অনলাইনে এই পণ্যগুলো কেনা থেকে বিরত থাকুন



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
দোকান থেকেই কেনা উচিৎ কিছু পণ্য।

দোকান থেকেই কেনা উচিৎ কিছু পণ্য।

  • Font increase
  • Font Decrease

অনলাইনে কেনাকাটা এখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে।

পছন্দসই ও প্রয়োজনীয় পণ্যটি ঘরে বসেই হাতে পেয়ে যাবার মতো আরাম যেন আর হয় না। কোন কষ্ট ছাড়া মাত্র কয়েকটি ক্লিকেই কাঙ্ক্ষিত পণ্যটি পেয়ে গেলে মার্কেটে ঘোরার প্রশ্নই ওঠে না। কী পাওয়া যায় না অনলাইনে! সামান্য সুঁই থেকে রেফ্রিজারেটর, স-ব কিছুর সম্ভার রয়েছে অনলাইন মার্কেটে।

এর মাঝেও একটি ছোট্ট ‘কিন্তু’ আছে। প্রায়শ ক্রেতারা অনলাইনে কেনাকাটা করে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। পছন্দসই পণ্য না পাবার কারণেও ক্রেতা-বিক্রেতার ভেতর তৈরি হচ্ছে মনোমালিন্য। এক্ষেত্রে কিছু পণ্য অনলাইন থেকে কেনাকাটা না করলে বেশিরভাগ সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। মার্কেট থেকে দেখে ও বুঝে সঠিক পণ্যটি কেনাই সেক্ষেত্রে যথাযথ।

কোন পণ্যগুলো অনলাইন মার্কেট থেকে না কেনা উত্তম? জেনে নিন চটজলদি।

আসবাবপত্র

ইন্টারনেটে পছন্দসই আসবাবের ছবি দেখে পণ্য নির্ধারন করে রাখলেও কেনার সময় মার্কেট থেকে কেনাই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত। কারণ ছবিতে আসবাবের সঠিক মাপ বোঝা সম্ভব হয় না। ঘরের জন্য কোন মাপের ও কোন রঙের আসবাব মানাবে, সামনাসামনি দেখার পর সেটা পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়।

পর্দা, কভার ও কার্পেট

অনলাইনে হরেক রঙের ও ডিজাইনের নজরকাড়া সুন্দর পর্দা, কভার ও কার্পেট পাওয়া গেলেও এই পণ্যগুলো মার্কেট থেকে সরাসরি দেখে কেনা প্রয়োজন। কারণ ছবি তোলার ফলে আলোর কারণে পণ্যের রঙে তারতম্য দেখা দেয়। ফলে পণ্য কেনার পর সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।

আরো পড়ুন: বর্ষাকালে কাপড় শুকানো নিয়ে ঝামেলা?

কসমেটিক পণ্য

ইদানীং অনলাইনেই বেশ কিছু ভালো ও বিশ্বস্ত কসমেটিক শপ গড়ে উঠেছে। তা সত্ত্বেও যেকোন ধরণের কসমেটিক পণ্য কেনার ক্ষেত্রে মার্কেটে গিয়ে ভালোভাবে দেখে কেনা উচিৎ। কারণ ছবি থেকে বাস্তবে মেকআপ পণ্য যেমন- ফাউন্ডেশন, ফেসপাউডার, কনসিলার, ব্রোঞ্জারের রঙ ভিন্ন হয়ে থাকে। এছাড়াও লিপস্টিকের রঙ ছবিতে যেমনটা দেখা যায়, বাস্তবে অনেকক্ষেত্রেই ব্যতিক্রম হয়ে থাকে। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই সকল মেকআপ পণ্যের মেয়াদ অনলাইনে বোঝা সম্ভব হয় না। মার্কেট থেকে কেনার সময় যা জেনে কেনা সম্ভব হয়।

ইলেকট্রনিক পণ্য

খুবই স্বাভাবিকভাবে অনলাইন থেকে অর্ডার দিয়ে কোন ইলেকট্রনিক পণ্য কেনার চাইতে মার্কেটের দশ-বিশটি দোকান ঘুরে ইলেকট্রনিক পণ্য কেনা যথাযথ। ইলেকট্রনিক পণ্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের ফিচার থাকে, ওয়ারেন্টি-গ্যারান্টির হিসাব থাকে। যা অনলাইনে ভালোভাবে বোঝা সম্ভব হয়।

অপরিচিত তন্তুর পোশাক

অনলাইন পোশাকের মাপ খুব ভালোভাবে দেখা থাকে বলে অনেকেই পছন্দসই ডিজাইনের পোশাক অনলাইন থেকেই কিনে ফেলেন। এক্ষেত্রে একটা বিষয়ে খেয়াল রাখা প্রয়োজন- অপরিচিত কোন তন্তুর পোশাক কেনা থেকে বিরত থাকা। কারণ পোশাকের মাপ ঠিক থাকলেও, তন্তু যদি আরামদায়ক না হয় তবে সেই পোশাক ভালমতো পরা সম্ভব হয় না। সে জন্য অনলাইন থেকে কোন পোশাক কেনার আগে জেনে নিতে হবে তন্তু কি ধরণের। যদি অপরিচিত তন্তু হয় তবে না কেনাই শ্রেয়।

আরো পড়ুন: অস্বাস্থ্যকর এই ‘অভ্যাস’গুলো অসুস্থ করে তুলছে আপনাকে!

জুতা

ইম্পোর্টেড চোখ ধাঁধানো সব জুতা দেখে কিনতে ইচ্ছা করলেও, অনলাইন থেকে জুতা না কেনাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। জুতার মাপ ও আকার যতই ভালোভাবে বর্ণনা করা থাকুক না কেন, প্রতিটি ব্র্যান্ডের জুতার মাপ হয় ভিন্ন। এছাড়া প্রতিটি মানুষের পায়ের আকার ও গঠনও ভিন্ন হয়ে থাকে। পছন্দসই জুতা কেনার পর যদি খুব বেশি ঢিলা কিংবা টাইট হয়, তবে সেই জুতা কোনভাবেই পরা সম্ভব হয় না।

বিভিন্ন ধরণের ফল-সবজী ও মাছ-মাংস

বাজারও এখন ঘরে বসে খুব স্বাচ্ছন্দ্যেই করা সম্ভব হয় অনলাইন মার্কেটের কল্যানে। বিভিন্ন ধরণের শুকনা ও গুঁড়া জাতীয় খাদ্যদ্রব্য কেনায় কোন সমস্যা না থাকলেও ফল, সবজী কিংবা মাছ-মাংস এড়িয়ে যাওয়া প্রয়োজন সবসময়। অনলাইনের পাতায় যতই লেখা থাকুক না কেন, একদম ফ্রেশ ও ফরমালিন বিহীন খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করা হয়- এই বিষয়ে কোনভাবেই শতভাগ নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয় না। বেশি পরিমাণে একই খাদ্য উপাদান অর্ডার করা হলে অনেক সময় কিছু পচা খাবার মিশিয়ে দেয় অনেক প্রতিষ্ঠান। এছাড়া পরিমাণে কম, ভুল ওজন ও খাদ্য উপাদান দেওয়ার রেকর্ডও আছে অনেক।

বাজারে সরাসরি উপস্থিত থেকে কেনাকাটায় এই সমস্যাটি থাকে না। পণ্যের মান, ওজন, পরিমাণ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে কেনা যায়।

আরো পড়ুন: কেন সকালে দ্রুত ঘুম থেকে ওঠা প্রয়োজন?

অপরিচিত কোন খাবার

দেশের বাইরের লোভনীয় অনেক খাবারই ইদানীং অনলাইন মার্কেটগুলোতে সহজলভ্য। শখ করে বা টেস্ট করার উদ্দেশ্যে এইসব অপরিচিত ও বিদেশি খাবার অর্ডার করলে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সমস্যায় পড়তে হয়। হয়তো খাবারটির স্বাদ ভালো নয়, নয়তো খাবারটি নষ্ট থাকে কিংবা খাবারটি খাওয়ার পর নানান রকম শারীরিক অসস্থি দেখা দেয়। এছাড়াও দেশের বাইরের বলে খাবারের দামটাও হয় বেশ চড়া। সেক্ষেত্রে অহেতুক টাকা নষ্ট হয় বেশীরভাগ সময়।

ছোটখাট কোন জিনিস

সাধারণত অনলাইনে একসাথে অনেক পণ্য অর্ডার করার সময় ছোটখাট বেশ কিছু পণ্যও অর্ডার করা হয়। যেমন মিনি সাইজ শ্যাম্পু-সাবান, টুথব্রাশ, টিস্যু পেপার, হেয়ার ব্যান্ড, কলম প্রভৃতি। সামগ্রিক বিলের ক্ষেত্রে হয়তো মনে হতে পারে যে, একসাথে কিনলে সাশ্রয়ী হবে। কিন্তু এমন ধরণের ছোটখাট ও সহজলভ্য পণ্য এলাকারা মুদি দোকান থেকে কেনা উচিৎ। কারণ, অনলাইনে এই সকল পণ্য ডেলিভারির ক্ষেত্রে গুণতে হয় ডেলিভারি ফি।

   

তাপপ্রবাহের কারণে হওয়া সাধারণ কিছু সমস্যা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে দেশ। আমাদের দেশে মূলত নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকে। তবে ক্রমাগত পরিবর্তনশীল জলবায়ুর কারণে গত কয়েক বছরে আবহাওয়ায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। এখন গরমে তাপমাত্রা বেশ বাড়তি থাকে। তাই গরমে এখন অসুস্থ হওয়ার ঘটনা বেড়ে গেছে। গরমের কারণে হওয়া সমস্যাগুলোকে অনেকেই গুরুত্ব দেয় না। তারা মনে করেন ঠান্ডা পানি পান করলেই সমাধান হবে। তবে গরমে অসুস্থ হওয়াকে অবহেলা করলে মৃত্যু ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। তাই উপসর্গ দেখার পরই সাবধান হতে হবে।

চিকিৎসক থমাস ওয়াটার্স এই নিয়ে সাবধান হওয়ার জন্য জোর দিয়েছেন। গরমে যে সব সমস্যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে দেখা যায়, সেগুলো হলো-

১। ফুসকুঁড়ি বা হিট র‍্যাশ

গরমে ঘাম হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাপ অতিরিক্ত বেশি হওয়ার কারণে গরমে ঘাম এবং ঘাম জমেও বেশি। কনুই, হাঁটুর পেছনের অংশ, ঘাড় ইত্যাদি স্থানে ঘাম জমে লাল ছোট ছোট ঘামাচি ও ফুসকুঁড়ি দেখা যায়।


২। হিট ক্র্যাম্পস

গরম আবহাওয়ায় অনেকেই ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করেন। গরমের মধ্যে পেশিতে চাপ পড়ার কারণে অনেক সময় ব্যথা হতে পারে। একে হিট ক্র্যাম্প হতে পারে। কারণ এমনিতেই গরমে ঘাম বেশি হয়। এরপর যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ এবং তরল বের হয়ে যায়।

৩। ক্লান্তি বা হিট এক্সহসশন

প্রাকৃতিকভাবে মানুষের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখার কিছু কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। গরমের সময় শরীরের ভেতর থেকে ঘাম বের করে দেয়। এতে অভ্যন্তরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অতিরিক্ত গরমে শরীর ঘাম বের করা বন্ধ করে দেয়। কারণ শরীররের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। এই কারণে শরীর ঠান্ডা হতে পারেনা।


৪। হিট স্ট্রোক

অতিরিক্ত গরমে শরীরে তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেড়ে যায়। হঠাৎ এই পরিবর্তন শরীর নিতে পারে না। ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা হলেই হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। হিট স্ট্রোক অনেক গুরুতর হতে পারে। এমনকি এই কারণে মৃত্যুও হতে পারে।

দিন দিন তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিহীন একটানা খা খা রোদের কারণে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই জরুরি কাজ ছাড়া সকালে ১ টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।

তথ্যসূত্রঃ ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক

;

জেনে নিন ওটস খাওয়ার অপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুভ সূচনায় সুন্দর দিন। সকাল সক্রিয়তার সাথে শুরু করতে পারলে পুরোদিন অনেক ভালো কাটে।  তাই সকালের খাবার হতে হয় পুষ্টিসম্পন্ন। ব্রেকফাস্টে উন্নত পুষ্টির খাবার খেলে পুরোদিন শরীরে তা সরবরাহ হয়।  সকালে অনেকেই ভারী খাবার খেতে পারেন না। তাই হালকা কিন্তু পুষ্টি সম্পন্ন খাবার খেতে পছন্দ করেন, যা পেটও ভরাবে। 

সকালের নাস্তায় অনেকে ওটস খেতে পছন্দ করেন। ওটস একটি পুষ্টিকর খাবার, উচ্চ ফাইবার এবং প্রোটিন, এবং অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে, যেমন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি। বিশ্বাস করা হয়, ওটস খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। তবে এইটা কতটা সত্য, তা নিয়ে এখন সন্দীহান বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন চিকিৎসক স্টিভেন গুন্ড্রি ওটস বা ওট থেকে বানানো খাবার খাওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।  

তিনি জানান, আমেরিকায় যেসব ওটস জাতীয় খাবারে গ্লাইফোসেটের উপস্থিতি রয়েছে,এই ব্যাপারটি তিনি বেশ জোর দিয়ে বলেন। তিনি উল্লেখ করেন গ্লাইফোসেট একটি ভেষজনাশক। স্টিফেন তার বর্ণনায় একে ‘সবচেয়ে  বিষাক্ত’ বলে অভিহীত করেন।

ওটস, ওটস দুধ এবং এই জাতীয় পণ্য প্রচুর পরিমাণে অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে মেরে ফেলে। এছাড়া কিছু কোম্পানির ওটসে এক প্রকার  নিষিদ্ধ হার্বিসাইড সনাক্ত করা হয়েছে। এই হারবিসাইড ক্যান্সার সহ স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে।

প্রতিদিন ওটস খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও ব্যথা হয়। ওটস খাওয়ার কারণে পেটে গ্যাস জমিতে থাকে। যাদের বেশি পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস নেই তারা হঠাৎ ওটস খাওয়া শুরু করলে সমস্যা দেখা যায়। তাদের পেট ফোলা ও ফাঁপা ছাড়াও অস্বস্তির সমস্যা দেখা যায়।

ওটস খাওয়া অন্ত্রের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এন্টারোকোলাইটিস, ক্রোনস ডিজিজ, ডাইভারটিকুলাইটিস ধরনের রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংবেদনশীল খাবার খেতে হয়।  তাই এই ধরনের রোগীদের ওটস এড়াতে হবে।   

এছাড়া ওটসে বেশি পরিমাণে শ্বেতসার থাকে। তাই ডায়বেটিসের রোগীদের ওটস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।  কারণ তাদের নিয়ন্ত্রিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া নিশ্চিত করতে হয়।

পাশাপাশি যারা রক্তশূণ্যতায় ভুগছেন তাদেরও ওটস এড়িয়ে চলা উচিত। অন্ত্রের ট্র্যাক্ট থেকে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় আয়রন সম্পূর্ণভাবে শোষিত হতে পারে না ওটসের কারণে। 

তথ্যসূত্রঃ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস+এইচএসএন স্টোর

;

গরমে যেসব খাবার না খাওয়াই ভালো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠি হচ্ছে জনজবীন। এই গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই নানা রকম ঠান্ডা পানীয় ও ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা খাবার খাচ্ছেন। সাময়িকভাবে এই ঠান্ডা পানীয় ও খাবার খেয়ে শান্তি পাওয়া গেলেও ঠান্ডা এই খাবারগুলি শরীরকে আরও গরম করে দেয়। এই তালিকায় কী কী রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

 

টক দই

টক দই শরীরের জন্য উপকারী হলেও গরমের সময় না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া গরম বলে নয়, সারা বছরই অনেকে টক দই খেতে পছন্দ করেন। তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে। অত্যধিক টক দই শরীরের ভেতর থেকে গরম করে তোলে। এতে গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা সৃষ্টি করে। 


ফ্রিজের ঠান্ডা পানি

অনেকেই বাইরে থেকে ফিরেই ঢকঢক করে কিছুটা ঠান্ডা পানি পান করছেন। যা মোটেও শরীরের জন্য ভালো নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি শরীরের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। শরীর ঠান্ডা হচ্ছে মনে হলেও আদতে তা হয় না। বরং শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হজমের গোলমালও শুরু হয়।

পাতিলেবু

গরমে পাতিলেবুর শরবতের জনপ্রিয়তা কম নয়। রাস্তাঘাটে তো বটেই, এমনকি বাইরে থেকে ঘেমে ফিরে অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিতে ভালবাসেন। লেবুতে ভিটামিন সি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তবে ঘন ঘন লেবুর শরবত খাওয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। লেবুতে থাকা অ্যাসিড উপাদান শরীরের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা তো রয়েছেই।

;

প্রচণ্ড রোদে চোখের যত্নে করণীয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৮টা বাজতে না বাজতেই চড়া রোদে চোখ ঝলসে যাওয়ার অবস্থা। এই গরমে শরীরের পাশাপাশি যত্ন নিতে হবে চোখেরও। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত তাপ চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে। দীর্ঘক্ষণ কড়া রোদ থাকলে চোখের ছানি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, এমনকি রেটিনার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

অনেক সময় ধরে রোদে থাকার পর অনেকের চোখ জ্বালাপোড়া করে, চোখ লাল হয়ে যায়, চোখের পাতা ফুলে যায়। কড়া রোদের কারণে অনেকেই ভাইরাল ও ব্যাক্টেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসেও আক্রান্ত হন। এই সমস্যা ছাড়াও চোখের পাতার মূলে কিছু তৈল গ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থিতে সংক্রমণের ফলে আঞ্জনি সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা যায়। গরমের দিনে চোখের যত্ন না নিলে অন্ধত্ব এবং ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকে।

চলুন জেনে নেই গরমে চোখ ভাল রাখতে গেলে কোন নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে-

১) কনট্যাক্ট লেন্স পরার সময়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অবশ্যই হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে তবেই লেন্স পরবেন। লেন্স পরিষ্কার না থাকলে সূর্যের তাপে এবং দূষণের জেরে চোখে সংক্রমণের আরও বেড়ে যায়।

রোদে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। 

২) সানগ্লাস দিয়ে চোখ ঢাকা শুধু ফ্যাশন নয়, এই গরমে তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বটে। তবে যে কোনও সানগ্লাস ব্যবহার করলেই চলবে না। ইউভিএ এবং ইউভিবি দুই ধরনের রশ্মির হাত থেকেই চোখকে সুরক্ষিত রাখবে এমন সানগ্লাস ব্যবহার করাই শ্রেয়।

৩) আপনার কনট্যাক্ট লেন্সটি যদি ইউভি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষা প্রদান করে সে ক্ষেত্রেও আপনাকে সানগ্লাস পরতে হবে। সানগ্লাস ব্যবহার করলে তবেই পুরো চোখটি কড়া রোদের হাত থেকে সুরক্ষা পাবে।

৪) গরমে শরীরে পানির ঘাটতি হয়, এতে শরীর যেমন অসুস্থ হয়ে পরতে পারে, তেমনই চোখের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। চোখ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে চোখে খচখচ করা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা য়ায়। তাই গরমে কোনও ভাবেই শরীরে অয়ানির ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;