'করুণা ধারায় এসো'

  ‘এসো হে বৈশাখ’


ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চৈত্রের দাবদাহ পেরিয়ে বৈশাখে, নববর্ষের আবাহনে, শোনা যায় চির নূতনের ডাক এবং আশার প্রাণোচ্ছল ধ্বনি: "জীবন যখন শুকায়ে যায় করুণা ধারায় এসো/সকল মাধুরী লুকায়ে যায়, গীতসুধারসে এসো।" আর এভাবেই ধর্ম, বর্ণ, অঞ্চলে বিন্যস্ত বাঙালি যুক্তসাধনার মুক্ত প্রতীতিতে পুনরুজ্জীবন লাভ করে বাঙলা নববর্ষের মাহেন্দ্রক্ষণে।

বাংলা নববর্ষ তথা পহেলা বৈশাখ বাঙালির অসাম্প্রদায়িক উৎসব। বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে। ইংরেজি নতুন বছরের দিন শুরু হয় মধ্যরাতে। আর বাংলা সাল শুরু হয় ভোরে, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে।

১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে হয়েছিল বাংলা সনের প্রবর্তন। মোগল সম্রাট আকবরের আদেশে তাঁর রাজস্ব কর্মকর্তা ফতেহ উল্লাহ সিরাজি ‘সৌর সন’ এবং আরবি ‘হিজরি’ সালের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সন তৈরি করেন। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মক্কা থেকে মদিনা যাত্রা বা 'হিজরত'- এর সময়টিকে (৬২২ খ্রিস্টাব্দে) সূচনা বিন্দু ধরে অব্দের গণনা শুরু হয়। প্রথমে এই সালের নাম ছিল ‘ফসলি সন,’ পরে তা ‘বঙ্গাব্দ’ বা ‘বাংলা নববর্ষ’ নামে পরিচিত হয়। অনেকে মনে করেন, বঙ্গাব্দের গণনায় আকবরের রাজ্যাভিষেককেই সূচনা বলে ধরে নেওয়া হয়।

সম্রাট আকবরের বাংলা সন প্রবর্তনের সঙ্গে শুরু হয় ‘হালখাতার প্রথা’। হালনাগাদের খাতাটি হল বিগত বছরের যাবতীয় হিসাব বিবরণীর নথি। আজও ব্যবসায়ীরা লাল রঙের শালু কাপড়ের মলাটে মোড়ানো খাতাটি ব্যবহার করেন। নববর্ষের প্রথম দিন ব্যবসায়ীরা গ্রাহকদের হিসাবের হালখাতা অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ করেন। থাকে মিষ্টিমুখের আয়োজন।

পহেলা বৈশাখ শুধু একটি তারিখমাত্র নয়, বাঙালির উৎসবের দিন। আহারে-বিহারে সাজগোজে নিজস্বতার ছোঁয়া থাকে এই দিনটিতে। বাঙালির অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে হলে নিজস্ব সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরে থাকতে হবে। চর্চা করতে হবে। মনে-প্রাণে তাকে লালন করতে হবে। এটাই জীবন্ত সংস্কৃতির জাগ্রত মানুষের জীবনাবেগ। কারণ, যে জাতি যত সংস্কৃতিমান, সেই জাতি তত উন্নত এবং সমৃদ্ধ।

নববর্ষ মানে বিগত বছরের সমস্ত জীর্ণতা ও মলিনতাকে মুছে দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোরও দিন। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই, আমাদের ইতিহাসবোধ, সমকালবোধও, আজ আন্তর্জাতিক খ্রিস্টীয় কালপঞ্জির দ্বারা এতটাই নিয়ন্ত্রিত যে, বাংলা সন-তারিখ দেখলে একটু বিহ্বল বোধ করেন অনেকেই। কোথাও তারিখ হিসাবে বাংলা সন উল্লিখিত হলে সমস্যায় পড়তে 'শিক্ষিত' মানুষদেরও।

তাদের দ্বিধার কারণ হলো, কোন মাস ঠিকঠাক কী ভাবে বুঝব? কেননা, ইংরেজি বছরে ঢুকে থাকে দুইটি বাংলা সাল। ও দিকে ঐতিহাসিক পারম্পর্যের কাহিনিবিন্যাসটি খ্রিস্টাব্দের পরিপ্রেক্ষিতেই সাধারণ মানুষের মনোলোকে সাজানো আছে। আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত কালপঞ্জির প্রতি এত আগ্রহ কখনও আত্মপরিচিতির অজ্ঞতার কারণ হলে বিপদ। এই বিপদকে সঙ্গে করেই চলছে একবিংশ শতকের উত্তরাধুনিক বাঙালি জনগোষ্ঠী। পরিস্থিতি এমনই শোচনীয় হয়েছে যে, পহেলা বৈশাখ শেষ হলেই বাংলা মাসের নাম ও বাঙালিয়ানা গানে ও কবিতায় আশ্রয় নেয় আত্মরক্ষার্থে।

টি এস এলিয়ট লিখেছিলেন, ‘এপ্রিল ইজ় দ্য ক্রুয়েলেস্ট মান্থ'/‘এপ্রিল নিষ্ঠুর মাস। বিপরীতে ইংরেজি সাহিত্যের ডাকসাইটে ছাত্র সমর সেন লিখেছিলেন: ‘উজ্জ্বল, ক্ষুধিত জাগুয়ার যেন,/ এপ্রিলের বসন্ত আজ’। দৃষ্টান্তস্বরূপ, ‘চৈত্রে রচিত কবিতা’, ‘হেমন্তের অরণ্যে আমি পোস্টম্যান’, ‘শরৎমেঘ ও কাশফুলের বন্ধু’, ‘কার্তিকের মাঠে’, শিরোনামগুলোয় গভীর হয়ে আছে নিজস্ব চিহ্ন। এমন পঙ্‌ক্তিতেও আছে শিহরণ: ‘আগত শরৎ অগোচর প্রতিবেশে;/ হানে মৃদঙ্গ বাতাসে প্রতিধ্বনি,/ মূক প্রতীক্ষা সমাপ্ত অবশেষে/ মাঠে, ঘাটে, বাটে আরব্ধ আগমনী।’ কিংবা ‘স্বপ্ন, একুশে ভাদ্র’ অথবা ‘আমাকে আমি ভুলেছি এই একুশে আশ্বিনে’। তাৎপর্য খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, দু’টিই যথাক্রমে কবিদ্বয়ের জন্মতারিখ। হায়! আমরা কয়জন জন্মদিনের, জন্ম তারিখের, বাংলা ভার্সান মনে রেখেছি?

মনে রাখে নি অধিকাংশই। বরং ‘পহেলা বৈশাখ’ এলেই হঠাৎ চারিদিকে উন্মত্ততা চাপিয়েছে। একদিনের বাঙালিয়ানার মচ্ছব চলছে। বাঙালি সংস্কৃতি চর্চার নামে হুঙ্কার শোনা যাচ্ছে। সুপ্ত অপসংস্কৃতির তাণ্ডব কখনও দৃশ্যমান হচ্ছে। কেউ একজন একবার বলেছিলেন, "আমরা আসলে বেশি উদ্‌যাপন করেছি ক্ষণোন্মাদনার তীব্রতা, ধারণ করেছি কম। উদ্‌যাপন বাহ্যিক, ধারণ অভ্যন্তরীণ। প্রমিত তথা ‘স্ট্যান্ডার্ডাইজ়ড’ আন্তর্জাতিক হওয়ার অতি-আগ্রহে ভুলতে চেয়েছি আত্মপরিচয়ের প্রাতিস্বিক চিহ্ন।'

এসবই ‘সাংস্কৃতিক আগ্রাসন’। ‘হেজিমনি'। ‘গোলকায়নের ভবিতব্য'। সর্ববাঙালির সামনে আরেক বিপদ 'ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের কর্ণবিদারী ঢক্কানিনাদ'। যদিও বাঙালির সংস্কৃতি এবং আত্মপরিচয় নির্মাণ সীমান্তহীন, ধর্মনির্দিষ্টতাহীন, বহুস্বরিক, তার বহু শরিকও, তথাপি, আগ্রাসন একটা আছে। খুব বলশালী, ধূর্ত আর কৌশলী সেই আগ্রাসন।

আগ্রাসীরা বাঙালিকে একমাত্রিক একঢালা বানাতে চায়। বাঙালির বহুস্তরিক বর্ণালি ভাঙতে চায়। বহুস্বরিক কলকণ্ঠ স্তব্ধ করতে চায়। গণতান্ত্রিক সহাবস্থানের আবহ মুছে দিতে চায়। ‘সংখ্যাগুরু’ ও ‘সংখ্যালঘু’ এবং ‘প্রতাপান্বিত’ ও ‘দুর্বল’-এর সম্মানজনক ভারসাম্যের বুনিয়াদ উপড়ে ফেলতে চায়।

নববর্ষে একদিনের বাঙালিয়ানায় এইসব আগ্রাসন রোধ করা অসম্ভব। চিরায়ত বাংলা ও সর্বজনীন বাঙালিত্বে শাশ্বত করুণা ধারায় হটানো সম্ভব ইত্যাকার যাবতীয় আগ্রাসন, আবিলতা, ক্লেদ, ক্লেশ, গ্লানি, হীনমন্যতা ও অবদমন।

   

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে শুধু আজিজ আহমেদ নয়, তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য ঘোষণার কথা জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সময় সোমবার (বাংলাদেশ সময় সোমবার মধ্যরাতের পর) (২০ মে) দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার কারণে সাবেক জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদকে, পূর্বে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান, ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর। এর ফলে আজিজ আহমেদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য হবেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাঁর (আজিজ আহমেদ) কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অবমূল্যায়ন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার ওপর জনগণের আস্থা কমেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, আজিজ আহমেদ তাঁর ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে সহযোগিতা করেন। এটা করতে গিয়ে তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। এছাড়া অন্যায্যভাবে সামরিক খাতে কন্ট্রাক্ট পাওয়া নিশ্চিত করার জন্য তিনি তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। তিনি নিজের স্বার্থের জন্য সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে ঘুষ নিয়েছেন।

আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসন শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনরায় নিশ্চিত করা হলো। সরকারি সেবা আরও স্বচ্ছ ও নাগরিকদের সেবা লাভের সুযোগ তৈরি, ব্যবসা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মুদ্রা পাচার ও অন্যান্য অর্থনৈতিক অপরাধের অনুসন্ধান ও বিচার নিশ্চিতে সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টায় সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

  ‘এসো হে বৈশাখ’

;

জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দিবে ফ্রান্স



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দিবে ফ্রান্স

জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দিবে ফ্রান্স

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্স সরকার বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তা হিসেবে ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ প্রদান করবে।

এ লক্ষ্যে সোমবার (২০ মে) বাংলাদেশ সরকার ও ফ্রেঞ্চ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এএফডি) ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করেছে। এই অর্থ মূলত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যয় করা হবে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এএফডির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর সেসিলিয় কর্টসি সিএফএ চুক্তিতে সই করেন।

ঋণ চুক্তির আওতায় এই অর্থ জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাবের বিরুদ্ধে কার্যকর ও শক্তিশালী ভিত্তি প্রস্তুত করা এবং জলবায়ু-সহিঞ্চু ও স্বল্প কার্বন নিঃসরণ ভিত্তিক অগ্রযাত্রায় ব্যয় করা হবে।

  ‘এসো হে বৈশাখ’

;

সিলেটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, মোটরসাইকেলে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজের অনুসারীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (২০ মে) পৌঁণে ১০টার দিকে শুরু হয়ে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয়েছেন দুজন। এসময় একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর ও তিনটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।

এঘটনায় আহত দুজন হলেন -রোহান (৩৮), রাজু (২৪)। তারা দুজনেই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজের অনুসারী সিলেট সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি পিয়াং সোম ও সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদের অনুসারী রোহানের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে রাত পৌনে ১০টার দিকে হাউজিং স্টেট এলাকায় একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে সোমবার রাত ১০টার দিকে রোহানসহ তার পক্ষের নেতাকর্মীরা নগরীর দাঁড়িয়াপাড়া এলাকায় মোটরসাইকেল করে পিয়াংয়ের খোঁজ নিতে এলে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে রোহানের পক্ষের তিনটি মোটরসাইকেল আটকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এসময় রোহান ও রাজু নামে দুজন আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাদেরকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এব্যাপারে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ জানান, তারা দুজনেই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ঢাকায় অবস্থান করছেন। সিলেটে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলার বিষয়টি শুনেছেন। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে আগুনে দগ্ধ তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে ও দুজন আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  ‘এসো হে বৈশাখ’

;

গফরগাঁওয়ে আগুনে পুড়ল ২ ভাইয়ের ঘর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
গফরগাঁওয়ে আগুনে পুড়ল ২ ভাইয়ের ৪ ঘর

গফরগাঁওয়ে আগুনে পুড়ল ২ ভাইয়ের ৪ ঘর

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে ২ ভাইয়ের ৪ ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ১২লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা।

সোমবার (২০ মে) রাত সোয়া ৯টার দিকে উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নের পাতলাশি গ্রামের বেপারী বাড়িতে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বেপারী বাড়ির পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে আগুন লেগে সালাম বেপারী ও তার ভাই সামাদ বেপারীর বসত ঘরে ছড়িয়ে যায়। স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়ে নিজেরাই আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে লেগে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই স্থানীয়রা এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ততক্ষণে ৫টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

ভুক্তভোগী সালাম বেপারী বলেন, দুই ভাইয়ের পরিবারের প্রায় ১২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আসবাবপত্র ও নগদ অর্থ পুড়ে সব শেষ কিছুই উদ্ধার করতে পারিনি।

নিগুয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম মৃধা বলেন, ওই দুটি পরিবার খুব গরিব। এক জন নরসুন্দা ও অন্যজন রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
আগুনে ওদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল।

ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রামপ্রসাদ পাল বলেন, স্টেশন থেকে ঘটনাস্থল অনেক দূরে। তাছাড়া রাস্তাঘাটের অবস্থা তেমন ভাল না। তাই, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে।

  ‘এসো হে বৈশাখ’

;