চবিতে নাচেগানে বসন্ত বন্দনা

, ক্যাম্পাস

চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-02-15 19:36:49

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) উদ্যোগে বসন্ত বরণ করতে 'ফাগুন সম্ভাষণ' আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর কাছে বসন্তের আমেজ ছড়িয়ে দিতে বুদ্ধিজীবী চত্বরে নানা সাজে ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনব্যাপী উদযাপিত হয় এ আয়োজন।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় ইনস্টটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ আমির উদ্দিন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে গান, নৃত্য পরিবেশনা, একক নৃত্য, স্ট্যান্ডআপ কমেডি, শ্রুতিনাটক, মাইম, কোরাস নিয়ে সাজানো হয়, 'এসেছে বসন্ত', 'রাঙিলো ধরা', 'হারানো শৈশবে শিক্ষাপাড়া'। পিঠার মধ্যে 'সরোবর', 'পঞ্চকোষের পিঠাপুরাণ', 'ফাগুন সমীকরণে', 'বসন্তের বর্ণিল পিঠা', 'শেষ অয়া গেল', 'বসন্তের পিঠার ঝুড়ি', 'পিঠান্বেষণ' ইত্যাদি বাহারি নাম ছিল পিঠা স্টলের। স্টলে ছিল হরেক রকমের শতাধিক পিঠা। পিঠার মধ্যে 'ডিমসুন্দরী', 'চিকেন পুরি', 'পোয়া', 'সুজি রসবড়া', 'ব্যাঙ পিঠা', 'পাটিসাপটা', 'পোয়া', 'মুগপাকন', 'খেজুরের গুড়ের পাটিসাপটা', 'কাবাব', 'নারিকেলের নাড়ু', 'মাংশপুলি', 'কাঁঠাল খিলি পিঠা', 'শাহী মালাই', 'ফুলঝুরি', 'ডালপাকন', 'পাকুড়া', 'চকোলেট পুডিং' ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

স্টল ঘুরতে আসা রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফ হোসাইন বলেন,'আইইআরের উৎসবে সারা ক্যাম্পাসে সাড়া ফেলে। ক্লাস শেষ করেই বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে চলে এসেছি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটা বেশি উপভোগ করছি। পিঠাও খেয়েছি অনেকগুলো। এমন আয়োজন সাংস্কৃতিক বন্ধন তৈরিতেও ভূমিকা রাখে।'

ইনস্টিটিউটের শিক্ষক কবির হোসেন বলেন, 'শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ব্যতিক্রমী শিক্ষার প্রাঙ্গণ। এখানে যেমন পড়াশোনায় জোর দেওয়া হয়, তেমনি সহশিক্ষা কার্যক্রমেও উৎসাহ দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় আইইআরের শিক্ষার্থীরা বিতর্ক উৎসব, ফাগুন উৎসব, পিঠা উৎসব সবসময় আয়োজন করে থাকে। এমন আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত করতে ভূমিকা রাখে।'

এ সম্পর্কিত আরও খবর