জাবিতে ডিন নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অনুষদগুলোর আসন্ন ডিন নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসানের বিরুদ্ধে।

রোববার (৫ মে) রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে পক্ষপাতিত্বমূলক কার্যক্রমের প্রতিকার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন নির্বাচনের বৈধপ্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়া ৪ জন শিক্ষক।

পক্ষপাতিত্বমূলক কার্যক্রমের বিষয়ে অভিযোগকারী শিক্ষকরা হলেন- বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের বর্তমান ডিন ও ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক নীলাঞ্জন কুমার সাহা ও সহযোগী অধ্যাপক ইউসুফ হারুন, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক কাশেদুল ওহাব তুহিন ও সহযোগী অধ্যাপক রাকিবুল হাসান। এছাড়া উপাচার্য বরাবর দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে অবৈধভাবে বাছাইকৃত প্রার্থী তালিকা বাতিল করে আইনানুগভাবে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এই শিক্ষকবৃন্দ।

অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের আসন্ন ডিন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে গত ২৯ এপ্রিল মনোনয়নপত্র দাখিল করেন প্রার্থীরা। কিন্তু বৈধ প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পূর্বে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য গত ৩০ এপ্রিল ই-মেইলে এবং ১ মে সশরীরে রিটার্নিং অফিসারকে অবহিত করে আবেদনপত্র জমা দেন তারা। কিন্তু রিটার্নিং অফিসার তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করে প্রার্থীদের অনুপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র বাছাই করেন। এরপর তড়িঘড়ি করে গত ২ মে বৈধ প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করে। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় কোন ত্রুটি বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হলে তা প্রার্থীকে অথবা মনোনীত প্রতিনিধিকে দেখানোর কথা এবং তা প্রতিকারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

আরও জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ এ মামুন কর্তৃক প্রস্তাবিত এবং সে সময়ে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ কর্তৃক সমর্থিত এক প্রস্তাব গ্রহণ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। প্রস্তাবটি ছিল, মনোনয়নপত্রে কোন ধরনের ভুল ত্রুটি থাকলে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের ডেকে তা প্রতিকার করে দাখিলকৃত সব মনোনয়নপত্র বৈধ হিসেবে গ্রহণ করার। কিন্তু রিটার্নিং অফিসার আইন এবং সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুসরণ করেননি। এছাড়া ঠিক কি কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে অথবা কি কারণে আবেদন গ্রহণ করা সম্ভব হলো না তা ওই শিক্ষকদের পক্ষে বোঝা সম্ভব হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়।

ডিন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু হাসানকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্রে বলা হয়, তফসিল ঘোষণার সময় থেকে এখন পর্যন্ত রিটার্নিং অফিসার ডিন নির্বাচন সংক্রান্ত কোন নীতিমালা, আইন, বা প্রচলিত নিয়মসমূহের সংকলন লিখিত অথবা মৌখিকভাবে অবহিত করেননি। মনোনয়নপত্রেও এধরনের কোন নির্দেশনা বা বিশেষ দ্রষ্টব্য ছিলো না। এছাড়া বৈধতালিকা প্রকাশের আগে প্রচারণা চালানো প্রার্থীদের প্রার্থিতাও বাতিল করা হয়নি।

অভিযোগপত্রে উপাচার্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়, বৈধতালিকা প্রকাশের আগেই একজন যখন নিজেকে প্রার্থী হিসেবে পরিচয় দেয় তা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবজ্ঞা করা অথবা রিটার্নিং কর্মকর্তার ওই সকল প্রার্থীদের প্রতি পক্ষপাতিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। এমতাবস্থায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সংক্রান্ত সংবিধির ১.২৪ ধারা মোতাবেক এ বিষয়ে প্রতিকার প্রার্থনা করছি।

   

বেরোবিতে সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সারোয়ার আহমাদ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নিয়ে চলমান সংকটের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান করা হয়েছে একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সারোয়ার আহমাদ ।

রবিবার (২৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রশীদের নির্দেশে উপ-রেজিস্ট্রার মোস্তাফিজুর রহমান মণ্ডলের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়।

জানা যায়, বেরোবির সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের পদ দুই মাস ধরে শূন্য রয়েছে। গত ১০ মার্চ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক নজরুল ইসলামের মেয়াদ শেষ হলে বিভাগের ৩ শিক্ষক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী নজরুল ইসলামের পর জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানের পাওয়ার কথা। কিন্তু মামলা জটিলতার কারণে তাকে দায়িত্ব দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর থেকে বিভাগীয় প্রধানের পদ নিয়ে নানা জটিলতা তৈরী হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৩ শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক নিয়ামুন নাহার, সারোয়ার আহমাদ ও মো. রহমতুল্লাহকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও তারা তা গ্রহণ করেননি। ফলে বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাসহ জটিলতায় পড়ে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোরশেদ হোসেনকে। কিন্তু তিনিও এক সপ্তাহের মধ্যে পদত্যাগ করেন।

সারোয়ার আহমাদকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে বিভাগের কর্মরত শিক্ষকদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণে আইনগত জটিলতা থাকায় এবং উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বিভগের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার নিমিত্তে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর স্থাপনকল্পে প্রণীত ২০০৯ সনের ২৯ নং আইনের ধারা ১১ (১১) অনুসারে মো. সারোয়ার আহমাদকে একই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) এর দায়িত্ব প্রধান করা হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়,এই নিয়োগ আদেশ ২৬ মে ২০২৪ তারিখ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

দায়িত্ব নিয়ে অধ্যাপক সারোয়ার আহমাদ বলেন, বিভাগে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য শিক্ষার্থীরা সেশনজটসহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিল। আশা রাখি এই সংকট কাটিয়ে বিভাগের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারব।

;

বেরোবিতে সৌন্দর্য ও সৌরভ ছড়াচ্ছে দুর্লভ প্রজাতির বনআসরা ফুল



বর্ণালী জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সৌন্দর্য ও সৌরভ ছড়াচ্ছে দুর্লভ প্রজাতির বনআসরা ফুল। পাঁচ পাপড়ির সাদা ফুলে অসাধারণ সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে দুর্লভ এ ফুল।

মাঝারি আকারের গাছে শতাধিক ফুলের সৌন্দর্য উপভোগে মাতোয়ারা প্রকৃতিপ্রেমীরা। প্রতিরাতে বনআসরার সৌন্দর্য দেখতে ছুটে আসেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও এই ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন, এবং ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দী করে রাখছেন। অতি বিরল এই ফুলটি দেখতে আগ্রহ বাড়ছে প্রকৃতিপ্রেমীদের। কেউ কেউ এই ফুলকে ‘আছর’ নামেও ডেকে থাকেন।

জানা গেছে, এই ফুল গাছের পাতা স্বল্প বোঁটাযুক্ত বড়শির ফলার মতো। অগ্রভাগ চোখা, ১০ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। বনআসরা পাতার উপরের দিক সবুজ এবং নিচ দিক পাঁচ পাপড়ির সাদা ফুল। হালকা সবুজ বৃদ্ধি এবং নকশা করা উপবৃত্তিসহ অসাধারণ রূপ ধারণ করে। ফুলে রয়েছে মনোমুগ্ধকর সুগন্ধ। এই দুর্লভ ফুল রাতে দেখা গেলেও দুপুরের আগেই চুপসে যায়। এরপর ঝরে পরে। সাধারণত বীজ থেকেই বংশবৃদ্ধি হয়ে থাকে। তবে কলম করেও চারা তৈরি করা যায়।


দুর্লভ ফুল দেখতে আসা দর্শনার্থীরা বলেন, সত্যিই এই ফুলের গন্ধ মুগ্ধ করার মতো। অতি বিরল এই ফুল দেখতে পেয়ে ভাল লাগছে। এটি দুর্লভ গাছ বীজ সংরক্ষণ করে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। তাহলে আমরা খুব সহজেই এই ফুলের সৌন্দর্য এবং গাছ দেখতে পারব। প্রজন্মকে জানান দেওয়ার জন্য দুর্লভ গাছগুলো সংরক্ষণ করা অতি গুরুত্বপূর্ণ।

বনআসরা গাছটি লাগানের মূল কারিগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, চারবছর আগে ঢাকা থেকে এই গাছটির চারা এনে রোপণ করা হয়েছিল। বর্তমানে এর উচ্চতা দাঁড়িয়েছে ২০ ফুটের ওপরে। এর উচ্চতা আরও বাড়বে। এই ফুল রাতে ফোটে। দুপুর হতে হতেই নেতিয়ে পড়ে। এর গন্ধ মানুষকে মুগ্ধ করে। এই ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।

;

রাবিতে ডাইনিংয়ের খাবারে সিগারেট, গেটে তালা ঝুলিয়ে ভাঙচুর



রাবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ডাইনিংয়ে খাবারের মধ্যে সিগারেট পাওয়ার অভিযোগে গেটে তালা দিয়ে হলের অতিথি কক্ষে এবং অফিস রুমের সামনে ভাঙচুর চালিয়েছেন আবাসিক শিক্ষার্থী ও হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

সোমবার (২৭ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সোমবার দুপুরে খাওয়ার সময় খাবারে সিগারেটের একটি অংশ পায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষার্থী মুনির। সে শাখা ছাত্রলীগের কর্মী এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারী। পরে এ ঘটনার জেরে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতিথি কক্ষ, প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকদের কক্ষের নামফলক ভাঙচুরসহ হল গেটে তালা দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন।

আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হোসেন, লতিফ হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির পক্ষে হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তৌহিদুল ইসলাম এবং হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পক্ষে হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মাসুদুর রহমান ও তাদের অনুসারীরাও অংশ নেন।

একপর্যায়ে হল প্রাধ্যক্ষ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের আন্দোলনের মুখে হলে ঢুকতে না পেরে তিনি ফিরে যান। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ ও সহকারী প্রক্টর ড. জাকির হোসেন ও আল মামুন ঘটনাস্থলে যান এবং শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শোনেন। কিন্তু বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হলে ছাত্র উপদেষ্টাও ফিরে যান। এরপর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব হলে আসেন। পরে প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক এসে শিক্ষার্থীদের প্রায় ১৮টি অভিযোগ শোনেন এবং দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে যান।

এ ব্যাপারে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ঝামেলার কথা জেনে গেলে আমাকে হলে ঢুকতে দেয়া হয়নি। ছাত্রলীগসহ শিক্ষার্থীরা গেটে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করছিল। তখন ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদ, ইমরান, মাসুদসহ তাদের অনুসারীরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছে। ফলে বাধ্য হয়ে হল থেকে চলে এসেছি। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবিহিত করেছি। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়া হলে দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, সিগারেট ভাসমান বস্তু। রান্নার সময় এটা পানিতে ভেসে থাকার কথা। পাথর বা ইটের টুকরো হলে আলাদা হিসেব ছিল। এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং অযৌক্তিক দাবি। এটাকে পরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। তারপরও আমি ডাইনিং কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে রান্না করার নির্দেশ দিয়েছি।

অভিযোগটি পরিকল্পিত মনে হওয়ার প্রসঙ্গে প্রাধ্যক্ষ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতার জন্য বিভিন্ন হল থেকে খেলোয়াড় সিলেক্ট করা হয়েছে৷ যারা সিলেক্ট হয় তারা ট্রাউজার, জার্সি, ট্র্যাকস্যুট পেয়ে থাকে। এর জন্য আমাকে হল ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তালিকা দেয়া হয়েছিল। আমার হলের সাতজনের মধ্যে তারা কেউ সিলেক্ট হয়নি। পরে ছাত্রলীগের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আমার কাছে দুই গ্রুপের জন্য ১০টা করে জার্সি চায়। এটা আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব না বলে জানিয়ে দিই। এসময় সে অনেক অবান্তর কথাবার্তা বলে, আমি সেগুলো পাত্তা না দিয়ে চলে আসি। পরে আজ দুপুরে জানতে পারি, হলে খাবারের মধ্যে সিগারেট পাওয়া গেছে। এই আন্দোলনে কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী ছিল না।

এ ব্যাপারে হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, জার্সির জন্য প্রাধ্যক্ষকে কোনো তালিকা দেয়নি। আজকের ঘটনায় আমি সম্পৃক্ত নই। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি-দাওয়া ভিন্নখাতে নিতে এমন অভিযোগ তুলছেন তিনি। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে আরেক নেতা মাসুদুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

হলের সমস্যার বিষয়ে আবাসিক শিক্ষার্থী আবিদুল্লাহ বলেন, আমাদের হলের ক্যান্টিন চালু নেই। তাছাড়া ডাইনিংয়েও মানসম্মত খাবার পরিবেশন হয় না। আমরা এটার কার্যকর সমাধান চাই।

নবাব আব্দুল লতিফ হল শাখা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক মো. মারুফ হাসান বলেন, অনেক আগে থেকেই হলের মধ্যে বিভিন্ন অনিয়ম চলে আসতেছে। আমরা হল প্রাধ্যক্ষের কাছে গিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। তাই, আজ আন্দোলনে নেমেছি।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, আমি সেখানে শেষ মুহূর্তে গিয়েছিলাম। সাধারণ শিক্ষার্থীরা খাওয়ার সময় ডালের মধ্যে সিগারেটের কিছু অংশ পাওয়ায়, সেটা নিয়ে আন্দোলন শুরু করে। পরে প্রাধ্যক্ষ এসে কোনো সমাধান না দিয়েই চলে যায়। পরে আমরা গিয়ে প্রক্টর স্যারকে ডাকি। পরে প্রক্টর স্যার শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে আসে।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, এখানে ছাত্রলীগের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। এটা হলের সকলের আন্দোলন ছিল৷ আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীরাই ছিলেন।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের বড় কোনো অভিযোগ নেই। কার খাবারে সিগারেটের অংশ পাওয়া গেছে সেটাও কেউ জানায়নি। হলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ খাবারের মান বৃদ্ধির বিষয়গুলো জানিয়েছে। সেগুলো সমাধানে প্রাধ্যক্ষকের সঙ্গে আমরা কথা বলব।

;

টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ও লোডশেডিং, বিপাকে ঢাবি শিক্ষার্থীরা



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল' এর প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে পানিবন্দী হয়ে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কয়েকটি হলসহ আশেপাশের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এছাড়াও ঝড়ে লোডশেডিং এর ফলে বিপাকে পড়েছেন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৭ মে) সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বাইরে জলাবদ্ধতা ও ভেতরে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু হল। এতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছে হলগুলোর আবসিক শিক্ষার্থীরা।

গতকাল রোববার রাজধানীতে রাত থেকে এখন অব্দি টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে এ বৃষ্টিতে রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিসি চত্বর থেকে নীলক্ষেত রোড, শাহনেওয়াজ হোস্টেল, নিউমার্কেট এলাকায় পানি দেখা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলও এ জলাবদ্ধতায় আটকে আছে।

এছাড়াও সোমবার দুপুর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, শামসুন্নাহার হল, কবি সুফিয়া কামাল হল, কুয়েত মৈত্রী হল এর শিক্ষার্থীরা জানান, আবহাওয়ার এমন অবস্থায় বেশ কয়েকবার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে পুরো হল। যেখানে হলগুলোতে সাধারণত ১০ মিনিটের জন্যেও বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয় না সেখানে এক ঘন্টার অধিক সময় বিদ্যুৎ সংযোগ ছিলো না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের শিক্ষার্থী জুবায়ের রহমান বলেন , আগামী পরশু আমার পরীক্ষা। দীর্ঘক্ষণ ধরে বিদ্যুৎ নেই। ল্যাপটপে চার্জ না থাকায় পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারছি না। সকাল থেকেই বারবার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে।

কবি সুফিয়া কামাল হলের হলের শিক্ষার্থী মাইশা মালিহা জানান, ঝড় হওয়ার পর থেকে পানির সাথে অনেক ময়লা আসছিলো। রান্না করতে অনেক সমস্যা হয়েছে। এছাড়াও বারবার লোডশেডিং তো আছেই। সবমিলিয়ে খুব অসুবিধা হচ্ছে আবাসিক শিক্ষার্থীদের।

স্যার এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন কিফাত বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করি। ঝড়ে পানি জমে থাকায় অফিসের জন্য বের হতে পারলাম না। কাল সারাদিন মোবাইলে চার্জ দেওয়া হয়নি,তাই চার্জও নাই। সব কাজই থমকে আছে এমন অবস্থায়।

;