নারীদের জন্য বিশ্বের সেরা ১৯ দেশ!



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
মার্কিন যুক্তরাজ্য রয়েছে ১৩তম স্থানে, ছবি: বিজনেস ইনসাইডার।

মার্কিন যুক্তরাজ্য রয়েছে ১৩তম স্থানে, ছবি: বিজনেস ইনসাইডার।

  • Font increase
  • Font Decrease

এখনও আমাদের দেশে নারীরা স্বাধীনভাবে পথ চলতে ভয় পান।

বৈষম্য রয়েছে আয়ের ক্ষেত্রেও। প্রতিনিয়ত হাজারো প্রতিকূলতা পাড়ি দিতে হয় প্রতিটি নারীকে। অথচ আমাদের দেশের বর্তমান এই চিত্রের একেবারেই বিপরীত চিত্র নিয়ে কিছু দেশ নারীদের বসবাসের জন্য সেরা দেশ হিসেবে নির্বাচিত হয়।

চলতি মাসের ৮ তারিখে অর্থাৎ বিশ্ব নারী দিবসে ‘দ্য ইউএস নিউজ’ ও ‘ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট’ তাদের ‘বেস্ট কান্ট্রিস ফর উইম্যান’ শীর্ষক বাৎসরিক র‍্যাংকিং এর তালিকা প্রকাশ করে।

এই তালিকা তৈরি করার জন্য পুরো বিশ্বের মোট ৯,০০০ নারীর উপর সার্ভে করা হয়। নারীদের জন্য সেরা দেশ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে ৮০টি দেশের মোট পাঁচটি বিষয়ের উপর নজর দেওয়া হয়েছে- মানবাধিকার, নারী-পুরুষের সমতা, আয়ের সমতা, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা।

জেনে নিন নারীদের জন্য বর্তমান বিশ্বের ১৯টি সেরা দেশের তালিকা।

১৯. ২০১৮ সাল থেকে এই বছরে এক ধাপ পিছিয়ে ১৯ নাম্বারে এসেছে স্পেন। নারী-পুরুষ সমতা, মানবাধিকারে ৫.৮ এবং অতিরিক্ত নিম্ন আয়ের জন্য ১.০ পয়েন্ট পেয়েছে দেশটি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/12/1552379492182.jpg

১৮. নারী-পুরুষ সমতার জন্য ০.৮ পেলেও উন্নয়নের জন্য ১০.০ পেয়ে ১৮ নাম্বার স্থানটি দখল করেছে জাপান।

১৭. নারী-পুরুষ সমতা ও মানবাধিকারে গড় স্কোর করলেও, আয়ের সমতায় খুবই বাজে স্কোর (১.১) পেয়ে ইটালি নিয়েছে ১৭ নাম্বার স্থান।

১৬. প্রগতিশীলতায় (৮.৯) ও নারী-পুরুষ সমতায় (৭.০) পেলেও, নিরাপত্তায় (১.৭) ও আয়ের সমতায় (১.১) পেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (US) রয়েছে ১০ এর বাইরে।

১৫. মানবাধিকারে ৭.৯, নিরাপত্তায় ৭.৬, উন্নয়নে ৪.৯ ও আয়ের সমতায় ৩.৮ পয়েন্ট নিয়ে ১৫ নাম্বারে আছে আয়ারল্যান্ড।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/12/1552379725559.jpg

১৪. নারী-পুরুষ সমতায় ৮.৩, মানবাধিকারে ৮.৫ ও আয়ের সমতায় ২.০ পয়েন্ট নিয়ে ১৮ নাম্বারে আছে ফ্রান্স।

১৩. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে ১৩ নাম্বার স্থানটি দখল করেছে মার্কিন যুক্তরাজ্য (UK). দেশটি নারী-পুরুষ সমতায় স্কোর ছিল (৮.৮) ও মানবাধিকারে ছিল (৯.১)। তবে আয়ের ক্ষেত্রে দেশটি পেয়েছে মাত্র ২.৬ পয়েন্ট।

১২. নারী-পুরুষ সমতা (৮.২), মানবাধিকারে ৯ ও নিরাপত্তায় ৮.৫ পয়েন্ট নিয়ে ১২ তম স্থানে আছে বেলজিয়াম।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/12/1552379627426.jpg

১১. নিরাপত্তায় ৮.৮ ও অন্যান্য বিষয়ে মাঝারি পয়েন্ট নিয়ে ১১ নাম্বার স্থানটি নিয়েছে লাক্সেমবার্গ (Luxembourg) দেশটি।

১০. দশের মধ্যে চলে এসেছে জার্মানি। দেশটি অন্যতম উন্নয়নশীল (৯.৮) দেশ হিসেবে বিবেচিত হলেও, অন্যান্য ক্ষেত্রে খুব একটা ভালো পয়েন্ট পায়নি।

৯. শান্তিপ্রিয় নিউজিল্যান্ড মানবাধিকার (৮.৬) ও নিরাপত্তায় (১০.০) পয়েন্ট নিয়ে নয় নাম্বার স্থানটি দখল করেছে।

৮. নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যেই তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি মানসম্পন্ন ‘লাইফ এক্সপেক্টেন্সি’ গড়ে তোলার জন্য রিপোর্ট অনুযায়ী ৮ নাম্বার স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির নারী-পুরুষ সমতায় পেয়েছে ৮.৩ পয়েন্ট ও মানবাধিকারে পেয়েছে ৮.৭ পয়েন্ট।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/12/1552379552879.jpg

৭. নারী-পুরুষ সমতা (৮.৬), মানবাধিকার (৯.২), উন্নয়ন (৮.৪), নিরাপত্তা (১০) ও আয়ের সমতায় (৮) পয়েন্ট নিয়ে সাত নাম্বার স্থানটি পেয়েছে সুইজারল্যান্ড।

৬. নারী-পুরুষ সমতায় দারুণ পয়েন্ট (৮.৯) ও আয়ের সমতায় (৯.৬) পয়েন্ট নিয়ে ফিনল্যান্ড রয়েছে ছয় নাম্বারে।

৫. নারী-পুরুষ সমতায় একদম পারফেক্ট ১০ পয়েন্ট পেলেও আয়ের সমতায় পিছিয়ে গিয়েছে ৬.৯ পয়েন্টে। তাই পাঁচ নাম্বার স্থানে রয়েছে নেদারল্যান্ড।

৪. আয়ের সমতায় ৯.৯ পয়েন্ট নিয়ে চার নাম্বার স্থানটি পেয়েছে নরওয়ে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/12/1552379660574.jpg

৩. ভাবুন তো একবার তিন নাম্বার স্থানে কোন দেশটি থাকতে পারে? নিরাপত্তা, নারী-পুরুষ সমতা ও মানবাধিকারে ৯ পয়েন্টের বেশি নিয়ে কানাডা তিন নাম্বার স্থানের দখল নিয়েছে।

২. গতবছরের শীর্ষ দেশ ডেনমার্ক এ বছরে নেমে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে। তবে আয়ের সমতায় সম্পূর্ণ ১০ পয়েন্ট রয়েছে শুধুমাত্র এই দেশটির দখলেই।

১. উন্নয়নে ১০, আয়ের সমতায় ৯.৯, মানবাধিকারে ৯.৮, নিরাপত্তা ও নারী-পুরুষ সমতায় ৯.৬ পয়েন্ট নিয়ে ২০১৯ সালে নারীদের জন্য সেরা দেশ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে সুইডেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/12/1552379571714.jpg

আরও পড়ুন: অনুপ্রেরণার আলো ছড়ানো মহীয়সী ৬ নারী

আরও পড়ুন: যে জিনিসগুলোর আবিষ্কারক ছিলেন নারী!

   

কাঠফাটা রোদে ত্বক পুড়ে যাচ্ছে? ঠান্ডা দুধ লাগিয়ে পাবেন সমাধান



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র গরমে ওষ্ঠাগত জনজীবন। প্রচণ্ড রোদে ত্বক পুড়ে গেলে ত্বকের লাবণ্য কমে যায়। এর প্রধান কারণ হলো সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি। এদিকে রোদে পোড়া দাগ বা সানবার্ন নিয়ে অনেকের চিন্তার শেষ নেই। সানবার্ন নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার। এখান থেকে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় সানবার্নের জেরে চামড়া উঠতে শুরু করে। ত্বকের ওই অংশ লাল হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে সানবার্নের সমস্যায় ভুগলে এখান থেকে বার্ধক্যের লক্ষণও জোরালও হয়। সানবার্ন থেকে মুক্তি পেতে গেলে সানস্ক্রিন ছাড়া রোদে বেরোনো যাবে না। আর যদি সানবার্নের মুখোমুখি হন, সেক্ষেত্রে ঠান্ডা দুধকে কাজে লাগান।

ঠান্ডা দুধ সানবার্নের সমস্যা দূর করে

১) প্রখর রোদ সানবার্নের জন্য দায়ী। ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি ত্বকের উপর প্রদাহ তৈরি করে। সানবার্নের উপর ঠান্ডা দুধ লাগালে নিমেষের মধ্যে কমে যায় ত্বকের জ্বালাভাব ও লালচে ভাব।

২) দুধের মধ্যে প্রোটিন ও লিপিড রয়েছে, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। সানবার্নের উপর ঠান্ডা দুধ লাগালে ত্বকের শুষ্কভাব দূর হবে এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

৩) দুধের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে, যা মাইল্ড এক্সফোলিয়েটর। এটি ত্বক থেকে মৃত কোষ পরিষ্কার করে এবং ক্ষত দ্রুত নিরাময় করে। সানবার্ন দূর করে ঠান্ডা দুধই সেরা।

সানবার্নের উপর যেভাবে ঠান্ডা দুধ প্রয়োগ করবেন -

১) ফ্রিজারে দুধ রেখে বরফ বানিয়ে নিন। রোদে বেরিয়ে ত্বক পুড়ে গেলে, বাড়ি ফিরেই সানবার্নের উপর ওই দুধের বরফ ঘষে নিন।

২) এছাড়া ফ্রিজে থাকা ঠান্ডা দুধে তুলার বল ডুবিয়ে নিন। এবার ওই তুলার বল সানবার্নের উপর কয়েক মিনিট রেখে দিন। আলতো হাতে বুলিয়েও নিতে পারেন।

৩) ঠান্ডা দুধ না থাকলে ঠান্ডা টক দইও মাখতে পারেন সানবার্নের উপর। দুধ ও দই দুটোই সানবার্নের চিকিৎসায় সেরা ফল। ত্বক থেকে ট্যান তুলতেও এই উপায় কাজে লাগাতে পারেন।

তথ্যসূত্র- টিভি৯ বাংলা

;

তাপপ্রবাহের কারণে হওয়া সাধারণ কিছু সমস্যা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে দেশ। আমাদের দেশে মূলত নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকে। তবে ক্রমাগত পরিবর্তনশীল জলবায়ুর কারণে গত কয়েক বছরে আবহাওয়ায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। এখন গরমে তাপমাত্রা বেশ বাড়তি থাকে। তাই গরমে এখন অসুস্থ হওয়ার ঘটনা বেড়ে গেছে। গরমের কারণে হওয়া সমস্যাগুলোকে অনেকেই গুরুত্ব দেয় না। তারা মনে করেন ঠান্ডা পানি পান করলেই সমাধান হবে। তবে গরমে অসুস্থ হওয়াকে অবহেলা করলে মৃত্যু ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। তাই উপসর্গ দেখার পরই সাবধান হতে হবে।

চিকিৎসক থমাস ওয়াটার্স এই নিয়ে সাবধান হওয়ার জন্য জোর দিয়েছেন। গরমে যে সব সমস্যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে দেখা যায়, সেগুলো হলো-

১। ফুসকুঁড়ি বা হিট র‍্যাশ

গরমে ঘাম হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাপ অতিরিক্ত বেশি হওয়ার কারণে গরমে ঘাম এবং ঘাম জমেও বেশি। কনুই, হাঁটুর পেছনের অংশ, ঘাড় ইত্যাদি স্থানে ঘাম জমে লাল ছোট ছোট ঘামাচি ও ফুসকুঁড়ি দেখা যায়।


২। হিট ক্র্যাম্পস

গরম আবহাওয়ায় অনেকেই ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করেন। গরমের মধ্যে পেশিতে চাপ পড়ার কারণে অনেক সময় ব্যথা হতে পারে। একে হিট ক্র্যাম্প হতে পারে। কারণ এমনিতেই গরমে ঘাম বেশি হয়। এরপর যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ এবং তরল বের হয়ে যায়।

৩। ক্লান্তি বা হিট এক্সহসশন

প্রাকৃতিকভাবে মানুষের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখার কিছু কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। গরমের সময় শরীরের ভেতর থেকে ঘাম বের করে দেয়। এতে অভ্যন্তরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অতিরিক্ত গরমে শরীর ঘাম বের করা বন্ধ করে দেয়। কারণ শরীররের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। এই কারণে শরীর ঠান্ডা হতে পারেনা।


৪। হিট স্ট্রোক

অতিরিক্ত গরমে শরীরে তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেড়ে যায়। হঠাৎ এই পরিবর্তন শরীর নিতে পারে না। ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা হলেই হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। হিট স্ট্রোক অনেক গুরুতর হতে পারে। এমনকি এই কারণে মৃত্যুও হতে পারে।

দিন দিন তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিহীন একটানা খা খা রোদের কারণে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই জরুরি কাজ ছাড়া সকালে ১ টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।

তথ্যসূত্রঃ ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক

;

জেনে নিন ওটস খাওয়ার অপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুভ সূচনায় সুন্দর দিন। সকাল সক্রিয়তার সাথে শুরু করতে পারলে পুরোদিন অনেক ভালো কাটে।  তাই সকালের খাবার হতে হয় পুষ্টিসম্পন্ন। ব্রেকফাস্টে উন্নত পুষ্টির খাবার খেলে পুরোদিন শরীরে তা সরবরাহ হয়।  সকালে অনেকেই ভারী খাবার খেতে পারেন না। তাই হালকা কিন্তু পুষ্টি সম্পন্ন খাবার খেতে পছন্দ করেন, যা পেটও ভরাবে। 

সকালের নাস্তায় অনেকে ওটস খেতে পছন্দ করেন। ওটস একটি পুষ্টিকর খাবার, উচ্চ ফাইবার এবং প্রোটিন, এবং অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে, যেমন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি। বিশ্বাস করা হয়, ওটস খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। তবে এইটা কতটা সত্য, তা নিয়ে এখন সন্দীহান বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন চিকিৎসক স্টিভেন গুন্ড্রি ওটস বা ওট থেকে বানানো খাবার খাওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।  

তিনি জানান, আমেরিকায় যেসব ওটস জাতীয় খাবারে গ্লাইফোসেটের উপস্থিতি রয়েছে,এই ব্যাপারটি তিনি বেশ জোর দিয়ে বলেন। তিনি উল্লেখ করেন গ্লাইফোসেট একটি ভেষজনাশক। স্টিফেন তার বর্ণনায় একে ‘সবচেয়ে  বিষাক্ত’ বলে অভিহীত করেন।

ওটস, ওটস দুধ এবং এই জাতীয় পণ্য প্রচুর পরিমাণে অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে মেরে ফেলে। এছাড়া কিছু কোম্পানির ওটসে এক প্রকার  নিষিদ্ধ হার্বিসাইড সনাক্ত করা হয়েছে। এই হারবিসাইড ক্যান্সার সহ স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে।

প্রতিদিন ওটস খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও ব্যথা হয়। ওটস খাওয়ার কারণে পেটে গ্যাস জমিতে থাকে। যাদের বেশি পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস নেই তারা হঠাৎ ওটস খাওয়া শুরু করলে সমস্যা দেখা যায়। তাদের পেট ফোলা ও ফাঁপা ছাড়াও অস্বস্তির সমস্যা দেখা যায়।

ওটস খাওয়া অন্ত্রের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এন্টারোকোলাইটিস, ক্রোনস ডিজিজ, ডাইভারটিকুলাইটিস ধরনের রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংবেদনশীল খাবার খেতে হয়।  তাই এই ধরনের রোগীদের ওটস এড়াতে হবে।   

এছাড়া ওটসে বেশি পরিমাণে শ্বেতসার থাকে। তাই ডায়বেটিসের রোগীদের ওটস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।  কারণ তাদের নিয়ন্ত্রিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া নিশ্চিত করতে হয়।

পাশাপাশি যারা রক্তশূণ্যতায় ভুগছেন তাদেরও ওটস এড়িয়ে চলা উচিত। অন্ত্রের ট্র্যাক্ট থেকে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় আয়রন সম্পূর্ণভাবে শোষিত হতে পারে না ওটসের কারণে। 

তথ্যসূত্রঃ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস+এইচএসএন স্টোর

;

গরমে যেসব খাবার না খাওয়াই ভালো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠি হচ্ছে জনজবীন। এই গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই নানা রকম ঠান্ডা পানীয় ও ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা খাবার খাচ্ছেন। সাময়িকভাবে এই ঠান্ডা পানীয় ও খাবার খেয়ে শান্তি পাওয়া গেলেও ঠান্ডা এই খাবারগুলি শরীরকে আরও গরম করে দেয়। এই তালিকায় কী কী রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

 

টক দই

টক দই শরীরের জন্য উপকারী হলেও গরমের সময় না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া গরম বলে নয়, সারা বছরই অনেকে টক দই খেতে পছন্দ করেন। তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে। অত্যধিক টক দই শরীরের ভেতর থেকে গরম করে তোলে। এতে গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা সৃষ্টি করে। 


ফ্রিজের ঠান্ডা পানি

অনেকেই বাইরে থেকে ফিরেই ঢকঢক করে কিছুটা ঠান্ডা পানি পান করছেন। যা মোটেও শরীরের জন্য ভালো নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি শরীরের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। শরীর ঠান্ডা হচ্ছে মনে হলেও আদতে তা হয় না। বরং শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হজমের গোলমালও শুরু হয়।

পাতিলেবু

গরমে পাতিলেবুর শরবতের জনপ্রিয়তা কম নয়। রাস্তাঘাটে তো বটেই, এমনকি বাইরে থেকে ঘেমে ফিরে অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিতে ভালবাসেন। লেবুতে ভিটামিন সি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তবে ঘন ঘন লেবুর শরবত খাওয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। লেবুতে থাকা অ্যাসিড উপাদান শরীরের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা তো রয়েছেই।

;