এসএম জামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আমাদের আবার মে দিবস! কাজে আসলে কাজ শেষে ট্যাকা (টাকা) পাই, আবার কাজে না আসলে ট্যাকা নাই। আমরা অসুস্থ হয়ে বাড়িতে পড়ে থাকলেও কেউ দেখে না, খবরও নেয় না। ইটভাটা মালিকও খবর নেয় না। এই আমাদের কষ্টের জীবনে আবার মে দিবস। এসব দিবস-টিবস আমরা বুঝি না।

এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মশান এলাকার ইটভাটা শ্রমিক মহিন উদ্দিন। তার বাড়ি মিরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে।

বাবা-মা ও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করেন তিনি। আগে ইট মাথায় করে আনা নেওয়ার কাজ করতেন, এখন ইট তৈরিতে পারদর্শী তিনি। প্রতি হাজার ইট তৈরি করলে পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন ৮শ' টাকা। এক্ষেত্রে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আবার একটু বেশি পাওয়ার আশা রাত অবধি কাজ করেন তিনি। তাতে করে কোন কোন দিন এক হাজার টাকা আয় করে থাকেন।

আজ মহান মে দিবস। দিনটা শ্রমিকদের। ‘শ্রমিক-মালিক গড়বো দেশ; স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশে পালিত হচ্ছে এই মে দিবস। কিন্তু সে হিসেব নেই গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষগুলোর যারা সত্যিকার অর্থে শ্রমিক। এই বিশেষ দিনেও কাজ করেই যাচ্ছেন এসব ইটভাটা শ্রমিকরা।


তবে এই মে দিবস পালন কেবল জেলা ও উপজেলা শহরেই করে থাকে সংশ্লিষ্টরা। বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা যখন ছুটিতে, তখন ইটভাটা শ্রমিকরা গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদের মধ্যে কাজ করে থাকেন। সকাল পেরিয়ে দুপুরের খরতাপে মাথা থেকে কপাল চুইয়ে মুখ গড়িয়ে পড়ছে ঘাম। সারা শরীর জবজবে ভেজা। জীর্ণশীর্ণ শরীরটা দেখলেই বোঝা যায় কেমন খাটুনি খাটতে হয় তাদের।

মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইটভাটায় গিয়ে শ্রমিকদের কর্মযজ্ঞের এমন চিত্রই দেখা গেল। তারা জানালেন, ইটভাটায় অমানবিক কষ্টের কাজেও এ হাসি-খুশিটাই তাদের জীবনকে সচল রেখেছে।

শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুখে হাসি নিয়ে কাজ করলেও তাদের দুঃখের সীমা নেই। একে তো স্বল্প মজুরি, তার উপর বছরের অর্ধেকটা সময়ই কাজ থাকে না, বাকি সময়টা খুঁজতে হয় অন্য কাজ। তারপরও পেটের জ্বালায় বারবার ফিরে আসেন এই ঘাম ঝরানো শরীর পোড়ানো কাজে।

এসব শ্রমিকদের সাথে মে দিবস নিয়ে আলাপ করলে তারা জানান, মে দিবস কী? মে দিবসের ছুটির কথা শুনে তারা শুধু হাসেন। সমাজের অনেকে হাসতে না জানলেও খেটে খাওয়া এ শ্রমিকরা প্রাণ খুলে হাসতে জানে! তারা ইটভাটা শ্রমিক, মাটি পুড়িয়ে ইট তৈরিতে দিনভর শ্রম দেন তারা। সবারই এক কথা কাজ করলেই টাকা কাজ না করলে টাকা নেই। তাই আমাদের এই মে দিবসেও ছুটি নেই।

ইটভাটা শ্রমিক মিনারুল ইসলাম বলেন, সকালে কাজ শুরু করি। শেষ করার কোনো সময় নেই। সর্দার যতক্ষণ মনে করেন কাজ করান। কিন্তু বেশি কাজ করলেও বেশি টাকা দেয় না। প্রতিবাদ করলেই বাদ দিয়ে দেয়। তাই দিনশেষে মজুরি ওই ৫০০ টাকাই। এ দিয়ে চাল-ডাল, তরি-তরকারি কিনতে গেলে পকেটে আর কিছু থাকে না। এভাবেই দিন যায়, বছর ঘুরে। বাজারে সব কিছুর দাম বাড়লেও, মজুরি বাড়ে না’।

শাহীনসহ আরও বেশ কয়েকজন শ্রমিক জানান, বছরের ছয় মাস ইটভাটাগুলোতে পুরোদমে কাজের ব্যস্ততা থাকে। আর বাকি ছয় মাস কেউ ক্ষেতে-খামারে কাজ করেন। আবার কেউ বা রিকশা, ভ্যান, ভাড়ায় অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। আবার অনেকে বেছে নেন রাজমিস্ত্রি জোগালি কিংবা দিনমজুরির কাজ।

শ্রমিকরা জানান, বছরের নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ইট বানানোর কাজ করতে হয় তাদের। আর এই কাজটি চুক্তি ভিত্তিতে হয়ে থাকে। এ কাজে আসতে হয় মাঝির (সর্দার) মাধ্যমে। পুরো ছয় মাসের জন্য মালিকের হয়ে মাঝিই শ্রমিকের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করেন।

ইট পোড়ানোর জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করছিলেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। কথা হয় মানিক আলী নামের এক শ্রমিকের সঙ্গে। তার বাড়ি মিরপুর উপজেলা খন্দকবাড়ীয়া এলাকায়।

মজুরি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মানিক আলী বলেন, রোদে শুকানো ইটভাটার কাছ থেকে ক্লিনের ভেতর আনা এবং সারিবদ্ধ করে কাঁচা ইট সেটিং করা, সেই কাজে মজুরি প্রতি হাজার ইটে ১৫০ টাকা। প্রতি চেম্বার ১৫ হাজার ইট দিয়ে সাজানোর জন্য অন্তত ১০-১২ জন শ্রমিক দরকার হয়। দিনশেষে এসব শ্রমিকের আয় হয় ৪৫০-৫৫০ টাকা।

এভাবেই ধাপে ধাপে প্রক্রিয়া শেষ করে সেসব ইট পোড়ানোর পর তা বাজারজাতকরণ করা হয়ে থাকে। ট্রলিতে করে ইটভাটা থেকে এসব ইট বাড়ি পৌঁছানোর জন্য ট্রলি প্রতি হাজারে ৩৫০-৫০০ টাকা নিয়ে থাকেন ট্রলি চালকরা। প্রতি ট্রলিতে ২ হাজার ইট নেওয়া যায়।

ভাটার ইট ট্রলিতে করে ক্রেতার বাড়ি পৌঁছে দেন জসিম উদ্দিন। মিরপুর উপজেলার বলিদাপাড়া এলাকায় বাড়ি তার। তিনি জানান, আমি ট্রলিচালক। সাথে আরেকজনকে নিয়ে ট্রলিতে ইট উঠানো ও নামানোর কাজ করি। শ্রমিক দিবস কী জানি না। মাসে ১০-১২ হাজার টাকা আয় করি এবং আমার সাথে যে থাকে তারও আয় ৭ হাজার টাকা হয়। কাজ থাকলে ভোর ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ও কাজ করি। তখন বেশি টাকা পাই।

মেসার্স এমবিএ ব্রিকসের মালিক মুকুল বলেন, শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্দারের সঙ্গে চুক্তি করতে হয়। সর্দার প্রয়োজন অনুযায়ী শ্রমিক নিয়োগ করেন। শ্রমিকদের নিয়োগ, মজুরি, ছুটি সব সর্দারই দেখেন।’

এবি ব্রিকসের ম্যানেজার আজাদ জানান, গতবারের থেকে এ বছর ইটের দাম কম। গতবছর ১০ হাজার টাকা ইট বিক্রি হলেও এ বছর ৮ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। ফলে বেশ লোকসানে পড়তে হচ্ছে আমাদের।


তিনি বলেন, আগে শ্রমিকদের অল্প টাকা আয় হলেও এখন বেড়েছে। আগে যেসব শ্রমিক আড়াইশ থেকে তিনশ টাকা উপার্জন করতো, এখন তারা ৬শ টাকা থেকে কেউ কেউ ১ হাজার টাকাও আয় করছে।

জাতীয় শ্রমিক লীগ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও শ্রমিকনেতা আমজাদ আলী খান বলেন, অনেক সংগঠন রয়েছে। তবে ইটভাটায় কর্মরত শ্রমিকদের কোন সংগঠন নেই। যদিওবা নির্মাণ শ্রমিক নামের একটা সংগঠন রয়েছে। তবে ইটভাটার শ্রম সংগঠন না থাকায় নির্যাতিত নিষ্পেষিত হতে হয় তাদের। যারা ঘাম ঝরিয়ে শ্রম দিয়ে যায় তারাই হলো শ্রমিক। মূলধারার শ্রমিকদের থেকে কোন অংশেই কম নয় এসব ইটভাটার শ্রমিক। আগামীতে তাদের নিয়েও পরিকল্পনা করা হবে। যাতে তারা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়।

কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. এ এস এম মুসা কবির বলেন, যারা ইটের ভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন তাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়। দিনের বেলা রোদ উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নিচে কাজ করতে হয় তাদের, রয়েছে কয়লা কিংবা কাঠের আগুনে ইট পোড়ার তীব্র তাপ। ইটভাটায় কাজ করা এসব শ্রমিকদের কোনো ভালো আবাসস্থল থাকে না। ইটভাটার পাশেই টিন দিয়ে ছাপরা ঘর তুলে কোনোমতে তাদের রাত পার করতে হয়। স্বাস্থ্য সচেতনতা না থাকায় তারা কিছুদিন পর পর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

এই তীব্র গরমে আধা ঘণ্টা পরপর পানি পানের পরামর্শ এবং তপ্ত দুপুরে কাজ না করার পরামর্শ দেন তিনি।

আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর, কুষ্টিয়ার উপ-পরিচালক মো. জহিরুল হোসেন বলেন, কুষ্টিয়াতে ইটভাটা শ্রমিক সংগঠন নেই। চাইলে যে কেউই ট্রেড বা শ্রমিক সংগঠন করতে পারে। ইটভাটায় শ্রমিকরা চরমভাবে ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হলেও শ্রমিকরা পেটের দায়ে রোদে পুড়ে এ কাজ করছে। তাদের নেই সাপ্তাহিক ছুটি, নেই কোনো নিয়োগপত্র, নেই কোনো কর্মঘণ্টা, শ্রমিক রেজিস্ট্রার নেই, নেই ছুটির রেজিস্ট্রার, নেই ব্যক্তিগত নিরাপত্তা উপকরণ। তারা এখনো জানে না মে দিবস কী।

সুনির্দিষ্ট শ্রম কাঠামোতে আনা হলে এসব শ্রমিক উপকৃত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার ৬টি উপজেলায় মোট ইটভাটার সংখ্যা ১৯১টি।

   

যশোরে পুলিশ হেফাজতে নারীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরের অভয়নগরে পুলিশ হেফাজতে আফরোজা বেগম নামে এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২ জুন) অভয়নগরের নওয়াপাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে। তিনি ওই এলাকার জলিল মোল্লার স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে ১৫ পিস ইয়াবাসহ আটক হয় আফরোজা বেগম। পরে পুলিশ হেফাজতে সকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই নারীকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছেলে সাব্বির হোসেন জানান, শনিবার রাতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য তাদের বাড়িতে এসে আফরোজা বেগমের কাছে ইয়াবা আছে এমন সন্দেহে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন । কিন্তু আফরোজা বেগম বিষয়টি অস্বীকার করলে তাকে ঘরের ভেতরে নিয়ে যেয়ে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। এক পর্যায়ে কোন মাদকদ্রব্য না পাওয়া গেলে সিলিং ফ্যানের সাথে চুল বেধে বেধরক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এ বিষয়ে নিহতের স্বামী জলিল মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, আমার বউ সম্পূর্ণ নির্দোষ । পুলিশ আমার বাড়িতে এসে মিথ্যা অভিযানের নামে আমার সর্বোস্ব লুট করে নিয়ে গেছে। আমার স্ত্রীকে পুলিশ পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই ।

যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশীদ বলেন, পুলিশ একজন নারীকে আটক করার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমেলক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে যশোর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে পুলিশ। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই নারীকে পরিক্ষা করে মৃত অবস্থায় পায়।

তিনি আরও বলেন, মৃত্যুর আগে ওই নারীর রক্তচাপের মাত্রা ছিলো ২২০/১১০। যা স্বাভাবিক রক্তচাপের থেকে অনেক বেশী। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

এবিষয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তারা কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;

ঘূর্ণিঝড় রিমালে বন্ধ ২০ উপজেলা নির্বাচনে প্রচারের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমালে স্থগিত থাকা ২০ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচারণায় সুযোগ দিতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান সকল জেলা প্রশাসকসহ রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ৯ জুন অনুষ্ঠেয় নিয়ে ২০ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আইন ও বিধি মোতাবেক নির্বাচনে প্রচারণার সুযোগ দিতে মাননীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এই ২০ উপজেলায় প্রচারণার সুযোগ দিতে নির্দেশনা দিয়েছে আউয়াল কমিশন।

যে ২০ উপজেলায় ভোট হবে- বাগেরহাটের শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, খুলনা জেলার কয়রা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা, বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালী সদর, দুমকী, মির্জাগঞ্জ, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ভোলার তজুমদ্দিন, লালমোহন, ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঠালিয়া, বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা, রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা এবং নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী।

যেসব উপজেলায় নির্বাচনে স্থগিত হয়েছে সেগুলো হলো- বাগেরহাটের শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা; খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া; বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া; পটুয়াখালীর সদর উপজেলা, মির্জাগঞ্জ ও দুমকী; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া; ভোলার তজুমুদ্দিন ও লালমোহন; ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঠালিয়া; বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা এবং রাঙামাটির বাঘাইছড়ি।

এর আগে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে প্রথমে ১৯টি এবং পরে আরও তিনটিসহ মোট ২২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করে ইসি। এই ২২ উপজেলার মধ্যে দুই উপজেলার ভোট আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে এবং বাকি ২০ উপজেলার ভোট ৯ জুন অনুষ্ঠিত হবে।

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;

ঈদে বিশেষ স্টিমার সার্ভিস শুরু ১৩ জুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশেষ স্টিমার সার্ভিস দেবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। বিশেষ এই সার্ভিস ১৩ জুন চালু হবে।

রোববার (২ জুন) বিআইডব্লিউটিসির এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিআইডব্লিউটিসির বিশেষ স্টিমার সার্ভিস চালু থাকবে। ১৩, ১৬ ও ২০ জুন ঢাকা থেকে মোড়েলগঞ্জ এবং ১৪, ১৮ ও ২২ জুন মোড়েলগঞ্জ থেকে ঢাকা চলাচল করবে।

আরও বলা হয়, অগ্রিম টিকিটের জন্য নিম্নোক্ত নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে। ০১৮১৭-১২৫১৮৪ (হেড অফিস) ০১৭১৫-৪০৮০৪২,
০১৮৭৬-০২৫৭৯৯ (সদরঘাট অফিস) এবং ০১৭৩১-৪৪২৫৫৩ (বরিশাল অফিস)।

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;

‘চোরাইপথে গরু প্রবেশের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানি উপলক্ষে সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে অবৈধভাবে কোনো গরু যেন দেশে ঢুকতে না পারে সে বিষয়ে কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

রোববার (২ জুন) রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি সায়েন্স বিভাগ কর্তৃক বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা জানান।

মো. আব্দুর রহমান বলেন, কোরবানিকে সামনে রেখে কিছু দুষ্টু ও মতলববাজ লোক আমাদের দেশীয় খামারিদের নিরুৎসাহিত করার জন্য চোরাইপথে অবৈধভাবে কিছু কিছু গরু আনছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এব্যাপারে সরকার অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে যথোপযোগী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হবে বলেও তিনি জানান।

সুতরাং দেশীয় খামারিদের এ ব্যাপারে ভাবনার কোনো কারণ নেই। আসন্ন ঈদুল আজহা যাতে মুসলিম ধর্মাবলম্বী ভাই ও বোনেরা উৎসবের সাথে ও সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারে সে ব্যাপারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সার্বিকভাবে তত্ত্বাবধানে থাকবে বলে জানান প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অস্ট্রেলিয়া থেকে ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় আনয়নের মাধ্যমে গবাদিপশুর জাত উন্নয়নের মাধ্যমে দুধের উৎপাদন বাড়ানোর উৎদ্যোগ গ্রহণ করেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু একটা স্বাধীন ভূখণ্ডই দিয়ে যাননি। বরং স্বাধীন ভূখণ্ডকে কিভাবে খাবারে, পুষ্টিতে, ভাতে, মাছে, উন্নয়নে সর্বাঙ্গীণভাবে উন্নত দেশে পরিনত করা যায়, সে ভাবনাটিও তিনি সঙ্গে সঙ্গে করেছেন। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার দূরদৃষ্টি, তার মানবপ্রেম, শিশুদের প্রতি তার ভালোবাসা এবং পুষ্টিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে এই জাতিকে একটি স্বাবলম্বী জাতি হিসেবে গড়ে তোলার যে ভাবনা তা সত্যিই আমাদের সবাইকে অবাক করে দেয়। আজকে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাবার আদর্শ বুকে ধারণ করে শত কষ্টের পাহাড় ডিঙিয়ে সব চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, দুধের উৎপাদন বাড়ালে দুধ খাওয়া বাড়বে এমনটি নয় বরং দুধ খাওয়ার প্রবণতা বাড়লেই দুধের উৎপাদন বাড়বে। কারণ চাহিদা বাড়লেই সরবরাহ বাড়ানোর বিষয়টি সামনে আসে। দুধের উৎপাদন বাড়িয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে জানান মন্ত্রী।

গ্রামে প্রান্তিক খামারিরা দামের অভাবে অনেক সময় দুধ উৎপাদনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দুধের দাম কম হলেও দুধ থেকে উৎপন্ন মিষ্টির দাম অনেক বেশি। দুগ্ধ শিল্পের সাথে যারা জড়িত তারা অনেক সময় ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ পাওয়া যায়। তিনি বলেন, খামারিরা যাতে তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় সেরকম একটা ব্যবস্থা আমাদের তৈরি করতে হবে।

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি সায়েন্স এন্ড অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রীতে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটে নিয়োগ না দেওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে গভীরভাবে পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিমেল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কে বি এম সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ-৫ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ ড. মো. নজরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ কৃষকলীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ।

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;