কোথায়, কখন ঈদ জামাত



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতি বছরের মতো এবারও রাজধানীতে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে, সকাল সাড়ে ৮টায়। এছাড়া বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে হবে ঈদের পাঁচটি জামাত।

শনিবার (২২ এপ্রিল) সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমীন

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সুপ্রিম কোর্টের, বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ এ জামাতে অংশ নেবেন।

তবে আবহাওয়া প্রতিকূল হলে বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে ঈদগাহের জামাত না হলে সকাল ৯টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বায়তুল মোকাররমে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। এরপর পর্যায়ক্রমে সকাল ৮টা, ৯টা, ১০টা ও ১০টা ৪৫ মিনিটে। বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমানের ইমামতিতে প্রথম জামাত সকাল ৭টা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতি বছর দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতের আয়োজন হয় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া মাঠে। এবার সেখানে হবে ঈদুল ফিতরের ১৯৬তম জামাত। সকাল ১০টায় এ জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।

ঈদের এই জামাতে যাতায়াতের সুবিধার জন্য বরাবরের মতই শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত আয়োজনে কয়েক বছর ধরে শোলাকিয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যাচ্ছে দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দান।আয়োজকদের দাবি, প্রায় ২২ একর আয়তনের এ মাঠে পাঁচ থেকে ছয় লাখ মানুষ সেখানে একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন। সকাল ৯টায় এ ময়দানে ঈদের জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা শামসুল হক কাসেমী।

ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে সকাল ৮টায় এবং ৯টায় দুটি জামাত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সকাল সাড়ে ৭টায় হবে জমঈয়তে আহলে হাদীসের প্রধান জামাত।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল মসজিদে সকাল ৮টায়, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে সকাল ৮টায় এবং ফজলুল হক মুসলিম হলের পূর্ব পাশের খেলার মাঠে সকাল ৮টায় জামাত হবে।

আজিমপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকার বায়তুন নূর জামে মসজিদে ঈদের জামাত হবে সকাল ৮ টায়।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের জামাত হবে সকাল ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে। আবহাওয়া ভালো না থাকলে বা বৃষ্টি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত তিনটি মসজিদে ঈদ জামাত হবে।

জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ঈদ জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। এছাড়া মগবাজারের বিটিসিএল (সাবেক টিঅ্যান্ডটি) কলোনির জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ছয়টি জামাত হবে। মারকাজুল ফিকরিল ইসলামী (বড় মসজিদ) মসজিদে সকাল ৭টায়, সকাল সোয়া ৭টায় সি ব্লকের উম্মে কুলসুম জামে মসজিদে, সাড়ে ৭টায় এফ ব্লক জামে মসজিদে, ৮টায় জি ব্লকের বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদে ঈদ জামাত হবে। কে ব্লকের মদিনাতুল উলুম মসজিদে সকাল সোয়া ৮টায় এবং এন ব্লকের ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আবদুর রহমান জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত হবে।

ঢাকার ১ হাজার ৪৩৫টি মসজিদ ও ১৮৯টি ঈদগাহে ঈদের জামাত হবে এবার। সে অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ঈদের প্রথম ও প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায় নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে। এখানে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়। লালদীঘিরপাড়স্থ চসিক শাহী জামে মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। এছাড়া চসিকের তত্ত্বাবধানে সকাল ৮টায় সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, হযরত শেখ ফরিদ (র.) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, চকবাজার সিটি করপোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুর বাজার জামে মসজিদ ও মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদে (সাগরিকা জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সংলগ্ন) ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে একটি করে প্রধান ঈদ জামাত এলাকার মসজিদ বা ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির ব্যবস্থাপনায় ঈদের প্রধান জামাত স্টেডিয়ামসংলগ্ন জিমন্যাসিয়াম মাঠে সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে।

রাজশাহী

মহানগরীর হযরত শাহ মখদুম রূপোস (র.) কেন্দ্রীয় ইদগাহ ময়দানে সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদ জামাত অনুষ্ঠানের আগে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-২ আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ মুসল্লিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

বরিশাল

মহানগরীর সাড়ে ৫০০ মসজিদের মধ্যে তিন শতাধিক মসজিদে ঈদের জামাত সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। তবে সকাল ৭টায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে নগরীর মুসলিম গোরস্থান রোডে আঞ্জুমান-ই-হেমায়েত ইসলাম মাঠে। সকাল সাড়ে আটটায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে নগরীর বান্দ রোডে হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায়, উজিরপুরের গুঠিয়া বায়তুল আমান জামে মসজিদ ও নেছারাবাদ দরবার শরিফে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত হবে। বরিশাল নগরীর জামে বায়তুল মোকাররম মসজিদ, জামে এবাদুল্লাহ মসজিদ ও জামে কসাই মসজিদে সকাল ৮টায় ও সাড়ে ৯টায় দুটি করে জামাত হবে। নগরীর দক্ষিণ আলেকান্দার খানবাড়ি জামে মসজিদ, সাগরদী ইসলামিয়া জামে মসজিদ, মল্লিক বাড়ি মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

সিলেট

নগরে প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রীয় শাহী ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায়। শাহী ঈদগাহে মন্ত্রী, সিটি মেয়র, এমপিসহ শীর্ষ জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থেকে সর্বস্তরের মানুষ একসঙ্গে ঈদের জামাত আদায় করবেন। এছাড়া হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার মসজিদ ও হজরত শাহপরাণ (রহ.) মাজার মসজিদ, টিলাগড় মদনী ঈদগাহ, সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে ঈদের জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ঈদের জামাত হবে সকাল ৮টায়। নগরীর কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে ঈদের জামাত হবে তিনটি। এর মধ্যে সকাল সাড়ে ৭টায় প্রথম, সাড়ে ৮টায় দ্বিতীয় ও সাড়ে ৯টায় তৃতীয়টি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া জেলার ছোট বড় ঈদগাহ, পাড়ার মসজিদ মিলিয়ে কয়েক শতাধিক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

রংপুর

মহানগরীতে ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সিটি করপোরেশন, বিভাগীয় প্রশাসন, পুলিশের রংপুর রেঞ্জ, মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারি বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নামাজ আদায় করবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় শীর্ষ নেতাকর্মীসহ প্রায় ২৫ হাজার মানুষ ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করবেন। তবে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে বিকল্প স্থান হিসেবে রংপুর জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে দুই পর্বে সকাল সাড়ে ৮টায় এবং সকাল ৯টায় ওই জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও রংপুর মহানগরীর ৭৫টিসহ জেলার প্রায় এক হাজার ২০০ ঈদগাহ মাঠে জামাত আদায় করবেন মুসল্লিরা।

এদিকে এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৯টায় মহানগরীর দামোদরপুর বড় ময়দান মাঠে এবং গঙ্গাচড়া উপজেলার তালুক হাবু ঈদগাহ মাঠে। এই দুই ঈদগাহে প্রতি বছর অর্ধলাখের বেশি মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন। মহানগরীর মুন্সিপাড়া ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায়, হযরত মাওলানা কেরামত আলী (রহ.) মাজারসংলগ্ন কেরামতিয়া মসজিদে সকাল সাড়ে ৯টায়, মন্ডলপাড়া বড় ঈদগাহ ময়দানে সাড়ে ৯টায়, বড় রংপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায়, মিঠাপুকুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ৯টায়, বদরগঞ্জ চান্দামাড়ি কারামতিয়া ঈদগাহে সকাল ১০টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া পীরগাছা জেএন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, কাউনিয়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, তারাগঞ্জ চৌপথি ঈদগাহ, পীরগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, বদরগঞ্জ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ও সদর উপজেলা পরিষদ ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। রংপুর মেডিকেল কলেজ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায়, গঙ্গাচড়ার পাইকান বড় জুমা মসজিদ মাঠে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ধাপ স্টাফ কোয়ার্টার জামে মসজিদ মাঠে এবং বুড়িরহাট কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। বুড়িরহাট মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়। এদিকে সিটি করপোরেশনের আয়োজনে মহানগরীর ৫০টি ঈদগাহে নামাজ আদায় হবে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত।

খুলনা

ঈদের প্রধান জামাতের আয়োজন করা হয়েছে খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে। নগরীর প্রথম ও প্রধান এ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। প্রতিকূল আবহাওয়া বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও পাড়া-মহল্লার মসজিদগুলোও ঈদ জামাত আয়োজনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সকাল সাড়ে আটটায় খুলনা আলিয়া মাদ্রাসাসংলগ্ন মডেল মসজিদে এবং সকাল ৯টায় খুলনা টাউন জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহের প্রায় দুই হাজার মসজিদ ও ঈদগাহে এবার ঈদুল ফিতরের নামাজ হবে। প্রধান জামাত হবে সকাল ৮টায় আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে। সেখানে দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল পৌনে ৯টায়।

এছাড়া ঐতিহ্যবাহী বড় মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টা এবং সাড়ে ৯টায় দুটি জামাত হবে। আকুয়া মার্কাজ মসজিদে সকাল সোয়া ৭টায়, ময়মনসিংহ মার্কাজ মসজিদ সকাল ৮টায়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায়, ভাটিকাশর জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায়, জেলাখানা মসজিদে সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে হবে ঈদ জামাত।

এছাড়া জেলার ৭৩টি স্থানে বড় পরিসরে ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়েছে এবার।

   

সৌদি পৌঁছেছেন ৩০ হাজার ৮১০ হজযাত্রী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছর হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৩০ হাজার ৮১০ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।

সোমবার (২০ মে) হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

সৌদিতে যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার হাজার ৭৪৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার গেছেন ২৭ হাজার ৬৩ জন।

বাংলাদেশ থেকে ৭৭টি ফ্লাইটে এসব হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৩২টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২৫টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।

এদিকে, সৌদি আরবে হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত দুইজন বাংলাদেশি মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে, গত ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। শেষ হবে ১০ জুন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২০ জুন এবং শেষ হবে ২২ জুলাই।

;

হজের সময় সৌদিতে তাপদাহের আশঙ্কা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হজের আনুষ্ঠাকিতায় হাজিরা, ছবি: সংগৃহীত

হজের আনুষ্ঠাকিতায় হাজিরা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া হজের সময় সৌদি আরবের তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকতে পারে। এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন সৌদি ন্যাশনাল সেন্টার অব মেটিওরোলজির প্রধান আয়মান গোলাম।

আসন্ন হজে উচ্চ তাপমাত্রার জন্য সতর্ক করে প্রস্তুতি গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আয়মান গোলাম বলেছেন যে, এ বছর হজের মৌসুম চলবে জুনের মাঝামাঝিতে। হজের মৌসুম সৌদি আরবে বছরের সবচেয়ে গরম সময়ের সঙ্গে মিলে গেছে।

বছরের এই সময়ে সাধারণত সৌদি আরবে তাপমাত্রা এবং বাতাসের আর্দ্রতা দুটোই অনেক বেশি থাকে। ফলে হজে অংশগ্রহণকারীদের সতর্ক থাকতে অবহিত করা হয়েছে।

জানা গেছে, হজ করতে আসা মুসল্লিদের ওপর তীব্র গরমের প্রভাব কমাতে তাদের বাসস্থানকে পর্যাপ্ত ঠাণ্ডা রাখা হবে হজ আয়োজনকারীদের অন্যতম অগ্রাধিকার। বিশেষ করে মিনা এবং আরাফাতের ময়দানে তাঁবুতে অবস্থান এবং হজের পাঁচতিন চলাচলে বেশি সতর্ক থাকতে হবে।

রোগীদের হজে যাওয়ার ক্ষেত্রে সৌদির নির্দেশনা
যারা দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভুগছেন তাদের হজে যাওয়ার সময় চিকিৎসার নথিপত্র সঙ্গে নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরব। রোগীরা হজে গিয়েও যেন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পান তা নিশ্চিত করতেই এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় জানায়, বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন হয় এমন কোনো রোগে যদি আপনি ভুগে থাকেন এবং বিশেষ ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে চিকিৎসার নথিপত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে ভুলবেন না। যেন সৌদিতে আসার ও যাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পান।

এ ছাড়া বিদেশি হজযাত্রীদের সৌদি আরবে আসার আগেই ‘নেইসেরিয়া মেনিনজিটিডিস’ ভ্যাকসিন নিতে হবে এবং নিজ দেশের দ্বারা ভ্যাকসিন নেওয়ার বিষয়টির প্রমাণপত্র নিতে হবে।

বিদেশি হজযাত্রীদের পোলিও, কোভিড-১৯ এবং ফ্লুয়ের ভ্যাকসিন নেওয়া থাকতে হবে। এতে করে সব হজযাত্রীর স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত হবে। এ ছাড়া সৌদিতে বসবাসরত যারা হজ করতে চান তাদের হজ সংক্রান্ত ভ্যাকসিনগুলো গ্রহণ করতে হবে।

এই ভ্যাকসিন প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে রয়েছে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ হজযাত্রীদের পবিত্র মক্কা নগরীতে হজের জন্য যেতে মন্ত্রণালয়ের সেহাতি অ্যাপে বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধন করতে হবে।

;

হজযাত্রী কমেছে ৩৭ হাজারের বেশি



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হজ ক্যাম্পে প্রবেশ করছেন হাজিরা, ছবি: নূর এ আলম, বার্তা২৪.কম

হজ ক্যাম্পে প্রবেশ করছেন হাজিরা, ছবি: নূর এ আলম, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

হজের খরচ বাড়ায় গত বছরের চেয়ে এবার প্রায় ৩৮ হাজার কমেছে হজযাত্রীর সংখ্যা। করোনা পরবর্তী সময়ে ২০২৩ সালে এক লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন বাংলাদেশি হজপালনে যান। যদিও বাংলাদেশের জন্য হজরে কোটা ছিল এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের। গত বছর হজ কোটার বিপরীতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কম ছিল নিবন্ধন সংখ্যা। যদিও সরকারি-বেসরকারিভাবে হজে যাওয়ার প্রাক-নিবন্ধনের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি।

কিন্তু হজ প্যাকেজের মূল্য বৃদ্ধির দরুণ কয়েক দফা সময় বাড়িয়েও এবার নির্ধারিত কোটা পূরণ হয়নি। অবশেষ ৮৩ হাজার ২০৯ জন চূড়ান্ত নিবন্ধন করেন। তন্মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চার হাজার ৩১৪ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন হজপালন করবেন। আর ব্যবস্থাপনাসহ এবার হজে যাচ্ছেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। সে হিসেবে গত বছরের তুলনায় এবার সারাদেশে হজযাত্রীর সংখ্যা কমেছে ৩৭ হাজার ৭৬৭ জন।

যদিও এখন পর্যন্ত সরকারি মাধ্যমে ২ হাজার ৭৭১ জন ও বেসরকারি মাধ্যমে ৭৮ হাজার ২৭৩ জন যাত্রী হজের জন্য প্রাথমিকভাবে নিবন্ধন করে রেখেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতবারের তুলনায় এবার হজের মূল খরচ বেড়েছে। ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও হজে যাওয়ার আগ্রহ কমেছে মানুষদের মধ্যে। এ কারণে অন্যবারের তুলনায় কমেছে হজযাত্রীর সংখ্যা।

আরও পড়ুন : বদলি হজ কখন করাবেন

হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশনের (হাব) কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেন, হজের ব্যয় এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হজে যাওয়ার মানুষের সংখ্যা কমেছে।

বিষয়টি নিয়ে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) নেতারা হতাশা প্রকাশ করে বলেন, হজ কোটা পূরণ না হওয়ার প্রভাব তাদের ব্যবসায় পড়বে। কাঙ্ক্ষিত সাড়া না পাওয়ায় অনেক ট্রাভেল এজেন্সি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

চলতি বছর একজন বাংলাদেশিকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে গড়ে প্রায় সাত থেকে আট লাখ টাকা খরচ হবে, যা অনেক আগ্রহীকে হজ পালনে নিরুৎসাহিত করেছে। বিমানভাড়া, সৌদি আরবে বাসাভাড়া, মক্কা ও মদিনায় যাতায়াত ব্যয়সহ মোয়াাল্লিম ফি অত্যধিক বৃদ্ধির কারণে মূল হজের খরচ অনেক বেড়ে গেছে।

হাব নেতাদের মতে, আগে মোয়াল্লিমের জন্য নির্ধারিত ফি ছিল এক হাজার থেকে ১২ শ রিয়াল, বর্তমানে তা করা হয়েছে পাঁচ হাজার রিয়াল, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার থেকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা। বিমানভাড়া করা হয়েছে এক লাখ ৯৪ হাজার টাকা। এ ছাড়া সৌদি সরকারের শতকরা ১৫ ভাগ ভ্যাট আরোপ অন্যতম।

তাদের মতে, হজের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের করার কিছু নেই। তবে বিমানভাড়া নির্ধারণ বা ভাড়া কম রাখার বিষয়টি সরকার হস্তক্ষেপ করে হজের খরচ কমানোর ব্যবস্থা করতে পারত।

২০০৯ সালে বাংলাদেশের হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার ৬২৮ জন, যা ২০১৯ সালে বেড়ে হয় ১ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জন। করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২২ সালে হজযাত্রীর সংখ্যা কমে দাড়ায় ৬০ হাজার ১৪৬ জনে।

জিলহজ মাসে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে ৯ মে শুরু হওয়া হজফ্লাইট শেষ হবে ১০ জুন। এই সময়ের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজপালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন।

;

বদলি হজ কখন করাবেন



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মসজিদে হারামের প্রবেশ পথ, ছবি: সংগৃহীত

মসজিদে হারামের প্রবেশ পথ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যস্ততার কারণে কেউ হজে যেতে না পারলে অন্য কাউকে দিয়ে বদলি হজ করানো যাবে না। কারণ এটি শরিয়ত নির্দেশিত অপারগতা নয়। বদলি হজ কেবল শরিয়তের দৃষ্টিতে মক্কায় যেতে অপারগদের জন্য প্রযোজ্য। বদলি হজের বিধান হলো-

হজ ফরজ হওয়ার পর হজ করা হয়নি, এখন শারীরিকভাবে মক্কায় যেতে অক্ষম এমন ব্যক্তির জন্য অন্য কাউকে পাঠিয়ে হজ করা ফরজ। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম

বার্ধক্য বা অসুস্থতা থেকে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কম হতে হবে। -মানাসিক লি-মোল্লা আলি কারি

অসিয়ত না করলেও মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশরা চাইলে তার জন্য বদলি হজ করাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো- ওয়ারিশদের সবার স্বতঃস্ফূর্ত অনুমোদন লাগবে এবং ওয়ারিশদের মধ্যে কেউ অপ্রাপ্তবয়স্ক থাকলে তার ভাগের সম্পদ থেকে কিছুই নেওয়া যাবে না। -আদ দুররুল মুখতার

যার পক্ষ থেকে হজ করা হবে, তাকেই খরচ বহন করতে হবে। অসিয়ত করে গেলে প্রথমে তার রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে ঋণ আদায় করতে হবে। এরপর অসিয়তের বিধান অনুযায়ী বাকি সম্পদ তিন ভাগ করতে হবে। এর মধ্যে এক ভাগ থেকে অসিয়তের অংশ নিতে হবে। হজের অসিয়ত করে গেলে সেই খরচও এই অংশ থেকে নিতে হবে। -মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা

আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের সেবায় সৌদি ঐতিহ্য

বদলি হজের বিনিময়ে মজুরি নেওয়া নাজায়েজ। কারণ ইবাদতের বিনিময়ে কোনো মজুরি নেওয়া যায় না। কেউ দিলে এবং নিলে দুজনেই গোনাহগার হবেন। হজের জন্য প্রয়োজনীয় খরচের বাইরে কোনো ধরনের লেনদেন করা যাবে না। -আল-বাহরুল আমিক

টাকা-পয়সার হিসাবের ঝামেলা এড়ানোর জন্য হজে পাঠানো ব্যক্তি যদি বদলি হজকারীকে বলেন, আপনাকে পুরো টাকা হাদিয়া হিসেবে দিলাম, তাহলে এই টাকা দিয়ে বদলি হজ আদায় হবে না। কারণ হাদিয়া দেওয়ার কারণে বদলি হজকারী ওই টাকার মালিক হয়ে যান। -যুবদাতুল মানাসিক

হজ করেছেন এমন নেককার ব্যক্তিকে বদলি হজের জন্য পাঠানো উত্তম। হজ করেননি এমন ব্যক্তিকে পাঠানো বৈধ। তবে হজ ফরজই হয়নি এমন ব্যক্তিকে পাঠানো মাকরুহে তানজিহি। আর হজ ফরজ হলেও আদায় করেননি এমন ব্যক্তিকে পাঠানো মাকরুহ তাহরিমি তথা নাজায়েজ। -সুনানে আবু দাউদ

;