ভাইস চ্যান্সেলর বৃত্তি পেল কুবির ৪০৬ শিক্ষার্থী



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা 
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পাঁচ ক্যাটাগরিতে প্রায় ৪০৬ জন শিক্ষার্থীকে ভাইস চ্যান্সেলর বৃত্তি প্রদান করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রশাসন।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহ. আমিনুল ইসলাম আকন্দের সভাপতিত্বে এবং ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জাহিদ হাসান ও ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক কাজী ফাখেরা নওশীনের সঞ্চালনায় বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের চেক প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।

স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের মেধাবী ও অসচ্ছল ৩৭২ জন শিক্ষার্থী, স্পোর্টস স্কলারশিপ ক্যাটাগরিতে ১৯ জন শিক্ষার্থীসহ মোট ৩৯১ জন শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে ৮ হাজার ৫০০টাকা সমমূল্যের চেক প্রদান করা হয়। এছাড়া কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের অর্থায়নে নিজ বিভাগের ১৫ জন শিক্ষার্থীকে অর্থাৎ এসএসএম মেমোরিয়াল ফান্ড থেকে ৩ জন এবং উত্তর ক‍্যারোলিনা, ইউএসএ ভিত্তিক স্কলারশিপ প্রোগ্রাম-সোপান থেকে ১২ জন শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে দেয়া হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘আজকের এই দিনটিকে আমাদের সবার জন্য বিশেষ করে তুলেছে বৃত্তিপ্রাপ্তরা। ভর্তি পরীক্ষার আয় থেকে ৮০ ভাগ তহবিল নির্ধারণ করে আমরা এই প্রোগ্রামটি শুরু করেছি। সম্ভবত আমরাই প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, যারা ভর্তি পরীক্ষার আয় থেকে তহবিল গঠন করে শিক্ষার্থীদের মেধাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। গতবছর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তার সাথে সংগতিপূর্ণ স্পোর্টস স্কলারশিপ চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। বৃত্তির এই প্রোগ্রামটি শুধু এই বছর নয়, বছরের পর বছর চালু থাকবে বলে আশা করছি।'

ভাইস চ্যান্সেলর বৃত্তি পেল কুবির ৪০৬ শিক্ষার্থী

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ডিপ লার্নিং, অথেনটিক লার্নিং, এক্সপেরিমেন্টাল লার্নিং, এবং ক্রিটিক্যাল থিংকিংয়ের বিকাশকে সমর্থন করি। আমরা পাঠ্যপুস্তক ও ক্লাসরুমের বাইরে আজীবন শেখার আবেগকে জাগিয়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি। যা আমাদের শিক্ষার্থীদের এমন একটি বিশ্বের জন্য প্রস্তুত করতে যাচ্ছে যেখানে তারা অভিযোজন যোগ্যতা, উদ্ভাবন এবং নৈতিক নেতৃত্বের দাবি রাখে।'

অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মুহ. আমিনুল ইসলাম আকন্দ বলেন, ‘আমরা এই স্কলারশিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্ষেত্রে উৎসাহিত করার পাশাপাশি ফিন্যান্সিয়াল সাপোর্ট প্রদান করছি। এছাড়া স্পোর্টস স্কলারশিপ শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করবে। এই স্কলারশিপ প্রদানের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আমি উপাচার্য স্যারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।'

ছবি: বার্তা২৪.কম

এছাড়া এ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি গ্র্যান্ট কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এন এম রবিউল আওয়াল চৌধুরী, বিএনসিসি ময়নামতি রেজিমেন্টের রেজিমেন্ট কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. কামরুল ইসলাম এবং কুমিল্লার ডেপুটি কমিশনার মো. মুশফিকুর রহমান।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৬ মে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ৫৮ জন অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে এককালীন বৃত্তি প্রদান করা হয়েছিল। এরপর একই বছরের ১৬ নভেম্বর প্রথমবারের মত মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের ভাইস চ্যান্সেলর স্কলারশিপ নামে এই বৃত্তি প্রদান করা হয়।

   

জবিতে বাড়ল একাডেমিক ডকুমেন্টস উত্তোলনের ফি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে শিক্ষার্থীদের প্রদেয় ডকুমেন্টস/সেবাসমূহের ফি বাড়ানো হয়েছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সুপারিশের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫-তম সিন্ডিকেট সভায় সেবাসমূহের ফি বৃদ্ধির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

রোববার (৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরতি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনার্স-মাস্টার্সের মূল সনদ, দ্বি-নকল ও ত্রি-নকলের পূর্বের নির্ধারিত ফি থেকে ১০০ টাকা করে বাড়ানো করা হয়েছে। মূল সনদের ফি ছিল ৪০০ টাকা, দ্বি-নকল ও ত্রি-নকলের ফি ছিল ৬০০ টাকা। এমফিল-পিএইচডিতে প্রতিটি মূল সনদ, দ্বি-নকল, ত্রি-নকল এবং সংশোধন ফি নির্ধারিত করা হয়েছে ১০০০ টাকা। তবে অনার্স-মাস্টার্সের মূল সনদের সংশোধন ফি বৃদ্ধি করা হয়নি।

অনার্স-মাস্টার্সের সাময়িক সনদ ও সংশোধন ফি পূর্বের নির্ধারিত ফি থেকে ৫০ টাকা এবং দ্বি-নকল ও ত্রি-নকলে ২০০ টাকা করে বৃদ্ধি করা হয়েছে। সাময়িক সনদ ও সনদের সংশোধনের ফি ছিল ২৫০ টাকা, দ্বি-নকল ও ত্রি-নকলের ফি ছিল ৩০০ টাকা। এমফিল-পিএইচডিতে প্রতিটি মূল সনদ, দ্বি-নকল, ত্রি-নকল এবং সংশোধন ফি নির্ধারিত করা হয়েছে ৫০০ টাকা।

অনার্সের ট্রান্সকিপ্টে পূর্বের নির্ধারিত ফি ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টকা এবং মাস্টার্সের ফি ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। অনার্স-মাস্টার্সের সেমিস্টার গ্রেডশীট ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা করা হয়েছে তবে ফাইনাল গ্রেডশীটে ফি বৃদ্ধি করা হয়নি। সেটি পূর্বের নির্ধারিত ২৫০ টাকা রয়েছে।

অনার্স-মাস্টার্সের নম্বরপত্র ও নম্বরপত্র সংশোধনের ফি বৃদ্ধি করা হয়নি। পূর্বের নির্ধারিত ফি ২৫০ টাকা রাখা হয়েছে। তবে দ্বি-নকল ও ত্রি-নকলের ফি ১০০ টাকা বৃদ্ধি করে ৪০০ টাকা নির্ধারণ করেছে। প্রবেশপত্রের দি-নকল ও সংশোধনের ফি যথাক্রমে পূর্বের নির্ধারিত ২০০ টাকা ও ১০০ টাকা রাখা হয়েছে। প্রত্যয়নপত্রের ফি পূর্বের নির্ধারিত ১০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০০ টাকায় উন্নীত করেছে।

দেশের অভ্যন্তরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশনের ফি ৪০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫০০ টাকা করা হয়েছে। তবে সরকারি আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, সামরিক, আধাসামরিক প্রতিষ্ঠানের ও পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য কোনো ফি প্রযোজ্য নয়।

বিদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত ডকুমেন্টস ভেরিফিকেশন এবং ইমেইলের মাধ্যমে রিপোর্ট প্রেরণ করা যাবে বিনামূল্যে তবে ডাকযোগে প্রেরণের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ ইউএস ডলার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের খামে ডকুমেন্টস সিলগালা করণের ফি ১০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০০ টাকা করা হয়েছে। সাবেক জগন্নাথ কলেজের শিক্ষার্থীদের ডকুমেন্টস উত্তোলনের ফি ১০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০০ টাকা করা হয়েছে।

এছাড়াও সকল প্রকার জরুরি সেবার ফি পূর্বের নির্ধারিত ৩০০ টাকা রাখা হয়েছে।

ফি বৃদ্ধির কারণ জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলামের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

;

হালনাগাদ হয় না জবির ওয়েবসাইট! পুরনো ম্যাপে বিভ্রান্তি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: জবির ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত পুরনো ম্যাপ

ছবি: জবির ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত পুরনো ম্যাপ

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন ম্যাপ দেখে বিভ্রান্ত হয়েছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। তারা অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কাঠামোর সাথে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ম্যাপের বিস্তর ফারাক রয়েছে। এছাড়া তথ্য হালনাগাদ না হওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেক শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওয়েবসাইটের ম্যাপ বিশ্লেষণ করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

ম্যাপে দেখা যায়, নতুন ভবন (বিবিএ ভবন) এখনো ৭ তলা ভবন হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এটি ১৬ তলা ভবন। ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নাম লিপিবদ্ধ রয়েছে বাণিজ্য ভবন হিসেবে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রবেশ পত্রে উল্লেখ থাকা ইউটিলিটি ভবন ও জুলফা মাহমুদ ভবনের কোনো অস্তিত্ব নেই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পুরোনো ম্যাপে।

ম্যাপ বিশ্লেষণ করে আরও দেখা যায়, গণিত বিভাগের সামনে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল এবং কলা অনুষদে নির্মিত মুজিব মঞ্চও সংযোজিত হয় নি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাপে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলও স্থান পায় নি ম্যাপে।

আবার, বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র বোটানিক্যাল গার্ডেনকে উল্লেখ করা হয়েছে বাগান হিসেবে। বিজ্ঞান অনুষদে টেনিস গ্রাউন্ড ও বাস্কেটবল মাঠ নির্ধারিত থাকলেও সেখানে নেই মাঠের নির্ধারিত সীমানা, নেই বাস্কেট বলের নেট বা টেনিস কোর্টের জাল টানানোর খুঁটি। টেনিস গ্রাউন্ড এবং বাস্কেটবল মাঠ এখন ব্যবহৃত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের গ্যারেজ হিসেবে।

এছাড়াও পোগোজ স্কুল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হলেও ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সেই ম্যাপে পোগোজ স্কুলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানার বাইরে রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে, এখনো অন্তর্ভুক্ত হয়নি ২০২৪ সালের নতুন ডায়েরি।

ফরিদপুর থেকে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমার সিট পড়েছিলো নতুন বিল্ডিংয়ের ৮ তলায়। জবির ওয়েবসাইটের ম্যাপে ঢুকে দেখি সেই বিল্ডিং ৭ তলা। এতে কিছুটা অবাক হই। পরে ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিতে এসে বুঝতে পারি ম্যাপ আপডেট করা হয় নি।

টাঙ্গাইল থেকে আগত আজিজুল হাকিম নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমার সিট পড়েছিল ইউটিলিটি ভবনে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ম্যাপে ইউটিলিটি নামে কোনো ভবন নেই। এতে প্রথমে আমি ভেবেছিলাম তারা হয়তো ভুল করেছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করলে জানতে পারি যে ইউটিলিটি ভবন আছে ক্যাম্পাসে। তবে সেটা ম্যাপে উল্লেখ নেই।

এ বিষয়ে আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমি মাত্র দুই মাস হলো জয়েন করেছি। জয়েন করেই নতুন ওয়েবসাইটের কাজ শুরু করেছি। নতুন ওয়েবসাইটের কাজ প্রায় ৭০ ভাগ শেষ। নতুন ওয়েবসাইট আরও আধুনিক হবে এবং সেখানে সবকিছুই প্রতিনিয়ত আপডেট করা হবে। তখন আর এমন কোনো ত্রুটি থাকবে না।

;

৮ মে বন্ধ থাকবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ১৪১টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন হওয়ায় আগামীকাল ৮ মে বন্ধ থাকবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষা কার্যক্রম।

মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, আদিষ্ট হয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৪১টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণের দিন ৮ মে, বুধবার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণায়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় উক্ত নির্বাচনী এলাকার অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় ০৮ মে, ২০২৪ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস, পরীক্ষা ও অফিসসমূহ বন্ধ থাকবে।

;

চবির ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের দিতে হবে ডোপ টেস্ট



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চবির ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের দিতে হবে ডোপ টেস্ট

চবির ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের দিতে হবে ডোপ টেস্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ডোপ টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসলে ভর্তি বাতিল করবে প্রশাসন।

রোববার (০৫ মে) চবি উপাচার্য প্রফেসর মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমিটির সভায় ডোপ টেস্টের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের চবিতে চূড়ান্ত ভর্তির আগে ডোপ টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, মাদক আমাদের সমাজ, পরিবার ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করছে। তাই আমরা এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রথমে যারা সফলভাবে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাদের ডোপ টেস্ট করা হবে। তারপরে আমরা পর্যায়ক্রমে আমাদের অন্যান্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ধীরে ধীরে এর আওতায় আনব।

উপাচার্য আরও বলেন, এই প্রক্রিয়া শুরু করতে আমরা চমেক হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলেছি। কে এই খরচ বহন করবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে আমরা একটি সীমা—২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা—নির্ধারণ করার চেষ্টা করছি।

সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌলা গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমরা দেশের স্বার্থে এই উদ্যোগ নিয়েছি। পুরুষ ও নারী সব শিক্ষার্থীকেই তাদের রক্তের বা ইউরিনের নমুনা চমেকে দিতে হবে এবং পরীক্ষার ফলাফল চূড়ান্ত তালিকার জন্য প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হবে। যদি কেউ পজিটিভ হন, তাহলে তিনি ভর্তি হতে পারবেন না।'

উল্লেখ্য, ডোপ টেস্ট বা ড্রাগ টেস্ট হলো কোনো প্রাণীর শরীরের কোনো অংশের নমুনা থেকে ঐ প্রাণীর শরীরে কোনো নির্দিষ্ট মাদকের উপস্থিতি আছে কিনা তা পরীক্ষা করা। যারা নিয়মিত মাদক বা অ্যালকোহল গ্রহণ করেন তাদের শরীরে ওই নেশাজাতীয় পদার্থের কিছুটা হলেও থেকে যায়। আর সেটিই ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ধরা পড়ে। কোনো ব্যক্তি আদৌ মাদকাসক্ত কি না তা যাচাইয়ের জন্য যে মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়।

এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির মূত্র বা রক্ত, আবার কখনো দুটিরই নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মাদক গ্রহণ করা ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শেষ ১ সপ্তাহে মুখের লালার মাধ্যমে, শেষ ২ মাস রক্তের মাধ্যমে, শেষ ১২ মাস বা ১ বছরে চুল পরীক্ষার মাধ্যমে পাওয়া যায় মাদকের নমুনা।

;