জাবিতে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের মারমুখী অবস্থান



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) অবাঞ্ছিত শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনকে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করতে বিক্ষোভ মিছিল ও শোডাউন করেছে ছাত্রলীগের বিদ্রোহী অংশের নেতাকর্মীরা। এসময় লিটনের সমর্থনে বঙ্গবন্ধু হলে এসে যোগ দেয় শেখ রাসেল হলের নেতাকর্মীদের।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীর উপস্তিতিতে ছাত্রলীগের বিদ্রোহী অংশ মুরাদ চত্বর থেকে বিক্ষোভ-মিছিল শুরু করে বঙ্গবন্ধু হলের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। এসময়ে হাবিবুর রহমান লিটনের অনুসারীরাও হল গেইটে অবস্থান নেয়।

এসময় নেতাকর্মীদের 'লিটনের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে; এক দফা এক দাবি, লিটন তুই কবে যাবি; অবাঞ্চিত সেক্রেটারী, মানি না মানব না; প্রভৃতি স্লোগান দিতে দেখা যায়। তবে এক পর্যায়ে নেতাকর্মীরা হলের প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে লিটনকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ কটুবাক্য বিনিময় করতে থাকে।

এর আগে, ২৩ জানুয়ারি শাখা ছাত্রলীগের ছয় হলের নেতাকর্মীরা জমি দখলসহ প্রায় ছয়টি অভিযোগ এনে সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনকে ক্যাম্পাস থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। এরই প্রেক্ষিতে ২৭ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এ ঘটনার তদন্তে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। আর এ ঘটনার তদন্ত চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি হলের হল কমিটি গঠন করলে বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটে।

বুধবার (৩১ জান্য রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আখতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হল ও শেখ হাসিনা হলের হল কমিটি গঠন করা হয়। আর এ থেকেই বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটে। কমিটি ঘোষণার পর ক্ষুব্ধ হয়ে মুরাদ চত্ত্বরে জমায়েত করতে থাকে লিটনের অনুসারী ৬টি হলের বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা।

এছাড়া ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা জানায়, একটি হল কমিটি গঠন করতে হলে সিনিয়র নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা করতে হয়। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কোনো আলোচনা ছাড়াই দুই হলের কমিটি গঠন করেছে প্রেস রিলিজের মাধ্যমে। তবে হাবিবুর রহমান লিটন কেন্দ্রের কাছে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে ও ক্যাম্পাসের রাজনীতি সচল আছে বোঝাতে কোনো আলোচনা ছাড়াই হুটহাট দুই হলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। হুটহাট হল কমিটি ঘোষণা করে সাধারণ সম্পাদক নিজের অপকর্মগুলোকে ঢেকে তদন্তের মোড় ঘুরানোর চেষ্টা করছে।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জাহিদুজ্জামান শাকিল বলেন, ‘অবাঞ্ছিত এবং একঘরে সেক্রেটারি কিভাবে হল কমিটি দেয় তা আমাদের বোধগম্য না৷ তাছাড়া আমাদের সাথে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই দুটি হল কমিটি দেওয়া হয়েছে। আমরা এ কমিটি মানি না।’

এছাড়া ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা আরও জানায়, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন স্থানীয় হওয়ায় ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় জমি দখল, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ অনেক অপকর্মের সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের তদন্তের ফলাফল নিজের পক্ষে আনতে কমিটিকে উপঢৌকন দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহ-সভাপতি বলেন, কমিটির সদস্যরা তদন্তের জন্য একসাথে আসার কথা। মঙ্গলবার রাতে কমিটির একজন সদস্য একাই ক্যাম্পাসে এসেছেন। তদন্ত এখানে প্রশ্নবিদ্ধ।

এদিকে, দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে অবস্থান নেয় ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। ঘটনার শেষ পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান ঘটনাস্থলে আসলে দীর্ঘক্ষণ ছয় হলের নেতাকর্মীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে বিদ্রোহী ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা নিজ নিজ হলে ফিরে যায়।

বঙ্গবন্ধু হলের সামনে বিদ্রোহীদের অবস্থান শেষে ঘটনা স্থলে প্রক্টরিয়াল টীম নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান৷ এসময় তিনি বিদ্রোহীদের সাথে কথা বলেন। অবাঞ্চিত হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরে হল কমিটি দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিদ্রোহীরা। জমি দখল ও নিজের অর্থ আত্মসাৎকে বৈধতা দিতেই এই কমিটি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা৷ লিটনের বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত কার্যক্রমের মাঝেই হল কমিটি দেয়াকে অনভিপ্রেত বলে মন্তব্য করেন তারা৷ এসময় অবাঞ্চিত সাধারণ সম্পাদককে অবিলম্বে ক্যাম্পাস ত্যাগের আল্টিমেটাম দেন তারা৷ হলের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে হল তল্লাশির দাবি জানান তারা।

প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বিদ্রোহীদের বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এখানে কিছু করতে পারবে না। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো বিশৃঙখলা না হোক। আমি আজকে প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারিকে এটা জানাবো৷ কিন্তু এখানে তো আমার কিছু করার নেই। এটা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ দেখবে। হল রেইড দিতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অথরিটির সাইন লাগে। চাইলেই তো রেইড দেয়া যায় না।’

উল্লেখ্য, চলমান এ বিদ্রোহে বিশ্ববিদ্যালয়ের কামালউদ্দিন হল, রবীন্দ্রনাথ হল, রফিক-জব্বার হল, আলবেরুনি হল, মীর মশাররফ হল ও সালাম-বরকত হলের সাধারণ সম্পাদকের প্যানেলের নেতাকর্মীরা সম্পৃক্ত।

   

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন ৮ ডিসেম্বর



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

  • Font increase
  • Font Decrease

নানা জল্পনা কল্পনা শেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি বছরের ৮ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে হবে সমাবর্তন।

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বিশ্ববিদ্যালয় -২ অধিশাখার যুগ্মসচিব মো. পারভেজ হাসান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আগামী ৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি ও সভাপতিত্ব করার সম্মতি প্রদান করেছেন।

;

এনএসআই পরিচয়ে চবি শিক্ষার্থীর কাছে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ



চবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পদার্থবিদ্যা বিভাগের এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এনএসআই পরিচয়ে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রথমে চবি শিক্ষার্থীর সাথে এনএসআই কর্মকর্তা পরিচয়ে ওই ব্যক্তির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে অত:পর টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছে আবুল বাহারের ছেলে নাজিম উদ্দীন (৩০) এর বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে অভিযুক্ত নাজিম উদ্দীনের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সুধারামপুর থানায়। বর্তমানে থাকেন নগরীর পাঁচলাইশ থানায়।

এ নিয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার বাদীকে দেখা করতে বাধ্য করা এবং হেনস্তা করলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে হেফাজতে নেয়।

মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী পদার্থবিদ্যা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, প্রায় সাত মাস পূর্বে ফেইসবুকের মাধ্যমে বিবাদীর সাথে আমার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে আমাকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং বর্তমানে এনএসআইতে চাকুরী করেন বলে পরিচয় দেন। এরপর থেকেই বিবাদীর সাথে আমার নিয়মিত কথা চলতে থাকে। কথা বলার এক পর্যায়ে আমাদের মধ্যে একটি প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়। পরবর্তীতে বর্ণিত বিবাদী বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে বিভিন্ন সময় আমার নিকট হতে এক লাখ টাকা নেয়। সম্পর্ক থাকাকালীন সে আমাকে প্রায় সময়ই দেখা করার জন্য বাধ্য করতো।

এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, বিবাদীর সহিত আমার প্রেমের সম্পর্ক থাকার কারণে বিবাদী আমার ফেইসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ তাহার নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করতো। বর্ণিত বিবাদী বিভিন্ন সময় আমার শরীরের স্থিরচিত্র বা ভিডিও ধারণ করে তাহার নিকট প্রেরণের জন্য হুমকি প্রদান করতো। বিবাদীর এমন ব্যবহারে আমি অতিষ্ট হয়ে তাহার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।

বাদী বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার রাত অনুমান দশটার সময় বর্ণিত বিবাদী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে আমাকে দেখা করার জন্য জোরাজুরি করলে আমি হল থেকে নেমে ঘটনাস্থলে আসি। ঘটনাস্থলে আসার পরে উক্ত বিবাদী আমাকে টানা হেঁছড়া করে এ সময় আমার বাম হাতের বাহুতে ও ঘাড়ের নিচে নখের আঁচড় দিয়ে সাধারণ জখম করে। তখন আমি বাঁচার জন্য আত্মচিৎকার করলে আমার আত্মচিৎকার শুনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্ররা এগিয়ে এসে বর্ণিত বিবাদীকে আটক করে।

আটক করে তার পরিচয় সঠিকভাবে বলার জন্য বললে সে জানায় যে, সে আমার নিকট মিথ্যা সরকারী কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণামূলকভাবে অর্থ গ্রহণ করে এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। মূলত সে একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে সেলসম্যান হিসেবে চাকুরী করে। উক্ত বিষয়ে আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে অবগত করি।

পরবর্তীতে ঘটনার বিষয়ে থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার বিস্তারিত শুনে বর্ণিত বিবাদীকে তাদের হেফাজতে নেয়।

অভিযুক্ত নাজিম উদ্দীনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার মা ফোন রিসিভ করে। তিনি জানান, ওই মেয়ের সাথে আমার ছেলের সম্পর্ক আছে এ ধরনের কথা আমরা আগে কখনো শুনিনি। তবে গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফোন করে এ ব্যাপারে আমাকে জানানো হয়েছে। এখন সে পুলিশের হেফাজতে আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, প্রায় ছয় মাস আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রেমে জড়ায় প্রতারক মো: নাজিম উদ্দিন। পরবর্তীতে এন.এস.আই'র সদস্য হিসেবেও পরিচয় দেয় এই যুবক। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে মেয়েকে দিত বিভিন্ন রকম শর্ত। চুল কেটে ফেলা, রুমমেটদের সাথে সম্পর্কছেদ করা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কাটার-ও শর্ত দিত মেয়েটিকে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর কথা অনুযায়ী লাখের বেশি টাকা নিয়েছে ছেলেটি। এটিই প্রথম নয় এর আগেও এরকম প্রতারণা করেছে ছেলেটি। যার প্রমাণ আমি পরবর্তীতে পেয়েছি। হাটহাজারী থানায় এ নিয়ে আমি মামলা
করেছি।

মামলার বিষয়ে হাটহাজারী থানার অসি মনিরুজ্জামান বলেন, এরকম একটি ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত কমিটি তাদের কাজ করছেন। অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

লিফট কিনতে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন ঢাবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরসহ চারজন



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার

অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিভিন্ন ভবনের জন্য লিফট কিনতে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারসহ চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

শনিবার (৪ মে) সকালে ফিনল্যান্ডের উদ্দেশে প্রতিনিধি দলটি রওনা দেন বলে জানা গেছে।

প্রতিনিধি দলটির অন্য সদস্যরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম তৌফিক হাসান এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের পরিচালক জাবেদ আলম মৃধা।

জানা যায়, লিফট ক্রয়ের লক্ষ্যে ২য় প্রি–শিপমেন্ট ইনস্পেকশনের (পিএসআই) টিমের মনোনিত সদস্য হিসেবে ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শন করার উদ্দেশ্যে ঠিকাদারের খরচে এই প্রতিনিধি দলটি ফিনল্যান্ড গমণ করেছে। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদেরকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ছুটিও মঞ্জুর করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বরাবর রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের পাঠানো ছুটি মঞ্জুরের একটি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আপনার দরখাস্তের বরাতে আদিষ্ট হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, উপাচার্য কর্তৃক লিফট ক্রয়ের লক্ষ্যে দ্বিতীয় পিএসআই টিমের মনোনীত সদস্য হিসেবে ইন্ডাস্ট্রি ভিজিট করার উদ্দেশ্যে ফিনল্যান্ড গমণ ও অবস্থানের জন্য আপনাকে ০২-০৫-২০২৪ হতে ০৯-০৫-২০২৪ তারিখ পর্যন্ত ০৮ (আট) দিন কর্তব্যরত ছুটি মঞ্জুর ও কর্মস্থল ত্যাগের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। ইহার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কোনো আর্থিক খরচ বহন করবে না।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে জারিকৃত ১৯-০৬-২০১১ তারিখের ০৩.০৬৯.০২৫.০৬. ০০.০৩.২০১১-১৪৪ (৫০০) সংখ্যক স্মারকের ৮ ধারায় বর্ণিত ক্ষমতাবলে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২৪-১১-২০২২ তারিখের পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য আপনাকে বিদেশ গমনের অনুমতি প্রদান করেছেন। আপনাকে আরও জানানো যাচ্ছে যে, আপনার বিদেশে অবস্থানকালীন সময়ে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালকে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা)-এর দায়িত্ব পালনের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।

;

ইবির শেখ রাসেল হলের নতুন প্রভোস্টের দায়িত্ব গ্রহণ



ইবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শেখ রাসেল হলের নতুন প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম।

শনিবার (৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় হলের প্রভোস্ট কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দায়িত্ব হস্তান্তর করেন সদ্য বিদায়ী প্রভোস্ট ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন অধ্যাপক মোঃ সাইফুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোঃ বাকী বিল্লাহ, চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আক্তারুল ইসলাম, আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল, অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান মন্ডল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি শিরিনা খাতুনসহ আরো অনেকে।

এ বিষয়ে হলের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম বলেন,বৃক্ষ তোমার নাম কি? ফলে পরিচয়। আমি আমার দায়িত্ব গ্রহণের পর কতটুকু কি করতে পারবো হলের জন্য তা আমার পরিচয় বহন করবে। আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে হলের কল্যাণে যা করা দরকার সবকিছু করবো ইনশাআল্লাহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও হলের শিক্ষার্থী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।

উল্লেখ্য, গত ২০ এপ্রিল হলের সাবেক প্রভোস্ট অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মার মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ২১ এপ্রিল থেকে অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলমকে এ পদে নিয়োগ দেন উপাচার্য। আগামী এক বছর তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন।

;