প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে ফেঁসে যাচ্ছেন তিতাস গ্যাস এমডি!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠি

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠি

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলভার নিট কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডে (গাজীপুর) গ্যাস সংযোগে প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙানোর দায়ে ফেঁসে যেতে পারেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাহ।

সিলভার নিট কম্পোজিটের নতুন গ্যাস সংযোগে আবেদনের ওপর তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ মোল্লাহ লিখেছেন, মন্ত্রী মহোদয়ের অফিস হতে প্রেরিত আলাপ করবেন। যেহেতু বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠেছে ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রধানমন্ত্রীকেই ইঙ্গিত করেছেন। যথারীতি ওই নোটের প্রেক্ষিতে গ্যাস সংযোগটি প্রদান করা হয়েছে।

আর এই বিষয়টি নজরে আসায় তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তদন্তের নির্দেশনা নয়, যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে অবহিত করার জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগকে বলা হয়েছে।


গত ২৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রেরিত ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন পরিচালক-১১ রুপালী মন্ডল। চিঠির ‘বিষয়: বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী) নাম ব্যবহার করে উৎকোচ গ্রহণ করত: শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাসের সংযোগ প্রদানসহ নানাবিধ অনিয়মের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, উল্লেখিত বিষয়ে সূত্রোস্থ পত্র ও সংযুক্তিসমুহের ছায়ালিপি এতদসঙ্গে পেরণ করা হলো। পত্রে বর্ণিত বিষয়াদি পরীক্ষান্তে বিধি মোতাবেক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েকে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব বরাবরে আ. লতিফ কর্তৃক স্বব্যাখ্যাত অভিযোগ পত্র।

খনিজ সম্পদ বিভাগ ওই নির্দেশনার পাওয়ার পর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে অভিযোগ তদন্তপূর্বক এক মাসের মধ্যে মতামতসহ প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে। সংযুক্তি দেওয়া হয়েছে একটি অভিযোগপত্র, কয়েকটি চেকের ফটোকপিসহ ৪০টি পৃষ্ঠার একটি নথি।

ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, সিলভার নিট কম্পোজিট নামক একটি প্রতিষ্ঠানের আবেদনে লিখিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মন্ত্রী মহোদয়ের অফিস হতে প্রেরিত আলাপ করবেন। আবেদনে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শেখ হাসিনা, কিংবা প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের দফতরের কারো কোন স্বাক্ষর কিংবা সুপারিশ নেই। শুধুমাত্র উৎকোচ গ্রহণ করে নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে প্রায় ৬ মাসের পুরনো একটি আবেদন সংযুক্ত করে দু’টি প্রতিষ্ঠানের ফাইল দ্রুততার সঙ্গে পাস করিয়ে নেওয়া হয়। জ্বালানি খাতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে তিতাস গ্যাসের মতো জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর রেফারেন্স ব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্থের বিনিময়ে রাতারাতি দু’টি নথি পাস করিয়ে নিয়েছেন।

ওই নোটসহ অগ্রগামী করেছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এ ধরনের একটি স্পর্শকাতর জায়গার রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে, অথচ সেই রেফারেন্স কোন যাচাই-বাছাই না করেই অনুমোদন দেওয়াকে পুরো যোগসাজস মনে করছেন অনেকেই।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়

অভিযোগে, তিতাস গ্যাসের আরও নানা রকম অনিয়মের কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বর্তমান এমডি যোগদান করার পর থেকে সিস্টেম লস বেড়ে গেছে। আগে যেখানে ৫ থেকে ৬ শতাংশ সিস্টেম লস ছিল, এখন সেখানে ৮ থেকে ৯ শতাংশ দেখানো হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে সিস্টেম লস ১২ থেকে ১৩ শতাংশ হবে। ৫৮ বছরের ইতিহাসে তিতাস গ্যাস এবারই প্রথম লোকসানের স্বীকার হয়েছে। হারুনুর রশীদ মোল্লাহ যোগদানের পূর্বে তিতাসের ক্রমপুঁঞ্জিভূত বকেয়ার পরিমাণ ছিল ৬ হাজার কোটি টাকা, এখন সেই বকেয়া ৯ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

কোম্পানি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যতীত (এমডি মালিক পক্ষ হিসেবে বিবেচিত) সকল কর্মচারীগণ প্রফিট বোনাস ৫ শতাংশ অর্থ সমহারে পাবেন। অথচ বর্তমান এমডি লভ্যাংশের অর্থ নিয়মিত গ্রহণ করছেন। ওই টাকা তার ব্যক্তিগত হিসাব নম্বরে গ্রহণ করেন না। কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নামে চেক ইস্যু করে নগদ টাকা গ্রহণ করে থাকেন। এ সংক্রান্ত কয়েকটি চেকের ফটোকপি জুড়ে দেওয়া হয়েছে অভিযোগপত্রে।

বর্তমানে গ্যাস সংযোগ সংক্রান্ত ৩ শতাধিক কোম্পানির আবেদন ঝুঁলে থাকলেও বেছে বেছে সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে ঠিকাদার জিসান পাটোয়ারীর নাম। তার কাছে গেলেই সংযোগ নিশ্চিত। এমনকি ৩ দিনের গ্যাস সংযোগ অনুমোদন করার অনেক নজির সৃষ্টি রয়েছে। বহুল আলোচিত আলী এন্টারপ্রাইজের ওই ঠিকাদারের সঙ্গে এমডির দহরম-মহরম চোখে পড়ার মতো। তার সঙ্গে প্রায় প্রত্যেক কার্যদিবসে রূদ্ধদ্বার বৈঠক করেন এমডি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সন্ধ্যার পর এমডির কক্ষে ওই বৈঠকগুলো অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। সে সময়ে এমডির কক্ষে কারো প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় না। এছাড়া আউটসোর্সিংয়ে লোকবল নিয়োগে দুর্নীতি, একাধিক গাড়ির অপব্যবহারসহ অনেকগুলো অভিযোগ আনা হয়েছে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের তদন্তের নির্দেশ সংক্রান্ত চিঠি পেট্রোবাংলায় পৌঁছার তথ্য নিশ্চিত করেছেন পরিচালক (প্রশাসন) আলতাফ হোসেন। এর বেশি কোন তথ্য জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ মোল্লাহ বার্তা২৪কম-কে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠির বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।

তিনি বলেন, আমাকে চেয়ার থেকে সরাতে একটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। তারা নানা রকম মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙানোর প্রশ্নই আসে না। তিতাসের কিছু অসাধু কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় একটি গ্রুপ নাখোশ হয়েছে। তারাই ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে।

প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ মোল্লাহ ২০২১ সালে প্রথম এক বছরের চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ পান। চুক্তির মেয়ার শেষ হলে দ্বিতীয় দফায় আরও এক বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় দেড় মাস আগেই জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ তাকে আবারও এক বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে গ্যাস সংযোগ, তদন্তের নির্দেশ

   

ফের রেমিট্যান্স আহরণে শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
-ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি

-ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি

  • Font increase
  • Font Decrease

অতীতের অপ্রতিদ্বন্ধী অবস্থান ধরে রেখে চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে সর্বাধিক রেমিট্যান্স আহরণ করেছে ইসলামী ব্যাংক। একক ব্যাংক হিসেবে আবারও সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আহরণের দৃষ্টান্ত গড়ল ব্যাংকটি। রবিবার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে জানা যায়, ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ৪৬ কোটি ৫০ লাখ ৫০ হাজার ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় পাঁচ হাজার ১১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা (প্র‌তি ডলার ১১০ টাকা হিসাবে)। দেশের অন্য কোনো ব্যাংক এর ধারেকাছেও নেই পৌছাতে পারেনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে জানা যাচ্ছে, চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার ইউএস ডলার। বাংলাদেশের মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৮ হাজার ৪৯০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স আসে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কো‌টি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

এই তালিকায় পরের অবস্থান ব্র্যাক ব্যাংকের। এই ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ৫৬ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়া সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ১৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে আট কোটি ৯৮ লাখ ডলার এবং জনতা ব্যাংকের সাত কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাপ্তাহিক হিসাবে দেখা যায়, ১ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ডলার, ৬ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার, ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং ২০ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

বাংলাদেশের প্রবাসীদের অধিকাংশই কর্মরত মধ্যপ্রাচ্যে। রেমিটেন্সের সবচেয়ে বড় এই উৎসটি পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছে ইসলামী ব্যাংক। যদিও পূর্বে এসব দেশ থেকে বাংলাদেশে আগে টাকা পাঠানোর সহজ, নিরাপদ ও দ্রুত উপায় না থাকায় প্রবাসীগণ অবৈধ উপায়ে প্রিয়জনদের কাছে অর্থ পাঠিয়ে অনেক সময় প্রতারিত হত। ইসলামী ব্যাংক প্রবাসীদের সাথে নিয়মিত মতবিনিময় সভা ও বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মানুষকে বৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠাতে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করে।

ইসলামী ব্যাংক প্রবাসীদের রেমিট্যান্স আহরণ ও প্রবাসীদের সেবায় বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে আসছে, যার ফলশ্রুতিতে প্রবাসীরাও আস্থা রেখেছে ব্যাংকটির প্রতি। বর্তমানে ব্যাংকের প্রতিনিধির সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, জর্ডান, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসীদের সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। গত চার দশকে ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি ইসলামী ব্যাংক খাত দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। দেশব্যাপী বিনিয়োগ বহুমুখীকরণের মাধ্যমে সরাসরি ইসলামী ব্যাংকগুলো প্রায় ১ দশমিক ২০ কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। প্রতি বছর ইসলামী ব্যাংকগুলো রাষ্ট্রীয় কোষাগারে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা করছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ইসলামী ব্যাংকগুলো করপোরেট ট্যাক্স, অগ্রিম আয়কর, ভ্যাট, আবগারি শুল্ক ইত্যাদির আকারে প্রায় ৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করেছে। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিকাশে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। এ পর্যন্ত আইবিবিএল এককভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ১২.৫০ বিলিয়ন ডলার জমা করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে।

যুক্তরাজ্যের ব্যাংকিং বিষয়ক বিখ্যাত ম্যাগাজিন ‘দি ব্যাংকার’-এর মূল্যায়নে ইসলামী ব্যাংক ২০১২ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০০০ ব্যাংকের তালিকায় বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাংকরূপে স্থান পেয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় টানা ১২ বার ইসলামী ব্যাংক বিশ্বের শীর্ষ ব্যাংকের তালিকায় রয়েছে। বিশ্বসেরা ইসলামিক ব্যাংক সিবাফি অ্যাওয়ার্ডসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অসংখ্য মর্যাদাপূর্ণ অর্জন রয়েছে এই ব্যাংকটির।

;

মোংলা বন্দরে কন্টেইনারবাহী জাহাজ আসার নতুন রেকর্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

এক মাসে ৮টি কন্টেইনারবাহী জাহাজ ভিড়িয়ে নতুন রেকর্ড করেছে মোংলা বন্দর।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সর্বশেষ এই বন্দরে মার্কস লাইনের ১শ ৮৬ মিটারের লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী 'মার্কস হাই পং' কন্টেইনারবাহী জাহাজ আসে। আর এতেই মোংলা বন্দরের জেটিতে কন্টেইনার আসার সর্বোচ্চ রেকর্ড অর্জন করে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দরটি।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক মো. মাকরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এক মাসে সর্বোচ্চ কন্টেইনার জাহাজ আসায় নতুন মাইলফলক তৈরি হলো। চলতি মাসে সর্বোচ্চ ৮টি কন্টেইনার জাহাজে ১ হাজার ৮শ ৭৫ টিইইউজ কন্টেইনারজাত মালামাল আমদানি-রফতানি করা হয়েছে।

এসব বাণিজ্যিক জাহাজের মাধ্যমে ফেব্রিকস, মেশিনারি, আপেল, ট্রাই-সাইকেল পার্টস, ইলেকট্রিক্যাল গুডস, হোয়াইট ক্লিংকার, ফার্টিলাইজার, ক্যালসিয়াম কার্বোনেট, কপার ক্যাথোডস ইত্যাদি আমদানি এবং জুট, জুট গুডস, সিরিমপস, কার্বস, হোয়াইট ফিস, ক্লে টাইলস, ড্রাইড ফিস, মেশিনারি, গার্মেন্টস প্রোডাক্টস, কটন ইয়ার্ন ইত্যাদি রফতানি করা হয়েছে।

মাকরুজ্জামান বলেন, চলতি এপ্রিল মাসে মোংলা বন্দরের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর জেটিতে সিঙ্গাপুর পতাকাবাহী 'কোটা টেনেগা' এবং এমভি 'কোটা রানচাক' 'এমভি মার্কস ভিলাডিভসটক' 'এমভি মার্কস কুইনজু' 'এমভি মার্কস চট্টগ্রাম', 'এমভি মার্কস ঢাকা' বন্দরের বিভিন্ন জেটিতে নোঙর করে। বর্তমানে বন্দর জেটিতে গড়ে প্রতি সপ্তাহে দুটি করে কন্টেইনার জাহাজ আসছে।

মোংলা বন্দরে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এবং বন্দরে আধুনিক কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ইকুইপমেন্ট সংযোজনের ফলে জেটি থেকে দ্রুততার সঙ্গে অল্প সময়ের মধ্যে কন্টেইনার খালাস বোঝাই সম্ভব হচ্ছে। একই সঙ্গে গিয়ারলেস জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় কন্টেইনারবাহী জাহাজ আসা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বন্দর ব্যবহারকারীদের মোংলা বন্দরের প্রতি আস্থা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের সময় এবং অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে।

এছাড়া বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে মোংলা বন্দর বদ্ধপরিকর।

বন্দরকে আধুনিক ও বিশ্বমানের ‘স্মার্ট বন্দর’ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ কাজ করে যাচ্ছে বলেও বলেন বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা মো. মাকরুজ্জামান।

 

;

আইএবি অ্যাওয়ার্ডসের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ স্থপতি ইনসটিটিউটের (আইএবি) সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘আইএবি গোল্ড মেডেল-২০২৩’ আইএবি অ্যাওয়ার্ডস এবং ‘আইএবি ইন্টেরিওর ডিজাইন অ্যাওয়ার্ডস-২০২৩’ এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকার একটি হোটেলে স্বনামধন্য ও প্রথিতযশা পেশাজীবী ও গবেষক স্থপতিদের উপস্থিতিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আইএবি অ্যাওয়ার্ডস বিজয়ীরা হলেন- পিএমজি গ্যালারি তেজগাঁও প্রকল্পের জন্য ‘রিটেইল’ ক্যাটাগরিতে মাহমুদুল আনোয়ার রিয়াদ, মামুন মোরশেদ চৌধুরী, ড্যানিয়েল হক এবং মাজহার উদ্দিন আহমেদ। সাইরু হিল রিসোর্ট, বান্দরবান প্রকল্পের জন্য হসপিটালিটি অ্যান্ড হেলথ কেয়ার ক্যাটাগরিতে মুস্তফা আমিন, মো. কায়সার হোসাইন, কাজী মেফতাউল আরেফিন, আদনান ফেরদৌস হক এবং মাহমুদ হোসাইন।

‘থার্মাল কমফোর্ট গাইডলাইন্স ফর প্রোডাকশন স্পেস উইথইন মাল্টিস্টোরি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিজ লোকেটেড ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের গবেষণার জন্য ‘রিসার্চ’ ক্যাটাগরিতে মো. মোহতাজ হোসাইন। ‘ফিফটি ইয়ারস অব আর্কিটেকচার ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণার জন্য ‘পাবলিকেশন’ ক্যাটাগরিতে নাসরিন হুসাইন এবং মাহমুদুল আনোয়ার রিয়াদ।

এছাড়া ‘কনজার্ভেশন অ্যান্ড রিভাইটালাইজেশন’ ক্যাটাগরিতে দুটি প্রকল্পকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। ‘কনজার্ভেশন অব বারো সরদার বাড়ি, সোনারগাঁ’ প্রকল্পের জন্য অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীরা হলেন- আবু সাঈদ এ আহমেদ, মো. সারোয়ার হোসাইন, মো. খালেদ শামস খান এবং মো. মাশরুর মামুন হোসাইন। ‘মীর মঞ্চিল, মোহাম্মদপুর, ঢাকা’ প্রজেক্টের জন্য অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন নাঈম আহমেদ কিবরিয়া, এশিয়া করিম, মোহাম্মদ মাহমুদুল ইসলাম এবং মো. বাপ্পারাজ চৌধুরী।

বাস্থই’র সভাপতি প্রফেসর ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ বলেন, দেশের স্থাপত্যধারা সমৃদ্ধ করতে স্থপতিরা অসামান্য ভূমিকা রাখছেন। তাদের কল্পনাশক্তি ও কারিগরি জ্ঞানের মাধ্যমে এই খাতের টেকসই উন্নয়ন ঘটিয়ে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, তাই স্থপতিদের অনুপ্রেরণা দিতে আইএবি বাংলাদেশ এর স্থাপত্য জগতের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ অ্যাওয়ার্ডসের প্রচলন করেছে। আমরা আরও নানামুখী কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের মেধাবী স্থপতিদের পাশে এবং পেশা চর্চাকে জনস্বার্থে এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধ পরিকর।

বাস্থই’র সাধারণ সম্পাদক স্থপতি নবী নেওয়াজ খান বলেন, আইএবি অ্যাওয়ার্ডস সে সকল স্বপ্নদ্রষ্টা স্থপতিদের উৎসাহিত করেছে, যারা তাদের প্রকল্পগুলোতে সৃজনশীল আর নান্দনিকতার পাশাপাশি টেকসই উদ্ভাবনের মাধ্যমে স্থাপত্যশিল্পকে ক্রমান্বয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে নির্মাণকাঠামোগত পরিবেশকে প্রভাবিত করছেন। আইএবি ইন্টেরিয়র ডিজাইন অ্যাওয়ার্ডস ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের অসামান্য প্রতিভা এবং কারিগরি নৈপুণ্য প্রদর্শনের মাধ্যমে নান্দনিক আবেদন এবং কার্যকারিতার নতুন মাত্রাকে স্বীকৃতি প্রদান করছে।

এশিয়ান পেইন্টসের কান্ট্রি হেড বুধাদিত্য মুখার্জি বলেন, আমাদের আশপাশে সবচেয়ে সৌন্দর্যমণ্ডিত ও বাসযোগ্য আবাসস্থল গড়ে তোলার জন্য স্থপতিরা অবদান রাখছেন। তাদের সৃজনশীল ও অভিনব কাজের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে আইএবি অ্যাওয়ার্ডস। ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের এ সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ডস প্রদান উদ্যোগে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে আমরা গর্বিত।

তিনি বলেন, উপযুক্ত প্রযুক্তি ও কল্পনার মিশেলে আমাদের আবাসস্থলগুলোর সৌন্দর্যবর্ধনে প্রতিনিয়ত ভূমিকা রেখে চলেছে এশিয়ান পেইন্টস। ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।

স্থপতিদের দেওয়া আইএবির সর্বোচ্চ পুরস্কার হচ্ছে- আইএবি গোল্ড মেডেল, যেটি প্রতি দুই বছরে স্থপতিদের তাদের সমগ্রজীবনে স্থাপত্যকলায় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ দিয়ে থাকে।

এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড এ আয়োজনের এক্সক্লুসিভ পার্টনার। একটি বাসযোগ্য ও নান্দনিক আবাসস্থল গড়ে তুলতে স্থপতিদের অবদানের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এ অ্যাওয়ার্ডস প্রদান আয়োজনে যুক্ত হয়েছে।

;

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচিতে আরও ৩৯,৬৮০ বই হস্তান্তর বিকাশের



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
৩৯,৬৮০ বই হস্তান্তর বিকাশের

৩৯,৬৮০ বই হস্তান্তর বিকাশের

  • Font increase
  • Font Decrease

এক দশকের ধারাবাহিকতায় এ বছরও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচিতে ৩৯ হাজার ৬৮০টি বই হস্তান্তর করলো বিকাশ। শিক্ষার্থীদের মনের বিকাশ ও উৎকর্ষের লক্ষ্যে দেশজুড়ে বিভিন্ন স্কুলে এই বইগুলো বিতরণ করা হয়।

আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এর হাতে বইগুলো তুলে দেন বিকাশ-এর চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.)।

শিক্ষার্থীদের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে দায়িত্বশীল করপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৪ সাল থেকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এই দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত আছে বিকাশ। এর আওতায়, এ পর্যন্ত দেশজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ লাখেরও বেশি বই দেওয়া হয়েছে যার মাধ্যমে ৩০ লাখ পাঠক উপকৃত হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিকাশ তার যাত্রা শুরুর সময় থেকেই বই পড়াকে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছে। ২০১৮ সাল থেকেই বাংলা একাডেমির অমর একুশে বইমেলা আয়োজনে মূল পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সহযোগিতা করছে বিকাশ। এছাড়া, স্কুলের শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত করতে সারাদেশে বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের ৫০০টি স্কুলে প্রতি বছর ২০ হাজার কপি গ্রাফিক নভেল সিরিজ ‘মুজিব’ বিতরণ করছে প্রতিষ্ঠানটি। শিক্ষা কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারিত করতে ২০১৯ সাল থেকে যশোরের বিশেষায়িত স্কুল প্রয়াস এর শিক্ষার্থীদের বাৎসরিক শিক্ষাদান খরচও বহন করে আসছে বিকাশ।

;