এবার শুধু এমসিকিউ পদ্ধতিতে শাবিপ্রবি’র ভর্তি পরীক্ষা



শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর

  • Font increase
  • Font Decrease

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সম্মান প্রথম বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষা লিখিত হবে না। আগের নিয়ম অনুযায়ী শুধু বহুনির্বাচনী প্রশ্ন বা এমসিকিউ পদ্ধতিতে এই ভর্তি পরীক্ষা হবে।

শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (১৭ জুলাই) ১৫৭তম একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিংয়ে আগামী বছর থেকে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় যাওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বছর সময় কম থাকায় সমন্বিত পরীক্ষায় যাওয়া সম্ভব নয়। তাই শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল এই সিদ্ধান্ত নেয়।

একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং শেষে উপাচার্য জানান, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে আমাদের এই মুহূর্তে যাওয়া সম্ভব নয়। আগামী ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় যাওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আলোচনা করে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।

এদিকে, এমসিকিউ পদ্ধতির পাশাপাশি এ বছর শাবিপ্রবি-তে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে, এমন খবর বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকালে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, আমরা এ বছর বিগত বছরগুলোর মত এমসিকিউ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেব। আগামীতে সমন্বিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে লিখিত হওয়ারও সম্ভবনা আছে।

   

‘জ্ঞাননির্ভরতা থেকে কখনো বেরিয়ে আসা যাবে না’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন শিক্ষাক্রম যেভাবে সাজানো হয়েছে, সেটি ভালো। এটি ঠিকমতো বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশের শিক্ষা অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এই শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মুখস্থ করার জন্য গলদঘর্ম হতে হবে না। তবে এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের প্রস্তুতিতে ঘাটতি আছে। এ ছাড়া নতুন ব্যবস্থায় ব্যাকরণসহ আরও কিছু বিষয় যুক্ত করা দরকার।

রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকালে ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ও নতুন শিক্ষাক্রম’ বিষয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস) এ বৈঠকের আয়োজন করে। এতে শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিশেষজ্ঞ, শিক্ষাক্রম প্রণয়নে যুক্ত ব্যক্তি, শিক্ষকনেতা ও অভিভাবকেরা নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে শিক্ষার নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হলেও সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় নতুন শিক্ষাক্রমের বিষয়টি।

কোনো কোনো মহল থেকে ওঠা নতুন শিক্ষাক্রমের সমালোচনার জবাব দেন গোলটেবিল বৈঠকের প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমে অবশ্যই জ্ঞানের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। জ্ঞাননির্ভরতা থেকে কখনো বেরিয়ে আসা যাবে না। বিষয়টি (নতুন শিক্ষাক্রম) হচ্ছে জ্ঞানের সঙ্গে দক্ষতা ও জ্ঞানের প্রয়োগের জায়গাটি যেন থাকে।’

‘আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ বিষয়ে কিছু পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক আজিজুর রহমান। তিনি কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।

আজিজুর রহমান নতুন শিক্ষাক্রমের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে বলেন, শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখনকে মূল ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি মনে করেন, মুখস্থবিদ্যানির্ভর শিক্ষার চেয়ে অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখনই সময়োচিত ও যথার্থ। তার আশা, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীদের মুখস্থ করার জন্য গলদঘর্ম হতে হবে না বা কোচিং সেন্টারেও দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না।

নতুন শিক্ষাক্রমের কিছু নেতিবাচকও দিকও তুলে ধরেন অধ্যাপক আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, বিদ্যমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত বহাল রেখে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন অসম্ভব। নতুন শিক্ষাক্রমে শ্রেণিকক্ষের ভেতরে-বাইরে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা পাল্টাতে গিয়ে শিক্ষকদের কাজের চাপ অনেক বেড়ে যাবে, যা ৮০-৯০ শিক্ষার্থীর ক্লাসে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর প্রতি আলাদাভাবে মনোযোগ দেওয়া একজন শিক্ষকের পক্ষে প্রায় অসম্ভব।

রাজধানীর সহজপাঠ উচ্চবিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম তার কাছে বড় সংকট মনে হয়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেরুন নেসা গৃহশিক্ষকতা করেন। তিনি বলেন, যে উদ্দেশ্যে নতুন শিক্ষাক্রম সাজানো হয়েছে, সেটি ভালো।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, ‘এবার শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেটি সুপরিকল্পিত কি না, এ প্রশ্ন রাখছি। বিক্ষিপ্তভাবে এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের ফলে এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব আমরা লক্ষ্য করছি।’

বিক্ষিপ্তভাবে বাস্তবায়নের কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করেন নুর মোহাম্মদ তালুকদার। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন বিষয়টি এখনো পুরোপুরি ঠিক হয়নি। বলা হয়েছে, দুই পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হবে। মূল্যায়ন বিষয়টি স্পর্শকাতর। চিন্তাভাবনা ও বিশদ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।’

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমদ গোলটেবিলে উত্থাপিত আলোচনার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে বলেন, আলোচনায় মনে হয়েছে, বর্তমান সামগ্রিক পরিস্থিতিতে এটি অনেকাংশেই বাস্তবসম্মত নয়। কারণ, এটি বাস্তবায়নে যে পরিবেশ, শিক্ষক ও শিক্ষকের প্রস্তুতি, অবকাঠামো, উপকরণ ও অভিভাবকদের প্রস্তুতি দরকার, তাতে ঘাটতি আছে। সে জন্য সামগ্রিক একটি দৃষ্টিভঙ্গি দরকার। বাস্তবতার নিরিখে চিন্তাভাবনা করতে হবে।

শিক্ষার জন্য শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয়ের জন্য একক নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে অধ্যাপক মনজুর আহমদ বলেন, মনে হয়, দুই ভাগে ভাগ হয়ে সমন্বয়ে সমস্যা হয়েছে। তিনি স্থায়ী শিক্ষা কমিশনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান শিক্ষাক্রম নিয়ে গোলটেবিলে উত্থাপিত বিভিন্ন বিষয়ের জবাব দেন। তিনি বলেন, এখন একেকটি শ্রেণি শাখায় ৫৫ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এটি ধাপে ধাপে ৪০–এ আনা হবে।

নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এম তারিক আহসান শিক্ষাক্রম নিয়ে উদ্বেগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেন। কারণ, এবার শিক্ষাক্রম সংস্কার নয়, একেবারে রূপান্তর হয়েছে। ফলে খাপ খাওয়াতেও চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। এগুলো ধাপে ধাপে খাপ খাওয়ানো যাবে।

কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে শিক্ষক নেতা মাহফুজা খানম, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সচিব শরীফ আহমদ, শিক্ষক নেতা আকমল হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন।

;

ঢাকা-চুয়াডাঙ্গাসহ ৫ জেলায় সোমবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপ প্রবাহের কারণে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গাসহ ৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা সোমবার বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষামন্ত্রণালয়। অন্য তিন জেলা হলো- যশোর, খুলনা ও রাজশাহী।

রোববার (২৮ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়েরের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, দেশে চলমান তাপ প্রবাহের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদফতরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী জেলার সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার (২৯ এপ্রিল) বন্ধ থাকবে।

আরও বলা হয়, তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ চাইলে খোলা রাখতে পারবে।

এছাড়া পরবর্তী সময়ে এ পাঁচ জেলায় কিংবা তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, এমন অন্যান্য জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত সোমবার জানিয়ে দেওয়া হবে।

;

‘শিক্ষায় বাজেট বাড়ানোর চেয়ে ব্যয়ের বিষয়ে আলোচনা হওয়া উচিত’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষাখাতে বাজেট বাড়ানোর চেয়ে যথাযথভাবে অর্থ ব্যয়ের বিষয়ে আলোচনা হওয়া উচিত বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

রোববার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাব আবদুস সালাম মিলনায়তনে পাঠ্যক্রম নিয়ে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস)।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাখাতে বাজেট বাড়ানোর চেয়ে যথাযথভাবে বাজেট খরচ করার বিষয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। বাজেট যথাযত ব্যবহারের ওপর জোর দিতে হবে। বাজেট বৃদ্ধির কথা আসলে সেটা হয় অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে। অবকাঠামো যা থাকুক, শিক্ষকের জীবনমান উন্নয়ন, দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণের ওপর জোর না দিলে শুধু বাজেট বাড়ালে হবে না।

আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাবান্ধব উল্লেখ করে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, বর্তমানে শিক্ষা খাতে যে বাজেট, তা ২০০৬ সালের সমগ্র বাংলাদেশের বাজেটের সমান। দেশ এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে শিক্ষা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু পরিসংখ্যানের দিক থেকে সেটা হয়তো প্রতিফলিত হয় না। বাস্তবায়ন করতে গিয়ে চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।

পাঠ্যক্রম নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়ে গেছে। ২০১৭ সাল থেকে পাইলটিং শুরু হয়েছে। জ্ঞান নির্ভরতা থেকে কখনো বের হয়ে আসতে পারবো না। আমরা চেয়েছি জ্ঞানের প্রয়োগিক বিষয়কে গুরুত্ব দিতে। ব্যাকারণের ওপর জোর দিব, নাকি প্রায়োগিক বিষয়ে জোর দেব। দক্ষতা এবং মূল্যবোধ দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের একটা শ্রেণি মূল্যবোধ প্রশ্নে তাদের নিজেদের ব্যাখা দিচ্ছে। এমন একটা ব্যবস্থায় তারা আছে, যেখানে জ্ঞানেরও আলোচনা নেই, দক্ষতারও আলোচনা নেই।

বাংলাদেশ কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (বাকবিশিস) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাকবিশিস'র সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. জাহাঙ্গীর, প্রেসিডেন্ট মেম্বার ড. আজিজুর রহমান, শিক্ষাবিদ মাহফুজা খানম, ব্রাক ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক মঞ্জুর আহমেদ প্রমুখ।

;

প্রাথমিকের শূন্যপদে নিয়োগের তাগিদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রাথমিকের শূন্যপদে নিয়োগের তাগিদ

প্রাথমিকের শূন্যপদে নিয়োগের তাগিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাথমিকের শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগের পদক্ষেপ নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে জাতীয় সংসদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।

রোববার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মো. আফতাব উদ্দিন সরকার। কমিটির সদস্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, আহমেদ ফিরোজ কবির, এস. এম. শাহজাদা, এইচ. এম. বদিউজ্জামান, নিলুফার আনজুম, আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, গোলাম সরোয়ার টুকু এবং মোসা. ফারজানা সুমি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) বাস্তবায়ন অগ্রগতি; অবকাঠামোসহ বিভিন্ন নির্মাণ প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি এবং স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম/মিড ডে মিল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও জাতির কল্যাণ এবং প্রচণ্ড তাপদাহ থেকে মুক্তির জন্য মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। ২০ এপ্রিল আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩ এর ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার জন্য মন্ত্রণালয়কে অশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।

পঞ্চম প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৫) আগামীতে বাস্তবায়নের জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে প্রতিমন্ত্রী কমিটিকে সে বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করা জন্য অনুরোধ করেন।

বৈঠকে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শূন্য পদে নিয়োগের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানানো হয় এবং তা দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। দেশের প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার, মুজিব কর্নার, খেলার মাঠ এবং সীমানা প্রাচীর নির্মাণে সংশ্লিষ্ট সকলকে সহযোগিতা করার জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।

এছাড়া, দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান/নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করার জন্য কমিটির সদস্য এস. এম. শাহজাদাকে আহ্বায়ক করে এইচ.এম.বদিউজ্জামান, আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী এবং গোলাম সরোয়ার টুকু এর সমন্বয়ে একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন দফতর ও সংস্থা প্রধানসহ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;