ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্লাটিনাম জুবিলিতে ৭৫ বিষয়ে গবেষণা



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ৭৫ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গবেষণা ও প্রকাশনা পরিচালনা করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশন। এছাড়াও 'ইতিহাস ও ঐতিহ্য' বিষয়ক গ্রন্থ প্রকাশ ও প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মিলনমেলা আয়োজন সহ আরও কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনস্থ অ্যালামনাই ফ্লোরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী এসব কর্মসূচির ঘোষণা দেন। 

কর্মসূচিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন, কার্জন হল, সায়েন্স এনেক্স, চারুকলা, লেদার টেকনোলজি, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে বৃক্ষ রোপন, প্লাটিনাম জুবিলি উপলক্ষে ৭৫ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা ও প্রকাশনা।

এদিকে ২৭ জানুয়ারি বিকেল ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) অ্যালামনাই সংগঠনসমূহের কর্মকর্তাদের পুনর্মিলনী ও সম্মননা প্রদান অনুষ্ঠান; ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান ও সাবেক কার্যনির্বাহী কমিটি, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও বিভাগীয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান নির্বাহী কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হবে ।

এ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি জনাব এ. কে. আজাদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জনাব ফেরদৌস আহমেদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য জনাব মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী এবং একাদশ জাতীয় সংসদ উপ-নির্বাচনে বিজয়ী কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জনাব মো. আফজাল হোসেন ও মহিলা সংরক্ষিত আসনের অ্যারোমা দত্তকে সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। এছাড়া অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি জনাব সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীকে সম্মাননা দেওয়া হবে।

১০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে দিনব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য সেবার প্রচারণামূলক 'মেন্টাল হেলথ ফেয়ার' অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ৭ টি বিষয়ভিত্তিক সেমিনার আয়োজিত হবে। সেমিনারের বিষয়—ক. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাঙ্কিং বৃদ্ধিতে অ্যালামনাইদের ভূমিকা, খ. বাংলাদেশের জনপ্রশাসনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাইদের ভূমিকা, গ. বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাইদের ভূমিকা, ঘ. বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক চর্চায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাইদের ভূমিকা, ঙ. বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাইদের ভূমিকা, চ. বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আর্থিক ব্যবস্থাপনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইদের ভূমিকা, ছ. প্রবাসে অর্থনীতি, গবেষণা ও বিজ্ঞানচর্চায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাইদের ভূমিকা।

এপ্রিল মাসে টিএসিতে একটি 'জব ফেয়ার' অনুষ্ঠিত হবে। এতে পেশাদার, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন স্থানে কর্মরত ব্যক্তিবর্গ শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন।

১১ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত টিএসসিতে অ্যালমনাই সপ্তাহ উদযাপিত হবে। প্রথমদিন সন্ধ্যায় আবৃত্তি সমম্বয় পরিষদ, কবিতা পরিষদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহযোগিতায় পঞ্চকবির গান অনুষ্ঠিত হবে। 

১২ মে বিকেলে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও চলচ্চিত্র সংসদের সহযোগিতায় চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও সন্ধ্যায় বাংলা ছায়া ছবির জনপ্রিয় গান নিয়ে সংগীতানুষ্ঠান আয়োজিত হবে।

১৩ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক সংসদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহযোগিতায় প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষকবৃন্দ নিয়ে বিতর্ক এবং হাসন রাজা, রাধা রমন, শাহ্ আব্দুল করিম ও লালন শাহ্ এর মরমী গানের অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে।

১৪ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহযোগিতায় লোক সংগীত অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে।

১৫ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স, নৃত্যকলা এবং সংগীত বিভাগের সহযোগিতায় বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে।

১৬ মে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সহযোগিতায় নাটক প্রদর্শন হবে।

১৭ মে শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় টিএসসিতে যাত্রা প্রদর্শনী আয়োজিত হবে।

প্লাটিনাম জুবিলি উপলক্ষে 'অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ইতিহাস ও ঐতিহ্য' সম্বলিত লেখায় একটি তথ্যবহুল গ্রন্থ প্রকাশ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান অতিথি করে দিনব্যাপী প্লাটিনাম জুবিলি মিলনমেলা আয়োজিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি সাপেক্ষে এ বছরের নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই এটি আয়োজন করা হবে।

এ সময় আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, 'আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে মানের দিক থেকে এগিয়ে নিতে চাই। আমাদের যে সংস্কৃতি তা বর্তমান প্রজন্ম থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা তাদের কাছে আমাদের সংস্কৃতি তুলে ধরতে চাই।' 

গবেষণার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমাদের যুগ্ম-মহাসচিব সুভাষ সিংহ রায়কে প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়েছে। কারা গবেষণার জন্য মনোনীত হবেন, এ বিষয়ে কমিটি সিদ্ধান্ত নেবেন। এ বিষয়ে আমরা স্টেকহোল্ডার, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে বাস্তবতায়নের সর্বাত্মক চেষ্টা করব।' 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি সেলিমা খাতুন, আশরাফুল হক মুকুল, মহাসচিব মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার, যুগ্ম মহাসচিব এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক জহুরা বেগম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাজী মোয়াজ্জেম হোসেনসহ প্রমুখ।

   

ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপে পড়ানোর দাবি জাবি ছাত্র ইউনিয়নের



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) পূর্ণাঙ্গ স্কলারশিপে পড়ার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ।

মঙ্গলবার (৭ মে) সংগঠনটির দফতর সম্পাদক সীমান্ত বর্ধন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ফিলিস্তিনের সংগ্রামী জনতার পাশে দাঁড়ানো এবং আন্তর্জাতিক সংহতি গড়ে তোলার দায়িত্ব পৃথিবীর প্রতিটি সচেতন নাগরিকের। এটি কোনো যুদ্ধ নয়, এটি গণহত্যা। প্রতিটি যৌক্তিক আন্দোলন-সংগ্রামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থীরা বরাবরই সংহতি গড়ে তুলেছে। ফিলিস্তিনের বীর জনতার ওপর ইসরায়েলের চলমান গণহত্যা এবং অব্যাহত নৃশংসতায় সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সহযোগিতার বিরুদ্ধে ছাত্র ইউনিয়ন দেশজুড়ে সংহতি গড়ে তোলার কাজে শুরু থেকে নিযুক্ত।

আরও বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ স্কলারশিপে পাঠ গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হোক।

প্রসঙ্গত, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র ইউনিয়নের লড়াইয়ের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকায় ডাকসু ও ছাত্র ইউনিয়ন ঘোষিত ‘ভিয়েতনাম দিবসের’ সংহতি মিছিল মার্কিন দূতাবাসে স্মারকলিপি দিতে গেলে পুলিশের গুলিতে ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী মতিউল ইসলাম ও মির্জা কাদেরুল ইসলাম শহীদ হন। ২০০২ সালে মির্জা কাদেরুল ইসলাম ও মতিউল ইসলামকে ভিয়েতনামের জাতীয় বীরের মর্যাদা দেয় দেশটির সরকার। পাশাপাশি ভিয়েতনামের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার নামকরণও করা হয় এ দুই বীরের নামে।

;

ছাত্রদল নেতাকে পিস্তল দেখিয়ে গুলি করার হুমকি রাবি ছাত্রলীগের



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজের কক্ষে তিন ঘণ্টা আটকে রেখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের এক নেতা ও তার বন্ধুকে নির্যাতনের পাশাপাশি পিস্তল দেখিয়ে পায়ে গুলি করার হুমকির অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবসহ তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।

সোমবার (৬ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাফিউল ইসলাম জীবন ও তার বন্ধু ইউনুস খান। নাফিউল বর্তমানে শাখা ছাত্রদলের দফতর সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। তারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

অপরদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব, সহ-সভাপতি মনু মোহন বাপ্পা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিকুল ইসলাম সাদিক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান সোহাগ।

জানতে চাইলে ভুক্তভোগী নাফিউল ইসলাম বলেন, সোমবার রাতে আমি ও আমার বন্ধু মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের তাপসী রাবেয়া হলের সামনে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এসময় ছাত্রলীগের তিনজন নেতা শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মনু মোহন বাপ্পা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিকুল ইসলাম সাদিক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান সোহাগ আমাদের পেছনে এসে দাঁড়ায়। তাদের দেখে আমরা ক্যাম্পাস থেকে বাইক নিয়ে চলে আসছিলাম। আসার পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম পাড়া আবাসিক এলাকায় তারা আমাদের পথ রোধ করে তাদের বাইকে আমাকে তুলে নেয়। এরপর তারা আমাকে মাদার বখ্শ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, আমাকে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব ওই কক্ষে আসেন। এসময় সে আমাকে দলীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং এক পর্যায়ে সে আমাকে এলোপাতাড়িভাবে চড়-থাপ্পর ও মাথায় কিল-ঘুষি মারে। এরপর সে একটা পিস্তল বের করে। পিস্তলে তিনটা গুলি লোড-আনলোড করতে করতে বলে, ‘তোর কোন পায়ে গুলি করব, ডান পায়ে না বাম পায়ে’। এমন করতে করতে সে একবার শুট করে। তবে গুলি তখন আনলোড করা ছিল। পরবর্তীতে রাত ১টার দিকে তারা আমাকে সহকারী প্রক্টরের হাতে তুলে দেন।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, ‘ওই ছেলেকে কোনো ধরনের মারধর, হুমকি কিংবা মানসিক নির্যাতন করা হয়নি। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এর আগে ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনগুলোতে তালা লাগিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। আমরা তাই সন্দেহজনকভাবে তাকে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। পরে তাকে প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে হস্তান্তর করেছি।

পিস্তল দেখিয়ে পায়ে গুলি করার হুমকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। কারণ অস্ত্রের রাজনীতি ছাত্রদল করে, এটা ছাত্রলীগ করে না। ছাত্রলীগের হাতে কলম থাকবে, অস্ত্র না।’

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ফোন পেয়ে আমি ওই হলে দুজন সহকারী প্রক্টরকে পাঠাই। তারা সেখান থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে বিনোদপুরে পৌঁছে দেয়। এ ঘটনায় মারধর কিংবা নির্যাতনের কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। মারধরের ঘটনার প্রমাণ সাপেক্ষে অভিযোগ করলে বিষয়টি দেখব।

;

সাপের কামড়ে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিষধর রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপের কামড়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

মৃত ওই শিক্ষার্থীর নাম শাকিনুর রহমান সাব্বির। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায়।

সাব্বিরের সহপাঠী সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (৫ মে) সন্ধ্যায় কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে পদ্মার পাড়ে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন সাব্বির। এসময় বিষধর রাসেল ভাইপার সাপ সাব্বিরকে কামড় দেয়। তার বন্ধুরা সঙ্গে সঙ্গে সাপটিকে মেরে দ্রুত সাব্বিরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

;

জাবিতে প্রথমবারের মত গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সমাজবিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে আইন ও বিচার বিভাগ এবং ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) এর সহযোগিতায় 'নেভিগেটিং কমপ্লেসিটি: ইন্টার ডিসিপ্লিনারি পারসপেক্টিভস অন সোশ্যাল চ্যালেঞ্জেস' শীর্ষক প্রথম গ্রাজুয়েট রিসার্চ কনফারেন্স-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের লাউঞ্জে দিনব্যাপী এ কনফারেন্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, গবেষণায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভালো করছে। বিশ্বের সেরা দুই শতাংশ গবেষকদের মধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন গবেষক রয়েছেন, যা আমাদের জন্য গৌরবের। টাইমস হায়ার এডুকেশন কর্তৃক শিক্ষা ও গবেষণার ওপর এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং ২০২৪- এ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের সাথে যৌথভাবে ১ম স্থান অর্জন করেছে।

এসময় তিনি, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের কনফারেন্স আয়োজনকে প্রশংসনীয় এবং সময়োপযোগী উদ্যোগ বলে মন্তব্য করেন। উপাচার্য আশা প্রকাশ করেন যে, এ কনফারেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিং এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।

প্রথম গ্রাজুয়েট রিসার্চ কনফারেন্স-২০২৪ এর আহ্বায়ক ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ স্বাগত বক্তব্যে বলেন, সামাজিক সঙ্কট মোকাবিলায় বিভিন্ন বিভাগ একসাথে ইন্টারডিসিপ্লিনারি বিষয়গুলোর ওপর যৌথ গবেষণা পরিচালনা করা যায়, এটাই আমাদের এই গবেষণা সম্মেলনের প্রয়াস। এ আয়োজন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণায় একটি শুভ সূচনা। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের সাথে আরো বেশি যৌথ গবেষণার সুযোগ পাবে।

এর আগে সকাল ৯টা থেকে প্রাথমিক রেজিষ্ট্রেশনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর নয়টি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা করেন শিক্ষক ও গবেষকগণ। মূল আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে ছিল সোশ্যাল জাস্টিস, গ্লোবালাইজেশন, কালচারাল ডাইভারসিটি, গভার্ন্যান্স এবং টেকনোলজি ও ইনোভেশনের মত চমকপ্রদ কিছু বিষয়।

এদিকে বিকাল ৩টায় আয়োজনের দ্বিতীয় অংশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. শেখ মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার প্রমুখ৷

কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে মূল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. নাসিম আক্তার হোসাইন। এছাড়াও অন্যান্যদের মাঝে নানা বিষয় নিয়ে আরও আলোচনা করেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. দারা শামসুদ্দিন, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. নুরুল হক ও আইসিটি ডিভিশনের এটুআই প্রকল্পের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট মানিক মাহমুদ।

উল্লেখ্য, প্রথমবার আয়োজিত এই কনফারেন্সে ৯টি প্লেনারি সেশনে ৭০ টি গবেষণার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল এবং পিএইচডির শিক্ষার্থীরা তাদের গবেষণার সারসংক্ষেপ করেন।

কনফারেন্স উপলক্ষে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রকাশিত বই এবং বিভাগের জার্নাল প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া ৬ মে এবং ৭ মে দুইদিন ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল) এবং অ্যাডর্ন পাবলিকেশনে আয়োজনে বইমেলা চলছে। কনফারেন্স উপলক্ষ্যে ইউপিএল তাদের সমস্ত বইয়ে শিক্ষকদের জন্য ৩০ শতাংশ ও শিক্ষার্থীদের জন্য ৩৫ শতাংশ ছাড় দিবে।

;