাবি করেন।

এদিকে, অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হয়রানির এই অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবিতে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলনে নামেন এই বিভাগের বর্তমানে অধ্যয়নরত সব ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। নাদির জুনায়েদের বিভাগীয় অফিস কক্ষে তালা দেওয়ার পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষেও তালা দিয়ে সিলগালা করে দেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিটি শ্রেণীকক্ষের দরজায় ‘যৌন নিপীড়ক অধ্যাপক নাদির জুনাইদ ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত’ লিখে পোস্টারও ঝুলিয়ে দেন তারা। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে তিন মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের জন্য তাদের একাডেমিক কার্যক্রমে কোন প্রভাব পড়বে না। নিরাপত্তার আশ্বাস চাইলে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিভাগের একাডেমিক কমিটির বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক নিরাপত্তা দেওয়া হবে, এমন একটি নোটিশ প্রদান করেন বিভাগটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহমেদ। এর প্রেক্ষিতেই শিক্ষার্থীরা রোববার থেকে রুটিন অনুযায়ী ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দেন।

উল্লেখ্য, এ সময় ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু না হলে আবারও ক্লাস বর্জন করে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী।

এ সম্পর্কিত আরও খবর