কিশোর গ্যাং নির্মূলে উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা পেয়েছি: র‌্যাব মুখপাত্র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মাদক নিয়ে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। কিশোর গ্যাং নির্মূলে উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা পেয়েছি। আমরা কাজ করছি। প্রচুর কিশোর গ্যাং সদস্যকে আমরা গ্রেফতার করেছি। এদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদদদাতাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং এর নতুন পরিচালক হিসেবে সদ্য দায়িত্ব নেওয়া কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১১টায় কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত পরিচয়পর্ব ও মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি সদ্য বিদায়ী পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।

কিশোর গ্যাং ও অস্ত্র মাদক সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাদক নিয়ে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। কিশোর গ্যাং নির্মূলে উচ্চ পর্যায়ে নির্দেশনা পেয়েছি। আমরা কাজ করছি। প্রচুর কিশোর গ্যাং সদস্যকে আমরা গ্রেফতার করেছি। এদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও মদদদাতাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। তদন্ত করে এটা খুঁজে বের করা হবে। কিশোর গ্যাং চক্রকে আমরা সমূরে উৎখাত করবো ইনশাআল্লাহ। এজন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে মন্দিরের পাশে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান ও ইউপি সদস্য অজিত কুমার বিশ্বাসকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার। তাদেরকে গ্রেফতারে এলিট ফোর্স র‌্যাব কি ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, র‌্যাবের ইনটেলিজেন্স উইং বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। দেশের যেকোনো জায়গায় যেকোনো প্রান্তে যেকোনো ঘটনা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব ঘটনা নিয়ে কাজ করে। অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের হাতে সোপর্দ করে থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অংশ হিসেবে র‌্যাব এ ঘটনায় কাজ করছে। অচিরেই এঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে।

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে মন্দিরের পাশে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাতে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা হচ্ছে সাইবার জগতে। যারা অপচেষ্টা করছেন তাদের সনাক্ত করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা অপরাধ সংঘঠনের পর অপচেষ্টা বা ধামাচাপা দেবার চেষ্টা হতে পারে। অপরাধী গ্রেফতার হলেই সব বেড়িয়ে আসবে।

সাগর-রুনী হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট বার বার পেছানো হচ্ছে। বিষয়টি বিচারিক প্রক্রিয়াতেই যায়নি। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, বিষয়টি চাঞ্চল্যকর ও তদন্ত প্রক্রিয়াধীন।

উপজেলা নির্বাচন আসন্ন। নির্বাচন ঘিরে অস্ত্রের ঝনঝনানি হয়। এক্ষেত্রে র‌্যাব কি ধরণের তৎপরতা চালাচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমগ্র দেশে চার পর্বে উপজেলা নির্বাচন হতে যাচ্ছে। একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পরিবেশ তৈরির জন্য র‌্যাব আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে। পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও র‌্যাব সদস্যরা কাজ করছে।

কোন বিষয়টি কাজ করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিদিন যে ঘটনাগুলো ঘটে থাকে সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করি। আমার পূর্বের যে কর্মকর্তারা কাজ করে গেছেন, ঊর্ধ্বতনরা যে লিগ্যাসি রেখে গেছেন সেটাই আমি বহন করবো। র‌্যাবের কার্যক্রমকে আরও বেগবান করবো।

গত দুই বছর ক্রসফায়ার নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কি খুব ভাল হয়ে গেলো যে র‌্যাবের সঙ্গে কোনো ক্রসফায়ার নেই। নাকি অন্য কোনো চাপে ক্রসফায়ার হচ্ছে না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে এইপর্যায়ে কথা বলার কিছু নেই। শুধু র‌্যাব কেন আত্মরক্ষার অধিকার সবার আছে। ক্রসফায়ার শব্দটি আমি ব্যবহার করতে চাই না। আমরা সব সময় চাই বিচার বহির্ভূত কোনো হত্যাকাণ্ড না ঘটু। যদিও বিভিন্ন সময় এটা নিয়ে ভিন্নখাতে আলোচনা হয়।

কুকি-চিনের তৎপরতা নির্মূলে র‌্যাব ও যৌথ বাহিনীর অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যৌথ বাহিনী কাজ করছে। র‌্যাব যৌথ বাহিনীর অংশ। এটা নিয়ে কিছু বিষয় গোপনীয়তা রয়েছে অভিযানের স্বার্থে। এতোটুকু বলতে পারি, র‌্যাব এক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে। 

   

কুষ্টিয়ায় সেরা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঐতিহ্যবাহী কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এবার এসএসসি পরীক্ষায় সেরা সাফল্য অর্জন করেছে।

এবার কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২২৮জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

শতভাগ উত্তীর্ণ হওয়া কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় যশোর শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে তৃতীয় স্থান লাভ করেছে। স্কুলের সেরা সাফল্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা খুবই আনন্দিত।

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শামীমা আক্তার জাহান জানান, ২৫৭ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। এর মধ্য জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২৮ জন।

কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সেরা সাফল্যে পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।

এদিকে, যশোর শিক্ষা বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে, খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার মধ্যে কুষ্টিয়া জেলায় পাসের হার ৯১ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নাদিরা খানম বলেন, আমরা শিক্ষকেরা সবসময় অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করেছি। সব মিলিয়ে আমাদের শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদের অবদানের কারণে আজ আমরা সেরা হতে পেরেছি।

;

হাসপাতালের লিফটে ৪৫ মিনিট আটকে থেকে রোগীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের লিফটে দীর্ঘ সময় আটকে থেকে মমতাজ বেগম (৫৩) নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় লিফটম্যানদের গাফিলতির অভিযোগ করেছেন নিহতের মেয়ে শারমিন আক্তার।

রোববার (১২ মে) সকাল ১০টার দিকে গাজীপুর সদরে অবস্থিত শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নবম তলায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মমতাজ বেগম গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রানীগঞ্জ বাড়িগাও গ্রামের শারফুদ্দিনের স্ত্রী।

নিহতের মেয়ে শারমিন আক্তার জানান, অসুস্থ মাকে নিয়ে শহীদ তাজউদ্দীন হাসপাতালে যান তিনি। তার মাকে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে হার্টের সমস্যার কথা জানান চিকিৎসক। পরে ভবনের ১১ তলা থেকে চতুর্থ তলায় যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এসময় লিফটে উঠে ৪র্থ তলায় নামার সময় নবম তলায় এসে লিফট বন্ধ হয়ে যায়। পরে লিফটের ভেতরে থাকা নম্বরে লিফটম্যানদের ফোন করা হয়। ৪৫ মিনিট আটকে থাকার পর নিরূপায় হয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে আমাদের উদ্ধার করেন। ততক্ষণে আমার মায়ের অসুস্থতা বেড়ে মারা যায়।

গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বার্তা২৪.কমকে জানান, যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়ে দীর্ঘ সময় লিফট আটকে থাকে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। তবে লিফটের সবাই সুস্থ ছিল। শুধু মমতাজ বেগম অসুস্থ থাকায় মারা গেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা দেখা হবে। এতে কারো গাফিলতি আছে কিনা তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

 

;

লোভ দেখিয়ে ভারতে নিয়ে কিডনি নিত চক্রটি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গরিব মানুষকে টার্গেট করে চাকরির লোভ দেখিয়ে ভারতে নিয়ে যেত। এরপর পাসপোর্ট জিম্মায় নিয়ে টাকার লোভসহ ভিন্ন কৌশলে তাদের কিডনি হাতিয়ে নিতো চক্রটি। এসব কিডনির গ্রহীতাও বাংলাদেশি।

রোববার (১২ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস) ড. খ: মহিদ উদ্দিন।

সম্প্রতি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি থানায় চক্রটির বিরুদ্ধে রবিন নামে এক ভুক্তভোগী একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ধানমন্ডি থানা পুলিশ এই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। গত ১১ মে ধানমন্ডি ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে থেকে ও বাগেরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানান তিনি।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. রাজু হাওলাদার (৩২), শাহেদ উদ্দীন (২২) ও মো. আতাহার হোসেন বাপ্পী (২৮)। এ ঘটনায় পলাতক রয়েছেন মো. মাছুম (২৭), শাহীন (৩৫) ও সাগর ওরেফ মোস্তফাসহ (৩৭) অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন।

ধানমন্ডি থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এরা সঙ্ঘবদ্ধ একটি চক্র। তারা দেশের গরিব মানুষজনকে ভালো চাকরি দেওয়ার কথা বলে ভারতে নিয়ে নানা কৌশলে তাদের কিডনি হাতিয়ে নেয়। ভুক্তভোগী রবিনকে ভারতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রথমে দিল্লির ফরিদাবাদ এলাকায় নেওয়া হয়। পরে তাকে নানা কৌশলে কিডনি বিক্রির জন্য রাজি করে। চুক্তি অনুযায়ী চক্রটি তাকে ৬ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলে তাকে দেয় ৩ লাখ টাকা।

ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, গত ২০২৩ সালে এপ্রিল মাসের কোনো এক তারিখে মিরপুর-১০ নং শাহ আলী মার্কেটের পিছনে চায়ের দোকানে রবিন তার এক বন্ধুর সঙ্গে চা খাচ্ছিল এবং সংসারের অভাব অনটন নিয়ে কথাবার্তা বলছিল। এসময় পাশে বসা অভিযুক্ত পলাতক আসামি মাছুমও চা পান করছিল। কথাবার্তা শুনে মাছুম নিজ থেকেই ভিকটিমকে বলে, ভারতে তার ব্যবসা আছে এবং ওই প্রতিষ্ঠানে সে রবিনকে চাকরি দিতে পারবে। একপর্যায়ে মাছুমের সঙ্গে মোবাইল নম্বর আদান-প্রদান করেন রবিন। এরপর মাছুমের সঙ্গে নিয়মিত কথা হতো রবিনের। একপর্যায়ে ভারতে গিয়ে চাকরির বিষয়ে রাজি হয় রবিন।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে মাছুম ভিকটিম রবিনকে বলে ভারতে তার প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য যেতে হলে ডাক্তারি কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে ভিকটিমকে নিয়ে যায় মাছুম। সেখানে ভিকটিমের সঙ্গে গ্রেফতার আসামি মো. রাজু হাওলাদারের পরিচয় হয়। পরে আসামিরা ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তার পাসপোর্ট নেয় ভারতের ভিসার জন্য।

ভিসার পাওয়ার পর ভিকটিমকে মাছুম ও মো. রাজু হাওলাদার গ্রেফতার শাহেদ উদ্দিন (২২) ও মো. আতাহার হোসেন বাপ্পীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। তারা একে অপরের ব্যবসায়িক পার্টনার, বাংলাদেশ ও ভারতে তারা যৌথভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে বলে ভিকটিমকে জানায় আসামিরা। পরবর্তীতে ভিকটিমকে ভারতের দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে রিসিভ করে পলাতক আসামি শাহীন (৩৫) ও সাগর। তারা ভিকটিমকে রিসিভ করে তার পাসপোর্ট হাতিয়ে নেয়। পরে দিল্লি থেকে ভিকটিমকে ফরিদাবাদ নামের একটি এলাকায় নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ফরিদাবাদে ভিকটিমকে আটক রাখা অবস্থায় ভারতে যায় মাছুম ও সাগর। মাছুমকে পেয়ে ভিকটিম তার চাকরির কথা জিজ্ঞাসা করলে সে বিভিন্ন রকম তালবাহানা করতে থাকে। এক পর্যায়ে আসামিরা ভিকটিমের আর্থিক অনটন, সাংসারিক অর্থনৈতিক দূরবস্থার সুযোগ নিয়ে একটি কিডনি দেওয়ার জন্য প্ররোচিত করে। এক পর্যায়ে তারা ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখায় যে, পাসপোর্ট ছাড়া সে দেশেও ফিরতে পারবে না। পরে ভিকটিমকে নয়াদিল্লির এশিয়ান হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে কিডনি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষা করায়। ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে কিছুদিন পর ভারতের গুজরাটে নিয়ে যায় এবং মুক্তিনগর এলাকায় ২ তলা বিশিষ্ট একটি বাসায় ভিকটিমকে রাখা হয়।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে কাউকে কিছু না বলার শর্তে গত ৪ মার্চ ভারতের গুজরাট কিডনি এন্ড স্পেশালাইজড অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ভিকটিমের একটি কডিনি নেওয়া হয়।

অপারেশন শেষে হাসপাতাল থেকে ৪ দিন পরে ছাড়া পায় ভিকটিম। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আসামিরা ভারতের অজ্ঞাত স্থানে প্রায় ১০/১১ দিন ভিকটিমকে আটক রাখে। এদিকে হাসপাতালে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন মাধ্যমে ভিকটিম জানতে পারে যে, তার কিডনি আসামিরা দালাল চক্রের কাছে প্রায় ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করে। এক পর্যায়ে দালালচক্র ভিকটিমকে কিছু টাকা দেওয়ার কথা বলে। বাংলাদেশে অবস্থান করা চক্রের অন্য সদস্যরা ভিকটিমের স্ত্রী ইশরাত জাহানের বিকাশ নম্বরে ৩ লাখ টাকা দেয়। দেশে এসে ভিকটিম বুঝতে পারে যে, সে বড় দালালচক্রের খপ্পরে পড়ে তার কিডনি হারিয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের টার্গেট যাদের আর্থিক চাহিদা আছে। রবিনের ক্ষেত্রে যেটি ঘটেছে তাকে কিন্ত খুব সামান্য পরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চক্রটি এসব কিডনি আরও চড়া দামে বিক্রি করে‌ আসছে। চক্রটি বাংলাদেশ থেকে শুরু করে কলকাতা ও গুজরাটেও কাজ করে আসছে।

অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, আমরা জানতে পেরেছি এখন পর্যন্ত চক্রটি ভারতে নিয়ে ১০ জন ব্যক্তির কিডনি হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া তাদের পাইপলাইনে আরও পাঁচ থেকে ছয়জন ছিল বলে জানিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চক্রটি রবিনকে ৬ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল কিডনির বিনিময়ে। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত তিন লাখ টাকা দেয়। বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাদের কিডনি নেওয়া হচ্ছে এসব কিডনির গ্রহীতারাও বাংলাদেশি।

;

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা আসনের ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী নাদিয়া নুর তনু ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

জানা যায়, তার বাবা হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে। তার পাশে থাকার জন্যই মূলত নির্বাচন থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন তিনি।

রোববার (১১ মে) রাতে নাদিয়া নুর তনু তার ফেসবুকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। এসময় তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন কি কারণে তিনি নির্বাচন থেকে অব্যাহতি নিলেন।

নাদিয়া নূর তনু আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির সদস্য। তিনি আওয়ামী লীগ যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব আবু আহমেদ নাসীমের (পাভেল) মেয়ে।

নাদিয়া নুর তনু তার নিজ ফেসবুক আইডিতে পোস্টে লিখেন, বিশেষ ঘোষণা: প্রিয় সাভার উপজেলাবাসী

আমি নাদিয়া নুর (তনু), আমার পিতা আলহাজ্ব আবু আহমেদ নাসীম (পাভেল) এর শারীরিক অসুস্থতা জনিত কারনে লাইফ সাপোর্টে থাকার জন্য নির্বাচনে মনোনিবেশ করতে পারছিনা। আমি জনগনের পাশে থাকতে চাই তবে আমার পিতার এই ক্রান্তিলগ্নে আমি নিজেকে তার পাশে রাখতে চাই, এবং এজন্যই আমি কারো দারা প্রভাবিত না হয়ে সেচ্ছায় নিজেকে নির্বাচন প্রচারণা থেকে সরিয়ে নিচ্ছি। আমি আপনাদের মেয়ে, ইনশা'আল্লাহ নির্বাচন করি অথবা না করি আপনারা আমাকে আপনাদের পাশে আজীবন পাবেন। পরিশেষে আমার পিতার সুস্থতা কামনায় আপনাদের কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।

জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু ।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে নাদিয়া নুর তনুকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মঞ্জুরুল আলম রাজীবের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি নির্বাচন করছেন। এখন শুধু ঘোষণার অপেক্ষা।

এই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় দশ লাখ। এখানে পুরুষ ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী তিনজন। তারা হলেন, ইমতিয়াজ উদ্দিন (৪৫), মোশাররফ হোসেন (৩৯), সাইদুল (৩৫)। অন্যদিকে মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী দুইজন। তারা হলেন, মনিকা (৩৫), ইয়াসমিন আক্তার সুমী (৩২)।

;