জবি শিক্ষককে দেখে নেয়ার হুমকি, সতর্ক করেই দায় সেরেছে প্রশাসন



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ মো. নিস্তার জাহান কবিরকে প্রকাশ্য হেনস্থা ও হুমকির ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সাঈদুল ইসলাম সাঈদকে সতর্ক করেই দায় সেরেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। তাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দীর্ঘদিনের দায়সারা কাজের ফলশ্রুতিতেই এখন শিক্ষককেও হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে। এভাবে অপরাধ করেও পার পেয়ে যাওয়ার ফলে অপরাধ প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিচারহীনতার সংস্কতির ফলে ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষক মারধরের শিকার হলেও সেটিতে কেউ অবাক হবে না।

গত সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের ২৮ আগস্ট, সোমবার বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্যের সামনে শিক্ষকদের বাস ছাড়ার পূর্ব মুহূর্তে আপনি (সাঈদুল ইসলাম সাঈদ) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ মোঃ নিসতার জাহান কবিরের সঙ্গে চরম ধৃষ্টতামূলক আচরণ করেন। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির মতামত অনুসারে আপনাকে ভবিষ্যতে এ ধরণের কর্মকান্ড না করার এবং করলে কঠিনতম শাস্তি প্রদান করা হবে মর্মে সর্তক করা হলো।

এই ঘটনায় গত বছর ৩১ আগস্ট তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. অশোক কুমার সাহা, সদস্য হিসেবে সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার হেদায়েতুল্লা তুর্কিকে মনোনীত করা হয়।

এভাবে প্রকাশ্যে একজন শিক্ষককে হেনস্তা ও হুমকির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। এ ঘটনায় জড়িত শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সাঈদুল ইসলাম সাঈদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়েছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এছাড়া সাঈদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর আলাদা লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছিল। পরে সাঈদের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের ডাক দিলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে মানববন্ধন স্থগিত করে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. অশোক কুমার সাহা বলেন, তদন্ত কমিটি প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানি নিয়ে একটি লিখিত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেই অনুযায়ী কিছু সুপারিশমালা দেওয়া হয়েছে৷ এখন প্রশাসন এটাকে কীভাবে নিষ্পত্তি করবে সেটা তাদের ওপর নির্ভর করছে। এখন বাকী দায়িত্ব প্রশাসনের ওপর, তদন্ত কমিটির না। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন তাদের পছন্দ না হলে তদন্ত আবার করতে পারে। তদন্ত একাধিক বার হতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও সুপারিশের সাপেক্ষে উপাচার্যের নির্দেশে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷ অপরাধের ধরনের উপর ভিত্তি করেই তাকে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষক যদি এই বিচারে সন্তুষ্ট না হোন তবে পুনরায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষক ড. শাহ মো. নিসতার জাহান কবির বলেন, সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির বিষয়ে কিছু বলবো না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সকল সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান করি। তবে মতামত প্রকাশ বা সমালোচনার অধিকার সকলেরই রয়েছে। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে ইতিবাচক কিছুই হয় নি। এর ফলে অন্যায়কারীরা আরও শক্তিশালী হবে, তারা আরও সাহস পাবে। তারা ভাববে অন্যায় করে কিছু হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তো কিছু করতে পারে না, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ক্ষমতা নেই।

তিনি আরও বলেন, ছেলেটি আমাদের বিভাগের এসে বিভাগের সিদ্ধান্তকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছে। বিভাগের সিদ্ধান্তকে পরিবর্তন করার ক্ষমতা বা শক্তির উৎস কোথায় সেটি খুঁজে বের করা উচিত ছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।

জানা যায়, ডিবেটিং সোসাইটির নির্বাচনের জন্য সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে অভিযুক্ত সাঈদুল ইসলাম সাঈদ তার পছন্দের ২ জনকে ভোটার করার জন্য অধ্যাপক শাহ নিস্তারকে অনুরোধ করেন। এ সময় অধ্যাপক নিস্তার বলেন, প্রতিনিধি মনোনয়নের জন্য আলাদা শিক্ষক রয়েছেন। তারা বাছাই করে তা নির্ধারণ করেন। তবে সাঈদ অধ্যাপক নিস্তারকে নিজের পছন্দের লোককে ভোটার করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। পরে তিনি অস্বীকৃতি জানালে প্রকাশ্যে 'দেখে নেয়ার' হুমকি দেন।

   

চবির শীর্ষ ৮ পদে আসছে পরিবর্তন



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শীর্ষ পদগুলো দীর্ঘদিন ধরেই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছিল। এবার গুরুত্বপূর্ণ ৮টি পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সর্বশেষ ২০১৫ সালের বেতন স্কেল অনুযায়ী ৩য় ও ৪র্থ গ্রেডের আটটি পদে নিয়োগের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। পদগুলো হলো- রেজিস্ট্রার, গ্রন্থগারিক, হিসাব নিয়ামক, প্রধান প্রকৌশলী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন), চিফ মেডিকেল অফিসার এবং পরিচালক (শারীরিক শিক্ষা বিভাগ)।


বিজ্ঞাপিত পদগুলোতে আবেদনকারীদের সনদপত্রাদিসহ ১০ সেট দরখাস্ত আগামী ১০ জুনের মধ্যে অফিস চলাকালীন সময়ে জমা দিতে বলা হয়েছে।

এই ব্যাপারে জানতে চাইলে চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন- গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত পদগুলোতে নিয়োগের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করা হয়েছে। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে নিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে পদগুলোতে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তরা আসবেন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে শীর্ষ এই আটটি পদেই রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ২০২২ সালে ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব), পরিচালকসহ (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) গুরুত্বপূর্ণ পদে ভারপ্রাপ্ত, অতিরিক্ত দায়িত্ব বা চলতি দায়িত্ব প্রদান না করে প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়ার এই নির্দেশনা আমলে না নিয়ে চলেছিল বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের দায়িত্ব নিয়েই পদগুলোতে পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নিয়েছেন।

;

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইবিতে দু'পক্ষের মারামারি, আহত ২



Rasel
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) খাবার হোটেলে এক ছাত্রের জামায় তরকারির ঝোল গায়ে পড়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে বাংলা বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের মারুফ হোসেন জারিফ ও ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের জুবায়ের হোসাইন রণি তার বন্ধু ও বড় ভাইদের ডাকলে তাদের সাথে মারামারি হয়। এতে আহত হয় ২ জন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের সিয়াম আহমেদ তরকারি নেয়ার সময় জারিফের গায়ে ঝোল পড়লে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এসময় বন্ধু সিয়ামের পক্ষে এগিয়ে আসেন রণি। তাদের মধ্যে আবার তর্কাতর্কি হয়। এর জের ধরে জারিফকে মারার উদ্দেশ্যে রণি তার বন্ধুবান্ধব ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত কর্মী তাহসিন আজাদসহ অন্যান্য বন্ধুদের জিয়া মোড়ে ডেকে আনে। পরে জারিফ তার সাদ্দাম হোসেন হলের বড় ভাই ছাত্রলীগের সহসভাপতি শিমুল খানকে ডাকলে দু'গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।

পরে ছাত্রলীগের দুই সহ-সভাপতি শিমুল খান ও রতন রয় সমাধানের উদ্দেশে রণিকে ডেকে চড় থাপ্পড় দেয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জোবায়ের হোসেন রণি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রতন রয়ের অনুসারী। অন্যদিকে মারুফ হোসেন জারিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের অন্য সহ-সভাপতি শিমুল খানের অনুসারী।

এবিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের কর্মী জোবায়ের হোসেন রণি বলেন, আমি ভাইকে চিনতে পারিনি। গায়ে ঝোল পড়া নিয়ে ভাই আমার মা-বাবা ধরে গালি দেয়, এজন্য কথা কাটাকাটি হয়। কিন্তু এখানে কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে মারুফ হোসেন জারিফ বলেন, নামাজ পড়ে যখন খাইতে বসলাম, তখন পাশে এক ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। ও যখন খাবার নিচ্ছিলো, তখন আমার গায়ে একটু ঝোল পড়ে। তখন আমি তাকে বলি সিনিয়রদের গায়ে ঝোল পড়লে একটু স্যরি-টরি বলতে হয় জানো না। তখন সে আমাকে স্যরি বলে। কিন্তু তখনই তার পাশে থাকা রণি আমাকে এসে বলে, কী ব্যাপার ভাই, আপনি এভাবে ব্যবহার করছেন কেন? কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সে মারার জন্য উদ্যত হয়। তখন সিনিয়র হিসেবে আমি বাসন নিয়ে তার দিকে এগিয়ে যায়। তখনও মা বাবা নিয়ে গালি দেয়। তারপর দোকান থেকে চলে এসে শিমুল ভাইকে বিষয়টা জানাই। ঐদিক থেকে জিয়া মোড়ে দাঁড়িয়ে রণি বলে, 'আসো, সামনে আসো, দেখি কী করতে পারিস!' তখন কিন্তু শিমুল ভাইও ছিল। তখন শিমুল ভাইয়ের সামনে আইসা বলতেছিল (রণি), ভাই, কুষ্টিয়া যাওয়া লাগবে না? এরপর ভাইয়েরা বিষয়টা সমাধান করে দেন।

শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শিমুল খান বলেন, জুনিয়ররা তখন সিনিয়রদের হয়তো চিনতে পারে নাই, তাই একটু ঝামেলা হয়েছিলো। পরে আমরা বিপুল ভাইয়ের উপস্থিতিতে বিষয়গুলো সমাধান করেছি।

এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর প্রভাষক মো. ইয়ামিন মাসুম বলেন, ক্যাম্পাসে অনেক জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে, যা আমাদের নজরে পড়ে না। আপনাদের নজরে যেহেতু পড়েছে, সুতরাং দু'পক্ষের কোনো একপক্ষ অভিযোগপত্র দায়ের করলে প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নিতে পারে। ঘটনা যেহেতু আজকে বন্ধের দিনে, অফিস টাইমে হয়তো অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার এখনও সুযোগ আছে। তারপরও অফিস টাইমে প্রক্টরের সাথে আলাপ করে দেখতে পারি।

;

প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ইবি ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের আজকের দিনে দীর্ঘ নির্বাসন জীবন শেষে বাংলার মাটিতে পা রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে শোভাযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দলীয় টেন্ট থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা করে সংগঠনটি। শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় একত্রিত হয়ে সমাবেশ করেন তারা।

এসময় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, আজকের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘরে ফেরার দিন। তিনি দেশে ফেরত আসার মধ্য দিয়ে এদেশে নবজাগরণের সৃষ্টি করেছিলেন। এদিন ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে আপামর জনতা তাকে বরণ করে নিয়েছিল। সেদিন থেকে তার পথচলা এখনো থামেনি। তিনি এসেছিলেন বলেই আজকে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি দেশে ফিরে স্বৈরাচারের পতন করেছেন, রাজাকারদের বিচার করেছেন, সমুদ্র সীমা জয় করছেন, আমাদের মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু উপহার দিয়েছেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা দেশনেত্রী শেখ হাসিনার নিকট চির কৃতজ্ঞ।

এসময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসন শেষ করে আজকের এই দিনে এদেশের মাটিতে পা রাখেন। তাই দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। পাশাপাশি তিনি দেশে ফেরার মাধ্যমে স্বৈরচারী শাসনব্যবস্থাকে ধ্বংস করে মানুষকে ভোট এবং ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। দেশে ফিরেই তিনি জন মানুষের ভরসার জায়গায় স্থান করে নেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এবং তার হাত ধরে আজকে দেশ ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হচ্ছে।

এসময় ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মৃদুল হাসান রাব্বি, শিমুল খান, রতন রায় সহ শতাধিক নেতাকর্মী।

প্রসঙ্গত, ১৯৮১ সালের এই দিনে ছয় বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিও সেদিন লাখ লাখ মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে। দিনটি স্মরণীয় করে রাখতেই প্রতিবছর ছাত্রলীগের নানা আয়োজন থাকে এই দিনে। 

;

রাবির 'সি' ইউনিটে ২য় মেধাতালিকা প্রকাশ



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের প্রথম মাইগ্রেশন ও দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. নাসিমা আখতার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিজ্ঞান, কৃষি, প্রকৌশল, জীববিজ্ঞান, ভূবিজ্ঞান, ফিশারিজ, ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বিএসসি/বিফার্ম/ বিএসসি, এজিডিভিএম/বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও পছন্দক্রম জমাদানকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে শূন্য আসনের ভিত্তিতে ১ম নির্বাচন ও অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করা হলো।

নির্বাচিত প্রার্থীদের ২১ থেকে ২২ মে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়ার প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করে কাগজপত্র যাচাই বাছাইয়ের জন্য কনফারেন্স রুম, বিজ্ঞান অনুষদ, কক্ষ নং ৪০১, কুদরাত-এ-খুদা অ্যাকাডেমিক ভবনে উপস্থিত হতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তি হতে না পারলে 'সি' ইউনিটে তাদের প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে এবং 'সি' ইউনিটের অন্য কোনো বিভাগেও ভর্তির সুযোগ থাকবে না। শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি প্রক্রিয়া এর সমান্তরালে চলবে এবং এর জন্য পৃথক নোটিশ দেওয়া হলো।

ভর্তি সংক্রান্ত যেকোনো বিষয় জানতে চাইলে অফিস চলাকালীন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিজ্ঞান অনুষদে যোগাযোগ করা যেতে পারে। (ফোন: ০২৫৮৮৮৬৪২১৮, অনলাইন ভর্তি ফর্ম পূরণ সংক্রান্ত কারিগরি সমস্যার জন্য হেল্পলাইন ০১৭০৩-৮৯৯৯৭৩)।

উল্লেখ্য, পরবর্তীতে আসন শূন্য হওয়া সাপেক্ষে শুধু ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের বিভাগ-পছন্দের ক্রম অনুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভাগ পরিবর্তন করা হবে। এজন্য প্রার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে হবে না নোটিশে জানতে পারবে। ২১ ও ২২ মে বিকাল ৪টার পূর্ব পর্যন্ত অনলাইন ভর্তির ওয়েবপেজে লগ-ইন করে অটো-মাইগ্রেশন পুরোপুরি বন্ধ (Stop automigration) অথবা এক বা একাধিক বিভাগে ট্রান্সফার বন্ধ (Opt-out) করা যাবে।

আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে পরবর্তীতে বিষয়ভিত্তিক তৃতীয় মেধাতালিকা ২৩ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (admission.ru.ac.bd) প্রকাশ করা হবে।

;