রাতের আঁধারে শেষ বিদায় শোভন-রাব্বানির!



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
বাঁ থেকে লেখক, গোলাম রাব্বানী, শোভন ও জয়, ছবি: সংগৃহীত

বাঁ থেকে লেখক, গোলাম রাব্বানী, শোভন ও জয়, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এক বছর এক মাস ১৪ দিন তথা ৪০৯ দিন। মাত্র ৪০৯ দিন দায়িত্ব পালন করে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ ছাড়তে হলো যথাক্রমে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে।

দুই বছরের দায়িত্ব দিয়ে ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই তাদের হাতে ছাত্রলীগের দায়িত্বভার তুলে দিয়েছিলেন সাংগঠনিক অভিভাবক, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কিন্তু একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে নাটকীয়ভাবে সরে দাঁড়াতে হলো শোভন-রাব্বানীকে। এ কেলেঙ্কারি কেড়ে নিয়েছে তাদের যৎসামান্য ‘কৃতিত্ব’ও। হঠাৎ ক্ষমতা হারিয়ে একা হয়ে পড়েছেন তারা। এতদিনের ‘শুভাকাঙ্ক্ষী’ চাটুকাররাও যেন উধাও। গাড়িতে নিয়ে যাদের ঘুরে বেড়াতেন, তাদেরও কারো দেখা নেই। অন্য দিকে পাশে থাকার ভরসা দিয়ে আওয়ামী লীগের যে নেতারা এতদিন আশ্বাস দিয়ে এসেছিলেন, তারাও কেন জানি নিশ্চুপ! শোভন-রাব্বানীকে রাতের আঁধারে বিমর্ষ মুখে বিদায় নিতে হলো।

ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা বলছেন, ছাত্রলীগের ৭২ বছরের ইতিহাসে মেয়াদপূর্তির আগে একসঙ্গে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ কিংবা অপসারণের ঘটনা এবারই প্রথম।

তারা বলছেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে শোভন-রাব্বানীর পথচলা এখন অনেকটা সংকুচিত হয়ে পড়ল। নেত্রীর সুনজর থেকে তারা সরে গেছেন। অথচ অনেক প্রত্যাশা ও স্বপ্ন নিয়েই নেত্রী তাদের দু’জনের হাতে ছাত্রলীগের নেতেৃত্বের ভার তুলে দিয়েছিলেন।

শোভন-রাব্বনীর ক্ষমতার চেয়ার টালমাটাল হয় ৮ সেপ্টেম্বর রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায়। সে রাতে দু'জনের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের অন্য নেতারাও তখন বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করেন। একপর্যায়ে কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার নির্দেশনা দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর ক্ষুব্ধ হওয়ার খবর বেরিয়ে আসার পর থেকেই ছাত্রলীগের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় শোভন-রাব্বানীর কর্মী সমর্থকরা যেমন স্লোগানে, মিছিল মিটিং করে তাদের প্রতি সমর্থন জুগিয়ে আসছিলেন, তেমনি আরেকটি পক্ষ কমিটি বাতিল হওয়ার সম্ভাবনায় স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে শুরু করে।

আরো পড়ুন: ছাত্রলীগের পদ হারালেন শোভন-রাব্বানী

এমন দোদুল্যমান পরিস্থিতিতে শোভন-রাব্বানীর ভাগ্য নির্ধারণ হয় শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের সভায়। গণভবনে অনুষ্ঠিত সে সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভা সূত্রে জানা যায়, কার্যনির্বাহী সংসদের পুরো বৈঠকে আওয়ামী লীগের কোনও নেতাই ছাত্রলীগের প্রসঙ্গটি তোলেননি। এজেন্ডা ভিত্তিক নানা বিষয় আলোচনার পর একদম শেষের দিকে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আর কারও কিছু বলার আছে কিনা?’ তখনও সবাই চুপ করে থাকলে শেখ হাসিনা নিজেই ছাত্রলীগের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।

sHOVON
রাতে ক্যাম্পাস থেকে বের হচ্ছেন শোভন, ছবি: সংগৃহীত

 

বৈঠকে ছাত্রলীগের দুই নেতার কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘শোভন-রাব্বানীর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। সর্বশেষ তারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক বাজেটের পার্সেন্টেজ চাইতে গিয়েছিল। ভিসি তাতে রাজি না হওয়ায় উল্টো তাকেই দোষারোপ করার চেষ্টা করেছে। তার বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছে। এরা (শোভন-রাব্বানী) আসলে মনস্টার হয়ে গেছে। এদের আর ছাত্রলীগের নেতৃত্বে থাকার দরকার নেই।’

শোভন-রাব্বানীকে অব্যাহতি দেওয়ার খবর তৃণমূলে পৌঁছালে বিশাল একটি গোষ্ঠী যেমন আনন্দ ও স্বস্তি প্রকাশ করেছেন, ঠিক তেমনি শোভন-রাব্বানীর কিছু কর্মী-সমর্থক মুষড়ে পড়েন। এছাড়া রাজনীতির স্বার্থে অনেকেই শোভন-রাব্বানীর সঙ্গ ত্যাগ করে নতুন নেতা জয়-লেখকের সঙ্গে মিশে যাওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত হয়ে পড়েন।

এদিকে গণভবনে যখন শোভন-রাব্বানীর ভাগ্য নির্ধারণ চলছিল, তখন তারা নিজেদের বাসাতেই অবস্থান করছিলেন। এরপর কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়ার খবর নিশ্চিত হলে দু’জনেই অনেকটা ভেঙ্গে পড়েন।

আরো পড়ুন: ছাত্রলীগের দায়িত্বে নাহিয়ান-লেখক

জানা গেছে, সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে শোভন-রাব্বানীর বাসায় যান। তাদের সঙ্গে আরো যুক্ত হন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের জোবায়ের আহমেদ। তারা কয়েকজন মিলে হাতিরঝিলে যান। সেখানে কিছু সময় কাটিয়ে একসঙ্গে ছবি তোলেন।

এরপর রাব্বানী ক্যাম্পাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ এলাকায় অবস্থান নেন। সেখানে মুষ্টিমেয় কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে দেখা করে তাদের থেকে বিদায় নেন।

রাত ১টায় জয়কে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডাস চত্বরের সামনে আসেন শোভন। তখন শোভনের কর্মীরাই জয়ের নাম ধরে স্লোগান দিয়ে নতুন সভাপতিকে স্বাগত জানান। একপর্যায়ে জয় কর্মীদের শান্ত করলে সবাইকে ভালো থাকার শুভকামনা জানিয়ে রাতের আঁধারে ক্যাম্পাস থেকে বিদায় নেন শোভন।

   

চট্টগ্রাম কলেজ: আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আবারও সংঘর্ষে জড়াল ছাত্রলীগ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চট্টগ্রাম কলেজে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। এতে দুই পক্ষের অন্তত ৭জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে কলেজের কাঠালতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। হামলার এক পর্যায়ে এক পক্ষ অপরপক্ষকে ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়।

আহতদের সবার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের জনি নামের একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, কয়েক মাস ধরে কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে অস্থিরতা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমও বেশ কিছুদিন ধরে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারছেন না। মাহমুদুল করিমের পক্ষের বেশিরভাগ নেতাকর্মী এখন সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম মনিরকে সামনে রেখে রাজনীতি করছেন। তবে বিষয়টি সহজে মানতে পারেননি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ। তিনি মনিরকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাসে রাজনীতি করতে আগ্রহী নন। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য ধরে রাখা নিয়ে দ্বন্দ্ব, মারামারি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া লেগে আছে।

তবে জানতে চাইলে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির বলেছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তির সময় কাগজপত্র জমা দিতে শিক্ষার্থীদের খামের প্রয়োজন হয়। ২০ টাকার সেই খাম ১০০ টাকায় শিক্ষার্থীদের কিনতে বাধ্য করছেন সুভাষ মল্লিক ও তার অনুসারীরা। প্রতিবাদ করায় কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থীকেও তারা মারধর করেছেন। আমরা বেশি দামে খাম বিক্রির কারণ জানতে চাওয়ায় তারা গায়ে পড়ে বারবার দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। তাদের হামলায় আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ বার্তা২৪.কমকে বলেন, কলেজের সভাপতি মাহমুদুল করিম দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে নেই। এখন হঠাৎ করে এসে মনিরুল ইসলাম মনির নামের একজন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দাবি করে তার সঙ্গে রাজনীতি করতে বলছেন। কিন্তু আমাকে তো ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কিংবা চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি এরকম কোনো নির্দেশনা দেয়নি। আমার পক্ষে তাই তাকে সঙ্গে নিয়ে কলেজে রাজনীতি করা সম্ভব না। সেজন্য বারবার এসে আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।

মারামারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক সারওয়ার আজম। তিনি বলেন, ছাত্রদের দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষ দুই পক্ষকেই ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।

;

বাংলাদেশ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে: গয়েশ্বর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, গণতন্ত্র কখনো আসবে, কখনো যাবে। গণতন্ত্র চলে গেলে লড়াই করতে হবে। তাহলে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। কিন্তু আগ্রাসন বিরোধী লড়াই করা কঠিন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচা ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত “গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও জাতীয় মর্যাদার প্রতি ভিনদেশী আগ্রাসন” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণ নয়, পাশ্ববর্তী দেশকে খুশি করতে রাজনীতি করে। ভারত এই সরকারকে টিকিয়ে রাখতে পারবে না। আওয়ামী লীগ সরকারই ভারতের সবচেয়ে নিকৃষ্ট পণ্য। এই সরকারকে বয়কট করা অত্যন্ত জরুরি। আমাদের বিদেশী পণ্য বর্জন করা উচিত।

গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ের চেয়ে আগ্রাসন বিরোধী লড়াই কঠিন উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই সরকারকে বয়কট করা অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশ কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীন হলেও দেশের জনগণ এখনো স্বাধীন নয়।

তিনি বলেন, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা ভালো বলতে পারবেন বর্তমানের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং ব্যাংকের যে করুন চিত্র কিছুদিন পরে কর্মীদের বেতন দেয়ার টাকা থাকবে না। চেয়ার-টেবল বিক্রি করে তাদেরকে বেতন দিতে হবে। সুতরাং এই ব্যাংক পাড়া যেখানে মানুষের টাকা জমা থাকে সেই ব্যাংক পাড়ার অবস্থা যদি এমন হয়। বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে কি হাসিনা যাবে না? যাবে, যেতেই হবে। ভারত তাকে রাখতে পারবে না।

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা অর্থনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, আমরা নির্বাচনের আগে শুনেছি আমেরিকা কঠিন পদক্ষেপ নিবে। দেশে আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। কিন্তু আমি বলি কেউ আপনার দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দিবে না। আপনাদের নিজেদের দেশে নিজেদেরকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের দেশে আমরা ভারতের অনুমতি নিয়ে ক্ষমতায় যাবো না। আমরা জনগণের অনুমতি নিয়ে ক্ষমতায় যাবো।

তিনি বলেন, আমাদের এখন এই সরকারের পতনের পথ কি হবে সেটা বলতে পারি না। তবে এটা বলতে পারি যে দেশে ৯০ শতাংশ মানুষ এই সরকারের পতন চায়। যে দেশে ৯০ শতাংশ মানুষ এই সরকারকে চায় না, সে দেশে একদিন না একদিন এই সরকারের পতন হবে এবং স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় আসবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক কর্নেল অবঃ মিয়া মশিউজ্জামান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জমায়াতে ইসলামি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, এবি পার্টির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

;

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যান মেরি ট্রেভেলিয়ান বৈঠক করেছেন। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেন।

ঢাকায় যুক্তরাজ্য হাইকমিশনারের বাসভবনে বুধবার (৮ মে) বিকেল সোয়া তিনটা থেকে শুরু হয়ে পৌনে পাঁচটা পর্যন্ত বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, গতকাল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুকও অংশ নেয়।

বিএনপির নেতাদের মধ্যে বৈঠকে অংশ নেন সাংগঠনিক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটি সদস্য শামা ওবায়েদ এবং বিএনপি মানবাধিকার সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ।

;

সমাবেশের অনুমতি নিতে ডিএমপিতে বিএনপির প্রতিনিধি দল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সমাবেশের অনুমতি নিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ১১টার দিকে বিএনপির পক্ষে ডিএমপিতে প্রবেশ করেন তারা। তিন সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু।

প্রায় পৌনে একঘণ্টা পর বাইরে বেরিয়ে এসে শুক্রবারের (১০ মে) সমাবেশের ব্যাপারে পুলিশের মনোভাব পজিটিভ বলে জানান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। তিনি বলেন, আমরা আগেই এই সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলাম। তবে তাপপ্রবাহের কারণে সেটি পিছিয়ে আগামীকাল ১০ মে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশ ও মিছিল করা হবে।

তিনি বলেন, পুলিশের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা বলেছেন, বিকেলের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবেন। যেহেতু শুক্রবার ট্রাফিক সংক্রান্ত কোনো ইস্যু নেই, তাই আমরা প্রত্যাশা করছি তাদের সহযোগিতা পাব।

;