৭২তম কান চলচ্চিত্র উৎসব

স্বর্ণপাম জিতলো দক্ষিণ কোরিয়ান ছবি ‘প্যারাসাইট’



বৃষ্টি শেখ খাদিজা, নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘প্যারাসাইট’ ছবির দৃশ্য

‘প্যারাসাইট’ ছবির দৃশ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

১৪ মে ফ্রান্সের কান শহরে শুরু হয় ৭২তম কান চলচ্চিত্র উৎসব। ১১ দিন ধরে চলা উৎসবের শেষদিনে প্রকাশ করা হলো সেরা চলচ্চিত্র ও অন্যান্য বিজয়ীদের নাম।

প্রতিযোগিতা বিভাগের প্রধান জুরি ও পরিচালক আলেহান্দ্রো গঞ্জালেস ইনারিতুসহ মোট ৯ জন বিচারকের উপস্থিতিতে স্বর্ণপাম (পাম ডি’অর) ও অন্যান্য বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।

এ বছর স্বর্ণপাম (পাম ডি’অর) জিতলো দক্ষিণ কোরিয়ার বন জুন হো পরিচালিত ‘প্যারাসাইট’ ছবিটি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/26/1558809575178.jpg
‘প্যারাসাইট’ ছবির কলাকুশলীরা

শনিবার (২৫ মে) বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা থেকে শুরু হয় বিশ্বের সবচেয়ে জমকালো চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান। পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে পর্দা নামে এবারের ৭২তম আন্তর্জাতিক কান চলচ্চিত্র উৎসবের। একনজরে দেখে নেওয়া যাক এবারের আসরের বিজয়ী তালিকা।

মূল প্রতিযোগিতা বিভাগ
পাম দ’র: প্যারাসাইট (বং জুন-হো, দক্ষিণ কোরিয়া)
গ্র্যাঁ প্রিঁ: আটলান্টিক (মাতি দিওপ, সেনেগাল-ফ্রান্স)
সেরা পরিচালক: জ্যঁ-পিয়ের ও লুক দারদেন (ইয়াং আহমেদ, বেলজিয়াম)
জুরি প্রাইজ: লে মিজারেবলস (লাজ লি, মালি-ফ্রান্স) ও বাকুরাউ (ক্লেবার মেনদোনসা ফিলো ও জুলিয়ানো দোরনেলেস, ব্রাজিল)
সেরা অভিনেতা: আন্তোনিও ব্যান্দেরাস (পেইন অ্যান্ড গ্লোরি, স্পেন)
সেরা অভিনেত্রী: এমিলি বিচাম (লিটল জো, যুক্তরাজ্য)
সেরা চিত্রনাট্যকার: সেলিন সিয়ামা (পোর্ট্রেট অব অ্যা লেডি অন ফায়ার, ফ্রান্স)
স্পেশাল মেনশন: ইট মাস্ট বি হ্যাভেন (ইলিয়া সুলেমান, ফিলিস্তিন)
সম্মানসূচক পাম দ’র: আলা দ্যুলো

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/26/1558853503530.jpg
৭২তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের বিজয়ীরা

 

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি: দ্য ডিস্ট্যান্স বিটউইন আস অ্যান্ড দ্য স্কাই (ভাসিলিস কেকাতোস, গ্রিস)
স্পেশাল মেনশন (স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি): মনস্টার গড (অগাস্তিনা স্যান মার্টিন, আর্জেন্টিনা)

আঁ সাঁর্তে রিগার
সেরা চলচ্চিত্র: দ্য ইনভিজিবল লাইফ অব ইউরিজিসি গুজমাও (করিম আইনুজ, ব্রাজিল)
জুরি প্রাইজ: ফায়ার উইল কাম (অলিভার লাচে, ফ্রান্স)
সেরা অভিনয়: চিয়ারা মাস্ত্রোইয়ান্নি (অন অ্যা ম্যাজিক্যাল নাইট, ফ্রান্স)
সেরা পরিচালক: কান্তেমির বালাগভ (বিনপোল, রাশিয়া)
স্পেশাল জুরি প্রাইজ: লিবার্টি (আলবের্ত চেরা, স্পেন)
বিচারকদের মুগ্ধতা: অ্যা ব্রাদার’স লাভ (মনিয়া শকরি, কানাডা) ও দ্য ক্লাইম্ব (মাইকেল অ্যাঞ্জেলো কভিনো, যুক্তরাষ্ট্র)
জুরি স্পেশাল মেনশন: জোয়ান অব আর্ক (ব্রুনো দুমো, ফ্রান্স)

ক্যামেরা দ’র
সিজার ডায়াজ (আওয়ার মাদারস, বেলজিয়াম-গুয়াতেমালা)

সিনেফঁদাসো
প্রথম পুরস্কার: মানো আ মানো (লুই কোরভয়জিয়ের, সিনেফ্যাব্রিক, ফ্রান্স)
দ্বিতীয় পুরস্কার: হিউ (রিচার্ড ভ্যান, ক্যাল আর্টস, যুক্তরাষ্ট্র)
তৃতীয় পুরস্কার: অ্যামবিয়েন্স (উইসাম আল জাফারি, দার আল-কালিমা ইউনিভার্সিটি কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড কালচার, ফিলিস্তিন) ও দ্য লিটল সৌল (বারবারা রুপিক, পিডব্লিউএসএফটিভিট, পোল্যান্ড)

মুক্ত পুরস্কারের তালিকা
ফিপরেস্কি
মূল প্রতিযোগিতা: ইট মাস্ট বি হ্যাভেন (ইলিয়া সুলেমান, ফিলিস্তিন)
আঁ সাঁর্তে রিগার: বিনপোল (কান্তেমির বালাগভ, রাশিয়া)
প্যারালাল সেকশন (ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট): দ্য লাইটহাউস (রবার্ট এগারস, যুক্তরাষ্ট্র)

ইকুমেনিকাল প্রাইজ
ইকুমেনিকাল জুরি প্রাইজ: অ্যা হিডেন লাইফ (টেরেন্স মালিক, যুক্তরাষ্ট্র)

ক্রিটিকস উইক
নেসপ্রেসো গ্র্যান্ড প্রাইজ: আই লস্ট মাই বডি (জেরেমি ক্ল্যাপা, ফ্রান্স)
সেরা চিত্রনাট্য (এসএসিডি অ্যাওয়ার্ড): আওয়ার মাদারস (সিজার ডায়াজ, বেলজিয়াম-গুয়াতেমালা)
গ্যান ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড: ভাইভারিয়াম (লরক্যান ফিনেগান, আয়ারল্যান্ড)
লুই রোদোরার ফাউন্ডেশন রাইজিং স্টার অ্যাওয়ার্ড: ইঙ্গভার সিগারোসন (অ্যা হোয়াইট, হোয়াইট ডে, আইসল্যান্ড)
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র (লেইকা সিনে ডিসকভারি প্রাইজ): শি রানস (শি ইয়াঙ, চীন)
ক্যানাল প্লাস অ্যাওয়ার্ড: উইদাউথ ব্যাড ইনটেনশন (আন্দ্রেয়াস হোজেনিন, ডেনমার্ক)

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/26/1558853569968.jpg
বন জুন হো

 

ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট
ইউরোপা সিনেমাস লেবেল অ্যাওয়ার্ড (সেরা ইউরোপীয় চলচ্চিত্র): অ্যালিস অ্যান্ড দ্য মেয়র (নিকোলাস পারিজার, ফ্রান্স)
এসএসিডি অ্যাওয়ার্ড (সেরা ফরাসি ভাষার ছবি): অ্যান ইজি গার্ল (রেবেকা জোলোতস্কি)
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: স্টে অ্যাওয়েক, বি রেডি (ফাম, থিন আন, ভিয়েতনাম)
ক্যারোস দ’র: জন কার্পেন্টার

ভালকান অ্যাওয়ার্ড (কারিগরি শিল্পী)
ভালকান অ্যাওয়ার্ড: ফ্লোরা ভলপেলিয়ের (সম্পাদনা, ল্যঁ মিজারেবলস) ও জুলিয়েন পুপার (সেট-লাইট ডিজাইন, ল্যঁ মিজারেবলস)
স্পেশাল মেনশন: ক্লেয়ার ম্যাতো (চিত্রগ্রহণ, আটলান্টিক ও পোর্ট্রেট অব অ্যা লেডি অন ফায়ার)
শিল্প নির্দেশনা মেনশন: লি হা-জান (প্যারাসাইট)কুইয়ার পাম (সমকামি ছবি)
কুইয়ার পাম অ্যাওয়ার্ড: পোর্ট্রেট অব অ্যা লেডি অন ফায়ার (সেলিন সিয়ামা, ফ্রান্স)
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের কুইয়ার পাম: দ্য ডিস্ট্যান্স বিটউইন আস অ্যান্ড দ্য স্কাই (ভাসিলিস কেকাতোস, গ্রিস)

পাম ডগ (সেরা কুকুর শিল্পী)
পাম ডগ অ্যাওয়ার্ড: ব্র্যান্ডি (ওয়ান্স আপন অ্যা টাইম ইন...হলিউড)
গ্রাঁ জুরি প্রাইজ: লিটল জো ছবির কুকুররা
লই দ’র (দ্য গোল্ডেন আই): ফর সামা (ওয়াদ আল-কাতিব ও এডওয়ার্ড ওয়াটস) ও দ্য করডিলেরা অব ড্রিমস (পাত্রিসিও গুজমান, চিলি)
কান সাউন্ডট্র্যাক অ্যাওয়ার্ড: পেইন অ্যান্ড গ্লোরি (আলবার্তো ইগলেসিয়াস)
প্রিঁ ফ্রাঁসোয়া শ্যালে অ্যাওয়ার্ড: অ্যা হিডেন লাইফ (টেরেন্স মালিক, যুক্তরাষ্ট্র)

   

ডিউন কপি করেছে কল্কি মেকার্স, নেটিজেনদের সন্দেহ



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি নির্ভর সিনেমা কল্কি ২৮৯৮ এ.ডি। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে অত্যাধুনিক পৃথিবী পরিণত হয়েছে প্রায় ধ্বংসস্তূপে। অভিনয় করেছেন প্রভাস, দীপিকা পাড়ুকোন, কমল হাসান, অমিতাভ বচ্চনসহ বাঘা বাঘা বলিউড অভিনয় শিল্পীরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সিনেমাটির নতুন পোস্টারের সাথে প্রকাশের নতুন তারিখ প্রকাশ করা হয়েছে৷

পোস্টার প্রকাশ পাওয়া পর সিনেমা নিয়ে আবারও হাইপ তৈরি হয়েছে৷ নেটিজেনরা একেরপর এক প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছে।

নেটিজেনের এক পক্ষ সিনেমা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে। অনেকে মন্তব্য করেছে সম্প্রতি প্রকাশ পাওয়া সুপারহিট হলিউড সিনেমা ডিউন ফ্রাঞ্চাইজির সাথে মিল পাওয়া যাচ্ছে কল্কি সিনেমার।

আগে থেকেই এরকম মন্তব্য করেছিলেন অনেকে। নতুন এই পোস্টার প্রকাশ পাওয়ার পর আবার সমালোচনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন দীপিকা পাডুকোন। তার একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে কল্কি সিনেমার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পাশে ডিউনের অভিনেত্রী জেনডায়ার আরেকটি ছবি। দুই অভিনেত্রীর লুকে মিল খুঁজে পেয়েছেন তারা। নেটিজেনদের দাবি কল্কি সিনেমা সংশ্লিষ্টরা ডিউন সিনেমা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। কিন্তু এমনটা স্বীকার করতে নারাজ পরিচালক।

সিনেমার প্রচারণার সময় থেকেই ভক্তদের মনে হতে থাকে কপি করার কথা। হায়েদ্রাবাদে এক প্রচারণা ক্যাম্পেইনে পরিচালক নাগ অশ্বিনকে এই নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়েছিল। এক শিক্ষার্থী অশ্বিনকে প্রশ্ন করেন, 'কল্কি সিনেমার পোস্টার দেখলে কেন মনে হচ্ছে ডিউনের পোস্টার দেখছি?' এই প্রশ্নের উত্তরে পরিচালক বলেন, 'ধূলাবালি এর কারণ! কল্কি সিনেমা কেয়ামতের সময়কার গল্পে তৈরি। ধ্বংসপ্রায় পৃথিবীতে বায়ু বিষাক্ত, সূর্য মৃতপ্রায় আর পরিবেশ বসবাসের অযোগ্য। সেই কারণে প্রতিটি সিনে চারদিকে এত বালি। ডিউন সিনেমাও মরুভূমি অঞ্চলের গ্রহের গল্প। দু'টো সিনেমায় এই সাদৃশ্যের কারণেই এমন মনে হচ্ছে।'

;

‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি

‘কফি অর্ডার করতাম দীপিকা-অনুষ্কাদের জন্য’, জানালেন পরিণীতি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইমতিয়াজ আলির পরিচালনায় অমর সিং চামকিলায় অভিনয়ের কারণে প্রশংসিত হয়েছেন পরিণীতি চোপড়া। সম্প্রতি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর কেরিয়ার শুরুর দিনগুলো ভাগ করে নিয়েছেন এই অভিনেত্রী। এক পডকাস্টে শো-তে কেরিয়ার সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। যশ রাজ ফিল্মের মার্কেটিং এবং পিআর বিভাগে একজন ইন্টার্ন হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন পরিনীতি চোপড়া।

পরিণীতি বলেন, ‘আমি রানির হয়ে 'দিল বোলে হারিপ্পা', দীপিকা পাড়ুকোন এবং নীল নিতিন মুকেশের 'লফাঙ্গে পারিন্দে'র প্রচার করেছি। অনুষ্কা ও শাহিদ কাপুরের ‘বদমাশ কোম্পানি’র কাজও করেছিলাম। যশরাজের স্টুডিয়োতে ইন্টার্ন হিসেবে আমার শেষ ছবি ছিল ব্যান্ড বাজা বরাত। ওদের জন্য কফিও অর্ডার করতাম’। তিনি আরও বলেন, ইন্টার্ন থাকার সময় যে সাংবাদিকদের তিনি সেলেব্রিটি সাক্ষাৎকারে ব্যবস্থা করে দিতেন, তাঁরাই এখন তাঁর সাক্ষাৎকার নেন।


যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে দেড় বছর কাজের পর, সেই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। একদিন হঠাৎই তাঁর কাছে ফোন আসে আদিত্য চোপড়ার। যা তাঁর কেরিয়ার আর জীবন দুটোই বদলে দেয়। ‘চাকরি ছাড়ার কয়েকদিন পর, আমি আদির কাছ থেকে একটি ফোন পাই। তখন তো আমি অবাক, ও আমাকে কেন ফোন করছে।’

ফোনে আদিত্য সেই সময় পরিণীতিকে যশরাজের সঙ্গে তিনটি সিনেমার চুক্তিতে স্বাক্ষর করানোর কথা বলেছিলেন। কাস্টিং ডিরেক্টর শানু শর্মার সঙ্গে তাঁর অডিশনের ভিডিও পছন্দ হয়েছিল আদিত্য চোপড়ার। এর এক মাস পর লেডিজ ভার্সেস রিকি বহেল-এর অফার পান।


এরপর প্রায় ১১ বছর যশরাজের নায়িকা হিসেবে কাজ করেন পরিণীতি। ইশকজাদে, হাসি তো ফাসি, মেরি প্যায়ারি বিন্দু-র মতো সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি দর্শকদেরকে।

‘পাঞ্জাবের এলভিস প্রিসলি’ ওরফে গায়ক অমর সিংহ চমকিলার ‘বায়োপিক’-এ দেখা যাচ্ছে পরিণীতি চোপড়াকে। অমর সিংহের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন গায়ক-অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জ, এবং তাঁর দ্বিতীয়া স্ত্রীর ভূমিকায় রয়েছেন পরিণীতি চোপড়া।

এই ছবির জন্য নিজের প্রায় ১৬ কেজি ওজন বাড়ান পরিনীতি। এমনকী, সেই ‘মোটা চেহারা’ নিয়েই বিয়ে করতে হয় তাঁকে! তবে, এত ভালো একটা সিনেমার জন্য এটুকু আত্মত্যাগে তিনি খুশি, জানিয়েছেন পরিণীতি।

;

বাংলাদেশে প্রচলিত শাস্ত্রীয় নৃত্য



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দেশে চর্চিত শাস্ত্রীয় নৃত্য

দেশে চর্চিত শাস্ত্রীয় নৃত্য

  • Font increase
  • Font Decrease

নানারকম বাদ্যযন্ত্রের সমন্বয়ে তৈরি হয় সুর। সেই সুরের সাথে তাল মিলিয়ে অনুভূতির আত্মপ্রকাশ নৃত্য। শরীরের সকল অঙ্গের সঞ্চালনের মাধ্যমে শৈল্পিক চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়। নাচ একটি বিনোদনের মাধ্যমও বটে! আমাদের দেশে অনেক বিনোদন শিল্পী নাচের চর্চা করেন।

আমাদের দেশে এখন নানারকম নৃত্য চর্চা দেখা যায়। তবে বরাবরই আমাদের দেশে শাস্ত্রীয় নৃত্য চর্চার প্রাধান্য দেখা যায়। নৃত্য সম্পর্কিত পাঠ্য তথ্য অনুযায়ী, শাস্ত্রীয় নৃত্যেরও নানারকম বিভিন্নতা রয়েছে। তবে মূলত ৮ ধরনের নৃত্যকে প্রধান শাস্ত্রীয় নৃত্যের অন্তর্ভুক্ত বিবেচনা করা হয়।

সেগুলো হলোঃ ১। কত্থক, ২। ভরতনাট্যম, ৩।মণিপুরি, ৪। ওডিসি, ৫। কথাকলি, ৬।কুচিপুরি, ৭।মোহিনিত্তম এবং ৮।গৌড়ীয়।

কত্থকঃ উত্তর ভারতে শুরু হয়েছিল কত্থক চর্চা। একে প্রাচীনতম শাস্ত্রীয় নৃত্য হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। ধারণা করা হয় যাযাবর সম্প্রদায়ের মাধ্যমে এই নৃত্যের আবির্ভাব হয়েছিল। আধুনিক সমাজে কত্থক নৃত্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন পণ্ডিত বিরজু মহারাজ। বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দিক্ষিতও এই নৃত্যে পারদর্শী। আমাদের দেশে মুনমুন আহমেদ, শিবলী মোহাম্মদ অনন্য কত্থক শিল্পী।

ভরতনাট্যমঃ দক্ষিণ ভারতীয় তাণ্ডব ধর্মী নৃত্য প্রকৃতি ভরতনাট্যম। একে কঠিনতম শাস্ত্রীয় নৃত্যগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভারতবর্ষে বিশ্বাস করা হয়, প্রাচীনতম ধর্মীয় বইয়ে এই ঘরানার নৃত্যের উল্লেখ রয়েছে।

মণিপুরিঃ মণিপুরি সম্প্রদায়ের চর্চিত নাচ এটি। একে মন্দির ধর্মী ধ্রুপদ নৃত্য বলা হয়। বাংলায় এই নৃত্য চর্চার প্রসার হয় রবীন্দ্রনাথের হাত ধরে। আমাদের দেশে ওয়ার্দাঁ রিহাব, সামিনা হোসেন প্রেমা, শরমিলা বন্দোপাধ্যায় এখন এই নৃত্যে পারদর্শী। তবে শান্তিবালা সিনহার হাত ধরে মণিপুরি নাচের প্রসার ঘটেছিল।

ওডিসিঃ পার্শ্ববর্তী ভারতীয় রাজ্য ওড়িষ্যার নৃত্য ঘরনা ওডিসি। ভারতে এই নৃত্য চর্চা বেশ সমৃদ্ধ। আমাদের দেশে তেমন অভিজ্ঞ খুব বেশি নেই। সেখানকার এক খোদাইচিত্রে এই নৃত্যভঙ্গী আবিষ্কার হয়েছিল। নৃত্যশিল্পী বেনজির সালাম কোলকাতা থেকে ওডিসি নৃত্য নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন, আমাদের দেশে তিনি বেশ জনপ্রিয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে তিনি প্রশিক্ষণ দেন।

আমাদের দেশে এই ৪ ধরনের নৃত্য চর্চা বেশি নজরে পড়ে। তবে শীর্ষ স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে এইসব নাচের অভিজ্ঞ শিক্ষকরা শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তবে কালের বিবর্তনে আধুনিক নৃত্য চর্চাও হয়। ব্যালে, হাই হিলস, বেলি , সালসা, হিপহপ সহ নানারকম নাচের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।

;

জাহ্নবীর লাল ড্রেসের ছবিতে নেটদুনিয়ায় আগুন



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লাল রঙে ভালো লাগে না এমন মেয়ে খুব কম দেখা যাবে। জাহ্নবী কাপুরও তার বাইরে যান না। লাল রং যেন সবার মধ্যেই স ফিরিয়ে আনে যেন। আর আত্মবিশ্বাসী জাহ্নবী কাপুরও লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে বুঝিয়ে দিলেন যে উনি এই রঙের কতটা ভক্ত।

আত্মবিশ্বাসী জাহ্নবী কাপুর লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে

জাহ্নবী কাপুরের গ্ল্যামার এবং চমৎকার স্টাইলিং প্রত্যেককে মুগ্ধ করে মুহূর্তেই। সম্প্রতি জাহ্নবী কাপুর লাল ল্যাটেক্স ড্রেসে একটি ছবি দিয়েছেন। হাইনেক, ফুলহাতা এই ড্রেসটি দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা।

জাহ্নবী কাপুরের সৌন্দর্য অনেককেই মনে করিয়ে দেয় শ্রীদেবীর কথা। মায়ের সঙ্গে মেয়ের মুখশ্রীর অবিকল মিলও খুঁজে পান অনেকেই। যেমন আটের দশকের ফ্যাশন সেন্সেশন ছিলেন ‘হাওয়া হাওয়াই’, ঠিক তেমনই তাঁর কন্যা একুশ শতকে স্টাইলিং স্টেটমেন্টে সকলকে মুগ্ধ করেছেন। আর তাঁর এই রেড ড্রেস লুকটি হল অন্যতম উদাহরণ।

জাহ্নবী কাপুরের ল্যাটেক্সের লাল রঙের ক্যাটস্যুট

জাহ্নবী কাপুর তার লুকটি ক্রিয়েট করতে একটি ল্যাটেক্সের লাল রঙের ক্যাটস্যুট বেছে নিয়েছিলেন। আর এই ড্রেসে যে তাঁকে চমৎকার দেখতে লাগছিল, সে কথা তো বলাই বাহুল্য! তাঁকে দেখে তো চোখ ফেরানোই যাচ্ছিল না। তবে জাহ্নবীর এই লুকটি অনেককেই মনে করিয়ে দিয়েছিল অন্যতম জনপ্রিয় পপ সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনির কথা। ২০০০ সালে তাঁর ‘ওহ ডিড ইট এগেইন’ গানের লুকটির এক ছাপ যেন জাহ্নবীর এই সাজেও পাওয়া গিয়েছিল!

পপ সঙ্গীতশিল্পী ব্রিটনি ও জাহ্নবী কাপুর

জাহ্নবী কাপুরের এই রেড ল্যাটেক্স ড্রেসটি ছিল হাই নেকলাইন এবং ফুল স্লিভ। এর বডিফিট প্যাটার্ন অভিনেত্রীর টোনড কার্ভলাইনকে হাইলাইট করেছিল। কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিল তাঁর ফিগারকে। এই কথা বলতে কোনও অসুবিধা নেই যে, জাহ্নবীর এই লুক হু হু করে তাপমাত্রার পারদ চড়িয়েছিল।

;