ময়মনসিংহ-৩: স্থগিত হওয়া কেন্দ্রের ভোট ১৩ জানুয়ারি

  ভোট এলো, এলো ভোট


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪৮ ময়মনসিংহ-৩ গৌরীপুর আসনের একটি ভোটকেন্দ্রে দুবৃর্ত্তরা হামলা করে ব্যালটবাক্স ছিনতাই করে। পরে ওই একটি ভোটকেন্দ্রর ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়। ওই আসনের স্থগিত করা কেন্দ্রের ভোট আগামী ১৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার (৮ জানুযারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এ তথ্য জানান। 

 

এদিকে রোববার রাতে সহকারী  রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদুল করিম বেসরকারিভাবে ময়মনসিংহ -৩ আসনের  ৯২টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৯১ টি ভোট কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেছেন।

৯১টি ভোটকেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নিলুফার আনজুম পপি নৌকা প্রতীকে ৫৩ হাজার ১৯৬ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সোমনাথ সাহা পেয়েছেন ৫২ হাজার ২১১।

   

পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট শেষ, মিলছে পূর্বাঞ্চলের টিকিট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঈদুল আজহার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আগামী ১২ জুনের ঈদের অগ্রিম এ টিকিট বিক্রি হচ্ছে।

রোববার ( ২ জুন) সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি। তবে অনলাইনে চাপ এড়াতে পূর্বাঞ্চলের টিকিট দুপুর দুইটা থেকে বিক্রি শুরু হয়।

পশ্চিমাঞ্চলে সকাল আটটায় শুরু হওয়ার প্রথম চার ঘণ্টাতেই ১৪ হাজার ১৫৭টি টিকেটের মধ্যে প্রায় ১৪ হাজার টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। প্রথম আধা ঘণ্টায় ৬০ লাখ হিট হয়েছে।

তবে পশ্চিমাঞ্চলের অন্য দুই বিভাগ রাজশাহী ও খুলনাতে সামান্য কিছু টিকিট অবিক্রীত রয়েছে।

অন্যদিকে পূর্বাঞ্চলের টিকিট দুপুর ২টা থেকে বিক্রি শুরু হওয়ার সাড়ে চার ঘণ্টা পরেও টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। পূর্বাঞ্চলের ১৫ হাজার ৮১১টি টিকিটের মধ্যে মাত্র ৮ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে।

অন্যদিকে প্রথম আধা ঘণ্টায় পূর্বাঞ্চলের মাত্র ২৮ লাখ হিট হয়েছে।

বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের টিকিট অবিক্রীত রয়েছে। এ রুটে চলাচলকারী ননস্টপ সোনার বাংলা ও সূবর্ণ এক্সপ্রেসের অধিকাংশ টিকিট বিক্রি হয়েছে। তবে তূর্ণা, মহানগর এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী ও চট্টলা এক্সপ্লেসের তিনভাগের একভাগ টিকিট অবিক্রীত রয়েছে।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট বিক্রির শুরুতেই উত্তরবঙ্গের টিকিটের অনেক চাহিদা ছিলো। এ এলাকার সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। প্রথম তিন ঘণ্টায় যাত্রীদের টিকিট কাটতে প্রায় ৭০ লাখ হিট পড়েছে।

রেলওয়ের কর্ম পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ১২ জুনের আসন বিক্রি হবে ২ জুন; ১৩ জুনের আসন বিক্রি ৩ জুন; ১৪ জুনের আসন বিক্রি ৪ জুন; ১৫ জুনের আসন বিক্রি ৫ জুন; ১৬ জুনের আসন বিক্রি ৬ জুন। এছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে নন-এসি কোচের ২৫ শতাংশ আসন যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।

  ভোট এলো, এলো ভোট

;

নারীর প্রতি বৈষম্যরোধে নারী সাংবাদিকদের বলিষ্ঠ ভূমিকা চান স্পিকার



ডেস্ক রিপোর্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য, নির্যাতন ও অত্যাচার দূরীকরণে যুথবদ্ধ হয়ে নারী সাংবাদিকদের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। রবিবার (২ জুন) ‘নারী পুরুষের সমতা অর্জনে কলম হোক হাতিয়ার’ শীর্ষক বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের ৪র্থ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

রাজধানীর রমনাস্থ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে আয়োজিত এবারের সম্মেলনে সারাদেশ আসা কেন্দ্রের শতাধিক সদস্য অংশ নেন। স্পিকার বলেন, গত কোভিডের সময় নানা ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে নারীরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হন। বিশেষ করে চাকরি চলে যাওয়া, আর্থিক সংকটসহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হন নারী সাংবাদিকরা। ওই সময়কার দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে নারী সাংবাদিকদের জন্য জীবনবীমা ব্যবস্থা চালুর প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের বিভিন্ন কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সারা দেশের নারী সাংবাদিকরা সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাকে গ্রহণ করে যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন এটা সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনারা দেশ ও জাতির কল্যাণে যেসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছেন এটা নারী হিসেবে আমাদের অনেক গর্বের ও সম্মানের। আমি আশা করছি নারী সাংবাদিক কেন্দ্র আগামীতে আরও সময়োপযোগী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।  

জাতীয় সংসদের স্পিকার বলেন, নারী সাংবাদিকরা দেশের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে লেখালেখি করেন। কিন্তু নিজেদের যত সমস্যা ও চ্যালেঞ্জে রয়েছে সেগুলো নিয়ে লেখা ও বলার সুযোগ তাদের হয় না।  যেকোনো সমস্যা সাংগঠনিক ভাবে একত্রিত হয়ে যথার্থ কর্তৃপক্ষকে জানালে সে সমস্যার সমাধান সহজ হয়। তিনি আরও বলেন, শুধু সাংবাদিকতা নয় সব পেশাতেই নারীকে নানা প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। কাজেই দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পেশাগত প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞানেও নারীর দক্ষতা জরুরি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের  সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা। শোক প্রস্তাব পেশ করেন কেন্দ্রের কোষাধ্যক্ষ আখতার জাহান মালিক। 

বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন, ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র। তখন থেকেই সদস্যরা দেশের নারীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ  নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সদস্য সংখ্যা প্রায় চারশত। যাদের মধ্যে অনেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিকূলতার মধ্যেও সাংবাদিকতা করে যাচ্ছেন। নারী সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধিসহ কর্মক্ষেত্র সুরক্ষা বৈষম্য দূর করার জন্য কেন্দ্র প্রায় ২৪ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। নারী সাংবাদিক কেন্দ্র স্বল্পপরিসরে নারী সাংবাদিকদের জন্য কল্যাণ ফান্ড গঠন করেছে।

বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের  সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা বলেন, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র একটি স্বচ্ছ ও সৎ সংগঠন। সদস্যদের আন্তরিকতা ও ভালোবাসা নিয়ে সংগঠনটি দীর্ঘ ২৪ বছর নানা রকমের বাধা-বিপত্তির মধ্য দিয়েও সদস্যদের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছে। গুণগত মান বজায় রেখে সাংবাদিকতায় নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। নীতি নির্ধারণী পদগুলোতে নারীর সংখ্যা খুবই কম। সাংবাদিকতাকে এখনো নারীর পেশা মনে করা হয় না। যোগ্যাতার ভিত্তিতে নারীদের কর্মস্থলে পদোন্নতির দাবি জানান তিনি।

নতুন নেতৃত্বে এলেন যাঁরা

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কেন্দ্র নাসিমুন আর হক আরা হক মিনুকে সভাপতি ও শাহনাজ সিদ্দীকি সোমা (বাসস)-কে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। 

১৯ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি পারভীন সুলতানা ঝুমা, সহ-সভাপতি মুনিমা সুলতানা ( ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস), সহ- সম্পাদক নাজনীন নাহার (টেকওয়ালর্ড বাংলাদেশ), লতিফা আনসারী রুনা (দীপ্ত টিভি), মাশরেখা মনা (বিটিভি), কোষাধ্যক্ষ আখতার জাহান মালিক (সিনিয়র সাংবাদিক), সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনাজ পারভীন এলিস (দৈনিক খবরের কাগজ) প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক দিলরুবা খানম (ইত্তেফাক), দপ্তর সম্পাদক আহমেদ মুশফিক নাজনীন (একুশে টিভি), প্রশিক্ষণ সম্পাদক নাসরিন শওকত (ফ্রিল্যান্সার)। 

কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন- ডেইজি মউদুদ ( দৈনিক বাংলা), অদিতি রহমান ( সিনিয়র সাংবাদিক), বিলকিস সুমি ( জিটিভি), ইয়াসমিন রিমা ( ডেইলি সান), লাইলী ইয়াসমিন ( বৈশাখী টিভি), জাহিদা পারভেজ ছন্দা ( সংবাদ) ও রুপম আক্তার ( টাইম ওয়াচ)।

  ভোট এলো, এলো ভোট

;

পাঁচ বছরে রসুনের দাম বেড়েছে ৩১০ শতাংশ, আদা ২০৫



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে মোট ৩৪টি নিত্যপণ্যের মধ্যে গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি ৩১০ শতাংশ বেড়েছে রসুনের দাম। একই সময়ে আদার দাম দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০৫ শতাংশ, পেঁয়াজের দাম ১৬৭ শতাংশ ও চিনির দাম ১৫২ শতাংশ বেড়েছে।

এর বাইরে পামওয়েল, শুকনা মরিচ ও মসুর ডালসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম পাঁচ বছরে শতভাগ বেড়েছে বলে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

রোববার (২ জুন) সিপিডির কার্যালয়ে ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এই পর্যালোচনাটি তুলে ধরেন সংস্থার গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে মাছের দাম মাত্র ১০ শতাংশ কমেছে। পণ্যমূল্য বৃদ্ধির এই হার আলোচনায় থাকা ৩৪ পণ্যের মধ্যে সর্বনিম্ন। স্থিতিশীল থাকা পণ্যগুলোর মধ্যে চালের দাম পাঁচ বছরে ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

এ সময় মোয়াজ্জেম বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা, ব্যবসায়ীদের মুনাফালোভী প্রবণতা ও প্রতিযোগিতার অভাবে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতির কারণে বেশ কিছু নিত্যপণ্য বিলাসী পণ্যে পরিণত হয়েছে।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া প্রতি কেজি দেশি রসুনের দাম মে মাসে ২০৫ টাকায় উঠেছে। এ সময়ে প্রতি কেজি রসুনের দাম ১৫৫ টাকা বা ৩১০ শতাংশ বেড়েছে।

একই সময়ে আমদানি করা রসুনের দাম ৭০ টাকা থেকে ২১১ শতাংশ বেড়ে ২২৫ টাকায় উঠেছে বলে জানান মোয়াজ্জেম।

মে মাসে প্রতি কেজি আদার দাম ৩৩৫ টাকায় উঠেছে জানিয়ে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, পাঁচ বছর আগে পণ্যটির দাম ছিল কেজিপ্রতি ১১০ টাকা। এ হিসাবে আদার দাম কেজিতে ২২৫ টাকা বা ২০৫ শতাংশ বেড়েছে।

আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ টাকায়। আর দেশি পেয়াঁজের দাম ২৭ দশমিক ৫ টাকা থেকে একই সময়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ দশমিক ৫ টাকায়। মানভেদে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১৬৪ থেকে ১৬৭ শতাংশ।

৫২ টাকা কেজি দরের চিনি ১৫২ শতাংশ বেড়ে ১৩০ টাকায় উঠেছে বলে জানিয়েছে সিপিডি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপের বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম মাত্র ৩৯ টাকা। বিশ্বাজার (৫০ টাকা) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের (৯০ টাকা) তুলনায়ও বাংলাদেশে চিনির দাম অনেক বেশি।

৬৩ টাকা লিটারের খোলা পাম তেলের দাম ১০৬ শতাংশ বেড়ে ১৩০ টাকায় উঠেছে বলে প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়েছে। ৬৮ টাকার পাম সুপার তেলের দাম একই হারে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪০ টাকায়।

২০১৯ সালে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া শুকনা মরিচের দাম ১০৫ শতাংশ বেড়ে ৪১০ টাকায় উঠেছে বলে জানিয়েছে সিপিডি। এ সময়ে মোটা দানার মসুর ডালের দাম ৫৫ টাকা থেকে ৯৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে কেজি ১০৮ টাকায়।

পাঁচ বছরে গুড়ো দুধের দাম ব্র্যান্ডভেদে ৪৩ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে সিপিডি। এর মধ্যে ডানো ব্র্যান্ডের দুধের দাম ৫৬৫ টাকা থেকে ৪৩ শতাংশ বেড়ে কেজি দাঁড়িয়েছে ৮১০ টাকায়। আর ফ্রেশ ব্র্যান্ডের দুধের দাম ৪৪০ টাকা থেকে ৮০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯০ টাকা।

এর বাইরে হলুদ গুড়ার দাম পাঁচ বছরে ৭০ শতাংশ, ময়দার দাম ৬০ শতাংশ, বয়লার মুরগির দাম ৫৯ শতাংশ, গরুর মাংসের দাম ৫৮ শতাংশ ও বোতলজাত সয়াবিনের দাম ৫৬ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে সিপিডি।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী পাঁচ বছরে সবচেয়ে কম বেড়েছে রুই মাছের দাম। ২০১৯ সালে ৩১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পণ্যটি এখন বাজারে পাওয়া যায় ৩৪০ টাকা কেজি দরে। এ হিসেবে রুই মাছের দাম কেজিতে ৩০ টাকা বা ১০ শতাংশ বেড়েছে পাঁচ বছরে।

তালিকায় নিচের দিকে থাকা পাইজাম চালের দাম ১৫ শতাংশ, মিনিকেট চালের দাম ১৭ শতাংশ এবং মোটা চাল ও লবণের দাম ৩০ শতাংশ বেড়েছে পাঁচ বছরে।

  ভোট এলো, এলো ভোট

;

চট্টগ্রামে অভিজাত রেস্তোরাঁয় খাওয়ানো হচ্ছিল বাসি খাবার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী এলাকায় অবস্থিত চারটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে প্রতিটিতেই অনিয়ম পেয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রোববার (২ জুন) লা মেনসা, দ্য গোল্ডেন স্পুন, দ্য পিৎজা কো এবং ক্রিমসন কাপ রেস্তোরাঁয় এই অভিযান পরিচালনা করেন নগরীর কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, অভিযান পরিচালনার সময় লা মেনসা রেস্তোরাঁর কিচেনে অস্বাস্থ্যকর ও বাসি খাবার পাওয়া যায়। রেস্তোরাঁটিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইভাবে দ্য গোল্ডেন স্পুন রেস্তোরাঁয়া অবৈধভাবে কেক ও দই উৎপাদন করার অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে নিবন্ধন না থাকায় দ্য পিৎজা কো রেস্তোরাঁকে ৩০ হাজার এবং ক্রিমসন কাপ রেস্তোরাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জরিমানার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ৪ মামলায় চারটি রেস্তোরাঁকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে জেলা প্রশাসনের এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।

অভিযানের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন খুলশী থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্য এবং কাট্টলী সার্কেল ভূমি অফিসের কর্মচারীরা।

  ভোট এলো, এলো ভোট

;