ভোট ডাকাতি, কোনো দিন আর এই বাংলাদেশে হবে না: ইসি হাবিব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার (অব.) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, ভোট ডাকাতি, ভোট চুরি কোনো দিনই আর বাংলাদেশে হবে না। নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের কোনো প্রশ্নই আসে না। প্রত্যেক ইউনিয়নে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। আইনশৃঙ্খলার চাদরে ঘেরা থাকবে, কেউ কিচ্ছু করতে পারবে না।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল চারটায় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিকে প্রার্থীদের সাথে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ইসি হাবিব।

তিনি বলেন, এ ধরনের যাদের অসৎ উদ্দেশ্য আছে—ভোট ডাকাতি, ভোট চুরি, পূর্বের জিনিস পুনরাবৃত্তি কোনোদিন আর এই বাংলাদেশে হবে না। আমরা কমিশন যতদিন আছি।

প্রার্থীরা যে অভিযোগ করছেন তার প্রমাণসহ লিখিত দিলে ব্যবস্থা নেবেন জানিয়ে ইসি হাবিব বলেন, আমরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে বিশ্বাসী। সকলের জন্য সমান সুযোগ, কে কোন, কার প্রার্থী এটা আমাদের কাছে বিবেচ্য নয়। যদি নেতা হয়, মন্ত্রী হয় অথবা কর্মী হয়, সে আমাদের কাছে সমান। আমাদের প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা সর্বদা সকলের জন্য সচেষ্ট। যদি কোনো প্রকার কিছু হয়, সঙ্গে সঙ্গে সেই ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে আমরা আবার করব।

ইসি বলেন, মতবিনিময় সভায় প্রার্থীরা একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা তাদের লিখিত আকারে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দিতে বলেছি। নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও সুন্দর পরিবেশে করতে আমরা কাজ করছি। আমরা আগের চেয়েও একটা ভালো নির্বাচন উপহার দেব।

বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এ সময় বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।

 

   

চট্টগ্রামে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতে চসিক-সিএমপি চুক্তি সই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম মহানগরীতে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) একটি চুক্তি সই করেছে। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের কোনো শহরের দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এটিই প্রথম চুক্তি সই।

মঙ্গলবার (৭ মে) টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ও সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়ের উপস্থিতিতে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও সিএমপির ডেপুটি কমিশনার (হেড কোয়ার্টার) আব্দুল ওয়ারিশ নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

সভায় চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চসিক এবং সিএমপি যানজটমুক্ত চট্টগ্রাম গড়তে একসঙ্গে কাজ করছে। ইতোমধ্যে, উচ্ছেদ কার্যক্রমের কারণে শহরে যানজট কমেছে। এই চুক্তির আওতায় পারস্পরিক তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে আমরা নিরাপদ নগর পরিকল্পনায় আরো এগিয়ে যাবো

সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, তথ্যের এই আদান-প্রদান ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে আরো বেশি বিজ্ঞানভিত্তিক ও গতিশীল করবে। ভূমিকা রাখবে সড়ককে আরো নিরাপদ করতে।

ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস) বিশ্বের ২৮টি শহরে রোড ক্র্যাশে মৃত্যু ও হতাহতের সংখ্যা কমাতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেছে। চট্টগ্রামেও বিআইজিআরএসের কারিগরি সহায়তায় চসিক ও সিএমপি নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে যৌথভাবে কাজ করবে।

জানা গেছে, এ চুক্তির লক্ষ্য চট্টগ্রামে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার জন্য দায়িত্বশীল দুটি প্রধান সংস্থা সিএমপি এবং চসিকের মধ্যে একটি সমন্বয় প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করা। নগরের সড়ক ব্যবস্থাপনা, সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য লিপিবব্ধ করা এবং তদন্তের দায়িত্ব সিএমপির। অন্যদিকে, নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিদ্যমান রাস্তাগুলির দেখভালের কাজটি চসিকের।

এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় সংস্থাই চট্টগ্রাম মহানগরীতে সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য তথ্য আদান-প্রদান এবং সমন্বয় করে কাজ করবে।

এই চুক্তি দুর্ঘটনার তথ্য আদান-প্রদান, ব্যবস্থাপনা এবং বিশ্লেষণ, রাস্তার ডিজাইন এবং তথ্য-উপাত্ত যথাযথভাবে ব্যবহারের জন্য একটি প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করবে। এর ফলে প্রতিটি সংস্থা কার্যকরভাবে তথ্যগুলো কাজে লাগিয়ে সড়ক নিরাপত্তায় শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে। এছাড়া সড়ক অবকাঠামোর নকশা, নির্মাণ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে উভয় সংস্থা একে অপরের সঙ্গে পরামর্শ করবে।

এই চুক্তির অধীনে, চসিক ও সিএমপি দুর্ঘটনার তথ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে শহরে দুর্ঘটনা ও হতাহতের ঘটনা কমিয়ে আনতে একটি সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তারা তথ্য বিশ্লেষণ করবে এবং যৌথভাবে বার্ষিক সড়ক নিরাপত্তা প্রতিবেদন প্রকাশ করবে।

সংস্থাগুলি শহরের সড়ক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান এবং রোডগুলি চিহ্নিত করতে একত্রে কাজ করবে, যেখানে নকশা পরিবর্তন, পরিমার্জন করা দরকার। বৃহত্তর অর্থে, এই চুক্তিটি সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য চসিক ও সিএমপির মধ্যে একটি সমন্বিত পদ্ধতির বিকাশ ঘটাবে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বাহাদুর, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আকবর আলী, ফরহাদুল আলম, জসিম উদ্দিন, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এবং বিআইজিআরএস চট্টগ্রামের এমবেডেড কর্মকর্তারা।

;

ধান সংগ্রহে কৃষকদের হয়রানি না করার নির্দেশ খাদ্যমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বোরো মৌসুমে ধান সংগ্রহে কৃষকরা যেনো হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে জেলাপ্রশাসক (ডিসি) ও কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

মঙ্গলবার (৭ মে) সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ অফিস কক্ষে বোরো সংগ্রহ অভিযান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, গোডাউনে ধান দিতে এসে কোনো লেবার যাতে কৃষকদের হয়রানি না করেন, সেদিকে জেলাপ্রশাসক (ডিসি) এবং আমাদের কর্মকর্তাদের নজর রাখতে বলেছি। যারা লেবার সাপ্লাই দেন, সেই ল্যান্ডিং ঠিকাদারদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। কোনো কৃষক যাতে কোনোভাবে অপমানিত না হয়, এজন্য আমরা সচেষ্ট থাকব। কেউ কৃষকদের হয়রানি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে

শিলাবৃষ্টিতে হাওরের ধানের কোনো ক্ষতি হয়নি দাবি করে মন্ত্রী বলেন, হাওরের ৯৮-৯৯ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। শুকিয়ে তা ঘরে তুলে রাখা হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি।

তিনি বলেন, ‘সঠিক সময়ে বোরো সংগ্রহ করতে হবে। জুন মাসের মধ্যে ৭০ শতাংশ বোরো সংগ্রহ করা যাবে। হাওরকে প্রাধান্য দিয়ে সেখানে ধানের বরাদ্দ বেশি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কৃষক যাতে হয়রানি না হয়, প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজন করে কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা আছেন, যাদের ব্লক সুপারভাইজার বলা হতো, তাদের কাছে একটি করে ময়েশ্চার মিটার দেওয়া আছে।’

মন্ত্রী বলেন, কোনো কৃষক যদি গোডাউনে ধান নিয়ে আসেন, যার আর্দ্রতা ১৫ বা ১৬ শতাংশ আছে, তাহলে সেই ধান শুকাতে কৃষককে হয়রানি হতে হবে। এজন্য কৃষি দপ্তরের কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তারা আর্দ্রতার যন্ত্র দিয়ে ধান পরীক্ষা করে আসবেন।

;

হালদায় ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় মা মাছ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদায় ডিম ছেড়েছে কার্প জাতীয় মা মাছ।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল ৬টার দিকে হালদা নদীর রাউজানের মইশকরম এলাকার চইল্যাখালিতে ডিম পাওয়া যায়।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ও হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, সোমবারের টানা কয়েকঘণ্টার বজ্রপাতসহ ভারি বর্ষণের ফলে হালদায় পাহাড় থেকে যে ঢল নেমেছে এতে নদীর নিচের দিকে ডিমের দেখা মিলেছে৷ আজ সকাল ৬টায় ভাটার শেষের দিকে হালদা নদীর রাউজান অংশের মইশকরম এলাকার চইল্যাখালিতে ডিম সংগ্রহকারী ডিম সংগ্রহ করেছেন। এরমধ্যে পাকিরাম দাশ, হরিরন্জন দাশ, সন্তোষ দাশ, সুজিত দাশ ও সুনিলদাশ ১১ টি নৌকার মাধ্যমে ডিম সংগ্রহ করেন। প্রতিটি নৌকায় গড়ে দুই থেকে আড়াই বালতি করে ডিম সংগ্রহ করেন তারা।

তিনি আরও বলেন, গত কয়েকদিন আগে গবেষণা করে আমি একটি প্রতিবেদন দিয়েছিলাম। সেখানে বলেছি, পানির তাপমাত্রা কমে বজ্রপাতসহ ভারি বৃষ্টি হলে ৬ থেকে ১০ মের মধ্যে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে। কাল এই সময়ের অমাবস্যার জো চলমান থাকবে।


পোনা সংগ্রহকারী সুনিলদাশ বলেন, সকালে আমরা নৌকা প্রতি আড়াই কেজি কার্প জাতীয় মাছের পোনা সংগ্রহ করেছি। গতকাল বৃষ্টি হওয়ার কারণে মা মাছ ডিম ছেড়েছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়াতে মা মাছ ডিম ছাড়তে অনুকূল পরিবেশ পায়নি। রাতের জোয়ার শেষে ভাটায় মা মাছ ডিম ছেড়েছে। আশা করি আরও ডিম সংগ্রহ করতে পারব।

সোমবার পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদফতরের পতেঙ্গা কার্যালয় তিন ঘণ্টায় ৯৭ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।

কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ মেঘনাথ তঞ্চঙ্গা বার্তা২৪.কমকে বলেন, সোমবার বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ৯৭ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঘণ্টায় ৩৫ কিলোমিটার গতিতে দমকা হাওয়া বয়ে গেছে।

আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টিও হতে পারে বলে জানিয়েছেন এ আবহাওয়াবিদ।

;

তৃতীয় দিনেও নরসিংদীতে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মবিরতি



ডিস্ট্রিক্ট করসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিং
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা তৃতীয় দিনেও সারাদেশের পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন নরসিংদী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

সরকার বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে কোনো সাড়া না পাওয়ায় কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আন্দোলনরত নরসিংদী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জানান, রোববার (৫ মে) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি মঙ্গলবারও (৭ মে) দেশের ৮০টি পবিসের সদর কার্যালয়ের সামনে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি, মানববন্ধন করছেন তারা। এসময় জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ ছাড়া সব ধরনের গ্রাহক সেবা ও অন্যান্য কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন তারা।

তারা জানান, একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা, চাকরির নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তার রয়েছে বিস্তর ফারাক। পদ, পদবি, পদোন্নতি, বেতন গ্রেড, সাপ্তাহিক ছুটি, একই প্রতিষ্ঠানে একই পদে নিয়মিত এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, লোকবলের স্বল্পতাসহ সব ক্ষেত্রেই বৈষম্যের শিকার সমিতির কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা।

এসব বৈষম্যের বিষয়ে অনেকদিন ধরেই অভিযোগ জানানো হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। বরং এসব ন্যায়-সঙ্গত অধিকারের কথা বললেই নানাভাবে হয়রানি করা হয়। এমনকী আন্দোলন শুরুর পরেও নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আন্দোলন বন্ধে নানামুখী চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, বৈষম্যের অবসান না হলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

সরকারের বিশেষায়িত এই প্রতিষ্ঠানটি দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসেবা পৌঁছে দিতে গ্রাহকদের প্রান্তিকপর্যায়ে সেবা দিয়ে থাকে।

এদিকে, জরুরি বিদ্যুৎ ছাড়া অন্যান্য গ্রাহকসেবা বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ৪ কোটি গ্রাহক। এভাবে চলতে থাকলে দেশজুড়ে লোডশেডিংয়ের শঙ্কাও তৈরি হয়েছে।

;