বন্ধের সিদ্ধান্তের পরও শেকৃবিতে চলমান ল্যাব খাতার রীতি 



শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বন্ধের সিদ্ধান্তের পরও শেকৃবিতে চলমান ল্যাব খাতার রীতি 

বন্ধের সিদ্ধান্তের পরও শেকৃবিতে চলমান ল্যাব খাতার রীতি 

  • Font increase
  • Font Decrease

পুরনো বছরের কোনো ল্যাব খাতা দেখে নতুন খাতায় লিখা কিংবা কোনো শিট দেখে ল্যাব খাতায় তুলে ফেলা বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান এক আদিম প্রথা। রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ও (শেকৃবি) এই রীতির বাইরে নয়। যদিও আট মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট মিটিংয়ে ল্যাব খাতা লিখা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, যে সকল শিক্ষক আগে থেকেই ল্যাব খাতা লিখার বিপক্ষে ছিল এবং এর পরিবর্তে ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করত সিন্ডিকেট মিটিং এর এই সিদ্ধান্ত শুধু তাদের কার্যক্রমকে বৈধতা দিয়েছে। আর যারা পূর্বেও ল্যাব খাতা লিখার পক্ষে ছিল তারা এখনও একই রীতিতে কার্যক্রম চালাচ্ছেন।  

এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, 'আমাদের ল্যাব কোর্সগুলোর ১০ শতাংশ নম্বর ল্যাব খাতার উপর থাকে। কিন্তু এই অংশ থেকে আমরা কিছুই শিখতে পারি না। উল্টো রাতভর ল্যাব খাতা লিখতে গিয়ে পরীক্ষার আসল জিনিস পড়তে বা প্রাকটিস করতে পারি না। অনেক সময় পরীক্ষা খারাপ হওয়ার কারণও হয়ে দাড়ায় এই ল্যাব খাতা লিখা। আমাদের ক্লাস নোটগুলোর উপর ল্যাব খাতার মার্কিং করলে আমাদের জন্য বেশি কার্যকর হতো। সবাই মনোযোগ দিয়ে ক্লাসও করত, শেখাও হতো এবং নম্বরও পাওয়া যেতো। এই পদ্ধতি চালুকরণে কোনো সমস্যা হওয়ার তো কথা নয়। অনেক শিক্ষক এই পদ্ধতি অনুসরণও করছেন।' 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃতীয় বর্ষের কৃষি অনুষদের এক শিক্ষার্থী বলেন, 'মাড়িয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এত বড় আন্দোলন হলো। শুনলাম সিন্ডিকেট মিটিংয়েও পাশ হলো লিখতে হবে না ল্যাব খাতা। সিদ্ধান্তের বিষয়ে আনন্দিত হলেও নতুন সেমিস্টারে সেই আগের পদ্ধতিতেই ল্যাব খাতা লিখতে হচ্ছে। জানি না এই সিদ্ধান্তের কি কার্যকারিতা হয়েছে, তবে দীর্ঘ দিন ধরে চলমান এই রীতি বন্ধ হওয়া উচিত। মাড়িয়া মৃত্যু কেন্দ্রিক অন্য দাবিগুলো কার্যকর না হলেও এই একটি দাবি অন্তত বাস্তবায়িত হওয়া উচিত।' 

উল্লেখ্যে,গ ত ২৩ মার্চ ২০২৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাড়িয়া নামক এক শিক্ষার্থী আবাসিক হলের ১০ তলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করলে সাধারণ শিক্ষার্থী
বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। মিডটার্ম চালু, সাইকোলজিস্ট নিয়োগ এবং ল্যাব খাতা বন্ধকরণসহ বেশ কিছু দাবি শিক্ষার্থীরা উত্থাপন করলেও ল্যাব খাতা বন্ধে প্রশাসন একমত পোষণ করে এবং দ্রুত সিন্ডিকেট মিটিংয়ে ল্যাব খাতা লিখা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষকগণ এই রীতিকে অকার্যকর মনে করলেও বন্ধের সিদ্ধান্তের আট মাস পরে এখনও চলমান রয়েছে এই রীতি।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. আবুল ফায়াজ মো. জামাল উদ্দিন বলেন, 'প্রথমত আমরা বিশ্ববিদ্যালয় হলেও এখনও বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সিদ্ধান্ত গ্রহণে  অপারগতা দেখিয়েছি ।বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে নিজেদের সন্তান হিসেবে চিন্তা করতে পারিনি। তাদের সমস্যা গুলোকে নিজেদের সমস্যা মনে করা বাদ দিয়ে, নিজেদের সমস্যা ও স্বার্থ হাসিলে আমরা ব্যস্ত। ল্যাব খাতা লিখা বন্ধকরণ বড় কোনো বিষয় নয়। ক্লাস নোটকেই ল্যাব খাতার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এমনিতেই আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রচন্ড মানসিক চাপে থাকে। তার উপর অপ্রয়োজনীয় দীর্ঘ দিন ধরে চলমান এই রীতি তাদেরকে আরও প্রেসারে ফেলছে। একটু চেষ্টা করলেই পরিবর্তন সম্ভব।' 

অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, 'স্মার্ট বাংলাদেশে থেকে কীভাবে আমরা এই আদি রীতি অনুসরণ করি তা বোধগম্য নয়। আগের লেখা ল্যাব খাতা দেখে নতুন করে লেখার মধ্যে কি মহত্ত্ব বিদ্যমান রয়েছে তা আমাদের অজানা। এগুলো শুধু সময়ের অপচয় মাত্র। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খাতা লিখা বন্ধ করলেও আমাদের এখনও অধিকাংশ ডিপার্টমেন্টের ল্যাব খাতা লিখতে হচ্ছে। আশা করছি এই অপ্রয়োজনীয় রীতি থেকে প্রশাসন যথার্থ ব্যবস্থা নিয়ে আমাদের নিষ্কৃতি দিবে।' 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.অলক কুমার পাল বলেন, 'আমাদের সিন্ডিকেটে ল্যাব খাতা লিখা বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা ব্যাবস্থা নিয়েছি। কিন্তু বয়স্ক কিছু শিক্ষক দীর্ঘ দিন ধরে চলমান এই রীতি পরিবর্তন করে নতুনত্বের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারছেন না। তবে আমরা চেষ্টা করছি, তাদেরকে বুঝাচ্ছি, আশা করি দ্রুতই পরিবর্তন সম্ভব হবে। আমরা পুরোনো খাতা দেখে ল্যাব খাতা লিখার পক্ষে নই।' 

   

লিফট কিনতে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন ঢাবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরসহ চারজন



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার

অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিভিন্ন ভবনের জন্য লিফট কিনতে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছারসহ চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

শনিবার (৪ মে) সকালে ফিনল্যান্ডের উদ্দেশে প্রতিনিধি দলটি রওনা দেন বলে জানা গেছে।

প্রতিনিধি দলটির অন্য সদস্যরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি এম তৌফিক হাসান এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের পরিচালক জাবেদ আলম মৃধা।

জানা যায়, লিফট ক্রয়ের লক্ষ্যে ২য় প্রি–শিপমেন্ট ইনস্পেকশনের (পিএসআই) টিমের মনোনিত সদস্য হিসেবে ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শন করার উদ্দেশ্যে ঠিকাদারের খরচে এই প্রতিনিধি দলটি ফিনল্যান্ড গমণ করেছে। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদেরকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ছুটিও মঞ্জুর করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বরাবর রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকারের পাঠানো ছুটি মঞ্জুরের একটি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আপনার দরখাস্তের বরাতে আদিষ্ট হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, উপাচার্য কর্তৃক লিফট ক্রয়ের লক্ষ্যে দ্বিতীয় পিএসআই টিমের মনোনীত সদস্য হিসেবে ইন্ডাস্ট্রি ভিজিট করার উদ্দেশ্যে ফিনল্যান্ড গমণ ও অবস্থানের জন্য আপনাকে ০২-০৫-২০২৪ হতে ০৯-০৫-২০২৪ তারিখ পর্যন্ত ০৮ (আট) দিন কর্তব্যরত ছুটি মঞ্জুর ও কর্মস্থল ত্যাগের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। ইহার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কোনো আর্থিক খরচ বহন করবে না।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে জারিকৃত ১৯-০৬-২০১১ তারিখের ০৩.০৬৯.০২৫.০৬. ০০.০৩.২০১১-১৪৪ (৫০০) সংখ্যক স্মারকের ৮ ধারায় বর্ণিত ক্ষমতাবলে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২৪-১১-২০২২ তারিখের পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য আপনাকে বিদেশ গমনের অনুমতি প্রদান করেছেন। আপনাকে আরও জানানো যাচ্ছে যে, আপনার বিদেশে অবস্থানকালীন সময়ে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালকে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা)-এর দায়িত্ব পালনের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।

;

ইবির শেখ রাসেল হলের নতুন প্রভোস্টের দায়িত্ব গ্রহণ



ইবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শেখ রাসেল হলের নতুন প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম।

শনিবার (৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় হলের প্রভোস্ট কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দায়িত্ব হস্তান্তর করেন সদ্য বিদায়ী প্রভোস্ট ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন অধ্যাপক মোঃ সাইফুল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোঃ বাকী বিল্লাহ, চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আক্তারুল ইসলাম, আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল, অধ্যাপক ড. মোঃ শাহজাহান মন্ডল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি শিরিনা খাতুনসহ আরো অনেকে।

এ বিষয়ে হলের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম বলেন,বৃক্ষ তোমার নাম কি? ফলে পরিচয়। আমি আমার দায়িত্ব গ্রহণের পর কতটুকু কি করতে পারবো হলের জন্য তা আমার পরিচয় বহন করবে। আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে হলের কল্যাণে যা করা দরকার সবকিছু করবো ইনশাআল্লাহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও হলের শিক্ষার্থী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।

উল্লেখ্য, গত ২০ এপ্রিল হলের সাবেক প্রভোস্ট অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মার মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ২১ এপ্রিল থেকে অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলমকে এ পদে নিয়োগ দেন উপাচার্য। আগামী এক বছর তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন।

;

ক্যাম্পাস চালুসহ পাঁচ দফা দাবিতে কুবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

অনির্দিষ্টকালের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলে পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো পূরণ করতে কুবি প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতিকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।

শনিবার (৪ মে) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিবের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে সকাল সাড়ে ১১টায় এই মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম রাকিব বলেন, 'শিক্ষক সমিতি গত ১৯ ফেব্রুয়ারীর পর থেকে দফায় দফায় ক্লাস বর্জন করে আসছে। প্রায় ৪ দফায় শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন করেছেন। তাদের দাবি এটা ন্যায্য আন্দোলন অথচ ক্ষতির সম্মুখীন আমরা হয়েছি। শিক্ষক সমিতি ক্লাস বর্জন করাটা যেমন অন্যায় তেমনি ভিসি স্যারের ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়াটাও অন্যায়। দু'পক্ষের এই আন্দোলনের মধ্যে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। তাদের সমস্যা অবশ্যই সমাধানের প্রয়োজন রয়েছে।

মানববন্ধনে সাধারণত শিক্ষার্থীদের পক্ষে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফ শেখ বলেন, ‘শিক্ষক এবং উপাচার্য নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে আমাদেরকে ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই নিম্নবিত্ত পরিবারের। অনেক শিক্ষার্থীরা টিউশন করিয়ে লেখাপড়ার খরচ চালায়। পরিবহন বন্ধ থাকায় টিউশন করানো কষ্টকর হয়ে গেছে। অনতিবিলম্বে ক্লাস-পরীক্ষা চালু করার জোর দাবি জানাচ্ছি।'

এসময় মানববন্ধনে তারা পাঁচটি দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিসমূহ হলো- অবিলম্বে ক্যম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, অবিলম্বে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব কিছু চালু করতে হবে, পরিবহন ব্যবস্থা চালু করতে হবে, শিক্ষকদের ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইউজিসি/সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত কমিটি গঠন করে সংকট সমাধান করতে হবে।

 

 

;

মধ্যরাতে জবির ছাত্রী হলে আগুন, ভয়ে অসুস্থ ১



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে হঠাৎ গ্যাস লিকেজ থেকে গ্যাসের চুলায় আগুন ধরে যায়। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো হলে। তবে দ্রুতই আগুন নেভাতে সক্ষম হয় ছাত্রীরা।

শুক্রবার (০৩ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলেও ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে এক ছাত্রী। তবে প্রাথমিকভাবে ওই ছাত্রীর নাম পরিচয় জানা যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রী হলের এক শিক্ষার্থী জানান, হলের অধিকাংশ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নষ্ট অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ। আগুনের ঘটনায় সবাই আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র না থাকায় ভেজা কাথা দিয়ে আগুন নেভানো হয়।

ওই ছাত্রী আরও জানান, আজ হলের কোনো ফ্লোরেই কোনো হাউজ টিউটর নেই। যে ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাকে ট্রিটমেন্ট দেওয়ার মতোও পরিস্থিতি নাই। হলের ম্যাক্সিমাম গ্যাস লাইনে লিকেজ আছে। লাল টেপ দিয়ে লিকেজ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এগুলো ঠিক না করলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। 

;