নৌকার মনোনয়ন পেতে চ্যালেঞ্জের মুখে হেভিওয়েট মন্ত্রী এমপিরা (পর্ব-১)



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগ।

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শতাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন। মনোনয়ন নিশ্চিতের আগে নিজ দলের কয়েকজন প্রতিদ্বন্দ্বীকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে এসব মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালী নেতাদের। নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বহুমুখী দ্বন্দ্ব বাড়ছে। কে পাবেন দলীয় মনোনয়ন সেটা নিয়েও তৃণমূল চলছে জল্পনা-কল্পনা। মাঝে মাঝে তা মনোনয়ন প্রত্যাশীদের গ্রুপিং সহিংসতা ও রক্তারক্তিতেও রূপ নেয়। বিষয়টি নিয়ে দলের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বারবার সতর্ক করাও হয়েছে।অভ্যন্তরীণ কোন্দলের প্রভাব যাতে জাতীয় নির্বাচনে না পরে সেজন্য নানা কৌশল নিয়ে আগাচ্ছে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড।

আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন অপেক্ষাকৃত তরুণ, ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। ছাত্র রাজনীতির ত্যাগ ও সংগ্রামের ইতিহাস, দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতি চর্চার দাবি নিয়ে এবার তারা মনোনয়ন প্রত্যাশী। ওইসব আসন নিয়ে বার্তা২৪.কমের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের মঙ্গলবার ১ম পর্ব।

সিলেট সদর আসনের এমপি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদ নির্বাচনে আর অংশ নিবেন না জানিয়ে একাধিকবার ঘোষণা দিয়েছেন। এবার ওই আসনে দলীয় প্রার্থী হতে চান কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহউদ্দিন সিরাজ। অন্যদিকে অর্থমন্ত্রীর ভাই ও জাতিসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি এম এ মোমেনও প্রার্থী হতে আগ্রহী। মনোনয়ন চান বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। প্রধানমন্ত্রী চাইলে আবারো থাকতে পারেন খোদ অর্থমন্ত্রী মুহিত। তাই সদর আসন নিয়ে তৃণমূলে গ্রুপিং ও জল্পনা তুঙ্গে। সাম্প্রতিক সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হারার পেছনে এই গ্রুপিংকেও দায়ী করেছেন অনেকে।

ঢাকা-১৩ আসনের এমপি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এ আসনের সাবেক এমপি ও দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাজী মকবুল হোসেনের চ্যালেঞ্জে রয়েছেন। এ ছাড়া এখানে দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানও মনোনয়ন প্রত্যাশী।

ঢাকা-১৫ (মিরপুর-কাফরুল) আসনের বর্তমান এমপি কামাল আহমেদ মজুমদার আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদী তার সমর্থক ও অনুসারীরা। তবে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের এই উপদেষ্টাকে টপকে আগামী বার দলীয় মনোনয়ন অর্জনের লক্ষ্যে তৎপরতা চালাচ্ছেন সম্ভাব্য একাধিক প্রার্থী। মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে আছেন মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহমুদা বেগম কৃক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এম সাইফুল্লাহ সাইফুল এবং ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

গেল নির্বাচনে ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির সালমা ইসলামের কাছে হেরে যান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান। জাতীয় পার্টির কাছে হেরে দলের ইমেজ নষ্ট করায় এবার আওয়ামী লীগ সভাপতির বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান এখানে মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে জোর আলোচনা আছে। তবে এবারো মাঠে তৎপর আব্দুল মান্নান খান।

ঢাকার কেরানীগঞ্জের একাংশ এবং ঢাকার হাজারীবাগ ও সাভারের একাংশ নিয়ে ছিল খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের আসন (ঢাকা-২)। সীমানা পুনর্নির্ধারণের কারণে এ আসন আর থাকছে না। কেরানীগঞ্জে বর্তমান এমপি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এবং সাভারে রয়েছেন ডা: এনামুর রহমান। ফলে এবার কামরুলের স্থান কোথায় হবে তা নিশ্চিত নয়। এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনোনয়ন চান কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মঞ্জুরুল আলম রাজিব এবং সাবেক আরেক ছাত্রনেতা ফকরুল আলম সমর।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নিয়ে (নারায়ণগঞ্জ-১) আসনের এমপি গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান শিল্পপতি গোলাম দস্তগীর গাজীর আসনে এবার মনোনয়ন চান আরেক শিল্পপতি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনবীর আকবর সোবহান। এ দুই ব্যবসায়ীর দ্বন্দ্বে রূপগঞ্জে রক্তারক্তির ঘটনাও ঘটেছে।

নরসিংদীর-৫ আসনে সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর আসনে এবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য এ বি এম রিয়াজুল কবির কায়সার মনোনয়ন পেতে সক্রিয়। তবে রাজুর ভাই সালাহউদ্দিন আহমেদও দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।

কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা নিয়ে কিশোরগঞ্জ-১ আসন । সেখানকার বর্তমান এমপি জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তাকে এবার চ্যলেঞ্জ জানাচ্ছে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের ছোট ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিন। সৈয়দ আশরাফ অসুস্থ হয়ে বিদেশে চিকিৎসারত থাকায় মাঠ দখলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন তুহিন।

কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে বর্তমান এমপি মো: সোহরাব উদ্দিন। তার বাইরে এ আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নূর মোহাম্মদ। তিনি এলাকায় জনসংযোগও করছেন। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল, পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ আরো অনেক নেতা মনোনয়ন চান।

নেত্রকোনার আটপাড়া ও কেন্দুয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত আসনে আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রার্থী হতে চান। এ আসনের বর্তমান এমপি ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার। অসীম কুমার উকিলের স্ত্রী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিলও দলে পরিচিত মুখ।

নেত্রকোনার পূর্ব ধলা আসনের এমপি ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল এবার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনের চ্যালেঞ্জে রয়েছেন। দুই পক্ষের মধ্যে টুকটাক সংঘাত লেগেই আছে।

গাইবান্ধায় ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার আসন (গাইবান্ধ-৫) ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন মনোনয়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন। নিয়মিত সভা সমাবেশ করে যাচ্ছেন রিপন। ফজলে রাব্বি- রিপনের দ্বন্দ্ব বেশ জটিল হয়ে উঠেছে সেখানে।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকা নিয়ে জানতে চাইলে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বার্তা২৪.কমকে বলেন, আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকা প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পরই মনোনয়ন কারা পাচ্ছেন, তা চূড়ান্তভাবে বলা যাবে।   

   

দেশের জন্য কাজ করতে আ. লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) থাইল্যান্ড আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার অবস্থানকালীন আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান।


নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আপনাদেরকে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদেরকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতাকে অকালে হত্যা করা হলেও তার আদর্শ আমাদের মাঝে রয়ে গেছে। এজন্য আমি তার আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।’ বঙ্গবন্ধু দেশের দরিদ্র ও দুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা (তার দল) দীর্ঘদিন ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্ষমতায় থাকায় এই অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে জানান, অনেক বাংলাদেশি থাইল্যান্ডের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলেও দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখতে আগ্রহী। দ্বৈত নাগরিকত্ব বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।

জবাবে এ বিষয়ে থাই সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।

সূত্র-ইউএনবি

;

আচরণবিধি না মেনে আ'লীগ নেতার প্রচারণায় কল্যাণ পার্টির এমপি ইবরাহিম



আবদু রশিদ মানিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রচারণায় নেমেছেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। আচরণ বিধি না মেনে একজন সংসদ সদস্যের উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে ওই উপজেলায়। এ প্রচারণার বেশ কিছু ভিডিও ও স্থিরচিত্র রয়েছে।

সেখানে দেখা যায়, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন এমপি ইবরাহিম।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সাঈদীকে বিজয় করার লক্ষ্যে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন ইবরাহিম। চকরিয়া সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ শাওন তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক স্ট্যাটাসে এ সংক্রান্ত বিষয় তুলে ধরেন। এতে তিনি ছবিযুক্ত করে লিখেন- "চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী কে বিজয় করার লক্ষ্যে ছাত্রলীগের সাথে মতবিনিময় করেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম এমপি"।

চকরিয়া সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ শাওনের ফেইসবুক স্ট্যাটাস

পরে তিনি ওই স্ট্যাটাস বেশ কয়েকবার সম্পাদনা করে আবার লিখেন- "ছাত্রলীগের সাথে মতবিনিময় করেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম এমপি"।

ওই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আকিত হোসেন সজীব। তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো বিষয় নিয়ে কথা হয়নি। আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উনার (ইবরাহিম) সংসদ নির্বাচনের সময় কাজ করেছিলাম, তাই তিনি খুশি হয়ে ঈদ পরবর্তী মতবিনিময় সভা করেছেন।

সভায় উপস্থিত ছাত্রলীগের অনেকেই অতি উৎসাহী হয়ে সভাটিকে সাঈদীকে বিজয়ী করার জন্য করা হয়েছে বলে প্রচার করেছেন বলে জানান আকিত হাসান সজীব।

এরপর চকরিয়ার ঢেমুশিয়ায় ফোরকানিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক সভায় চেয়ারম্যান প্রার্থী সাঈদীসহ উপস্থিত হয়ে তার পক্ষে ভোট চান এমপি ইবরাহিম। নাম প্রকাশ না করার শর্তে, ওই সভায় উপস্থিত অনেকেই বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

নির্বাচনী প্রচারণার বিষয়ে জানতে সংসদ সদস্য ইবরাহীমের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হয় সংযোগ স্থাপনের। কিন্তু তিনি সাড়া না দেয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

সংসদ সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম কল্যান পার্টির চেয়ারম্যান। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত না হলেও তিনি নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীদের শলাপরামর্শেই দায়িত্ব পালন করেন বলে জানা গেছে।

চকরিয়াতে কল্যান পার্টির সাংগঠনিক কোনো অবস্থান না থাকলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশের সহযোগিতায় নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোনো সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী নির্বাচন পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণায় ও নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।

এদিকে ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য চকরিয়া উপজেলা নির্বাচনের ফজলুর করিম সাঈদীসহ প্রার্থী হয়েছেন ৯ জন। যেখানে আছেন সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমও।

;

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজিবুল ইসলামকে (বাপ্পি) সভাপতি ও সজল কুন্ডুকে সাধারণ সম্পাদক করে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এ কমিটির অনুমোদন দেন।

কমিটি অনুমোদন দিয়ে এতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'স্মার্ট বাংলাদেশ', 'স্মার্ট মহানগর' বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো।

ঘোষিত কমিটিতে সহ-সভাপতি হয়েছেন কাউসার আহমেদ (ইমন), সৈয়দ ইমরান হোসেন, মো. নাজমুল হোসেন, উবায়দুর রহমান লিও, নিবাস মজুমদার, রেহানুল হক রাফি, রাজীব সাহা, আবু তালিম ভূইয়া, আরাফাত হোসেন মারুফ, মো. হাসিবুল আলম পুলক, শাখাওয়াত হোসেন আরেফিন, মো. শাকিল তালুকদার, আহমেদ আলী রেজওয়ান, সালমান রহমান (আশরাফ), আদনান আইয়ুব, মো. রিয়াজ মোল্লা, শাহজালাল শাহীন, ইশতেফাক হক (ইফাজ), সৈয়দ আমিনুল ইসলাম (নিবিড়), কাজী জাহিদুল ইসলাম রাজন, মাশরুফ বিন নেসার শান, মো. শাহরিয়ার শাওন, মো. আক্তার হোসেন, মো. বিপ্লব খান, নাইমুল ইসলাম নোমান, নাজমুল হাসান প্রিন্স তালুকদার, সারোয়ার হোসেন, ফারকিলিত সাফাক-ই-আরফাকসাজ, আনিসুর রহমান আনিস, জুটন চন্দ্র দাস, মাহমুদুল হাসান (ইমন)।

এছাড়াও সহ-সভাপতি হিসেবে আরও আছেন, মাজেদুল মজিদ মাহমুদ (সাদমান), সাদি মোহাম্মদ সৈকত, আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ রাজু, রাকিবুল ইসলাম শাওন, মো. ফজলে রাব্বি, সোহানুর রহমান সোহান, ওহিদুল ইসলাম অপু , মেহেদী হাসান, তানভীর আহমেদ, রুবেল মাহমুদ, সাব্বির বিন ইসলাম, মাসুদ রানা, মো. আবু ইউসুফ হৃদয় ,আশিক মাহমুদ, মো. নুরুদ্দিন হাওলাদার, মাহমুদ হাসান জিল্লু, মো. ইনজামুল ইসলাম (আকিব), সোহেল রানা, আব্দুল্লাহ আল-হাসান, আহমেদ সারোয়ার স্বচ্ছ , মো. কামরুজ্জামান ইফতি, আরাফাত হোসেন রনি, মো. ইমরান হোসেন, সিফাত হোসেন, শেখ কোরবান ইসলাম, আব্দুল্লাহ আশিক, এফ এম সাইফুজ্জামান সজিব, মো. শামীম খান, বখতিয়ার শিকদার বাপ্পি, সুজন দাস, মো. তাবারক হোসেন (বিপ্লব), বাবু দাস, মো. ইমরান হোসেন পাভেল, জবিউল্লাহ শান্ত, বিশ্বজিৎ হাওলাদার জিৎ, ফেরদাউস আনসারী, নাইমুর রহমান দুর্জয়, জহিরুল ইসলাম খান তুহিন, মেহেদী হাসান রাজু , জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, আল আমিন।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন সাগর (সানাফ), সৈয়দ মুক্তাদির সাদ, সৌরভ দেব নয়ন, মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ আবিয়াজ সাজেদ, নয়ন শিকদার, কাজী তানবীর হোসেন, মাহবুব আলম মাহিব, রফিকুল ইসলাম রাসেল, ইয়াসির আরাফাত, আক্তারুজ্জামান মান্না।

সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন, সাকিব হোসাইন, শাকিল হোসেন (জীবন), আরমান মাহমুদ তুষার, রহমান ইকবাল (ইকু), জোবায়েদ সাদাফ সাজিদ, দিপ্ত কুন্ডু, জাহিদুল ইসলাম দিপু, মো. রাকিব হোসেন, নাইমুল ইসলাম, মো. সাইদুল ইসলাম জনি, মো. রাহাত হোসেন রাব্বি।

প্রচার সম্পাদক হয়েছেন হামিম খান কাজল। উপ-প্রচার সম্পাদক করা হয়েছে আরিফুল ইসলাম, এরশাদ হোসাইন, এম আহসানুর রহমান ইমন, এম এস আর সবুজ, মাহবুব আলম খান তনিম, মুনতাসির রাফি।

দপ্তর সম্পাদক করা হয়েছে মো. সাকিব আল হাসান (রাজিব)। উপ-দপ্তর সম্পাদক হয়েছেন নাঈফুজ্জামান কোতোয়াল, শিমুল রায়, জুনাইদ বোগদাদী প্রধান, রাইসুল আলম ইসতিয়াক, শফিক বেপারী, কাজী রাকিব হোসেন

গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মীর মোহাম্মদ সাইকুন আলী শান্ত। উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন মোকারোম হোসাইন রুদ্র, মো. জনি ইসলাম, জুয়েল রানা, মো. মারজুক হোসেন ভুবন, মারুফ বিল্লাহ ও জাফরুল ইসলাম (লিটন)।

শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক করা হয়েছে শাহাদাত মাহমুদ সাকিব। উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক হয়েছেন মো. জিন্নাত হোসেন, সাব্বির হাওলাদার, প্রতীম বিশ্বাস, রোহান আহমেদ, আহসান হাবিব ইমরান।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক হয়েছেন তমাল পাল। উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক করা হয়েছে এইচ. এম. আমিনুল, নীলপদ্ম রায় প্রান্ত, স্বপন চৌধুরী, রাহুল কুমার ভৌমিক, সোহেল জামান রাকিব।

সমাজসেবা সম্পাদক হয়েছেন শাকিল আহমেদ হৃদয়। উপ-সমাজসেবা সম্পাদক করা হয়েছে শেখ মেহেদী হাসান, মাসুম বিল্লাহ, সাদ্দাম হোসেন সাদমান কে। ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন, মো. আবু হোসাইন। উপ-ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন নাঈম ইসলাম দুর্জয়, তারিকুল ইসলাম অপু, সজল হাওলাদার, মো. নূর নবী (রাঈদ), সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, আব্দুল্লাহ সাবিত আনোয়ার চৌধুরী।

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহ আলম বিজয়। উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন শাহরিয়া ইসলাম জয়, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, শেখ মুহাম্মদ নাঈম উল ইসলাম, ওয়াহিদুল ইসলাম নিশান, সৈয়দ লামমিম হাসান নিলয়। পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন সাফায়েত খন্দকার সিয়াম। উপ-পাঠাগার সম্পাদক হয়েছেন ইমতিয়াজ আহমেদ ইমরান, ফয়সাল আহম্মেদ তমাল, মাহমুদুল হাসান তুষার।

তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন হাবিবুর রহমান শাকিল। উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হয়েছেন ফয়সাল আহমেদ ভুবন, সাবের হোসাইন, মুরসালিন সরকার। অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. সোহাগ রানা। উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সুরুজ ফরাজী, গোলাম রাব্বি সিকদার
শফিউদ্দিন মাহমুদ তুষার, আখিয়ারুল ইসলাম আফিক।

আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহেদী হাসান (নাহিদ)। উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন কাজী জার্জিস বিন এরতেজা, মো. মঈন হোসেন (সজীব), মো. জুবায়ের হোসেন শেখ রওনক আহমেদ, আরিফুর রহমান ফাহাদ, নওফেল হামিদ জয়। পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ইরফান আহমেদ বাধন। উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. রাব্বী হোসেন, সজীব হাওলাদার, জাহিদুল ইসলাম।

স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. আরাফাত উল্লাহ। উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আহসানুল্লাহ সজীব, নিয়ামাল ওয়াকিল, নিবিড় হাসান, মো. ফয়সাল রাব্বি। বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবরার খান তাহমিদ। উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন আবু কাওসার, মো. তানভীর আহমেদ বাপ্পি, মো. জিসান হাওলাদার, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওলি, মো. সাজ্জাদ আলম, ইয়াজউদ্দিন মাহমুদ ইরাম, ফজলে রাব্বি।

ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মো. সজিব হোসাইন। উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন পল্লব বিশ্বাস, অন্তু বাহাদুর ছেত্রী, হাফেজ মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক, চন্দন মন্ডল, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন জিহাদ বিশ্বাস। উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহেদী হাসান ফুলেল, আসেফ আমের চৌধুরী, রাশেদুল ইসলাম অভি। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হয়েছেন মো. সজল দেওয়ান। উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হয়েছেন টি. এম. পারভেজ, মো. সাকিব আল জহির অনিক, জাহিদ হাসান শোভন ও মো. মশিউর রহমান স্বপ্নীল।

;

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করল বিএনপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে অংশ নেওয়া তৃণমূলের ৭৩ জন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বহিষ্কারের তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপির যেসব নেতৃবৃন্দ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কার হওয়াদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ২১ জন রয়েছেন।

এর আগে গতকাল উপজেলা পরিষদের ভোটে অংশ নিতে চাওয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করে বিএনপি। চিঠিতে নেতাদের ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে উত্তর দিতে বলা হয়।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, শোকজ করা ৬৪ নেতার মধ্যে ২৪ জন চেয়ারম্যান পদে ও ২১ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন রয়েছেন।

;