‘অস্তিত্বের হুমকিতে পড়লে পরমাণু নীতি পরিবর্তন করতে পারে ইরান’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার (৯ মে) হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ইসরায়েল যদি ইরানকে অস্তিত্বের হুমকিতে ফেলে তাহলে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে মনোনিবেশ করতে পারে তেহরান।

আল জাজিরা জানিয়েছে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা কামাল খাররাজি বলেছেন, ‘আমাদের পারমাণবিক বোমা তৈরির কোনো সিদ্ধান্ত নেই। কিন্তু, ইরানের অস্তিত্ব যদি হুমকির মুখে পড়ে তাহলে আমাদের সামরিক রীতি পরিবর্তন করা ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না।’

তিনি ইরানের স্টুডেন্ট নিউজ নেটওয়ার্ককে বলেছেন, ‘আমাদের পারমাণবিক স্থাপনায় ইহুদিবাদী শাসকদের দ্বারা আক্রমণের ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিরোধের ধরন তখন পরিবর্তিত হবে।

কামাল খাররাজির এই মন্তব্যে পরে ইরান দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি বলে যা দাবি করে আসছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে মত বিশ্লেষকদের।

উল্লেখ্য, খামেনি ২০০০ সালের গোড়ার দিকে একটি ফতোয়া বা ধর্মীয় আদেশে পারমাণবিক অস্ত্রের বিকাশ নিষিদ্ধ করেছিলেন।

কিন্তু ২০২১ সালে ইরানের তৎকালীন গোয়েন্দা মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘পশ্চিমা চাপ ইসলামী প্রজাতন্ত্রকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে প্ররোচিত করতে পারে।’

এরই মধ্যে ইরান ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিশুদ্ধতা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে, যেখানে অস্ত্র-গ্রেড ইউরেনিয়াম প্রায় ৯০ শতাংশ সমৃদ্ধ হয়েছে।

আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সরকারি হিসাব অনুসারে, ইরানের হাতে থাতে পারমাণবিক উপাদান আরও সমৃদ্ধ হলে, এটি দুটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য যথেষ্ট হবে।

প্রসঙ্গত, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাস কম্পাউন্ডে সন্দেহভাজন ইসরায়েলি হামলার পর ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ছায়াযুদ্ধ খোলামেলা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

ওই হামলায় ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) সাত সদস্য নিহত হয়।

জবাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রায় ৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করে প্রতিশোধ নেয় ইরান।

অন্যদিকে, ২০১৭ সাল থেকে সিরিয়ায় ইরান এবং লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুক্ত লক্ষ্যবস্তুতে নিয়মিত আক্রমণ চালাচ্ছে ইসরায়েল।

গত অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ হামলার তীব্রতা আরো বেড়েছে।

   

ইরানে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাগেরি কানি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ানের মৃত্যুতে উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাগেরি কানিকে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছে ইরানের মন্ত্রিপরিষদ। 

সোমবার (২০ মে) ইরান সরকারের মুখপাত্র আলি বাহাদোরি জাহরোমি এ ঘোষণা দেন। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান সরকারের তিনটি শাখা- নির্বাহী, লেজিসলেটিভ এবং বিচার বিভাগের সঙ্গে মিটিংয়ের পর এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে আলি বাগেরি উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি নিহত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানের স্থলাভিষিক্ত হলেন। আলি বাগেরি ২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের ডেপুটি সেক্রেটারি ছিলেন।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানের বিশ্বস্থ সহচর ছিলেন আলি বাগেরি। সম্প্রতি ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা মোকাবিলায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

এদিকে কাছাকাছি সময়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবারকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পালনে নিযুক্ত করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।

অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, কোনোরকম বিঘ্ন ছাড়াই প্রেসিডেন্ট রাইসির দেখানো পথ অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করা হবে।

উল্লেখ্য, দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর সোমবার ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মেলে। ওই হেলিকপ্টারে থাকা প্রেসিডেন্ট রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতিসহ সব আরোহীর মৃত্যু হয়েছে।

;

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুদ্ধাপরাধের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান প্রসিকিউটর ব্রিটিশ আইনজীবী করিম আহমেদ খান কিউসি।

সোমবার (২০ মে) দ্য হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তিনি এই আবেদন করেন। খবর: বিবিসির।

করিম খান বলেন, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও হামাস নেতারা গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী।

আইসিসি গত তিন বছর ধরে অধিকৃত ফিলিস্তিন অঞ্চলে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডের তদন্ত করে আসছে। সাম্প্রতিককালে হামাসের কর্মকাণ্ডও তদন্ত করেছে এই সংস্থাটি।

নেতানিয়াহু সম্প্রতি ইসরায়েলের সিনিয়র ব্যক্তিদের আইসিসির ওয়ান্টেড তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনাকে ‘ঐতিহাসিক ক্ষোভ’ বলে অভিহিত করেছেন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজার শাসক দল হামাস। এতে এক হাজার তিন শ ইসরায়েলি নিহত ও তিন হাজার ৪০০ জন আহত হয়। ওই হামলার জবাবে গাজায় বোমাবৃষ্টি অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। দেশটির ছোড়া গোলায় বিপুলসংখ্যক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।

হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রায় ১৩ হাজার শিশুসহ মোট ৩০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।

এদিকে হামাসের হাতে জিম্মিদের মধ্যে ১৩০ জন এখনো গাজায় আছেন এবং ৩১ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

;

রাইসির জানাজা আগামীকাল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির জানাজা আগামীকাল মঙ্গলবার (২১ মে) তাবরিজে অনুষ্ঠিত হবে। 

সংবাদমাধ্যম তাসনিমের দেশটির ইসলামিক রেভল্যুশানি গার্ডস্ কর্পসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। গতকাল তাবরিজের উদ্দেশেই রওয়ানা করেছিলেন রাইসি ও তার সফরসঙ্গীরা।

ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে তাসনিম আরও জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি তার নিহত সফরসঙ্গীদের জানাজা হবে সেখানে। তার আগে, মরদেহগুলো তাবরিজের ফরেনসিক বিভাগে রাখা হবে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি এক আনুষ্ঠানিক বিৃবতিতে প্রেসিডেন্ট রাইসির স্মরণে পাঁচদিনের শোক ঘোষণা করেছেন।



;

রাইসির মৃত্যুতে ইসরায়েলি নেতাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন কয়েকজন ইহুদি ধর্মীয় নেতা। তার এই মৃত্যু ‘ঈশ্বরের পক্ষ থেকে শাস্তি’ বলেও বিশ্বাস তাদের। ব্যক্তিগত বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ায় তারা রাইসির কঠোর সমালোচনা করেন।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় রাইসির মৃত্যুর পর ইসরায়েল সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বললেও ইহুদি ধর্মীয় নেতারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সমালোচনামূলক পোস্ট করেছেন। সেসব পোস্টে রাইসির প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন তারা।

রাইসিকে ‘তেহরানের জল্লাদ’ উল্লেখ করে রাবি মেইর আবুতবুল এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, এই হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনা ঐশ্বরিক শাস্তি। খুব নোংরা ভাষায় আবুতবুল লেখেন, সে ইহুদিদের ঝুলাতে চেয়েছিল, তাই ঈশ্বর তাকে এবং তার সঙ্গে থাকা ইসরায়েল বিরোধী ক্রুকে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত করে বাতাসে বিক্ষিপ্ত করে দিয়েছেন। ইসরায়েল ও ইহুদিদের প্রতি রাইসির মনোভাবের কঠোর নিন্দা জানান আবুতবুল।

ইরানের সদ্য প্রয়াত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে রাবি নির বেন আর্টজিও এক ফেসবুক পোস্টে এই রাবি লেখেন, নিজের প্রতি জুলুম করো না, ঈশ্বর বলেছেন, যথেষ্ট হয়েছে। আপনি ঈশ্বরকে রাগান্তিত করেছেন। রাইসি ও তার প্রশাসনের পদক্ষেপের দিকে ইঙ্গিত করে এমন মন্তব্য করেন বেন আর্টজি। এ ঘটনাকে ঈশ্বরের অসন্তোষ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

ইহুদি আরেক ধর্মীয় নেতা রাবি ইৎজ-চাক বাৎজরি রাইসিকে ফেরাউনের দোসর হামানের সঙ্গে তুলনা করেছেন। রাইসির মৃত্যুর খবর আসার আগে বাৎজরি ফেসবুকে এক পোস্টে লেখেন, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে দুষ্টু হামান। নিজের পোস্টে বাইবেলের একটি লাইনও জুড়ে দেন এই রাবি।

উল্লেখ্য, ঘন কুয়াশার কারণে রোববার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। ইরানের উত্তরাঞ্চলে মর্মান্তিক ওই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় রাইসিসহ আরোহী ৯ জনের কেউ প্রাণে বাঁচেননি। সফরসঙ্গীসহ রাইসি নিহত হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বিশ্বের বিভিন্ন নেতারা শোক প্রকাশ করছেন। তার বিপরীতের ইহুদি ধর্মীয় নেতারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সিনেটর নেতাও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

;