চবি বাংলা বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল 'হিম উৎসব'

, ক্যাম্পাস

চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-01-30 17:50:56

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে 'হিম উৎসব ১৪৩০ ও পিঠা উৎসব'। 'আজি নব রবিকিরণে কেটে যাক কুয়াশার ঘোর' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তারা এই আয়োজন করে। 

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় বর্ণাঢ্য র‍্যালির মধ্য দিয়ে শুরু হয় আয়োজন। র‍্যালিতে বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. তাসলিমা বেগম, বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহীবুল আজীজ, অধ্যাপক শফিউল আযম ডালিম, অধ্যাপক ড. আনোয়ার সাঈদ, সহযোগী অধ্যাপক ড. নেয়ামত উল্ল্যাহ, সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ সাদী, সহযোগী অধ্যাপক ড. শারমিন মুস্তারি ও সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী উপস্থিত ছিলেন।

র‍্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহিদ মিনার, বিবিএ ফ্যাকাল্টি ও সোশ্যাল সাইন্স ফ্যাকাল্টি ঘুরে পুনরায় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে এসে শেষ হয়।

র‍্যালিতে গ্রাম বাংলার চিরায়ত অসাম্প্রদায়িক রূপ ফুটিয়ে তোলার উদ্দেশ্যে গ্রাম বাংলার বিভিন্ন শ্রেণী, ধর্ম ও পেশাজীবীদের সাজে সেজেছিলেন শিক্ষার্থীরা।

র‍্যালি শেষে বাংলা বিভাগ চত্বরে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পিঠা প্রদর্শন করেন। যার মধ্যে ক্ষীর, পাটিসাপটা, ছাঁচ পিঠা, নকশি পিঠা, নারকেল পুরি, নারিকেল পাকন, মিষ্টির মাখন, জামাই পিঠা, মুখ রঙিন, দুধচিতই, মাংসের ঝাল পিঠা, আফলাতুল, চিকেন রোল, ঝিনুক, পাটিসাপটা, খেজুর পিঠা, তেলের পিঠা, ভাপা পিঠা, ডিবি পিঠা, ডিম পিঠা, ভাজা পুলি, তালের বড়া, পাকন পিঠা, চিকেন পুলি ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের পিঠা উল্লেখযোগ্য।

এরপর বিকাল ৩ টায় বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ বোরহানের সঞ্চালনায় বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক পর্বের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. তাসলিমা বেগম ৷ এতে বিভাগের শিক্ষার্থীরা নাচ, গান, নাটক, আবৃত্তিসহ নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা পরিবেশন করেন।

মাস্টার্সের ছাত্রী মনীষা হক অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, 'বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যোগে আয়োজিত হিম উৎসবে বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠে । বর্ণাঢ্য র‍্যালি, পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মুখরিত ছিল বাংলা বিভাগ চত্বর। পুরো অনুষ্ঠানটিই আমরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে উপভোগ করেছি।' 

চতুর্থ বর্ষের ছাত্র রিফাত মাহমুদ বলেন, 'শীতের প্রকোপে চারিদিকে যখন রিক্তকার ছাপ স্পষ্ট তখন এ ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমাদের মনে প্রাণসঞ্চার করে। এছাড়া আমাদের বাংলা বিভাগে কোনো অ্যালামনাই নেই। তাই এই অনুষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে ডিপার্টমেন্টে সাবেক-বর্তমানদের একটা মিলন-মেলাও হয়ে যায়। আশা করি এ ধরনের সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামের ধারা বাংলা বিভাগে অব্যাহত থাকবে।'  

এ সম্পর্কিত আরও খবর