ইশারায় পানি খেতে চেয়েছেন কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
ইশারায় পানি খেতে চেয়েছেন কাদের। ছবি: সংগৃহীত

ইশারায় পানি খেতে চেয়েছেন কাদের। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হৃদরোগে আক্রান্ত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তার উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। জ্ঞান ফেরার পর ইশারায় পানি খেতে চেয়েছেন তিনি। ওই সময় চিকিৎসকরা তাকে নলের মাধ্যমে পানি খেতে দেন।

সোমবার (৪ মার্চ) সকাল সোয়া ৯টার দিকে বার্তা২৪.কমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।

তিনি আরও জানান, দুপুর ১টার দিকে ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা নিয়ে গণমাধ্যমকে ব্রিফিং করা হবে।

এর আগের দিন রোববার (৩ মার্চ) সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিএসএমএমইউতে ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের। এরপর কাদেরের হৃৎপিণ্ডে ৩টি ব্লক ধরা পড়ে। তার মধ্যে একটিতে রিং পরানো হয়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় দিনভর ভেন্টিলেটর মেশিনে অচেতন থাকেন তিনি।

এদিকে রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ঢাকায় পৌঁছানো সিঙ্গাপুরের তিন সদস্যদের প্রতিনিধি দল হাসপাতালে ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন।

   

প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ছাত্রলীগের কর্মসূচি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৮১ সালের ১৭ মে ছয় বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি। দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রতি বছর নানা কর্মসূচি হাতে নেয় ছাত্রলীগ। এবার ১৬ মে বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত ‘তুমি দেশের, তুমি দশের’ শীর্ষক শোভাযাত্রা করবে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম এ সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (১৪ মে) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়। ১৭ মে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় নেতাকর্মীদের নিয়ে যোগ দিবেন তারা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশরত্ন শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে সেদিন সমগ্র জাতি অপার আনন্দে উদ্বেলিত হয়েছিল। রাজধানী ঢাকা পরিণত হয়েছিল মিছিলের নগরীতে। রাষ্ট্রক্ষমতার অবৈধ দখলদার, সামরিক শক্তির বহুমুখী বাধা ও প্রাকৃতিক বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে ‘শেখ হাসিনা ভয় নাই, আমরা আছি লাখো ভাই’ স্লোগানে সেদিন গোটা নগরীকে প্রকম্পিত করে এক বিশাল জনসমুদ্র দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে স্বদেশে স্বাগত জানায়। স্বজনহারা শেখ হাসিনার স্বজন হয়ে ওঠে সমগ্র জাতি।

বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়ন, জাতির পিতা হত্যার বিচার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিতে শেখ হাসিনার দৃঢ় অঙ্গীকার বাঙালির প্রাণে সেদিন নতুন সাহসের সঞ্চার ঘটায়। মহান মুক্তিসংগ্রামে পরাজিত অপশক্তির রাহুগ্রাসে জীর্ণপ্রায় বাংলার বুকে আবার আঠারো নেমে আসে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন হতে আজ অবধি অসংখ্যবার মৃত্যুকে জয় করে শেখ হাসিনা মহান মুক্তিসংগ্রামের চেতনা সমুন্নত রাখার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। তার সাহসী নেতৃত্বে দুঃসহ স্বৈরশাসনের অবসান, মৌলিক মানবাধিকার, গণতন্ত্র, ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা, বাঙালির জীবনযাত্রায় অভূতপূর্ব মানোন্নয়ন, ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ একটি আত্মমর্যাদাশীল ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

কর্মসূচি ঘোষণা করে নেতারা বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনা আপন আলোয় আলোকিত নিরন্তর যাত্রায় জয়রথ ছুটিয়ে বিশ্বসভায় চির প্রাসঙ্গিক নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বাংলার ইতিহাসে দেশরত্ন শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।

;

ডোনাল্ড লু'কে নিয়ে আমরা উৎসাহিত নই: ফারুক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ডোনাল্ড লু'কে নিয়ে আমরা উৎসাহিত নই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।

মঙ্গলবার (১৪ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকাস্থ সেনবাগ জাতীয়তাবাদী ফোরামের উ‌দ্যোগে আমদানি করা খাদ্যপণ্য যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার দাবিতে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, কোথায় ‘লু’, কোথায় আপনি, কোথায় আমেরিকা এই বিষয়ে বিএনপির কোনো মাথাব্যথা নেই। বিএনপি জনগণের দল।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতি সমর্থন যেই দেশের নেতা দেখাবে তাকে আমরা অভিনন্দন জানাব। লু'কে নিয়ে এত উৎসাহিত আমরা নই, লু'কে নিয়ে উৎসাহিত আপনারা। ‘লু’ কী বার্তা নিয়ে আসছেন, সেটা আপনারা জানেন, আমাদের জানার কথা নয়। কারণ অবৈধভাবে ক্ষমতায় আপনারা বসে আছেন।

ঢাকাস্থ সেনবাগ জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি এ বি এম ফারুকের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন সেলিম। এসময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, ওলামা দলের সদস্য সচিব মাওলানা আবুল হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আলমগীর হোসেন, মৎস্যজীবী দলের নেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।

;

যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু আহমেদ নাসীমের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু আহমেদ নাসীমের মৃত্যু

যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু আহমেদ নাসীমের মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু আহমেদ নাসীম (পাভেল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। তিনি ১২ দিন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। দীর্ঘদিন শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকাল ৩টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন তার শ্যালক শহীদুজ্জামান পলাশ। এর আগে দুপুর ২টার দিকে ঢাকার বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।

স্বপরিবারে সাভারের মজিদপুর এলাকায় বসবাস করতেন তিনি। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ মেয়ে ও ১ ছেলেসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে যান। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়।

পারিবারিক সূত্রে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জানা যায়, বেশ কয়েক দিন ধরেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন আবু আহমেদ নাসীম। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সর্বশেষ গত ২মে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। এরপর থেকে লাইফ সাপোর্টেই ছিলেন তিনি। তিনি কিডনিসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।

আবু আহমেদ নাসীমের শ্যালক শহীদুজ্জামান পলাশ জানিয়েছেন, বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হতে পারে। এছাড়া জানাজার জন্য তাকে সাভারে নিয়ে আসা হবে। পারিবারিকভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে জানানো হবে।

;

সরকার পরিবর্তন হলে চোখের জল ফেলার মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না: গয়েশ্বর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

যখন এ সরকারের পরিবর্তন ঘটবে তখন ১৫ আগস্টের মতো চোখের জল পড়ার মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

মঙ্গলবার (১৪ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টু'র নবম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

স্মরণ সভার আয়োজন করেছে সম্মিলিত যুব ফোরাম। সভায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘যেদিন শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে; সেদিন আমি স্তম্ভিত হয়ে গেছি। ঐদিন আমি পুরো ঢাকা শহর ঘুরেছি। তখন মানুষের মধ্যে কোনো শোকের ছায়া এবং কান্না করতে দেখিনি। পুরো ঢাকা নিশ্চুপ হয়ে আছে। শেখ মুজিব মারা গিয়েছেন কিন্তু তার জন্য কান্না করার মতো লোক ছিল না। তার জানাজা পড়ানোর লোক পর্যন্ত ছিল না। আমার মনে হয়, যখন এসরকারের পরিবর্তন ঘটবে তখন ১৫ আগস্টের মতো চোখের জল ফেলার মানুষও খুঁজে পাওয়া যাবে না ।

স্মরণ সভায় নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ পিন্টু'র স্মৃতিচারণ করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেন, পিন্টু যদি জীবিত থাকতো তাহলে বৃহত্তর লালবাগে তার নেতৃত্বে বিশাল আন্দোলন গড়ে উঠতো। আজকে বিএনপির আন্দোলনে তার একটা বড় ভূমিকা থাকতো। তাই, আমাদেরকে সবসময় নাসির উদ্দিন পিন্টুকে স্মরণ করতে হবে।

যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সম্মিলিত যুব ফোরামের আহ্বায়ক অ্যাড. নাহিদুল ইসলাম নাহিদের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা নাসির উদ্দীনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

;