প্রবাসী আয়ে ইসলামী ব্যাংকের রেকর্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রবাসী আয়ে ইসলামী ব্যাংকের রেকর্ড

প্রবাসী আয়ে ইসলামী ব্যাংকের রেকর্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্রবাসী আয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। অন্যান্য মাসের মতো এবারও সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকে। এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৬ কোটি ৫০ লাখ ৫০ হাজার ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ৫ হাজার ১১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৮ হাজার ৪৯০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা (প্র‌তি ডলার ১১০ টাকা ধরে)। প্রথম ২৬ দিনে একক ব্যাংক হিসাবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকে। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ৫৬ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

এ ছাড়া ৬০টি ব্যাংকের তালিকায় দেখা গেছে, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ১৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে আট কোটি ৯৮ লাখ ডলার এবং জনতা ব্যাংকের সাত কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের ১ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ পাঁচ হাজার ৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ৬ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ চার হাজার ৬৩৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ চার হাজার ৪৪৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এ ছাড়া ২০ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ চার হাজার ৯৪০ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কো‌টি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

   

থার্ড টার্মিনাল: ৩০০০ কোটি টাকার ব্যবসায় চোখ বিদেশিদের  



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
থার্ড টার্মিনাল: ৩০০০ কোটি টাকার ব্যবসায় চোখ বিদেশিদের  

থার্ড টার্মিনাল: ৩০০০ কোটি টাকার ব্যবসায় চোখ বিদেশিদের  

  • Font increase
  • Font Decrease

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ১ ও টার্মিনাল-২ এর তুলনায় নবনির্মিত তৃতীয় টার্মিনালের আয়তন দ্বিগুণেরও বেশি। পুরোনো দুটি টার্মিনালের আয়তন এক লাখ বর্গমিটার, আর তৃতীয় টার্মিনালের আয়তন দুই লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার। গত বছরের ডিসেম্বরে এর আংশিক উদ্বোধন হলেও যাত্রীরা এর সব সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন আগামী বছরের ডিসেম্বরে। সে লক্ষ্যে এগোচ্ছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

আগের দুটি টার্মিনাল দিয়ে বছরে ৮০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেয়া সম্ভব। আর নতুন টার্মিনাল দিয়ে এক কোটি ৬০ লাখ যাত্রীকে সেবা প্রদান করা যাবে।

তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধনের পর থেকেই আলোচনায় আসছে কে পাচ্ছে তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ। কারণ সরকার যাত্রীদের জন্য অবকাঠামো তৈরি করেছে ঠিকই, কিন্তু যদি যাত্রী সেবা নিশ্চিত না করা যায়, তাহলে এই টার্মিনাল নিয়ে যাত্রীদের পুরাতন টার্মিনালের মতো দুর্ভোগে পড়তে হবে।

পরিসংখ্যান বলছে, পুরোনো দুটি টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং থেকে বিমান বছরে ১৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে। আর তৃতীয় টার্মিনাল যেহেতু এর চেয়ে দ্বিগুনের বেশি বড় তাই এখান থেকে কমপক্ষে তিন হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় সম্ভব। আর তাই তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ পেতে বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানি দৌড়ঝাঁপ করছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এত বড় একটি ব্যবসার সুযোগ সবাই নিতে চাইবে। আর এজন্য বিদেশি কোম্পানিগুলো হুমড়ি খেয়ে পড়ছে।

তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের দায়িত্ব কারা পাবে এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় আগেই জানিয়েছে - এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে জাপান। এখন এই সেবা খাতে শেষ পর্যন্ত জাপান কাকে সঙ্গে নেবে তা পর্যবেক্ষণ করছে সবাই।

এই কাজে সবার আগে আলোচনায় আসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নাম। কারণ এই খাতে বিমানের দীর্ঘদিনের একটি অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাছাড়া গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং খাতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একমাত্র সেবাদাতা বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা বিমান।

তবে বিমান ছাড়া আরও অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান এই কাজ পেতে তৎপরতা চালাচ্ছে। জাপানের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কোন সংস্থা এই কাজ পায় তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।

বিমানমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ জাপান করবে। এক্ষেত্রে বিমানকে নেয়া হলে দেশীয় স্বার্থ রক্ষা হবে। আমরা তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা দিতে বিমানকে সেভাবে প্রস্তুত করেছি। 

অন্যদিকে বেবিচকের চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান বলছেন, জাপানই গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা দেবে। বিমানের নামও আলোচনায় রয়েছে। বিমানের পক্ষে আমরাও কথা বলেছি।

তবে যে পরিমান যাত্রী ও উড়োজাহাজ তৃতীয় টার্মিনাল দিয়ে চলাচল করবে সেই সক্ষমতা যাচাই করছে জাপান। বিমানের সক্ষমতাও বেড়েছে। এরে মধ্যে জাপান যাদের যোগ্য বলে মনে করবে তাদের নির্বাচন করবে।

তবে কেউ কেউ বলছেন, এক্ষেত্রে দুই থেকে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং বিভাগে নিয়োগ দিলে ভালো হবে। এতে করে সেবার মান যেমন উন্নত হবে, তেমনি এটি প্রতিযোগিতামূলক হবে। এতে করে যাত্রীরাও ভালো সেবা পাবেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এত বড় টার্মিনাল সামলানো জাপানের একার পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে তারা অংশীদার খুঁজবেন। এরই মধ্যে তুরস্কের সেলিবি, যুক্তরাজ্যের মেঞ্জিস, সুইজারল্যান্ডের সুইসপোর্টসহ আরো কয়েকটি কোম্পানি এই কাজ পেতে তৎপরতা চালাচ্ছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাই কমিশনার বিমানমন্ত্রী ও বেবিচকের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাতে তার দেশের মেঞ্জিসের কাজ করার ব্যাপারে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। তুরস্কের সেলেবী কাজ পেতে তৎপর রয়েছে। সুইসপোর্টও এই দৌড়ে রয়েছে। তারাও বেবিচকের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে তাদের বিষয়ে বিস্তারিত প্রেজেন্টেশন দেবে।  

জাপান পিপিপি পদ্ধতিতেই তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালনায় আগ্রহী। এজন্য আইএফসি নামে একটি প্রতিষ্ঠান সমীক্ষাও চালিয়েছে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বিমানের সেবা নিয়ে যেসব অভিযোগ

দেশের প্রধান প্রবেশদ্বার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। যাত্রীদের অভিযোগ বিমানবন্দরকেন্দ্রিক যতগুলো বিভাগ রয়েছে তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা। অথচ বিমান কখনোই এই খাতে সেবার মনোবৃত্তি তৈরি করতে পারেনি। দশকের পর দশক ধরে এই খাতের সেবা নিয়ে অজস্ত্র অভিযোগ থাকলেও কখনোই তারা তা সমাধানে সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারেনি।

সময়মতো সেবা না পাওয়ার কারণে অনেক সময় বিদেশি এয়ারলাইন্সকে ফ্লাইট ছাড়তে বিলম্ব হওয়ার ঘটনাও কম নয়। বিভিন্ন সময়ে বিদেশিরা এই গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং পেতে জোরদার লবিং করলেও শেষ পর্যন্ত সরকারের আশীর্বাদ পেয়ে বিমানই থেকে গেছে। দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতেই বিভিন্ন সময়ে সরকার এই সমর্থন দিলেও এবার আর সেই অবস্থানে নেই। সরকার চাইছে বিমান থাকুক। তবে যেহেতু জাইকার সহায়তায় থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ করেছে জাপান, তাই অংশীদারত্বের মাধ্যমে যাতে বিমানও কাজ করতে পারে সে বিষয়ে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে সরকার।

বিমান বলছে, তৃতীয় টার্মিনালের কাজ পেতে তার এক হাজার কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কিনেছে। গেল এক বছরে এক হাজারের বেশি জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং বিভাগে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু যন্ত্রপাতি কিনলেই চলবে না, বিমানের কাজে সমন্বয় ও সহযোগিতার অভাব রয়েছ। সেই সাথে কর্মীদের প্রশিক্ষণও প্রয়োজন। সর্বোপরি যেটি দরকার তা হলো সেবা দেয়ার মানসিকতা। এই মানসিকতায় পরিবর্তন না হলে সেবার মানে গুণগত কোনো পরিবর্তন হবে না। 

কেন বিদেশিরা চায় গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের একমাত্র গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এই খাত থেকে রাষ্ট্রায়ত্ব বিমান বছরে ১৫০০ কোটি টাকা আয় করে থাকে। রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সের আয়ের একটি বড় খাত গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং। স্বাধীনতার পর থেকে বিমান এই খাতে একক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। আসায় এই খাতটির ওপর বরাবরই বিদেশিদের নজর ছিল। বিভিন্ন সময়ে তারা এদেশীয় ব্যবসায়িক পার্টনারের মাধ্যমে এই ব্যবসা পেতে জোর চেষ্টা করেছে। এর মধ্যে অন্যতম মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ডানাটা, সুইজারল্যান্ডভিত্তিক সুইসপোর্ট ও তুরস্কের সেলিবি।

তবে বিমান শুধু শাহজালালই নয়, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শুরু থেকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং করে আসছে। বছরের পর বছর ধরে বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা নিয়ে সাধারণ যাত্রীদের যেমন ক্ষোভ রয়েছে, তেমনি শাহজালাল থেকে পরিচালিত বিদেশি ৩০টি এয়ারলাইন্সেরও নানা অভিযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিকমানের সেবা দিতে বিমান ব্যর্থ বলে অভিযোগ আছে। তাছাড়া সময়মতো লাগেজ ডেলিভারি দিতে ব্যর্থতার দায়ও এসে পড়তো এসব বিদেশি এয়ারলাইন্সের ওপর। লাগেজ চুরি, সুটকেস ভেঙে যাওয়াসহ এসব অভিযোগের বিষয়ে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো বারবার বিমানের দিকে আঙুল তুলেছে। তাদের অভিযোগ, এসবের জন্য দায়ি বিমান। অথচ তাদেরকে এজন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হয়।

কি বলছে বিমান     

তৃতীয় টার্মিনালের কাজ পাওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিম বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং সেবা দেওয়ার সক্ষমতা, দক্ষতা ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ বিমানের রয়েছে। আগামীতে আরো যন্ত্রাংশ কেনা হবে এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। 

‘বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং কর্মীরা অত্যন্ত দক্ষ। তাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও সনদ রয়েছে। বিদেশেও বিমানের কর্মীদের অনেক চাহিদা রয়েছে।

তিনি বলেন, পুরাতন টার্মিনালের লাগেজ বেল্টের পরিমান সীমিত থাকার কারণে সেবার দিতে সীমাবদ্ধতা মোকাবেলা করতে হচ্ছে। তবে নতুন টার্মিনালে লাগেজ বেল্টের সংখ্যা অনেক বেশি থাকবে, তাই লাগেজ পেতে যাত্রীদেরকে আর লাইনে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট করতে হবে না। এছাড়া পুরাতন টার্মিনালে চেক ইন কাউন্টারের সংখ্যাও কম। এতে যাত্রীদের চাপ তৈরি হয়। নতুন টার্মিনালে এই সমস্যা থাকবে না। নতুন যন্ত্রাংশ  কেনা ও নতুন কর্মী নিয়োগের ফলে বিমানের সক্ষমতা বেড়েছে। তাই বিমানের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা ঠিক নয়।

কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা

বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ এটিএম নজরুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করে বেড়ে যাচ্ছে না নতুন এয়ারলাইন্স। ২০৩৫ এ দুই কোটি ৩৫ লাখ যাত্রী হ্যান্ডেল করবে শাহজালাল। বিমান তৃতীয় টার্মিনালের কাজ না পেলে বড় ব্যবসা হারাবে।

তিনি বলেন, এটি দেশের জন্য কিংবা দেশের স্বার্থের জন্য ভালো হবে না। তবে বিমানকে সেবার মান বাড়াতে হবে। নতুবা এই ব্যবসায় রাষ্ট্রায়ত্ব এয়ারলাইন্সের একক ব্যবসা হারাতে হবে।

তিনি এও মনে করেন, ডিসেম্বরে এই যদি চালু করে এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে। আর যেহেতু এখানে ভালো ব্যবসার সুযোগ রয়েছে তাই বিদেশিরা আকৃষ্ট হতে পারে।   

যাত্রী বান্ধব সেবা দিতে থাকতে হবে দক্ষ ব্যবস্থাপনা। তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালনায় প্রয়োজন হবে প্রায় ৬ হাজার জনবল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু অত্যাধুনিক মেশিন থাকলেই হবে না, মেশিনের পেছনের যে লোকগুলো কাজ করবেন তাদের দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ। তা না হলে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমবে না।

বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, তৃতীয় টার্মিনালে যাত্রীরা সুপরিসর জায়গা ও ভালো পরিবেশ পাবেন। তবে যেসব প্রতিষ্ঠান বিমানবন্দরের সেবায় নিয়োজিত থাকবে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে, একই সাথে বাড়াতে হবে সেবার মান।  

;

অদৃশ্য শক্তির যাদুমন্ত্রে ওঠানামা করে ডিমের দাম!



রাকিব হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কয়েক দফা ওঠানামা করেছে ডিমের দাম। দু’দিন আগেও পাইকারি বাজারে ফার্মের লাল ডিম ১শ বিক্রি হয়েছে, ১ হাজার ১শ ৯০ টাকা দরে আর সাদা ফার্মের ডিম ১ হাজার ১শ ৫০ টাকা। এছাড়া হাঁসের ডিম বিক্রি হয়েছে, ১ হাজার ৩শ ৭০ টাকা করে। সে হিসাবে একেকটি ডিমের দাম ১১ টাকা ৯০ পয়সা শুধু পাইকারিতেই বিক্রি হয়েছে।

এদিকে, বিভিন্ন এলাকার খুচরা দোকান ও ভ্যানে প্রতি ডজন (১২টা) ডিম বিক্রি হয়েছে, ১শ ৫২ থেকে ১শ ৫৫ টাকায়। এতে প্রতি পিস ডিমের দাম পড়ে ১৩ টাকা করে, যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে।

তবে দুদিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে ডিমের দাম কিছুটা কমে মঙ্গলবার ১ হাজার ১শ ২০ টাকা থেকে ১ হাজার ১শ ৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। যদিও ডিমের দাম কমার প্রভাব খুচরা বিক্রেতাদের এখনো কার্যকর করতে দেখা যায়নি।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের পরে ডিমের চাহিদা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া গরমে ডিমের উৎপাদন কমে গেছে। এছাড়া গরমে ডিম নষ্ট হচ্ছে। সে কারণে বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। তবে পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, বড় বড় কোম্পানির ‘অদৃশ্য শক্তি’র যাদুমন্ত্রে প্রতিদিন ওঠানামা করে ডিমের দাম।

একটা সময় ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশ সরাসরি ফার্ম থেকে ডিম সংগ্রহ করতে পারলেও এখন আর তা সম্ভব হচ্ছে না। প্রান্তিক খামারিদের একটা বড় অংশ বড় বড় প্রতিষ্ঠানের কাছে দায়বদ্ধ থাকে বলে অভিযোগ পাইকারি ব্যবসায়ীদের। এ জন্য তেজগাঁওয়ের ডিম ব্যবসায়ীদের সমিতিকেও দায়ী করেছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত দুই- তিন দিনের তুলনায় ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। এক ডজন লাল ডিমের দাম ১শ ৪৪ টাকা আর সাদা ডিমের দাম ১শ ৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, কয়েকদিন আগেও প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হতো ১শ ১০ থেকে ১শ ২০ টাকা দরে।

হুট করে ডিমের দাম কেন বাড়ালো হলো, তার কোনো সদুত্তর দিতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।

অদৃশ্য শক্তির যাদুমন্ত্রে ওঠানামা করে ডিমের দাম! ছবি- সংগৃহীত

ডিমের এমন দামে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, দেশীয় কিছু প্রতিষ্ঠানের কারসাজিতেই রাতারাতি ডিমের দাম অস্বাভাবিকভাবে ওঠানামা করে। তাছাড়া বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর কোল্ড স্টোরেজ থাকে; সেখানে অভিযান চালালেই কমবে ডিমের দাম।

মিরপুর মাজার রোডের বাসিন্দা আজাদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, গত কয়েকদিন আগেও ডিম কিনেছি ১শ ২০ টাকা ডজন আর এখন সেই ডিম চাইছে, ১শ ৪৫ টাকা থেকে ১শ ৫০ টাকা।

তিনি বলেন, দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা কোনো উত্তর দিতে চান না। বলেন, ‘নিলে নেন, না নিলে না নেন! পারলে কোম্পানিতে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন, দাম বাড়লো কেন’!

এ প্রসঙ্গে আজাদ বলেন, এখন তো আমাদের পক্ষে আর এত জানাজানি করা সম্ভব না! কার কাছে জানতে চাইবো! এসব ‘ফাও চিল্লাচিল্লি’ ছাড়া এখন আর কিছুই হবে না। সব ব্যবসায়ীই এখন সিন্ডিকেট করে। এদেরও সিন্ডিকেট আছে।

এদিকে, স্থানীয় মহল্লার দোকানের ব্যবসায়ীরা বলছেন, দোকান ভাড়া, পরিবহন খরচসহ ইত্যাদি কারণে ডজনপ্রতি ১২ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে ডিম বিক্রি না করতে পারলে ব্যবসা করে লাভ কী!

মিরপুর বাজারের পাইকারি ডিম ব্যবসায়ী ভাই ভাই ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী শফিকুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, বড় বড় কোম্পানিগুলো এখন ডিমও স্টোরেজ করে রাখে। এছাড়া ছোট ছোট খামারিদের অবস্থা খুবই করুণ! অনেক খামারি খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় মুরগি উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। বাজারের নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে আছে বলে মনে হয় না!

ক্ষোভ প্রকাশ করে এসময় শফিকুর রহমান বলেন, মাঝে-মধ্যে ভোক্তা অধিদপ্তরের লোকজন এসে আমাদের জরিমানা করেন। কিন্তু আসল জায়গায় কেউ যায় না! খাবারের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং বড় বড় কোম্পানির সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে; নইলে ডিমের দাম আপাতত কমবে না।

;

ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসা সহজীকরণে কাজ করছে সরকার: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃহৎ শিল্পের পাশাপাশি দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা বাধাহীনভাবে ও সহজে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে এবং দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে পারে সেজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলেন জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

মঙ্গলবার (মে ১৪) বেলা ১১ টায় এফবিসিসিআই’র মতিঝিল কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ’বিজনেস রিলেটেড ব্যারিয়ার্স অ্যান্ড পসিবল ওয়ে-আউট’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টর ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এবং জার্মান উন্নয়ন সংস্থা জিআইজেড বাংলাদেশ।

সেমিনারে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যেন সহজে ব্যবসা করতে পারে সেই প্রক্রিয়া সহজীকরণে কাজ করছে সরকার। যে কোনো ব্যবসা উদ্যোগকে সফল ও প্রতিষ্ঠিত করা আমাদের দায়িত্ব। ব্যবসায়ীদের মার্কেট এক্সেসের সুযোগ তৈরিতেও সরকার কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশে শিল্প ও বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। এ জন্য এফবিসিসিআই সহ বেসরকারি খাতের সকল অংশীজন, গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা এবং একাডেমিশিয়ানদের সাথে নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে কাজ করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বেসরকারি খাতের বলিষ্ঠ অবদানের প্রশংসা করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, উদ্যোক্তারা সাহস করে ঝুঁকি না নিলে বাংলাদেশে এত দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব ছিলো না। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লব (4IR) সহ আগামীর চ্যালেঞ্জ সমূহ মোকাবেলায় বিজনেস প্রোসেস রি-ইঞ্জিনিয়াংয়ের ওপর জোর দেন তিনি।

শিল্পের উন্নয়নে খাতভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশনের সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।

এর আগে, সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম জানান, দক্ষিণ এশিয়া এবং আসিয়ান দেশ-সমূহের বিজনেস হাব হিসেবে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিশেষ সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ এখন ১৭০ মিলিয়নের অভ্যন্তরীণ বাজার, যা ২০৩০ সালের মধ্যে এই দেশকে বিশ্বের নবম বৃহৎ ভোক্তা বাজার হিসেবে পরিণত করবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে বহুবিধ শুল্ক ও অশুল্ক বাধার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণভাবে ব্যবসা স্থাপনে ও সম্প্রসারণে ব্যবসায়ীদের নানাবিধ প্রতিকূল পরিস্থিতি এবং বাধার সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষ করে বিদ্যমান রেগুলেটরি বিষয় সমূহ, প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা, সনদ প্রাপ্তি ও নবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা, শুল্কায়ন জটিলতা, সর্বোপরি অস্থিতিশীল আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও বৈশ্বিক নেতিবাচক পরিস্থিতির ফলে ব্যবসায়ীদের পক্ষে স্বাভাবিক ভাবে ব্যবসা পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়েছে। এই সমস্যা দ্রুত সমাধানে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

;

ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভালের উদ্বোধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
স্পোর্টস কার্নিভালের উদ্বোধনী খেলায় উপস্থিত অতিথিবৃন্দ

স্পোর্টস কার্নিভালের উদ্বোধনী খেলায় উপস্থিত অতিথিবৃন্দ

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসপিএ) আয়োজনে শুরু হয়েছে ‘ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল-২০২৪।’

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে বিএসপিএ’র কার্যালয়ে ক্যারম ডিসিপ্লিনের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন হয় এই আসরের।

প্রধান অতিথি হিসেবে স্পোর্টস কার্নিভালের উদ্বোধন করেন পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এফ.এম. ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) ও বিএসপিএ’র দুই সিনিয়র সদস্য কামরুন নাহার ডানা ও এইচবি চৌধুরী শিশির।

বিএসপিএ সভাপতি রেজওয়ান উজ জামান রাজীবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. সামন হোসেনের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহ- সভাপতি কাজী শহিদুল আলম ও সুদীপ্ত আহমেদ আনন্দ।

এবার ৭টি ডিসিপ্লিনে মোট ১০টি ইভেন্টে অংশ নিচ্ছেন বিএসপিএ’র শতাধিক সদস্য। ইভেন্টগুলো হলো- ক্যারম একক ও দ্বৈত, টেবিল টেনিস একক ও
দ্বৈত, দাবা, শুটিং, আরচারি, সাঁতার, কল ব্রিজ ও টোয়েন্টি নাইন। সবক’টি খেলাই অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও এর সংলগ্ন বিভিন্ন ভেন্যুতে।

প্রতিবারের মতো এবারও স্পোর্টস কার্নিভালের সেরা ক্রীড়াবিদের হাতে তুলে দেয়া হবে আব্দুল মান্নান লাডু ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার। ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার থাকছে সেরা দুই রানার্স আপের জন্যও। এছাড়া প্রতিটি ইভেন্টের সেরাদের জন্য ক্রেস্ট ও অর্থ পুরস্কার রয়েছে।

;