যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিক সাড়া দিয়েছে ইসরায়েল: হামাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত যে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিল তাতে ইসরায়েল সাড়া দিয়েছে বলে গোষ্ঠীর মুখপাত্র খলিল আল হায়া জানিয়েছেন।

 শনিবার (২৭ এপ্রিল) কাতার থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিবৃতিতে খলিল আল হায়া বলেন, ‘গত ১৩ এপ্রিল মিশর ও কাতারের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পাঠানো যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিকভাবে সাড়া দিয়েছে ইসরায়েল।’

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারের গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যা করে হামাস। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।

জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত ছয় মাস ধরে চলমান সেই অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বেসামরিক লোকজন।

কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করেছিল হামাস-আইডিএফ। সেই বিরতির সময় নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে ১০৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে থেকে ইসরায়েলও ১৫০ জনকে কারাগার থেকে ছেড়ে দিয়েছিল।

ওই বিরতি শেষ হওয়ার পর গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করছিল মধ্যস্থতাকারী তিন দেশ। চলতি বছর রমজান মাস থেকে তা শুরু হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু মূলত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর আপত্তির কারণে তা আর হয়নি। ফলে হামাসের কব্জায় থাকা বাকি ১৩২ জন জিম্মির ভাগ্য কী ঘটেছে তা এখনও অজানা।

কাতার এবং মিশরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তির জন্য প্রথম দফা বিরতির পর ২য় বার যুদ্ধবিরতির জন্য একাধিক বার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে হামাস এবং ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার কাছে। কিন্তু প্রতিটি প্রস্তাবে হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এবং এই দাবির কারণে সেসব প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি ইসরায়েল।

দুই পক্ষের মতানৈক্যের কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসন এবং জিম্মিদের মুক্তির পথ তৈরি করতে বৃহস্পতিবার ইসরায়েল সফরে যায় মিশরের একটি সরকারি প্রতিনিধি দল। এদিকে, ওই দিনই হামাসের কাছে থাকা জিম্মিদের মুক্তির জন্য গোষ্ঠীটির প্রতি আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেয় যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ ১৭টি দেশ।

হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতারা গত ১২ বছর ধরে কাতারে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। সম্প্রতি কাতার ইঙ্গিত দিয়েছে, যদি গাজায় যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে হামাসের ভূমিকা ইতিবাচক না হয়- তাহলে হামাস নেতাদের কাতার ছাড়তে হবে।

বৃহস্পতিবার ১৭টি দেশের চিঠি প্রসঙ্গে প্রাথমিক এক প্রতিক্রিয়ায় হামাস নেতারা বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক চাপের কাছে তারা মাথা নত করবেন না। তবে কয়েক ঘণ্টা পরই তারা ফের বলেন, ‘ফিলিস্তিনের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও অধিকারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ যেকোনো প্রস্তাবকে হামাস স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।’

মিশরের প্রতিনিধিদলের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ১৩ এপ্রিল পাঠানো প্রস্তাবে ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দিতে সম্মতি জানিয়েছে হামাস।

   

‘অস্তিত্বের হুমকিতে পড়লে পরমাণু নীতি পরিবর্তন করতে পারে ইরান’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার (৯ মে) হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ইসরায়েল যদি ইরানকে অস্তিত্বের হুমকিতে ফেলে তাহলে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে মনোনিবেশ করতে পারে তেহরান।

আল জাজিরা জানিয়েছে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা কামাল খাররাজি বলেছেন, ‘আমাদের পারমাণবিক বোমা তৈরির কোনো সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু, ইরানের অস্তিত্ব যদি হুমকির মুখে পড়ে তাহলে আমাদের সামরিক রীতি পরিবর্তন করা ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না।’

তিনি ইরানের স্টুডেন্ট নিউজ নেটওয়ার্ককে বলেছেন, ‘আমাদের পারমাণবিক স্থাপনায় ইহুদিবাদী শাসকদের দ্বারা আক্রমণের ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিরোধের ধরন তখন পরিবর্তিত হবে।

কামাল খাররাজির এই মন্তব্যে পরে ইরান দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি বলে যা দাবি করে আসছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে মত বিশ্লেষকদের।

উল্লেখ্য, খামেনি ২০০০ সালের গোড়ার দিকে একটি ফতোয়া বা ধর্মীয় আদেশে পারমাণবিক অস্ত্রের বিকাশ নিষিদ্ধ করেছিলেন।

কিন্তু ২০২১ সালে ইরানের তৎকালীন গোয়েন্দা মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘পশ্চিমা চাপ ইসলামী প্রজাতন্ত্রকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে প্ররোচিত করতে পারে।’

এরই মধ্যে ইরান ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিশুদ্ধতা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে, যেখানে অস্ত্র-গ্রেড ইউরেনিয়াম প্রায় ৯০ শতাংশ সমৃদ্ধ হয়েছে।

আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সরকারি হিসাব অনুসারে, ইরানের হাতে থাতে পারমাণবিক উপাদান আরও সমৃদ্ধ হলে, এটি দুটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য যথেষ্ট হবে।

প্রসঙ্গত, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাস কম্পাউন্ডে সন্দেহভাজন ইসরায়েলি হামলার পর ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ছায়াযুদ্ধ খোলামেলা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

ওই হামলায় ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) সাত সদস্য নিহত হয়।

জবাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রায় ৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করে প্রতিশোধ নেয় ইরান।

অন্যদিকে, ২০১৭ সাল থেকে সিরিয়ায় ইরান এবং লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুক্ত লক্ষ্যবস্তুতে নিয়মিত আক্রমণ চালাচ্ছে ইসরায়েল।

গত অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ হামলার তীব্রতা আরো বেড়েছে।

;

পশ্চিমা শক্তি বিশ্বজুড়ে সংঘাত সৃষ্টি করছে : পুতিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পশ্চিমা শক্তিকে বিশ্বব্যাপী সংঘাতের ঝুঁকির জন্য অভিযুক্ত করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

আল জাজিরা জানিয়েছে, পশ্চিমা শক্তিকে ‘উগ্র’ বলেও আখ্যায়িত করেছেন তিনি।

পুতিন সতর্ক করে বলেছেন, পরমাণু যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে মস্কো।

রাশিয়ার বিজয় দিবসে মস্কোর রেড স্কয়ারে বৃহস্পতিবার (৯ মে) হাজার হাজার সেনার আনুষ্ঠানিক পোশাকে সজ্জিত হওয়ার আগে একটি প্রতিবাদী বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘পশ্চিমা শক্তি নাৎসিবাদকে পরাজিত করার জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকা ভুলে গেছে এবং এখন তারা বিশ্বজুড়ে সংঘাত সৃষ্টি করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানি এই ধরনের উচ্চাকাঙ্ক্ষার বাড়াবাড়ি কোন দিকে নিয়ে যায়। বৈশ্বিক সংঘর্ষ ঠেকাতে সবকিছু করবে রাশিয়া। তবে একই সঙ্গে আমরা কাউকে আমাদের হুমকি দেওয়ার অনুমতি দেব না। আমাদের কৌশলগত বাহিনী সর্বদা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।’

রাশিয়ার সেনাদের ইউক্রেনে অগ্রসর হওয়ার এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করার পর তিনি পঞ্চম মেয়াদে শপথ নেওয়ার ঠিক পরেই বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে পুতিনের এই ভাষণ আসলো।

এর দুই দিন আগে অনুষ্ঠিত একটি জমকালো অনুষ্ঠানে তিনি রাশিয়ানদের বিজয় এনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

এদিকে, ৭১ বছর বয়সি এই নেতা চলতি সপ্তাহের শুরুতে রাশিয়ার নৌবাহিনী এবং সামরিক বাহিনীকে পারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।

;

তিন দফায় কম ভোট, দুশ্চিন্তায় বিজেপি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লোকসভা নির্বাচনের প্রথম তিন দফাতেই ভোটের হার কম। আর এটিকে অশনি সংকেত দেখছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। বিজেপি শিবিরের আশঙ্কার কারণ, সাম্প্রতিক অতীতে একমাত্র ১৯৯৯ সালের নির্বাচন ছাড়া যতোবারই কম ভোট পড়েছে, প্রতিবারই সরকার বদল হয়েছে।

এবার যে, ২০১৪ সাল ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের মতো ‘মোদি হাওয়া’ বইবে না, তা আগেই টের পেয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব।

এনডিটিভি জানিয়েছে, তার উপরে প্রথম দিন দফায় মোট ২৮৩টি লোকসভা কেন্দ্রেই ভোটের কম হার বিজেপি শিবিরের চিন্তা বাড়িয়েছে।

এদিকে বিজেপি সূত্র বলছে, লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে অর্ধেকের বেশি আসনে ভোটগ্রহণ হয়ে গেছে। এই ২৮৩টি আসনের মধ্যে এনডিএ খুব বেশি হলে ১৫০ আসনে জিততে পারে। ফলে, চারশো পার করার সম্ভাবনা এখনও দূরের স্বপ্ন।

অন্যদিকে কংগ্রেস দাবি করেছে, প্রথম দুই দফার ভোটের মতো তৃতীয় দফায় ভোট হওয়া ৯৩টি আসনের সিংহভাগ আসন ‘ইন্ডিয়া’ জোট পেতে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) তেলঙ্গানায় নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন, তিন দফায় ভোটের পরে ইন্ডিয়া জোটের ফিউজ উড়ে গেছে। বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ জয়ের দিকে এগোচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

কিন্তু বিজেপি সূত্র বলছে, তৃতীয় দফায় যে ৯৩টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে, তার মধ্যে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে ভোটের হার কিছুটা বাড়লেও বিহারে ভোটের হার কমেছে। এই ৯৩টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি তথা এনডিএ ৭১টি আসনে জিতেছিল।

এক্ষেত্রে বিজেপি সূত্রের বক্তব্য, ১৯৯১ সালে যখন নরসীমা রাও সরকার ক্ষমতায় আসে, তার আগে ১৯৮৯ সালে যখন বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহের সরকার ক্ষমতায় এসেছিল, প্রতিবারই ভোটের হার কম ছিল।

একমাত্র ১৯৯৯ সালে বাজপেয়ী সরকার যখন ১৩ মাস ক্ষমতায় থাকার পরে ফের ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসে, তখন ভোটের হার বেশি ছিল। ২০১৪ সাল ও ২০১৯ সালেও যথেষ্ট ভোট পড়েছিল। কিন্তু, সেবার নরেন্দ্র মোদির পক্ষে প্রবল হাওয়া ছিল। এবার তা নেই। তার বদলে নির্বাচনে স্থানীয় বিষয় উঠে আসছে।

কংগ্রেসের সাংগঠনিক সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল বলেছেন, তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণের পরে সসব আসন থেকে যে রিপোর্ট আসছে, তাতে স্পষ্ট, বিজেপি ঐতিহাসিক হারের মুখে পড়তে চলেছে। প্রথম দুই দফায় ভোটের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটির ভুয়ো জিনিসপত্র নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছেন।

বেণুগোপাল আরও বলেন, ‘এ সবই মোদির মরিয়া ভাবের প্রমাণ। উনি দেখতে পাচ্ছেন, পায়ের তলা থেকে জমি সরে যাচ্ছে। এর পরে উনি আরও মিথ্যে বলবেন। বিদ্বেষ ছড়াবেন। ইন্ডিয়া পক্ষে ঢেউ উঠছে।’

বিজেপি অবশ্য আশা করছে, এখনও চতৃর্থ দফার ভোটগ্রহণ বাকি। মোদির পক্ষে হাওয়া ওঠার সময় এখনও রয়েছে।

;

যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুমকি খুবই হতাশাজনক : ইসরায়েল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, গাজার জনাকীর্ণ রাফাহ শহরে হামলা চালানো হলে ইসরায়েলকে কিছু অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের যে হুমকি যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে, তা খুবই হতাশাজনক।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হুমকির পর ইসরায়েলের এই প্রথম প্রতিক্রিয়ায় গিলাদ এরদান ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারকেন্দ্র কান রেডিওকে বলেন, ‘এরকম কথা এমন একজন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে শোনা কঠিন ও হতাশাজনক। তিনি সেই ব্যক্তি যার কাছে আমরা যুদ্ধের শুরু থেকে কৃতজ্ঞ ছিলাম।’

উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রকাশ্যে সতর্ক করে বলেছেন, রাফাহতে হামলা চালানো হলে তিনি ইসরায়েলকে কামানের গোলা ও ভারী বোমা সরবরাহ বন্ধ করে দেবেন।

সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বুধবার (৮ মে) বাইডেন বলেছেন, যদি ‘ইসরায়েল রাফাহতে অভিযান চালাতে যায়, তাহলে সেখানে ব্যবহারের জন্যে আমি অস্ত্র সরবরাহ করতে পারি না।’

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মঙ্গলবার (৭ মে) রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা গত সপ্তাহে অস্ত্রের একটি চালান স্থগিত করেছি। ওই চালানে ২,০০০ পাউন্ড ওজনের ১,৮০০টি এবং ৫০০-পাউন্ড ওজনের ১,৭০০টি বোমা রয়েছে।’

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা কীভাবে এই চালান নিয়ে এগিয়ে যাবো সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি।’

ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বিকল্প নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তবে ওই আলোচনা এখনো চলছে এবং আমাদের উদ্বেগগুলো পুরোপুরি সমাধান করেনি তেল আবিব।’

তিনি বলেন,‘যেহেতু ইসরায়েলি নেতারা এই ধরনের অভিযানের বিষয়ে সিদ্ধান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, সে কারণে আমরা বিশেষ অস্ত্রের প্রস্তাবিত চালান স্থানান্তরের বিষয়টি সাবধানে পর্যালোচনা করতে শুরু করেছি। এসব অস্ত্র ইসরায়েল রাফাহতে ব্যবহার করতে পারে।’

মার্কিন কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সবচেয়ে ভারী ২,০০০-পাউন্ডের এসব বোমা ব্যবহারের উপর বিশেষভাবে সতর্ক ওয়াশিংটন এবং ব্যাপক জনঘনত্বের এই শহরে এসব বোমা ভয়ংকর প্রভাব ফেলতে পারে, যেমনটি আমরা গাজার অন্যান্য অংশে দেখেছি।’

তিনি বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এখনও ‘জেডিএএম’ নামে পরিচিত নির্ভুল বোমা কিট ব্যবহারসহ অন্যান্য অস্ত্র হস্তান্তর পর্যালোচনা করছে।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাফাহ শহরে ট্যাংক পাঠিয়ে মিশরের সঙ্গে সীমান্ত ক্রসিং দখল করে নিয়েছে ইসরায়েল। তবে হোয়াইট হাউস এর আগে বলেছিল, ‘ইসরায়েল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, এটি হবে একটি সীমিত অভিযান।’

;