ফটোসেশনেই চলছে আ.লীগের মশা নিধন অভিযান



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগের লগো

আওয়ামী লীগের লগো

  • Font increase
  • Font Decrease

ডেঙ্গুর প্রকোপে রাজধানী বাসী পর্যুদস্ত। কোন কারণে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে গেলেই ডেঙ্গু আতঙ্কে ভুগছে মানুষজন। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবরও আসছে হরহামেশাই। সেই খবর জনমনে আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

ঈদ মৌসুমে ডেঙ্গু ভয়াবহতা রাজধানী ছাড়িয়ে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। জেলা শহরের হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এমন নাজুক পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু মোকাবেলায় তৎপর সরকার ও প্রশাসন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের পর এই তৎপরতা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/08/1565238656850.jpg

কিন্তু অভিযোগ উঠেছে— ডেঙ্গু মোকাবেলায় মন্ত্রী-এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের তৎপরতা পরিণত হয়েছে মহড়ায়। রাজধানীতে কেন্দ্রীয় নেতারা কর্মসূচি দিলে সেখানে জমায়েত হয়ে বক্তৃতা ও প্রতীকী আকারে মশা নিধনে স্প্রে করে বিদায় নিচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। এরপর কর্মসূচি কতটুকু বাস্তবায়ন হলো সেই খোঁজও নেই কারও কাছে। ফটোসেশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের মশা নিধন অভিযান। নামকাওয়াস্তে অভিযান কর্মসূচি পালন নিয়ে বিরক্ত দলের হাইকমান্ড।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/08/1565238511810.jpg

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ, পরিষ্কার রাখি চারপাশের পরিবেশ, পরিচ্ছন্ন সমাজ-ডেঙ্গুমুক্ত বাংলাদেশ’— এই স্লোগানে বুধবার (৩০ জুলাই) ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঢাকাসহ সারা দেশে তিন দিনব্যাপী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নামে ক্ষমতাসীনরা। অথচ তিন দিনব্যাপী এ অভিযান কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত হয় নগরীর চারটি স্থানে।

উদ্বোধনী দিনে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হয়। দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা তাতে অংশ নেন। ধানমন্ডি খালের আশেপাশ তারা ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করেন, ফগার মেশিন দিয়ে স্প্রে করে মশা মারার ওষুধ ছিটান। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই অভিযান শেষ হয়ে যায়। কেন্দ্রীয় নেতারা চলে যাওয়ার পর অন্যান্য নেতা-কর্মীরাও তাদের পিছে পিছে লাপাত্তা হয়ে যান।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/08/1565238527126.jpg

একই চিত্র গুলিস্তান, ফার্মগেট, শান্তিনগর ও মিরপুর মাজার রোড এলাকায় পরিচালিত অভিযানেও। এসব এলাকার কর্মসূচিতে সরেজমিনে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় নেতারা আসার আগে কর্মসূচি পালনের স্থানে বেশ কিছু ফগার মেশিন, ঝাড়ু সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। কোথাও কোথাও নেতারা আসার আগে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় নেতারা আসার আগেই স্লোগান ও মহড়া নিয়ে উপস্থিত হতে থাকেন বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের কর্মীরা। নেতারা উপস্থিত হলে শুরু হয় কর্মীদের ফটোসেশন। কর্মসূচির উদ্বোধনের পর কেন্দ্রীয় নেতাদের বিদায় তো অভিযানও শেষ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/08/1565239089068.jpg

এসব স্থানে কর্মসূচি দলীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উদ্বোধন করলেও তিনি চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতির সংখ্যাও কমতে থাকে।

যতক্ষণ কেন্দ্রীয় নেতারা মশা নিধন কর্মসূচিতে থাকনে  ততক্ষণ তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত থাকেন। নেতা চলে যাওয়ার পর কর্মীদের আর দেখা পাওয়া যায় না। যতক্ষণ কর্মসূচিতে থাকেন ততক্ষণই ফেসবুকে ছবির ঝড় তুলতে থাকেন তারা। শুকনো রাস্তায় ঝাড়ু হাতে দাঁড়ানো, কিংবা ফগার স্প্রে দিয়ে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলি তুলে ফটোসেশন করেন নেতা-কর্মীরা!

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/08/1565238990190.jpg

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের তিন দিনব্যাপী পরিচ্ছন্নতা অভিযান রাজধানীর ৪/৫টি থানা ও ৯/১০টি ওয়ার্ডে নামকাওয়াস্তে পালিত হয়েছে। বেশিরভাগ এলাকাতেই দলীয় নেতা-কর্মীদের তেমন একটা দেখা যায়নি। এসব কর্মসূচি পরিচালনায়ও ছিল সমন্বয়হীনতা। নগরীতে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত অধিকাংশ সংসদ সদস্যও ছিলেন নিষ্ক্রিয়।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে অভিযান মনিটরিং করছেন লন্ডনে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নেতা-কর্মীদের ফটোসেশনের এসব ছবি ও সমন্বয়হীনতায় ভীষণ বিরক্ত তিনি। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে কঠোর বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। এরপর টনক নড়ে নেতাদের।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/08/1565239184879.jpg

ডেঙ্গু মোকাবেলায় মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিশেষ যৌথসভা করে আওয়ামী লীগ। সভায় উপস্থিত থাকেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সব সদস্য, থানা এবং ওয়ার্ড সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, দলীয় সংসদ সদস্য ও কাউন্সিলররা। আধা ঘণ্টাতে শেষ হয় জরুরি ওই সভা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/08/1565238599227.jpg

নামকাওয়াস্তে কর্মসূচি পালন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমরা নামকাওয়াস্তে কর্মসূচি পালন করলাম, বেশিরভাগ ওয়ার্ডে এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা হলো না, কর্মসূচি পালন হলো না। এই দায়সারা কর্মসূচির কোন প্রয়োজন নেই। এতে এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্রও বন্ধ হবে না, এডিস মশার উৎসমূল বন্ধ করতে পারব না। কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে ফটোসেশন করার জন্য এই অভিযান নয়।

এদিকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মশক নিধন অভিযানে নামলেও মাঠে নেই অন্য রাজনৈতিক দলগুলো। ভোটের মাঠে তাদের সক্রিয়তা সবার দৃষ্টিগোচর হলেও মানুষের দুঃসময়ে তারা ঘরেই আটকে আছেন। কেউ কেউ প্রেস কনফারেন্সে ও সমাবেশে বক্তৃতা দিয়ে ক্ষমতাসীন দল ও সরকারকে নসিহত করছেন। কিন্তু কাজের বেলায় ঠন ঠন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে ক্ষমতাসীনদের একযোগে কাজের আহ্বানেও তাদের সাড়া মেলেনি। সাধারণ মানুষের প্রতি রাজনৈতিক এ দলগুলোর নিবেদন নিয়েও তাই প্রশ্ন আছে নাগরিকদের মনে।

   

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করল বিএনপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে অংশ নেওয়া তৃণমূলের ৭৩ জন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বহিষ্কারের তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপির যেসব নেতৃবৃন্দ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়াদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ২১ জন রয়েছেন।

এর আগে গতকাল উপজেলা পরিষদের ভোটে অংশ নিতে চাওয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করে বিএনপি। চিঠিতে নেতাদের ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে উত্তর দিতে বলা হয়।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, শোকজ করা ৬৪ নেতার মধ্যে ২৪ জন চেয়ারম্যান পদে ও ২১ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন রয়েছেন।

;

ওলামা দলের আহ্বায়ক সেলিম রেজা, সদস্য সচিব আবুল হোসেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির পেশাজীবী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছে মাওলানা মো. সেলিম রেজা, সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছে মাওলানা কাজী আবুল হোসেন।

৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়।

ঘোষিত ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক আহ্বায়ক কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা ক্বারী গোলাম মোস্তফা ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসেইন।

 

;

গাজায় যুদ্ধের উস্কানিতে সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্র: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা (ইসরায়েল) কারো কথা শোনেনা। আবার আমরা দেখছি, কংগ্রেস থেকে যে ফান্ড ইসরায়েলের অংশটা ইতিমধ্যে দিয়ে দিছেন। তার মানে যুদ্ধের উস্কানিতে সাহায্য করছেন। এই গণহত্যার ব্যাপারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে নিকৃষ্টতম নমুনা এই ব্যাপারে তারা তাদের অবস্থান পরিষ্কার করুক।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।

বাংলাদেশের মানবাধিকারে কোন উন্নতি হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের এমন রিপোর্টের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীতে যেভাবে মানবাধিকারের অবনতি হচ্ছে, আজকে যুক্তরাষ্ট্র কথা বলছেন। তাদের ম্যাথিউ মিলার, জন কিডনি এরা এইসব নিয়ে কথা বলছেন হোয়াইট হাউসে। আমার বক্তব্য হচ্ছে তাদেরই পাশে গাজায় ইসরায়েল যা করছে সেটা মানবাধিকারের কোন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ১৪ হাজার শিশু, ৩৫ হাজার মানুষ কে হত্যা করা হয়েছে এবং প্রতিদিনই হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র নেতানিয়াহুকে সিজ ফায়ারের কথা বলেও শোনাতে পারেননি। তারা কারো কথা শোনেনা। আবার আমরা দেখছি, কংগ্রেস থেকে যে ফান্ড ইসরায়েলের অংশটা ইতিমধ্যে দিয়ে দিছেন। তার মানে যুদ্ধের উস্কানিতে সাহায্য করছেন। এই গণহত্যার ব্যাপারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে নিকৃষ্টতম নমুনা এই ব্যাপারে তারা তাদের অবস্থান পরিষ্কার করুক।

মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের এক নেত্রীর বহিষ্কার প্রত্যাহারে সেই নেত্রীর কাছ থেকে দপ্তর সম্পাদক ১০ লাখ টাকা চেয়েছেন, এই বিষয়ে কি ব্যবস্থা নিবেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এইটার সত্যতা কি? তখন ফোন রেকর্ড আছে এমন জবাবে তিনি বলেন, তাহলে দিন, আমরা ব্যবস্থা নিবো।

বিএনপির আন্দোলন নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে লিফলেট বিতরণে নেমে আসা এটা কি আন্দোলনের উত্তাল হবার লক্ষণ? না আন্দোলন ধীরে ধীরে ফিজল আউট হচ্ছে এমন লক্ষণ।

মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের উপজেলা নির্বাচন থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের নির্দেশনা ছিলো তবে সে নির্দেশনা তেমন কেউ ই মানেনি। তাহলে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙে গেছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রত্যাহার করার এখনো সময় আছে। যে কোন সময় প্রত্যাহার করতে পারে। শেষ টা দেখেন। দলের নির্দেশ অমান্য হলে সময় মতো ব্যবস্থা নেয়া হবে এমন কথা কিন্তু আমি বলেছি।

দল হিসেবে কাউকে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়াতে আওয়ামী লীগ বাধ্য করতে পারে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোনটা করলে প্রশংসা করবেন? আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ আছে সবসময় একটা উল্টা প্রশ্ন করতে অভ্যস্ত। আমাদের কৌশল নিয়ে আপনার কথা বলার দরকার নেই।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনে সংঘাতের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু নির্বাচনে তো অন্য কোন বিরোধী দল অংশ নেয়নি শুধু আওয়ামী লীগই আছে। তারপরও সংঘাতের শঙ্কা প্রকাশ কিভাবে দেখেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংঘাতের আশঙ্কা হয়তো করতে পারেন। সংঘাত যেনো না হয় আমাদের দায়িত্ব আছে, আমাদের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।

বিএনপি থেকে এখন পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনে ৬৭ জন অংশ নিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাদের দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত বিএনপি নিয়েছে। এই বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা এখানে সমর্থনও করছি না, বিরোধীতাও করছি না। বিএনপির ব্যাপার বিএনপি দেখবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

দিল্লির দাসত্ব গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি: ফারুক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দিল্লির দাসত্ব গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারুক।

ভারতকে উদ্দেশ করে তিনি বলেছেন, আধিপত্যবাদ, আগ্রাসন, গণতন্ত্র হত্যার জন্য বাংলাদেশের মানুষ সামাজিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে আপনাদের বিরুদ্ধাচরণ করার জন্য। কারণ বাংলাদেশের মানুষ একাত্তর সালে খালি পায়ে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল, রাওয়াল পিন্ডি থেকে মুক্ত হয়েছিল দিল্লির দাসত্ব গ্রহণ করার জন্য নয়।

শুক্রবার (২৬ এ‌প্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরামের উদ্যোগে সীমান্তে বাংলা‌দেশী নাগ‌রিক হত‌্যা ও ভারতীয় আগ্রাস‌নের প্রতিবা‌দে এক অবস্থান কর্মসসূচি‌তে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে জয়নুল আবেদিন ফারুক আরও বলেন, আমি একটি পত্রিকায় দেখেছি, ভারতের ৫২৭টি পণ্যের মধ্যে বিষক্রিয়া পাওয়া গেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেগুলো নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। আরেকটি পত্রিকায় দেখালাম, তাদের দুইটি ওষুধে ক্যান্সারের মিশ্র উপাদান পাওয়া গেছে। সিঙ্গাপুর, হংকং সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।

আজকেও সীমান্তে একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যদি বন্ধু হও, যদি আমাদের প্রিয় ব্যক্তি হও, যদি আমাদের প্রতিবেশী হও, তাহলে সীমান্তে অহরহ গুলি কেন? তাই আজকে বাংলার জনগণ, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই শুরু করেছে।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আমরা ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে নই, আমরা ভারতের বন্ধু হতে চাই। কিন্তু যে বন্ধু আমাদের শোষণ করবে, যে বন্ধু আমাদের টিপাইয়ের ন্যায্য হিস্যা দেয় না, সে কি বন্ধু হতে পারে? কোনোদিনও বন্ধু হতে পারে না। তাই আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করে বলতে চাই, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করো, আগ্রাসন নীতি পরিহার কর, বাংলাদেশের রাজনীতিতে নগ্ন হস্তক্ষেপ বন্ধ করো। কারণ আপনার দেশে গণতন্ত্র থাকবে, আর আমার দেশে গণতন্ত্র যাতে না থাকে সেই ব্যবস্থা করবেন, বাংলার মানুষ তা কোনদিন গ্রহণ করবে না।

এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আমরা আগ্রাসন মানি না, আমরা সীমান্ত হত্যা মানি না, আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জন করব এই সামাজিক আন্দোলন ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, লজ্জা হয় না আপনাদের? ক্ষমতাসীন দল হিসেবে বলেন, সব ক্ষেত্রে নাকি বিএনপির ষড়যন্ত্র আছে। আমারা নাকি ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় যেতে চাই। ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আপনারা (আওয়ামী লীগ) গেছেন। ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টি করেছেন আপনারা। মঈন-ফখরুদ্দিনের সাথে রাতের অন্ধকারে আঁতাত করেছেন আপনারা। আমরা (বিএনপি) ষড়যন্ত্র বিশ্বাস করি না। আমার নেত্রী ষড়যন্ত্র বিশ্বাস করে না। আমার নেতা তারেক রহমান ক্ষমতায় যেতে চায়, এক মাথা এক ভোটে, জনগণকে নিয়ে, ষড়যন্ত্র করে নয়।

বিএন‌পির সাংগঠ‌নিক সম্পাদক আবাদুস সালাম ব‌লেন, প্রতিবছর আমরা বর্ডার থেকে দুই তিনটা লাশ উপহার পাই। মোদি সরকার হচ্ছে একটি জংলি সম্প্রদায়ের নেতা। এই মোদি ভারতে হাজার হাজার মুসলমানদেরকে খুন করেছে। এই মোদি সরকারের সাথে বন্ধুত্ব করেছে আমাদের সরকার। ২০০৮ সালে এসরকারের নেতৃত্বে আমাদের দলের প্রায় ৬৬০০ নেতাকর্মীকে হত্যা, গুম করা হয়েছে। বর্ডারে হত্যা করছে মোদি সরকার আর অভ্যন্তরে আমাদের খুন, গুম, নির্যাতন, নিপীড়ন, হামলা-মামলা সবকিছু করছেন শেখ হাসিনা।

বিএন‌পির নির্বাহী ক‌মি‌টির সদস‌্য আবু না‌সের মো. রহমতুল্লাহ বলেন, ভারত বাংলাদেশকে তথাকথিত সহযোগিতার কথা বলে আর সিমা‌ন্তে মানুষ হত‌্যা ক‌রে। বাংলা‌দে‌শের বর্তমান সরকার দে‌শের গণতন্ত্র হত‌্যা ক‌রে‌ছে আর ভারত তা‌তে সমর্থন ক‌রে‌ছে। বাংলা‌দে‌শের মানুষদের ভারতীয় মানুষের প্রতি কোনো ক্ষোভ নেই ভারতীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ কারণ তারা আমাদের বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সমস্যাকে দীর্ঘায়িত করতে চায়। ভারত আমাদের দে‌শের গণতন্ত্র বিরোধী যে মানসিকতা পোষণ করে সেই মানসিকতার আমরা বিরোধিতা করি, ভারতের জনগণকে না।

গণতন্ত্র ফোরা‌মের সভাপ‌তি আলহাজ্জ ভি‌পি ইব্রা‌হিম এর সভাপ‌তি‌ত্বে অবস্থান কর্মসূচি‌তে আরও উপ‌স্থিত ছি‌লেন সংগঠ‌নের সাধারণ সস্পাদক ব‌্যা‌রিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু, ওলামা দ‌লের নব‌নির্বা‌চিত সদস্য সচিব এ্যাড. মাওলানা কাজী আবুল হোসেন,তাতী দ‌লের যুগ্ন আহ্বায়ক কাজী ম‌নিরুজ্জামান, মৎস্যজীবী দ‌লের সদস‌্য ঈসমাইল হো‌সেন সিরাজী, কৃষকদ‌লের সহ সাধারণ সম্পাদক ম‌ফিজুর রহমান লিটন, শিল্প কু‌টি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নাঈম, যুব জাগপার সভাপ‌তি আমির হো‌সেন আমু প্রমুখ।

;