রামপালে ট্রাক-ভ্যানের সংঘর্ষ, নিহত ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
রামপালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

রামপালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের রামপালে ট্রাক ও যাত্রীবাহী ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ভ্যানচালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।

শনিবার ( ২৭ এপ্রিল) সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের চেয়ারম্যানের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- মো. সাইদ মোড়ল (৪৫), মো. আজাদ (৩৫) ও ভ্যানচালক মো. মনি (৪৫)। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৌমেন দাস।

তিনি বলেন, বিপরীত দিক থেকে আসা ইঞ্জিনচালিত ভ্যানের সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ফলে ভ্যানের যাত্রী মো. সাইদ মোড়ল (৪৫), পিতা-মোঃ রেজ্জাক মোড়ল, সাং-ঝনঝনিয়া, থানা- রামপাল, জেলা-বাগেরহাট ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন এবং অপর যাত্রী মো. আজাদ (৩৫), পিতা-ইকলাচ মোড়ল, সাং-ঝনঝনিয়া ও ভ্যান চালক মো. মনি (৪৫), পিতা-মকবুল হোসেন, সাং-কুমলাই গাববুনিয়া, উভয় থানা-রামপাল, জেলা-বাগেরহাট গুরুত্বর আহত হন। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধারপূর্বক দ্রুত রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

রামপাল ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মো. মশিউর রহমান জানান, সংবাদ পেয়ে রামপাল থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। ঘাতক চালককে আটক করে পুলিশ হেফাজটে রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে ট্রাকটি রামপাল থানা পুলিশ জব্দ করেছে। মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। মরদেহ ময়না তদন্তের পর দাফন করা হবে ।

   

প্রথম ধাপের উপজেলা ভোট শেষ, চলছে গণনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। এখন চলছে গণনা।

বুধবার (৮ মে) বিকেল ৪টার দিকে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এরপর থেকে নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা ভোট গণনার কাজ করছেন।

এর আগে, সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় দেশের ৫৯ জেলার ১৩৯টি উপজেলায় প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে ২২টিতে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হয়। যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

জানা যায়, নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট হবে। এই ধাপে মোট ১ হাজার ৬৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রার্থী রয়েছেন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন করে মোট ২৮ জন প্রার্থী ইতোমধ্যে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিজয়ী হয়েছেন।

ইসি জানায়, বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাঁচ উপজেলার তিন পদে সবাই নির্বাচিত হয়েছে। তাই ওই পাঁচ উপজেলায় নির্বাচনের প্রয়োজন হবে না। উপজেলাগুলো হলো- নোয়াখালী জেলার হাতিয়া, মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা ,বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলা, ফেনী জেলার পরশুরাম ও মাদারীপুর জেলার শিবচর। যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় পার্বত্য জেলা বান্দরবনের তিনটি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত রেখেছে ইসি।

ইসি জানায়, ভোটারের নিরাপত্তায় মাঠে ছিল ১৪ হাজার ৬১০ জন বিজিবি সদস্য, ৪১ হাজার ৫৩০ জন পুলিশ এবং পুলিশের ১১ হাজার ৮৮৩ জন ভ্রাম্যমাণ টিম। এছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্স ও অন্যান্য দায়িত্বে রয়েছে পুলিশের ২৯ হাজার ২২০ জন সদস্য। অন্যদিকে র‌্যাবের দুই হাজার ৬৪৮ জন ও আনসারের এক লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ জন সদস্য নিয়োজিত ছিলেন।

এদিকে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে ৪০০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হয়। আর বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন ১৩৯ জন।

প্রথম ধাপে ১১ হাজার ৫৫৬ কেন্দ্রের ৮১ হাজার ৮০৪ ভোট কক্ষে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ১০২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ১ কোটি ৬০ লাখ ২ হাজার ২২৪, নারী ১ কোটি ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯০ এবং ১৮৮ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।

;

মহাখালীতে নেই চিরচেনা যানজট, ‘বাস-বে’ ছাড়া দাঁড়ালেই মামলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মহাখালী বাস টার্মিনালে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বাস, অবৈধ পার্কিং, টার্মিনালের ইনগেট ও আউটগেটে সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব, টার্মিনালের সামনে অপ্রয়োজনীয় ইউটার্ন সব মিলিয়ে মহাখালী বাস টার্মিনাল পার হওয়া ছিল নগরবাসীর কাছে এক ভোগান্তির নাম। কিন্তু ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশের শক্ত অবস্থানে সেই চিরচেনা যানজটের এখন রূপ পাল্টেছে। সড়কে ফিরেছে শৃঙ্খলা, স্বস্তিতে যাতায়াত করছেন নগরবাসী। কীভাবে হলো এই পরিবর্তন?

ট্রাফিক-গুলশান দক্ষিণের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এ.এস.এম হাফিজুর রহমান জানান, মহাখালী কেন্দ্রিক যানজট নিরসনে গত ৬ মে মহাখালী বাস টার্মিনালের পরিবহন ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে ট্রাফিক-গুলশান বিভাগ একটি বৈঠক করে। সেখানে টার্মিনালে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত বাস, রাস্তার পাশে অবৈধ পার্কিং, টার্মিনালের ইনগেট ও আউটগেটে সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব, টার্মিনালের সামনে অপ্রয়োজনীয় ইউটার্ন, সীমিত এলাকায় অতিরিক্ত তেল ও গ্যাসের পাম্প, এক্সপ্রেসওয়ে থেকে মহাখালীতে নামার র‌্যাম্প স্থাপন, এলাকাগত সীমা নির্ধারণ ও সমন্বয়ের অভাবসহ বেশকিছু সমস্যা চিহ্নিত করা হয় এবং এসব সমস্যা সমাধানে বেশকিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

তিনি বলেন, সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে শক্ত অবস্থানে নামে ডিএমপির ট্রাফিক-গুলশান বিভাগ। সঙ্গে রয়েছেন পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের স্বেচ্ছাসেবকও। তারা টার্মিনালের সামনে এসে থামানো বাসগুলো অন্যত্র সরে যেতে সহায়তা করছেন।

ব্যস্ত সড়কে তৎপর মহাখালী ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনার আরিফুর রহমান রনি বলেন, বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যত্রতত্র পার্কিং ও যাত্রী ওঠানো-নামানো সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হয়েছে। ‘বাস বে’ গুলো সক্রিয় করা হয়েছে। ‘বাস বে’ ছাড়া লোকাল যাত্রীবাহী বাস যেমন দাঁড়াবে না, তেমনি দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস নির্দিষ্ট স্টপেজ ছাড়া দাঁড়াবে না। যত্রতত্র বাস দাঁড়ানো ও যাত্রী ওঠানো-নামানো বন্ধে চালকদের এখন সতর্ক করা হচ্ছে। না মানলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মামলা দেওয়া হচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে কোনো সতর্কতা থাকবে না। নির্দিষ্ট স্টপেজে বাসের যাত্রী গণনা করা হবে। পরের স্টপেজে যাত্রী ওঠানোর আগে সংখ্যা বেশি হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


ট্রাফিক-গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল মোমেন পিপিএম জানান, বর্তমান ডিএমপি কমিশনারের অন্যতম প্রধান উদ্যোগ হলো সঠিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও যানজট নিরসন করা। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি। মহাখালী এলাকার সমস্যা ও সমাধানের বিষয়গুলো শনাক্ত করে কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমাদের অনুরোধে মহাখালী বাস টার্মিনালের পরিবহন মালিক ও শ্রমিকপক্ষ স্বেচ্ছাসেবক নিযুক্ত করেছেন। চালকদের সঙ্গে আমাদের মাঠপর্যায়ের ট্রাফিক সদস্যরা কথা বলছেন। অভূতপূর্ব পরিবর্তন আসছে। বাস চালক ও যাত্রীরাও এই ব্যবস্থাপনায় অনেক খুশি। আমরা মনে করি, সবার সমন্বিত উদ্যোগে সম্পূর্ণ বদলে যাবে মহাখালী।

বুধবার (৮ মে) সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এখন যেখানে-সেখানে বাস দাঁড়ানো ও যাত্রী ওঠানো-নামানো বন্ধ হয়ে গেছে। যানচলাচল শৃঙ্খলার স্বার্থে মহাখালীর সামনের সড়ক পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাসগুলোকে শৃঙ্খলায় আনতে গুলশান-ট্রাফিক বিভাগের ডিসির নির্দেশে মহাখালীতে নতুন করে ইনকামিং সড়কে একটি বাস বে চালু করা হয়েছে। ‘বাস বে’ ছাড়া দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না কোনো যাত্রীবাহী বাসকে। বিশৃঙ্খলা করলেই বাস থামিয়ে সাবধান করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। নিয়ম না মানলে দেওয়া হচ্ছে মামলা। সঙ্গত কারণেই এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। এই এলাকার মূল সড়কে কমেছে যানজট, উধাও হয়েছে যত্রতত্র পার্কিং। শৃঙ্খলা ফিরতে শুরু করেছে মহাখালী বাস টার্মিনাল, মহাখালী রেলগেট, আমতলী ও কাকলী এলাকা পর্যন্ত। ফলে দৃশ্যত ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে যান চলাচলে গতি বেড়েছে। এটি বহাল ও চলমান রাখা সম্ভব যদি পরিবহন মালিক শ্রমিক ও সম্মানিত যাত্রীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত থাকে। ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে চেষ্টার কমতি নেই।

মহাখালী বাস টার্মিনালের ধারণক্ষমতা আরো বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান বিপিএম।

তিনি বলেন, মহাখালী বাস টার্মিনালের পেছনে অনেকখানি জায়গা অব্যবহৃত অবস্থায় আছে। সেটি যদি মহাখালী টার্মিনালের সঙ্গে একীভূত করা যায় তাহলে অনেকখানি সমাধান হয়ে যাবে। এটা নিয়ে ট্রাফিক পুলিশ পরিবহন মালিক-শ্রমিক পক্ষ এবং সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে কথাবার্তা হচ্ছে। আশা করছি সহসা এর সমাধান হবে। আর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামার একটা র্যাম্প মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে চালু করা হয়েছে। ওঠার জন্য আরেকটি র্যা ম্প চালু হলে সড়কের চাপটা আর থাকবে না।

;

শহরে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ৩০ কিলোমিটার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে মোটরযানের গতিসীমা নির্ধারণ করে নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। নির্দেশিকা অনুযায়ী সড়কভেদে প্রাইভেটকার ও বাসের সর্বোচ্চ গতি নির্ধারণ করা হয়েছে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার এবং মোটরসাইকেলে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। তবে শহরে সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার গতিতে চলবে মোটরসাইকেল।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপসচিব মো. জহিরুল ইসলামের গত ৫ মে স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনা পত্রে বিষয়টি জানা যায়। ওই পত্রে ১০ ধরনের জন্য সড়কের ছয়টি ক্যাটাগরিতে গতিসীমা নির্ধারণ করতে দেখা গেছে।

মোটরকার, জিপ, মাইক্রোবাস, হালকা যাত্রীবাহী মোটরযান এবং বাস-মিনিবাস ও ভারী যাত্রীবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিসীমা এক্সপ্রেসওয়েতে ৮০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটগরি-এ) ৮০ কিলোমিটার, জাতীয় (ক্যাটগরি-বি) ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৭০ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৬০ কিলোমিটার, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা সদরে ৪০ কিলোমিটার, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে ৪০ কিলোমিটার, শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে ৩০ কিলোমিটার।

ট্রাক, মিনি ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ মালবাহী মোটরযান ও ট্রেইলারযুক্ত আর্টিকুলেটেড মোটরযানের ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিসীমা এক্সপ্রেসওয়েতে ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় (ক্যাটাগরি-বি) ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৪৫ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৪০ কিলোমিটার, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা সদরে ৩০ কিলোমিটার, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে ৩০ কিলোমিটার, শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে ৩০ কিলোমিটার।

মোটরসাইকেলে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিসীমা এক্সপ্রেসওয়েতে ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ৫০ কিলোমিটার, জাতীয় (ক্যাটাগরি-বি) ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৫০ কিলোমিটার, জেলা সড়কে ৫০ কিলোমিটার, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা সদরে ৩০ কিলোমিটার, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে ৩০ কিলোমিটার, শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে ২০ কিলোমিটার।

থ্রি হুইলার চলাচলে যে নির্দেশনা

এক্সপ্রেসওয়ে ও জাতীয় মহাসড়কে (ক্যাটাগরি-এ) ও (ক্যাটাগরি-বি) এবং আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জেলা সড়ক, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা সদর, উপজেলা মহাসড়ক ও শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে চলাচলের অনুমতি সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার গতিতে থ্রি-হুইলার চলতে পারবে। এ ছাড়া শেয়ার রোড ও অন্যান্য সড়ক এবং গ্রামীণ সড়কে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার গতিতে থ্রি-হুইলার চলতে পারবে।

সাধারণ নির্দেশনা যা বলা আছে

সড়কের শ্রেণি ও মোটরযানের শ্রেণি বা ধরন অনুযায়ী উপরে বর্ণিত গতিসীমাই হবে সর্বোচ্চ গতিসীমা। এ গতিসীমা মেনে সড়ক মহাসড়কে মোটরযান চালাতে হবে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, আবাসিক এলাকা এবং হাট-বাজার সংলগ্ন সড়ক বা মহাসড়কে মোটরযানের সর্বোচ্চ গতিসীমা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান বা রাস্তা নির্মাণকারী বা উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত হবে; তবে তা কোনোক্রমেই জাতীয় মহাসড়কের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার এবং আঞ্চলিক মহাসড়কের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার অধিক হবে না; জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত মোটরযান, যেমন অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ারসার্ভিসের ক্ষেত্রে এই গতিসীমা শিথিলযোগ্য হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ গতিসীমার এই বাধ্যবাধকতা শুধু স্বাভাবিক অবস্থায় প্রযোজ্য হবে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, প্রখর রোদ, অতিরিক্ত বৃষ্টি, ঘনকুয়াশাসহ প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণযোগ্য নিরাপদ গতিসীমা প্রযোজ্য হবে; দৃষ্টিসীমা বেশি মাত্রায় কমে গেলে বা একেবারেই দেখা না গেলে মোটরযান চালানো বন্ধ রাখতে হবে; এক্সপ্রেসওয়ে, জাতীয় মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং জেলা সড়কের উভয়দিকের প্রবেশমুখ ও নির্দিষ্ট দূরত্বে যানবাহন ভিত্তিক নির্ধারিত গতিসীমা সংক্রান্ত সাইন রাস্তা নির্মাণকারী বা উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে প্রদর্শন করতে হবে; মোটরযানের শ্রেণি অথবা ধরন অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন গতিসীমার জন্য একই পোস্টে মোটরযানের নাম ও ছবি সম্বলিত গতিসীমার সাইন প্রদর্শন করতে হবে; এবং পাহাড়ি এলাকা, আঁকাবাঁকা সড়ক, বাঁক, ব্রিজ, রেল বা লেভেলক্রসিং, সড়ক সংযোগস্থল, বাজার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের সামনে সাইনে প্রদর্শিত গতিসীমা প্রযোজ্য হবে।

বিশেষ নির্দেশানায় বলা আছে—সড়ক বাঁক, জাংশন, জ্যামিতিক কাঠামো, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, দুর্ঘটনার ঝুঁকি ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট রাস্তা নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান মোটরযানের শ্রেণি অথবা ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট দূরত্বের জন্য ট্রাফিক সাইন ম্যানুয়াল অনুযায়ী স্ট্যান্ডার্ড ট্রাফিক সাইন পোস্ট ও গতিসীমা প্রদর্শন বা স্থাপন করবে।

মালবাহী মোটরযানসহ অন্যান্য স্বল্পগতির মোটরযান সর্বদা সড়কের বামপাশের লেন দিয়ে চলাচল করবে। শুধু ওভারটেক করার সময় ডান লেন ব্যবহার করতে পারবে, কখনো বাম লেন দিয়ে ওভারটেক করা যাবে না। ওভারটেকিং নিষিদ্ধ না থাকলে রাস্তার ট্রাফিক সাইন, রোডমার্কিং দেখে এবং সামনে, পেছনে পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় জায়গা থাকলে নিরাপদ পরিস্থিতি বিবেচনায় ওভারটেক করা যাবে, ওভারটেক করার সময় সামনে বিপরীত লেনে আসা গাড়ি এবং পেছনের গাড়ির অবস্থান ও গতিবেগ দেখে ওভারটেকিংয়ের জন্য নিরাপদ দূরত্ব আছে কি না সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।

;

সরকারি কলেজ সড়ক সংস্কারের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন-বিক্ষোভ সমাবেশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারি কলেজ সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সমাবেশ থেকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংস্কার কাজ শুরু না করলে ২ জুন দিনব্যাপী সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আজাদ হোসেন বেলাল, সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষাবিদ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, প্রবীণ রাজনীতিবিদ সুধাংশু শেখর সরকার, কবি কিশোরী মোহন সরকার, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন ও সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান, নারীনেত্রী ফরিদা আক্তার বিউটি, নাগরিক নেতা আলী নুর খান বাবুল, উদীচীর সিদ্দিকুর রহমান, সাংবাদিক গোলাম সরোরার, প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ সড়ক জেলা শহরের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর মধ্যে অন্যতম হলেও দীর্ঘ দেড় যুগ সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটিতে চলাচল করতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে মানুষজনকে। তবুও কর্তৃপক্ষ যেন নির্বিকার!

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ সড়কেই অবস্থিত সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজের বাসভবন, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার কার্যালয়, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, সাতক্ষীরা জেলা রেজিস্ট্রি অফিস, জেলা সমবায় অফিস, বিটিসিএল অফিস, শহর সমাজ সেবা অফিস, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যালয়, জাতীয় মহিলা সংস্থার কার্যালয়, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ, পল্লীমঙ্গল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতো অসংখ্য প্রতিষ্ঠান।

সাতক্ষীরা পোস্ট মোড় থেকে শুরু করে সরকারি কলেজ হয়ে পুরনো সাতক্ষীরা হাটখোলা মোড় পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় দুই কিলোমিটার। সড়কটির পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে সড়কটিতে কাদা-পানি জমে থাকে। আর রোদে ধুলায় একাকার হয়ে যায় গোটা এলাকা।

দ্বাদশ সংসদের ১ম অধিবেশনে সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জামান আশু সড়কটির বেহাল দশা তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ সড়কটির অবস্থা এতটাই খারাপ যে কোনো অন্তঃসত্ত্বা নারী ওই রাস্তায় চলাচল করলে পথেই ‘ডেলিভারি‌’ (সন্তান প্রসব) হয়ে যাবে।

সাতক্ষীরা পৌরসভার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বেহাল দশা নিয়ে সংসদ সদস্যের এই বক্তব্যের পরও কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি পৌর কর্তৃপক্ষকে।

 

;