প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আ'লীগের সঙ্গে ভিন্নমত শরিকদের



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে কিছুটা ভিন্নমত রয়েছে তাদের রাজনৈতিক জোটসঙ্গী তথা শরিক দলগুলোর।

এত বিশাল আকারের বাজেট কীভাবে বাস্তবায়ন হবে সেটা নিয়ে যেমন মহাজোট শরিকদের মধ্যে 'সংশয়' রয়েছে, ঠিক তেমনি এই বাজেটে আদৌ দেশের সাধারণ মানুষের কল্যাণ হবে কি না সেটা নিয়েও তারা সন্দিহান।

প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য বৃদ্ধি সহায়ক’ হিসেবেও দেখছে কোনো কোনো শরিক দল।

১৪ দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবারের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানের মতো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ খাতে চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম বেড়েছে বলে মনে করেন অনেক জোটসঙ্গী। সেই সঙ্গে করের বোঝা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের নাভিশ্বাস তুলে দিতে পারে।

প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সরকারি জোট ও বিরোধী দলে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকলেও ১৪ দলের শরিক কয়েকটি দল এখনো নিশ্চুপ। বাজেট প্রস্তাবের তিন দিন পেরিয়ে গেলেও জোটের শরিক কয়েকটি দল বাজেটের বিষয়ে দলগত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। শরিক দলের নেতারা দলীয় অনুষ্ঠানে বাজেট সম্পর্কে বিচ্ছিন্ন প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। কেউ কেউ ঘরোয়া আলোচনায় কথা বলছেন।

বাজেট প্রস্তাবনার পরপরই ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি বরাবরের মতো এবারও ‘বাজেট জনবান্ধব নয়’ বলে দাবি করলেও আওয়ামী লীগ মনে করে, বাজেট নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে দলটি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবসম্মত, ভারসাম্যমূলক, গণকল্যাণমুখী, যুগোপযোগী ও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।'

এদিকে মহাজোটসঙ্গী জাতীয় পার্টি মনে করে, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলে প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন ‘কঠিন’ হবে। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, 'জাতীয় পার্টি চায়, অপেক্ষাকৃত অবস্থাপন্নদের কাছ থেকে বেশি হারে রাজস্ব আদায়ের ব্যবস্থা করা হোক। আর স্বল্প আয়ের মানুষের ঘাড়ে দায় কম চাপানো হোক।'

১৪ দলের অন্যতম শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির দৃষ্টিতে বাজেটে বৈষম্য থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় নেই। বাজেটের কিছু দিকের সমালোচনা করে দলটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘সমৃদ্ধির পথ চলায় বৈষম্যের যে সিন্দাবাদের দৈত্য জাতির ঘাড়ে চেপে বসে আছে, এর থেকে পরিত্রাণের কোনো উপায় বাজেটে নেই। বরং, মধ্যবিত্তকে চাপে রেখে ধনীদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। পোশাকশিল্পের মালিকদের জন্য প্রণোদনা বাড়লেও পোশাকশিল্প শ্রমিকরা সেই অন্ধকারেই রইলেন। আর যে কৃষক ধানসহ তার উৎপাদিত ফসলের দাম না পেয়ে জেরবার অবস্থায়, তাদের পণ্যমূল্য সহায়তারও কোনো ব্যবস্থা নেই বাজেটে। দেশের অর্থনীতির সমৃদ্ধির পেছনে যারা মূল শক্তি, সেই কৃষক, শ্রমিক, নারী উদ্যোক্তারা অবহেলিতই রয়ে গেছেন এ বাজেটে।’

তার মতে, ‘গত কয়েক বছর ধরে জিডিপির আকার, প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বাড়লেও বাজেটে অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্য কমছে না। শুধু আয় বৈষম্যই নয়, আঞ্চলিক বৈষম্য ও গ্রাম-শহরের বৈষম্য অর্থনীতির ভারসাম্য নষ্ট করছে। নিজেদের শ্রমশক্তির উন্নয়ন ঘটাতে না পারলে শুধু ট্যাক্স ও রেমিটেন্সের ওপর নির্ভর করে নিজস্ব লক্ষ্যমাত্রায় সরকার পৌঁছাতে পারবে না।’

বাজেটে বৈষম্য বৃদ্ধিকে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে ১৪ দলের আরেক শরিক দল জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বাজেটে বৈষম্য কমার বদলে বছর বছর বাড়ছে। বৈষম্য কমিয়ে অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ কীভাবে বাড়ানো যায়, সেদিকে সরকারকে নজর দিতে হবে।’

এদিকে বাজেট বাস্তবায়নের জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে গুরুত্ব দিতে চান জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি মনে করেন, পর্যাপ্ত লোকবলের অভাবে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলে প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন কঠিন হবে। ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে বিরাট অঙ্কের ঋণ নেওয়া হলে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ভ্যাটের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় অংশ আদায় হবে কী না, এ বিষয়ে সংশয় রয়েছে তার।

বাজেট বাস্তবায়নে শরিকদের সংশয়কে অমূলক মনে করছেন ক্ষমতাসীনরা। বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ নিয়ে বার্তা২৪.কমের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শনিবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বাজেট বাস্তবায়ন সব সময় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ আমরা গ্রহণ করেছি। শেখ হাসিনার সরকারের নতুন মন্ত্রিসভা নতুন স্পিরিট নিয়ে বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করবে।’

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। এরপরই বাজেট নিয়ে নানা মহলে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

   

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের পথে খালেদা জিয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের পথে খালেদা জিয়া

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের পথে খালেদা জিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। 

বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে বহনকারী গাড়িটি গুলশানের বাসভবন থেকে রওয়ানা হয়।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার।

তিনি জানান, মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কিছু জরুরি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গুলশান-২ এর বাসভবন ফিরোজা থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন তিনি।

;

‘শুধু বিএনপি নয়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় মানুষ আবারও জেগে উঠেছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুধু বিএনপি নয়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে দেশের মানুষ আবারও জেগে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, শুধু ডান আর বাম নয় সব পন্থির মানুষই সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়।

বুধবার (১ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে শ্রমিক দলের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশ আজ দানবের কবলে পড়ে তছনছ হয়ে গেছে। যা বুঝেও না বুঝার ভান করে সরকার। শুধু ডান বা বাম নয় সব পন্থির মানুষ সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকারের অপরাধ, দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। দেশটাকে তামাশায় পরিণত করেছে। তারা গণতন্ত্রের লেবাস পরে। শুধু বিএনপি নয়, সব গণতান্ত্রিক মানুষ আবারও জেগে উঠছে। তারা আন্দোলনের বিপ্লব করবে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মির্জা ফখরুল।

;

বিএনপিতে ভাঙন আওয়ামী লীগ চায় না: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপিতে ভাঙন আওয়ামী লীগ চায় না বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা (বিএনপি) নিজেরা নিজেদের ভাঙনের জন্য দায়ী হবে।

বুধবার (০১ মে) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে শ্রমিক লীগ আয়োজিত সমাবেশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সম্পর্কে ভিতরের অনেক কথা শোনা যায়। নেতাদের কারও সঙ্গে কারও মিল নাই। যাকে পছন হয় না তাকে বলে সরকারের এজেন্ট। নেতায় নেতায় ঝগড়া করে একে অন্যকে দোষ দেয়। বিএনপিকে আমরা ধ্বংস করতে চায় না, বিএনপির ভাঙন আমরা চাই না। তারা নিজেরা নিজেদের ভাঙনের জন্য দায়ী হবে। ঘরে এতো শত্রু, বিএনপির ধ্বংসের জন্য বাইরের শত্রুর প্রয়োজন হবে না।

বিএনপি নেতাদের লজ্জা শরম নাই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, একসময় মনে করতাম বাংলাদেশ আমাদের জন্য বোঝা। আজ বাংলাদেশের যে উন্নয়ন, অগ্রগতি এটা দেখে আমি লজ্জা পাচ্ছি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী দেখতে পায়, আর বিএনপি কালো চশমা পরেছে, তারা দেখতে পায় না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বিদেশিদের কাছে নালিশ করে, কার কাছে নালিশ করবেন? যাদের কাছে নালিশ করতেন তাদেরও বেসামাল অবস্থা। এখন আমেরিকায় আরব বসন্ত। ৪০টা বিশ্ববিদ্যালয় ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করছে। পিছনের দরজা দিয়ে সমাবেশে উপস্থিত হয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীন সফরে গেছে কয়দিন আগে, সে সময় সাংবাদিকেরা জিজ্ঞেস করলো আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন এতো প্রতিবাদ? তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, এটা গণতন্ত্রের অংশ। প্রফেসরকে লাঠিপেটা, কি নির্যাতন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে, কি যে বর্বরতা। তখন ভাবতে অবাক লাগে, এই দেশ নাকি গণতন্ত্রের প্রবক্তা, মানবাধিকারের কথা বলে।

শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আদমজীর মত জোট মিল যাদের হাতে বন্ধ হয়েছে, শ্রমিক হত্যার রক্ত যাদের হাতে এই দেশ তাদের ক্ষমা করবে না। শেখ হাসিনা শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। আজকে শ্রমিকের ওপর কোন নির্যাতন নাই। বঙ্গবন্ধু আন্দোলন করেছেন, শ্রমিকের আন্দোলন করেছেন। নুরু মিয়ার রক্ত ৬ দফা আন্দোলনকে স্বাধীনতা আন্দোলনে পরিণত করেছে।

শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শ্রমিকদের অধিকার দিবসে আমি বলবো আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। নেত্রী যা করেছে ভবিষ্যতে আরও করবেন। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে শত্রুতা সৃষ্টি করবেন না।

;

নির্বাচনী পর্যবেক্ষণে আ. লীগকে আমন্ত্রণ জানাল বিজেপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখানোর জন্য আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। সাতটি ধাপে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বুধবার (০১ মে) আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ভারতে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় আছে বিজেপি। অন্যদিকে, বাংলাদেশে পরপর চারটি জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশভাবে জয়লাভ করে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। এই সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যুগান্তকারী উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়ন পুরো পৃথিবীকে অবাক করেছে।

সায়েম খান জানান, ভারতের ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র ভারত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি যে আস্থাশীল এবং আওয়ামী লীগকে যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও তাদের প্রকৃত বন্ধু মনে করে, এই আমন্ত্রণ সেই ইঙ্গিতই বহন করে।

তিনি জানান, বিজেপির নির্বাচনী প্রস্তুতি ও প্রচারণা পর্যবেক্ষণের জন্য আওয়ামী লীগকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি প্রেরণের জন্য অনুরোধ করেছে। এই আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ভারত সফরে মনোনীত করেছেন।

আরও জানান, এই সফরটি মূলত পাঁচ দিনের। ১ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত। এই সফরে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধির সঙ্গে বিজেপির সিনিয়র নেতাদের বৈঠক রয়েছে। দিল্লির বাইরে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণা সরেজমিনে দেখানোর জন্য বিজেপি আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিকে ছত্রিশগড়ে নিয়ে যাবেন। ভারতের নির্বাচন ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে, যা ১ জুন পর্যন্ত চলবে। ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে।

;