এপ্রিলে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বেড়েছে ২২.৪৫ শতাংশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫শ ৭৩ জন নিহত হয়েছেন। প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছিলেন ১৮.৪৮ জন। এপ্রিল মাসে প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছেন ২২.৬৩ জন। এ হিসাবে এপ্রিল মাসে প্রাণহানি বেড়েছে ২২.৪৫ শতাংশ।

এই মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮টি পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কেউ বেঁচে নেই।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দেশে ৬শ ৭২টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬শ ৭৯ জন এবং আহত হয়েছেন ৯শ ৩৪ জন। নিহতের মধ্যে নারী ৯৩ জন এবং শিশু ১শ ৮ জন। তবে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, এ সংখ্যা ২ হাজারের বেশি। এতে মানব সম্পদের ক্ষতি হয়েছে, ২ হাজার ১ শত ১৯ কোটি ১১ লাখ টাকার।

রোববার (১২ মে) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৩শ ১৬টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২শ ৫৯ জন, যা মোট নিহতের ৩৮.১৪ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৭ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১শ ১৩ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ১৬.৬৪ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন, ৯৬ জন অর্থাৎ ১৪.১৩ শতাংশ। এ সময়ে ৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত, ৬৮ জন আহত হয়েছেন (একটি লঞ্চে আগুন ধরলে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে ৬০ জন আহত হন)। ৩৮টি রেল ট্র্যাক দুর্ঘটনায় ৪৫ জন নিহত এবং ২৪ জন আহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র

দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়- এপ্রিল মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ২শ ৫৯ জন (৩৮.১৪ শতাংশ), বাস যাত্রী ৩৪ জন (৫ শতাংশ), ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-ট্রাক্টর-ট্রলি-ড্রামট্রাক আরোহী ৬৫ জন (৯.৫৭ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-পাজেরো জিপ আরোহী ৪৫ জন (৬.৬২ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজিচালিত অটোরিকশা-অটোভ্যান) ১শ ৩১ জন (১৯.২৯ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-মাহিন্দ্র-পাওয়ারটিলার) ২২ জন (৩.২৪ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা আরোহী ১০ জন (১.৪৭ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২শ ৩৫টি (৩৪.৯৭ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ২শ ৬৬টি (৩৯.৫৮ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৮৭টি (১২.৯৪ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে এবং ৭৯টি (১১.৭৫ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং ৫টি (০.৭৪ শতাংশ) অন্যান্য স্থানে সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনার ধরন

দুর্ঘটনাগুলোর ১শ ৭৪টি (২৫.৮৯ শতাংম) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২ম ৬২টি (৩৯ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১শ ২০টি (১৭.৮৫ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়া, ৯৭টি (১৪.৪৩ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১৯টি (২.৮২ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।

পরিসংখ্যান সৌজন্যে- রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহন

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে- ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি- ড্রামট্রাক- তেলবাহী ট্যাঙ্কার-সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী ট্রাক-বুলডোজার-রেডিমিক্স গাড়ি ২৪.৩৪ শতাংশ, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স-পাজেরো জিপ ৫.৮১ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাস ১০.৮৬ শতাংশ, মোটরসাইকেল ২৯.৮২ শতাংশ, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজিচালিত অটোরিকশা-অটোভ্যান-মিশুক-লেগুনা-টেম্পু) ১৯.৪৬ শতাংশ, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-টমটম-মাহিন্দ্র-চাঁন্দের গাড়ি-পাওয়ার টিলার-ধানকাটা মেশিন গাড়ি) ৫.৩৯ শতাংশ, বাইসাইকেল-রিকশা ২.৩৫ শতাংশ এবং অজ্ঞাত যানবাহন ১.৯৩ শতাংশ।

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ১ হাজার ১শ ৮৭টি। (বাস ১শ ২৯টি, ট্রাক ১শ ৫৭টি, কাভার্ডভ্যান ১৮টি, পিকআপ ভ্যান ৪৯টি, ট্রাক্টর ২০টি , ট্রলি ১৯টি, লরি ১১টি, ড্রাম ট্রাক ৮টি, তেলবাহী ট্যাংকার ৩টি, সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী ট্রাক ১টি, বুলড্রোজার ১টি, এপিবিএন গাড়ি ১টি, রেডিমিক্স গাড়ি ১টি, মাইক্রোবাস ২৩টি, প্রাইভেটকার ৩৮টি, অ্যাম্বুলেন্স ৫টি, পাজেরো জিপ ৩টি, মোটরসাইকেল ৩শ ৫৪টি, থ্রি-হুইলার ২শ ৩১টি (ইজিবাইক-সিএনজিচালিত অটোরিকশা-অটোভ্যান-মিশুক-লেগুনা-টেম্পু), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৬৪টি (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-টমটম-মাহিন্দ্র-চাঁন্দের গাড়ি-পাওয়ার টিলার-ধানকাটা মেশিন গাড়ি), বাইসাইকেল-রিকশা-রিকশাভ্যান ২৮টি এবং অজ্ঞাত যানবাহন ২৩টি।

দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ
সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে ভোরে ৫.৩৫ শতাংশ, সকালে ২৪.৮৫ শতাংশ, দুপুরে ২০.৫৩ শতাংশ, বিকেলে ১৫ শতাংশ, সন্ধ্যায় ১০.২৬ শতাংশ এবং রাতে ২৩.৯৫ শতাংশ।

দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান
দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ১৯.০৪ শতাংশ, প্রাণহানি ২৬.১৯ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৪.৭৩ শতাংশ, প্রাণহানি ১১.৪৫ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৯.৬৪ শতাংশ, প্রাণহানি ১৭.৪১ শতাংশ, খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১৪.২৮ শতাংশ, প্রাণহানি ১১.৬০ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৬.৬৯ শতাংশ, প্রাণহানি ৮.৭৭ শতাংশ, সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৫.০৫ শতাংশ, প্রাণহানি ৭ শতাংশ, রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ১০.১১ শতাংশ, প্রাণহানি ১০.২৬ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ১০.৪১ শতাংশ, প্রাণহানি ৮.৩৩ শতাংশ ঘটেছে।

চট্টগ্রাম বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১টি ৩২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং ঢাকা বিভাগে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১শ ৭৬ জন নিহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ৩৪টি দুর্ঘটনায় ৪৭ জন নিহত হয়েছেন। একক জেলা হিসেবে চট্টগ্রাম জেলায় সবচেয়ে বেশি ৪৩টি দুর্ঘটনায় ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম শরীয়তপুর ও বান্দরবান জেলায়। এই ২টি জেলায় স্বল্পমাত্রার ৫টি দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রাণহানির সংবাদ পাওয়া যায়নি। রাজধানী ঢাকায় ৪৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত ও ৬৬ জন আহত হয়েছেন।

নিহতদের পেশাগত পরিচয়

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-মাদরাসার শিক্ষক ৯ জন, চিকিৎসক ১ জন, সাংবাদিক ৪ জন, প্রকৌশলী ৩ জন, আইনজীবী ৩ জন, শ্রম ও কর্মসংস্থান ব্যুরো’র সহকারী পরিচালক ১ জন, গ্রামপুলিশ ২ জন, বাউল শিল্পী ১ জন, যন্ত্রশিল্পী ১ জন, বিভিন্ন ব্যাংক-বীমা কর্মকর্তা ৬ জন, পিকেএসএফ-এর ১ জন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন এনজিওর কর্মকর্তা-কর্মচারী ১২ জন, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক ১ জন, মসজিদের ইমাম ৪ জন, ওষুধ ও বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিক্রয় প্রতিনিধি ১৬ জন, স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ৩১ জন, উপজেলা চেয়ারম্যান ১ জনসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ১৩ জন, পরিবহন শ্রমিক নেতা ৩ জন, পোশাক শ্রমিক ৬ জন, বালু শ্রমিক ৮ জন, নির্মাণ শ্রমিক ১৩ জন, ধানকাটা শ্রমিক ৪ জন, নিরাপত্তা রক্ষী ৫ জন, ঢাকা সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী ১ জন, রাজমিস্ত্রি ৩ জন, প্রতিবন্ধী ২ জন এবং চুয়েটের ২ জন, বাশেমুপ্রবি’র ১ জন, বিদেশি ছাত্রী ১ জনসহ দেশের বিভিন্ন স্কুল-মাদরাসা ও কলেজের ১শ ২৪ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।

সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ

সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো হচ্ছে- ১. ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন ২. বেপরোয়া গতি ৩. চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা ৪. বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা ৫. মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল ৬. তরুণ-যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো ৭. জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না-জানা ও না-মানার প্রবণতা ৮. দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ৯. বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি ১০. গণপরিবহনখাতে চাঁদাবাজি।

পরিসংখ্যান সৌজন্যে- রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের সুপারিশ

সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন যে সুপারিশগুলি করেছে, সেগুলি হচ্ছে-

১. দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করা ২. চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা ৩. বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি করা ৪. পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করা ৫. মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্ব রাস্তা (সার্ভিস রোড) তৈরি করা ৬. পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করা ৭. গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করা ৮. রেল ও নৌপথ সংস্কার করে সড়ক পথের ওপর চাপ কমানো ৯. টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা ১০. ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করা।

দুর্ঘটনা পর্যালোচনা ও মন্তব্য

গত মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫শ ৭৩ জন নিহত হয়েছিলেন। প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছেন ১৮.৪৮ জন। এপ্রিল মাসে প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছেন ২২.৬৩ জন। এই হিসাবে এপ্রিল মাসে প্রাণহানি বেড়েছে ২২.৪৫ শতাংশ। এই মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮টি পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কেউ বেঁচে নেই।

এপ্রিল মাসের সড়ক দুর্ঘটনায় যে পরিমাণ মানব সম্পদের ক্ষতি হয়েছে, তার আর্থিক মূল্য ২ হাজার ১ শত ১৯ কোটি ১১ লাখ ৯৬ হাজার টাকার মতো। যেহেতু সড়ক দুর্ঘটনার অনেক তথ্য অপ্রকাশিত থাকে, সেজন্য এই হিসাবের সঙ্গে আরো ৩০ শতাংশ যোগ করতে হবে।

iRAP (International Road Assessment Program) method অনুযায়ী হিসাবটি করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় যত সংখ্যক যানবাহন বা সম্পদ ধ্বংস হয়েছে, তার তথ্য না পাওয়ার কারণে সম্পদ ধ্বংসের আর্থিক পরিমাপ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। উল্লেখ্য, সংবাদমাধ্যমে যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, প্রকৃত ঘটনা তার চেয়ে আরো অনেক বেশি। ইদানিং মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যানের পেছনে বেপরোয়া যানবাহনের ধাক্কায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটছে। এটি প্রতিরোধ করতে হলে মহাসড়কে যানবাহন দাঁড়ানো নিষিদ্ধ করতে হবে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানাচ্ছে, অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটছে অতিরিক্ত গতির কারণে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে। তাই, গতি নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তির মাধ্যমে নজরদারি এবং চালকদের মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণ দরকার। বেপরোয়া যানবাহন, সড়কের সমস্যা এবং পথচারীদের অসচেতনতার কারণে পথচারী নিহতের ঘটনা বাড়ছে। এজন্য সরকারি উদ্যোগে সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জীবনমুখী সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে।

এছাড়া পেশাগত সুযোগ-সুবিধা বিশেষ করে, নিয়োগপত্র, বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকার কারণে বাস এবং পণ্যবাহী যানবাহনের অধিকাংশ চালক শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ। তাদের মধ্যে জীবনবোধ ঠিকমতো কাজ করে না। পণ্যবাহী যানবাহন চালকদের মধ্যে এই প্রবণতা প্রকট। তারা সবসময় অস্বাভাবিক আচরণ করেন এবং বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালান। ফলে, দুর্ঘটনায় পতিত হন। পরিবহন চালকদের পেশাগত সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত না করলে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।

এ বাদেও মোটরসাইকেল চালকদের বিরাট অংশ কিশোর-যুবক। এরা বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালিয়ে নিজেরা দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে এবং অন্যদের দুর্ঘটনায় ফেলছে।

মোটরসাইকেল বেপরোয়া চালানোর সঙ্গে রাজনৈতিক সংস্কৃতির সম্পর্ক রয়েছে। এটা বন্ধ করতে হবে। মোটকথা, দেশে টেকসই সড়ক পরিবহন কৌশল প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা।

   

ইডিইউর শিক্ষার্থীদের সোনালী ব্যাগ তৈরির গল্প শোনালেন বিজ্ঞানী মোবারক আহমদ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পাট থেকে পলিথিনের বিকল্প সোনালী ব্যাগ তৈরির জাদুকর প্রখ্যাত বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মুবারক আহমদ খান চট্টগ্রামের প্রসিদ্ধ ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) শিক্ষার্থীদের শোনালেন তাঁর সেই অসাধারণ আবিষ্কারের গল্প।

বুধবার (৫ জুন) উদ্ভাবনী এবং সম্ভাবনাময় শিল্প উদ্যোক্তা তৈরির জন্য প্রতিষ্ঠিত ইডিইউর স্টার্টআপ ও ইনোভেশন ফাউন্ড্রির কোহর্ট-৩ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এই বিজ্ঞানী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান, উপাচার্য প্রফেসর ড. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এবং ট্রাস্টি বোর্ডের উপদেষ্টা প্রফেসর সেকান্দার খান, স্কুল অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ডিন ড. রাশেদ আল করিম, প্রক্টর মো. আসাদুজ্জামান, ইডিইউ স্টার্টআপ অ্যান্ড ইনোভেশন ফাউন্ড্রির ডিরেক্টর এম ওয়াহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

ড. খান তাঁর এই সফরে ইডিইউর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম এবং পাট শিল্পে উদ্ভাবনের বৈপ্লবিক সম্ভাবনা সম্পর্কে তার গভীর উপলব্ধি শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন। শোনান পাটের বিকল্প সোনালী ব্যাগ তৈরির সেই গল্পও।

ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ভাইস-চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, 'ইডিইউ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে একডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ব্যবস্থা করে তরুণ উদ্যোক্তা তৈরির স্বপ্ন দেখছে। ইনোভেশন ফাউন্ড্রি আমাদের তেমনই একটি উদ্যোগ। ড. খানের মতো গবেষক এবং মেন্টর পেয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা দারুণভাবে উপকৃত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।'

ইডিইউর ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, 'ইডিইউ স্টার্টআপ অ্যান্ড ইনোভেশন ফাউন্ড্রি সক্রিয়ভাবে শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য কাজ করে যাচ্ছে এবং তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করছে। ড. মোবারক আহমেদ খানের অভিজ্ঞতা এবং উদ্ভাবনী চেতনা অবশ্যই কার্যকর হবে। আমাদের শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করবে এবং আমাদের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিবে।'

প্রফেসরিয়াল ফেলো এবং ইডিইউর প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেকান্দার খান বলেন, 'প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং ব্যবসায় টেকসই উন্নয়নের বিষয়ে স্টার্টআপ ও ইনোভেশন ফাউন্ড্রির অবদান সবাইকে অনুপ্রেরণা জোগাবে। আমি এই উদ্যোগে উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ায় ড. খানকে কৃতজ্ঞতা জানাই।

ইডিইউ স্টার্টআপ অ্যান্ড ইনোভেশন ফাউন্ড্রির ডিরেক্টর এম ওয়াহিদুল ইসলাম বলেছেন, 'ইডিইউ ফাউন্ড্রি তরুণ ও উদ্যমী উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা হিসেবে কাজ করছে। আমরা বিশ্বাস করি যে শিক্ষাবিদ হিসেবে আমাদের অনন্য অবস্থান আমাদের শিক্ষার্থীদের কাছে একটি প্রান্ত এবং অ্যাক্সেস দেয়। প্রতিটি দলই শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বিচক্ষণ পদ্ধতিতে তাদের উদ্যোক্তা যাত্রা শুরু করতে গাইড করার লক্ষ্যে থাকে। আমরা একই আবেগ এবং উদ্দীপনা নিয়ে আমাদের ৩টি দল নিয়ে যাত্রা শুরু করতে পেরে উৎসাহিত।'

প্রফেসর ড. মুবারক আহমদ খানকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। গবেষণা ডাটাবেস স্কোপাস অনুসারে ড. খান পাটের বাণিজ্যিক ব্যবহার ও সম্ভাবনা বিষয়ে বিজ্ঞান ভিত্তিক গবেষনা ও প্রকাশনায় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী যিনি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক মহাপরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) প্রধান বৈজ্ঞানীক উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত এই বিজ্ঞানী গবেষণা এবং প্রকাশনায় অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ২০১০ সালে বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সের স্বর্ণপদকের পাশাপাশি এই বিজ্ঞানী ২০২৪ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পুরস্কার পান।

এছাড়া তিনি দেশি বিদেশি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকার পাশাপাশি মির্জাপুর কলেজ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।

;

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা ও গবেষণার গুণগতমান নিশ্চিত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা ও গবেষণার গুণগতমান নিশ্চিত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা ও গবেষণার গুণগতমান নিশ্চিত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন যুগোপযোগী শিক্ষা কার্যক্রমসহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা ও গবেষণার গুণগতমান নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

বুধবার (৫ জুন) বঙ্গভবনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আলম এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এর উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার (তাপু) পৃথকভাবে সৌজন্য সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রপতি এই আহ্বান জানান।

পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, ‘আনুষ্ঠানিক শিক্ষাক্রমের পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য।’

বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যগণ নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রম ও বিভিন্ন পরিকল্পনার বিষয় রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তিন সদস্যের এক প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

এই সময় রাবির ভিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রমের পরিকল্পনার একটি কপি ও রাষ্ট্রপতির কাছে হস্তান্তর করেন।

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক ছাত্র। এই সময় উপাচার্য রাষ্ট্রপতিকে আগামী নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য রাবি’র কনভোকেশনে যোগদানের আমন্ত্রণ জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞান অর্জনের উন্মুক্ত ক্ষেত্র। শিক্ষার্থীরা যাতে সমসাময়িক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে জ্ঞান অর্জন করতে পারে এবং প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের নিজেদেরকে যোগ্য প্রমাণ করতে পারে শিক্ষা কার্যক্রমকে সেভাবে সাজাতে হবে।

রাষ্ট্র প্রধান বলেন, ‘গবেষণার ক্ষেত্রে সংখ্যার চেয়ে গুণগতমানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এই গবেষণার সুফল যাতে সকলের দ্বারে পৌঁছানো যায় সে বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।’

তিনি শিক্ষা কার্যক্রম সাজানোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরও মতামতের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

পঞ্চগড়ে জ্বিনের বাদশা গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় জ্বিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে মুঠোফোনে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে মিলন ইসলাম (২৬) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

বুধবার (৫ জুন) আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার (৪ জুন) রাতে জেলার বোদা উপজেলার কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের উৎকুড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার মিলন ইসলাম একই এলাকার মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে।

থানা পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মিলন ইসলাম জ্বিনের বাদশা সেজে মানুষের সাথে হনুমানি পয়সা, স্বর্ণের পুতুল (নকল), কষ্টি পাথরের মূর্তি (নকল), তক্ষক সহ বিদেশি ডলার দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল। এছাড়া চক্রটি জ্বিনের ক্ষমতার মাধ্যেমে চলতি বিভিন্ন পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের বিজয়ী করতে পারবেন বলে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের উৎকুড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, মিলন নিজেকে জ্বিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এই চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

;

রাজশাহীর কৃষি, শিক্ষা ও পর্যটন খাতে কাজ করতে চায় ইন্দোনেশিয়া



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর কৃষি, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও পর্যটন খাতে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইন্দোনেশিয়া। বুধবার (৫ জুন) বিকেলে নগর ভবনের মেয়র দপ্তর কক্ষে দেশটির রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে সঙ্গে বৈঠকে এমন আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

বৈঠকে উভয় দেশের মধ্যে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প এবং সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। ইন্দোনেশিয়ার এই আগ্রহ রাজশাহীর উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করছে রাজশাহীবাসী।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করায় ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান রাসিক মেয়র।

বৈঠকের শুরুতে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাসিক মেয়র। এরপর প্রায় ঘণ্টাব্যাপী দ্বি-পাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। শেষে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতের হাতে ‘ম্যাংগো ক্রেস্ট’ ও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন রাসিক মেয়র। এ সময় সিটি মেয়রকে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত।

বৈঠকে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হরু হারতান্তো সুবোলো বলেন, ইন্দোনেশিয়ায় উন্নতমানের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে রাজশাহীর শিক্ষার্থীদের এক বছর মেয়াদী স্কলারশীপ এবং আর্ট এন্ড কালচারাল ক্ষেত্রে ৩ মাস মেয়াদী স্কলারশীপ প্রদানের মাধ্যমে উভয় দেশের জ্ঞান ও সংস্কৃতি বিনিময় করতে চাই। এছাড়া রাজশাহী যেহেতু কৃষিপ্রধান অঞ্চল, তাই এ অঞ্চলের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে কাজ করতে আমরা আগ্রহী।

তিনি আরো বলেন, এটি আমার রাজশাহীতে প্রথম সফর। রাজশাহীর পরিচ্ছন্নতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও ভিশন দেখে মুগ্ধ হয়েছি।

রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ইন্দোনেশিয়া আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাথে দীর্ঘ সময় বৈঠক হয়েছে। বৈঠককালে তিনি রাজশাহীর সঙ্গে কৃষি, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও পর্যটন ইত্যাদি খাতে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সোলার প্লান্ট স্থাপন, শিক্ষার্থীদের স্কলারশীপ ও ট্যুরিজমের কোন কোন ক্ষেত্রে কাজ করা যায়, সেটি আমরা রাষ্ট্রদূতকে সুর্নিদিষ্টভাবে লিখিতভাবে জানাবো।

রাসিক মেয়র আরো বলেন, রাজশাহী কৃষি প্রধান অঞ্চল। কৃষিপণ্য ভিত্তিক ইন্ডাস্ট্রি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করেছি। এছাড়া শিক্ষানগরী রাজশাহীতে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখানকার শিক্ষার্থীদের স্কলারশীপ প্রদানের বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত আগ্রহী। এটি চালু হলে জ্ঞান বিনিময়ে উভয় দেশ লাভবান হবে।

;