ঈদ-উল আযহা দেশে দেশে



আহমেদ দীন রুমি, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট
দেশভেদে ঈদ-উল আযহাকে বরণ করাতে রয়েছে পার্থক্য

দেশভেদে ঈদ-উল আযহাকে বরণ করাতে রয়েছে পার্থক্য

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম জাতি মুসলিম। ৬১০ সালে ইসলামের নবী মুহম্মদ (সা.)-এর নবুয়্যত প্রাপ্তির মধ্যদিয়ে যে আদর্শ জন্মলাভ করে, আজ তা বিস্তৃত পৃথিবীর প্রত্যেকটি কোণে। শুধু আলাদা বিশ্বাসব্যবস্থা না, ইসলাম নিয়ে এসেছিল স্বতন্ত্র সংস্কৃতি, জীবনবোধ এবং ভাবধারা। আচার আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি তাই দিয়েছে উৎসবের ধারণাও। মুসলিম জাতির বৃহত্তম উৎসবের দিন হিসাবে গণ্য করা হয় ঈদ-উল আযহাকে।

কুরবানির ঈদ বা পল্লীবাংলায় বড় ঈদ নামে পরিচিত ঈদ-উল আযহা। পালিত হয় হিজরি জিলহজ মাসের ১০ তারিখ। মুসলিম জাতির পথিকৃৎ ইবরাহিম (আ.) মহান আল্লাহর কাছে নিজের ইচ্ছাকে সমর্পণ করার মধ্যদিয়ে আদর্শ স্থাপন করেছেন। উদ্ধত হয়েছিলেন নিজের পুত্রকে কুরবানি করতে। মুসলিম জাতি মূলত সেদিনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা হিসাবেই পালন করে এই দিন। গ্রহণ করে নিজেদের মতো করে উৎসাহ আর উদ্দীপনা নিয়ে।

তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঈদ-উল আযহাকে বরণ করাতেও রয়েছে পার্থক্য। কিছুটা স্থানীয় সংস্কৃতির প্রভাব আর কিছুটা সময়ের বিবর্তন। নানান দেশের প্রেক্ষাপটে ঈদ-উল আযহাকে কিভাবে উদযাপন করা হয়, তা নিয়েই আজকের আয়োজন।

ইরান

প্রত্যুষে উঠে নতুন পোশাক পরিধান করে প্রস্তুত হয় ইরানের মানুষ। স্থানীয় মসজিদ কিংবা মাঠে হাজির হয়ে আদায় করে ঈদের নামাজ। ধর্মগ্রন্থ পাঠ এবং আলোচনা চলে দেশব্যাপী। পিতা ইবরাহিমের ঘটনাকে স্মরণ করে কুরবানি করা হয় বিভিন্ন ধরনের পশু। গরিব, পরিবার, বন্ধু এবং আত্মীয়দের সাথে ভাগাভাগি করা হয় খাবার। বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের মধ্যে সুষম বিলি-বণ্টন করা হয়। এই বিলি বা দান মূলত কুরবানির শিক্ষা। শিশু আর আত্মীয়রা পায় উপহার। যাদেরকেই কুরবানি দিতে দেখা যায়, আহবান করা হয় গরিব ও অভাবীদের জন্য এগিয়ে আসতে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/12/1565571863250.jpg
◤ ইরানে কুরবানির দৃশ্য◢


খাদ্যদ্রব্যের জন্য ইরানে ঈদ-উল আযহা নোনতা ঈদ বলেও অভিহিত হয়। কুরবানি পশুর গোশত দিয়ে নানান কিসিমের মুখরোচক খাদ্য প্রস্তুত করা হয়। বিশেষভাবে বলতে গেলে বিভিন্ন ধরনের কাবাব এবং হালিম। বাঘালির মতো স্থানীয় খাবারেরও প্রাচুর্য থাকে এই সময়।

আরব আমিরাত

ঈদ-উল আযহায় দশ দিন আগে চাঁদ দেখে দিন নির্ধারিত হয়। অর্থাৎ উৎসবের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেবার সময় পান সবাই। তার জন্য ঈদের দিনের আগের মুহূর্ত পর্যন্ত সুপার মার্কেটগুলোতে ভিড় লেগে থাকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে কমপক্ষে তিন দিন সরকারি বন্ধ দেওয়া হয়। সবথেকে গুরুত্ব দেওয়া হয় ঠিক আগের দিন অর্থাৎ আরাফাতের দিন।

হজ্ব না করলেও মুসলমানরা এদিন ইবাদতে অংশগ্রহণ করে। আরাফাতের দিন রোজা রাখার কথা হাদিস থেকে প্রমাণিত বলে এই দিনটা বেশ আড়ম্বরের সাথে পালিত হয়।

ঈদের দিন সবাই মিলিত হয় ঈদগাহে। নামাজের পরে পরস্পর কোলাকুলি ও ঈদ মোবারক জানিয়ে পরস্পরকে অভিবাদন জানায়। এর মধ্যদিয়েই শুরু হয় তিন দিনব্যাপী উৎসব। বিনিময় ঘটে উপহারের। শিশুরা দিনটাতে নতুন কাপড় পরে প্রতিবেশিদের ঈদ বিস্কুট বিলি করে। বাড়িকে সাজানো হয় ঈদের ব্যানারে। দুধ খুরমো এবং শির খুরমো নামে সুস্বাদু খাবার তৈরি হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/12/1565572011736.jpg
◤ আরব আমিরাতে ঈদের রাত্রি ◢


আগের রাতে মেহেদী পড়ার সংস্কৃতি আরব আমিরাতে বেশ ভালোভাবেই আছে। ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন পণ্যে বিশেষ ছাড় এবং অফার দেওয়া হয়। এজন্য অনেকেই সুযোগটাকে হাতছাড়া হতে দেয় না। তাছাড়া পরিবার নিয়ে বিভিন্ন রিসোর্টে ভ্রমণ কিংবা রেস্টুরেন্টে খাবার-দাবারের দৃশ্য খুবই স্বাভাবিক। 

কানাডা

দিনটাকে উদযাপন করার জন্য কানাডার মুসলমানরা একত্রিত হয়। কানাডার মুসলিমদের সংগঠন The Muslim Association of Canada (MAC) এই দিনকে উৎসবমুখর করে তোলার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়। নানা রকম রাইড, শো কিংবা টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়। চলে বিভিন্ন রান্নাও। উপস্থিত থাকে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গও তাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/12/1565572131932.jpg
◤ ঈদ-উল আযহার শুভেচ্ছা জানাতে ট্রুডো ◢


ঈদ-উল আযহা কানাডায় সরকারি বন্ধ হিসাবে স্বীকৃত নয়। তবে কর্মস্থলে মুসলমানদের চাপ দেওয়া হয় না। বিশেষ করে মুসলিম সংগঠনগুলো স্বেচ্ছায় এদিন বন্ধ বা কর্মবিরতি পালন করে। মসজিদ কিংবা ঈদের নামাজের স্থলে দেওয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা। 

ভারত

ভারতীয় উপমহাদেশে ঈদ-উল আযহা পরিচিত বকরি ঈদ নামে। নামটি মূলত বকরি কুরবানির ধারণা থেকেই গৃহীত। বৃষ্টি না হলে এদিনের বিশেষ নামাজ ঈদগাহেই পড়া হয়। সেখান থেকে ফিরে কুরবানি। সাম্প্রতিক সময়ে উগ্র হিন্দুত্ববাদের উত্থানে মুসলিমরা একটু কোণঠাসা হবার দরুন গরু কুরবানি বিশেষভাব ভীতিকর হয়ে পড়েছে। তাই ঈদের দিন সাধারণত ছাগল বা ভেড়ার প্রাধান্য বেড়ে যাচ্ছে দিনকে দিন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/12/1565572279972.jpg
◤ ভারতে ঈদের জামাত ◢


যারা কুরবানি করে তারা দরিদ্র এবং আত্মীয়দের দাওয়াত করে একবেলা খাওয়ানোর জন্য। ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা-দর্শনের উদ্দেশ্যে অনেকেই বেড়িয়ে পড়ে। যেহেতু ভারতের মাটি সুদীর্ঘকাল ধরে মুসলিম সাম্রাজ্যের কেন্দ্রভূমি ছিল, তাই তা থেকে নিজেদের পূর্বপুরুষের চিহ্নে খুঁজে পায় নতুন প্রেরণা। 

পাকিস্তান

পাকিস্তানে ঈদ-উল আযহা চার দিনব্যাপী উৎসব হিসাবে পালিত হয়। বেশিরভাগ স্থানীয় দোকান এবং শপিং সেন্টারগুলো বন্ধ হয়ে যায়। নামাজের মধ্যদিয়েই শুরু হয় উৎসবের আমেজ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/12/1565572397201.jpg
◤ ঈদের দিনে পাকিস্তান ◢


সামর্থ্যবান প্রতিটি পরিবার তাদের সাধ্যমত পশু কুরবানি করে। যারা কুরবানি করতে পারেনি কিংবা যারা অক্ষম, তাদের নিমন্ত্রণ করা হয়। টিভি চ্যানেলগুলো ঈদ উপলক্ষে চালু করে নানা ধরনের অনুষ্ঠান। 

তুরস্ক

মুসলিম সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান কেন্দ্রবিন্দু তুরস্ক। ঈদ সেখানে সবচেয়ে পুরাতন উৎসবের মধ্যে একটা। আনাতোলিয়ার তুর্কি বেলিক এবং পরবর্তীদের অটোম্যান সাম্রাজ্যের উত্থানে তুরস্কে ঈদকে অন্যরকম মর্যাদায় উন্নীত করেছে সবার মধ্যে।

পুরাতন বিশ্বাস মতে, এই দুইদিনের মধ্যে বিয়ে কিংবা নতুন কোনো ব্যবসা শুরু করা ঠিক না। প্রত্যেক বাড়ি থেকে ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যাওয়া হয়। বেলা গড়ানোর সাথে সাথে ঈদের বিশেষ নামাজের পর শুরু হয় কুরবানি। কোনো কোনো অঞ্চলে পশুকে মেহেদি এবং কাপড় দিয়ে সাজানো হয়। অন্যান্য অঞ্চলের মতোই কুরবানির গোশত বণ্টন করে আত্মীয় ও অভাবীদের মধ্যে বিলি করা হয়। পশু হিসাবে থাকে সাধারণত মেষ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/12/1565572544630.jpg
◤ তুরস্কের মাটিতে ঈদের আমেজ ◢


সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্কে কেউ কেউ পশু কুরবানি না করে সমপরিমাণ অর্থ দরিদ্র তহবিল কিংবা মুসলিম উন্নয়ন সংস্থাতে দান করে। কেউ দরিদ্রদের বিশেষ দেখাশোনার ভারও গ্রহণ করে। ছুটির প্রথম দিনটা থাকে মূলত প্রতিবেশি ও আত্মীয়দের বাসায় বেড়াতে যাবার জন্য। বয়স্কদের হাতে চুমু দেওয়া সম্মান জানানোর নামান্তর। বন্ধ থাকে মোটামুটি চার দিন। 

মরক্কো

ঈদ-উল আযহা মরক্কোতে ঈদ-উল কাবির নামে স্বীকৃত। সাধারণত অন্যান্য দেশের মতোই দিনটা শুরু হলেও স্থানীয় সংস্কৃতির আমেজ দেখা যায়। ঈদের নামাজের পর পশু কুরবানিকে গণ্য করা হয় আল্লাহর উদ্দেশ্যে ত্যাগ। পশু গরু, ছাগল কিংবা ভেড়া থাকে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/12/1565572690748.jpg
◤ মরক্কোতে ঈদ পালিত হয় উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে ◢


মরক্কো একসময় মুসলিম সাম্রাজ্যের অন্যতম বিচরণভূমি থাকায় ইসলামী প্রাচীন নিদর্শন রয়েছে। ঈদের দিন তারা স্থানীয় মসজিদ ও স্থাপত্য পর্যবেক্ষণে সময় দিতে পছন্দ করে। তাছাড়া কুরবানির পশু এবং তাজিনের মতো স্থানীয় খাবার আত্মীয় ও দরিদ্রদের সাথে ভাগাভাগি করা হয়। 

মিশর

“ক্বুল সানা ওয়া ইনতা তায়েব” বলে মিশরীয়রা একে অপরকে অভিনন্দন জানায় পবিত্র ঈদ-উল আযহায়। ঈদকে ঘিরে আয়োজন করা হয় হরেক কিসিমের খাবারের। প্রতিবেশি এবং আত্মীয়দের মধ্যে দরিদ্রদের সাথে ভাগ করা হয় ঈদের আনন্দ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/12/1565573155325.jpg
◤ মিশর ঈদ উদযাপনে পিছিয়ে নেই ◢


শহরব্যাপী অভাবীরা দিনটার জন্য অপেক্ষায় থাকে। ধনী কিংবা মুসলিম সংস্থাগুলো থেকে যেন পর্যাপ্ত সাহায্য সহযোগিতা পায়। 

যুক্তরাজ্য

কয়েকটি ব্রিটিশ শহরে ঈদ-উল আযহা বেশ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে পালিত হয়। কিছু কিছু মসজিদে ইসলাম এবং ইসলামের ইতিহাস নিয়ে লেকচারের আয়োজন করা হয়। সাধারণত হিথ পার্ক ব্রিটিশ মুসলমানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান বলে বিবেচ্য।

২০১৭ সালে ইউরোপের সবচেয়ে বড় জমায়েত হয়েছে বার্মিংহামে। ১০৬০০০ জন মুসলিম ২৫ জুন একসাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে। জ্যামের কথা মাথায় রেখে জনতাকে সাড়ে সাতটার ভেতরে হাজির হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। যদিও নামাজ শুরুর কথা থাকে সাড়ে আটটার দিকে। তবে আবহাওয়া যদি বিরূপ হয়, তবে নামাজ স্থানীয় মসজিদেই আদায় করা হয়। এই দিক মাথায় রেখে গ্রিন লেন মসজিদে নামাজের সময় দেওয়া হয়েছে সাড়ে আটটা, সাড়ে নয়টা এবং সাড়ে দশটা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/12/1565573289817.jpg
◤ ইউরোপের মাটিতে বৃহত্তম জমায়েত হয় যুক্তরাজ্যে ◢


গোটা যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত মুসলমানদের জীবনযাপনের মান আরো উন্নত করার দিকটা তাদের কাছে প্রাধান্য পায়। তাছাড়া পশু কুরবানি, প্রতিবেশিদের সাথে ভাব বিনিময় এবং বিশেষ স্থানসমূহে ঘুরতে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। 

যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী মুসলিমরা সাধারণত বিক্ষিপ্ত। ঈদ তাদের জন্য একত্রিত হবার সুযোগ করে দেয়। বিশেষ করে শিকাগো এবং ফ্লোরিডাতে ভিড় জমে মধ্যপ্রাচ্য, ভারতীয় উপমহাদেশ এবং আফ্রিকা থেকে আসা মানুষের। নিজ ঐতিহ্যের পোশাক এবং খাবার দিয়ে তার ঈদকে বৈচিত্র্য দান করে।

২০১৬ সালের ঈদ-উল আযহাতে নিউ ইয়র্কের সরকারি স্কুলগুলি বন্ধ ছিল। টেক্সাসে ঈদের সালাতের আয়োজন হয় জর্জ আর ব্রাউন কনভেনশন সেন্টারে। আয়োজন করেছিল Islamic Society of greater Houston (ISGH)।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/12/1565573468503.jpg
◤ আমেরিকান মুসলিমদের জন্য ঈদ অন্যমাত্রা নিয়ে আসে ◢


কেউ আবার নিজ দেশে টাকা প্রেরণ করে কুরবানি করার জন্য। কেউবা অভাবীদের সহযোগিতার আশায়। ঈদ-উল আযহা তিন দিন স্থায়ী হয়। 

তিউনিশিয়া

অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর মতো ঈদ-উল আযহা তিউনিশিয়াতে সরকারি ছুটি হিসাবে গণ্য হয়। ঈদের দিন পুরুষেরা সকাল সকাল ঈদগাহের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। নারীরা বাসায় অবস্থান করে প্রস্তুত করেন খাবার-দাবার। 

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/12/1565573633894.jpg
◤ ঈদ পুরনো সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে তিউনিশিয়ায় ◢


পুরুষেরা ফিরে এলেই কুরবানি পর্ব শুরু। তিনভাগের একভাগ পরিবারের জন্য, একভাগ আত্মীয় এবং একভাগ গরিবদের জন্য রাখা হয়। ঈদের জন্য বিশেষ ধরনের পিঠা ও বিস্কুট তৈরি হয় তিউনিশিয়ায়। তাছাড়া শিশুদের জন্য থাকে মিষ্টি এবং খাবার।

বাংলাদেশ

বাংলাদেশে ঈদ-উল আযহা কুরবানির ঈদ বা বকরি ঈদ নামে পরিচিত। ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় দুইভাবেই পালন করা হয় এখানে। প্রায় একমাস আগে থেকে সারা পড়ে যায়। দোকান কিংবা সুপার মার্কেটগুলো জমজমাট হয়ে পড়ে ক্রেতার ভিড়।

কুরবানির পশু ক্রয়ের জন্যও চলে প্রায় পনের দিন আগে থেকেই তোড়জোড়। কেউ কেউ বাইরে থেকে উট আনলেও গরু, ছাগল এবং মহিষই এখানে বেশি মাত্রায় কুরবানি দেওয়া হয়। সপ্তাহব্যাপী চলে টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান। পার্ক এবং দর্শনীয় স্থানগুলোতে থাকে উপচে পড়া ভিড়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/12/1565573823933.jpg
◤ বাংলাদেশের শোলাকিয়াতে ঈদের জামাত ◢


গ্রাম বাংলায় বাহারি ধরনের পিঠা, সেমাই, ফিরনি এবং পায়েশ রান্না হয়। আত্ময় স্বজনদের বাড়ি ঘুরতে যাওয়া কিংবা দাওয়াত করে বাসায় এনে একসাথে উপভোগ করা হয় ঈদের আনন্দ। দরিদ্র ও অভাবীদের পাশে সাধ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসেন সামর্থ্যবানেরা। 

আরো পড়ুন ➥ উপমহাদেশের প্রসিদ্ধ যত ঈদগাহ

   

বৃষ্টি নাকি ধান, কী প্রার্থনায় দেশ?



কবির য়াহমদ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, বার্তা২৪.কম
বৃষ্টি নাকি ধান, কী প্রার্থনায় দেশ?

বৃষ্টি নাকি ধান, কী প্রার্থনায় দেশ?

  • Font increase
  • Font Decrease

‘পথের কেনারে পাতা দোলাইয়া করে সদা সঙ্কেত/ সবুজে হদুদে সোহাগ ঢুলায়ে আমার ধানের ক্ষেত/ ছড়ায় ছড়ায় জড়াজড়ি করি বাতাসে ঢলিয়া পড়ে/ ঝাঁকে আর ঝাঁকে টিয়ে পাখিগুলে শুয়েছে মাঠের পরে/ কৃষাণ কনের বিয়ে হবে, তার হলদি কোটার শাড়ী/ হলুদে ছোপায় হেমন্ত রোজ কটি রোদ রেখা নাড়ি/ কলমী লতার গহনা তাহার গড়ার প্রতীক্ষায়/ ভিনদেশী বর আসা যাওয়া করে প্রভাত সাঁঝের নায়।’ পল্লীকবি জসীম উদদীনের ‘ধান ক্ষেত’ কবিতার অপূর্ব চিত্রায়ন কৃষকের শ্রম-ঘাম আর প্রকৃতির তরফে। কাব্যে-পঙক্তির বিমূর্ত চিত্র মূর্ত হয়েছে বিস্তীর্ণ মাঠে। কিষান-কিষানির বুক ভরা আশার সার্থক রূপায়ন হতে চলেছে এ-মৌসুমে।

এখন ভরা বৈশাখ। এ-সময়টা বোরো ধানের। বোরো ধান দেশের খাদ্যচাহিদার অন্তত ৫৫ শতাংশ মিটিয়ে থাকে। দেশের হাওরভুক্ত ৭টি জেলা সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাওরে এই বোরোর চাষ বেশি হয়ে থাকে। এই ধান অতিবৃষ্টি, বন্যা ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত না হলে দেশের খাদ্যচাহিদায় ঘাটতি পড়ে না। তাই এই ধান চাষ থেকে শুরু করে ঘরে ফসল তোলা পর্যন্ত অনুকূল আবহাওয়া, বিশেষ করে রোদের উপস্থিতি অতি জরুরি। বর্তমানে সে পরিস্থিতি চলছে।

সিলেট অঞ্চলের মানুষ বলে এই অঞ্চলের মানুষের চাওয়া-পাওয়া, হতাশা-উচ্চাশার সঙ্গে আমি পরিচিত। তাদেরকে উদাহরণ হিসেবে টানছি। তাদের সঙ্গে থেকে জেনেছি, বোরো মৌসুমে নির্বিঘ্নে ঘরে ফসল তোলা কতটা জরুরি। গবাদি পশুর খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে জরুরি খড় সংরক্ষণও। তীব্র রোদ এখানে সমস্যার নয়, এটা বরং আনন্দের। কারণ এই রোদ গা পোড়ালেও বুক ভরা আশার সার্থক বাস্তবায়নের পথ দেখায়। দেশের যে খাদ্যচাহিদা, যে খাদ্যনিরাপত্তা সেটা এই বোরো ধানের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। তাই চাষ থেকে শুরু করে প্রতিটি পর্যায়ে দরকার হয় প্রকৃতির সহায়তা। এবার এখন পর্যন্ত সে সহায়তা আছে, যদিও এ মাসের শুরুর দিকে একবার ঝড়বৃষ্টিসহ শঙ্কার কালমেঘ হাতছানি দিয়েছিল। সেটা আপাতত দূরে সরেছে।

কিষান-কিষানির দরকার এখন তীব্র রোদ। তারা এটা পাচ্ছে। দেশে তীব্র তাপদাহ। এখানেও এর ব্যতিক্রম নয়। তবু তারা এই রোদের প্রার্থনায় রয়েছে। বৃষ্টি এখন তাদের কাছে দুর্যোগ-সম। কারণ এই বৃষ্টি এবং অতি-বৃষ্টিসৃষ্ট বন্যা তাদের স্বপ্নসাধ গুঁড়িয়ে ভাসিয়ে নিতে পারে সব। ২০১৭ সালের দুঃসহ স্মৃতি এখনও বিস্মৃত হয়নি সুনামগঞ্জের কৃষকেরা। সে বছর সুনামগঞ্জের ছোট-বড় ১৩৭ হাওরের ফসল বন্যায় এবার ভেসে গিয়েছিল। গতবার কৃষক নির্বিঘ্নে ফসল ঘরে তুলেছেন। এরআগের বছর অন্তত ২০টি হাওরের ফসলহানি হয়েছিল বন্যায়।

প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল ক্ষেতের ফসল, দেশের খাদ্যনিরাপত্তা। এখানে প্রচণ্ড তাপদাহ তাই প্রভাব ফেলে সামান্যই। রোদে পুড়ে, প্রয়োজনে ছাতা মাথায় দিয়ে কিষান-কিষানিরা স্বপ্ন তোলেন ঘরে। তারা বৃষ্টির জন্যে প্রার্থনা না করে বরং রোদ আরও কিছুদিন অব্যাহত রাখার প্রার্থনায় বসেন। কৃষকেরা পরিমিত বৃষ্টি চায় চৈত্র মাসে, বৈশাখে চায় খাঁ খাঁ রোদ্দুর, কারণ এই রোদে সোনালী ধান ঘরে ওঠে। লোককথার প্রচলিত, ধান তোলার মৌসুমে ঝড়বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে ফসল রক্ষা করার জন্য হাওরবাসীরা তন্ত্রসাধক বা ‘হিরাল’ ও ‘হিরালি’-দের আমন্ত্রণ জানাতেন। তারা এসে মন্ত্রপাঠ করে ঝড়বৃষ্টি থামানোর জন্য চেষ্টা করতেন। লোকায়ত বিশ্বাস থেকে আগেকার মানুষজন এমন আচার পালন করতেন। এসবে সত্যি কাজ হতো কিনা সেটা বিতর্ক এবং ব্যক্তি-বিশ্বাসসাপেক্ষ, তবে এই হিরাল-হিরালিদের আমন্ত্রণ বলে বৈশাখে একদম বৃষ্টি চায় না হাওরের কৃষক।

হাওরপারের মানুষেরা যখন রোদ অব্যাহত থাকার প্রার্থনায়, তখন দেশজুড়ে তীব্র তাপদাহে পুড়তে থাকা মানুষেরা আছেন বৃষ্টিপ্রার্থনায়। দেশের জায়গায়-জায়গায় বৃষ্টি প্রার্থনায় ইস্তিস্কার নামাজ পড়া হচ্ছে, গণমাধ্যমে সচিত্র সংবাদ আসছে এর। কোথাও প্রবল বিশ্বাসে কেউ কেউ ‘ব্যাঙের বিয়ে’ দিচ্ছেন, এটাও বৃষ্টি প্রার্থনায়। সামাজিক মাধ্যমে গরমের তীব্রতার আঁচ মিলছে, বৃষ্টি নাকি ধান—কোনটা জরুরি এই প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ। কেবল তাই নয়, বাংলাদেশের প্রচণ্ড তাপদাহ নিয়ে বিশ্বমিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। প্রচণ্ড গরমে দেশের মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে প্রতিবেদন করেছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, বিবিসি, এএফপি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া। গণমাধ্যমগুলো বলছে, প্রচণ্ড গরমের কারণে টানা দ্বিতীয় বছর বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের ঘোষণাও এসেছে। বৃষ্টি-প্রার্থনায় নামাজের আয়োজনের কথাও এসেছে বিশ্বমিডিয়ায়।

একদিকে প্রচণ্ড তাপদাহ, অন্যদিকে খাদ্যনিরাপত্তার প্রধান উপকরণ ধান ঘরে তোলার অনিশ্চয়তা—তবু অনেকের কাছে সাময়িক স্বস্তিই যেন মুখ্য। অথচ আর দিন দশেক বেরো আবাদ-এলাকায় বৃষ্টি না নামলে ধানগুলো ঘরে ওঠত কৃষকের। নিশ্চিত হতো খাদ্যনিরাপত্তার।

প্রকৃতির ওপর আমাদের হাত নেই, নিয়ন্ত্রণ নেই; তবু মনে করি আমাদের আকাঙ্ক্ষার প্রকাশে কৃষকদের গুরুত্ব থাকা উচিত। আমাদের চাওয়ায় হয়তো প্রকৃতির রীতি বদলাবে না, তুমুল রোদ্দুরের দেশে হঠাৎ বৃষ্টি নামবে না, তবে ধান ঘরে তোলার আগ পর্যন্ত রোদ্দুর কামনায় কৃষক স্বস্তি পাবে; ভাবতে পারবে এই দেশ আছে তাদের সঙ্গে।

কৃষকের জয় হোক। অন্তত বোরো-এলাকায় প্রকৃতি কৃষকের সঙ্গে থাকুক।

;

৫০ বছর আগে মহাকাশ থেকে তোলা পৃথিবীর ছবি আজও শ্রেষ্ঠ



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সালটা ১৯৬৮। বিশ্বব্যাপী মানুষ মেতে উঠেছিল বড়দিনের আনন্দে। তখনো জানতো না, বড়দিন উপলক্ষে তারা একটি বিশেষ উপহার পেতে চলেছে। পৃথিবী থেকে আমরা হরহামেশাই চাঁদ দেখি। অমাবস্যা-পূর্ণিমা, এমনকি পক্ষের মাঝামাঝি সময়ের বদৌলতে নানা দৃষ্টিকোণে নানা আকারের চাঁদ দেখতে পাই। তবে চাঁদ থেকে পৃথিবী দেখতে কেমন? এরকমটা হয়তো অনেকেই ভাবেন।

নাসার মহাকাশচারীরা অ্যাপোলো ৪ এ করে তখন চাঁদের চারপাশে টহল দিচ্ছে। সেখান থেকে তারা চাঁদের বাসকারীদের দৃষ্টিতে পৃথিবী কেমন হবে তার এক নমুনা জোগাড় করেন। ক্রিসমাসের কিছুদিন আগে ক্রুরা চাঁদকে প্রদক্ষিণ করার সময় ব্যারেন লুনার হরিজোন থেকে একটি ছবি তোলে। সেখানে সুদূর মহাকাশ থেকে পৃথিবীর একটি সুন্দর দৃশ্য ধারণ করা হয়। চমৎকার সেই রঙিন ছবিটি সবকিছু পরিবর্তন করতে চলেছিল।

ছবিটি তুলেছিলেন মার্কিন নভোচারী বিল অ্যান্ডার্স এবং জিম লাভেল। ছবিটি ধারণ করার পর মহাকাশ বিজ্ঞানীরা অবাক হয়ে যান। অর্ধ শতাব্দী পার হয়ে যাওয়ার পরও এটিকে প্রকৃতির সবচেয়ে আইকনিক ছবি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ, এটিই মহাকাশ থেকে তোলা প্রথম রঙিন এবং উচ্চ রেজুলেশনের ছবি।

১৯৭০ সালে পরিবেশ সচেতনতা এবং এই ব্যাপারে সক্রিয়তা বাড়ানোর উদ্দেশে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে পৃথিবী দিবস প্রচারিত হওয়ার কারণে ছবিটিকে বিশেষ কৃতিত্ব দেওয়া হয়।

যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ফটোগ্রাফিক সোসাইটির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মাইকেল প্রিচার্ড ছবিটিকে নিখুঁত দাবি করেন। তিনি বলেন, এই ছবিটি পৃথিবীর এমন একটি দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছিল, যা আগে কোনো ছবি করতে পারেনি। প্রকাণ্ড মহাবিশ্বে পৃথিবীর অস্তিত্ব কতটা ক্ষুদ্র গ্রহ, তা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় ছবিটি।

১৯৬০ সালের পরই পৃথিবী নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে শুরু করে। ষাটের দশকের শেষভাগে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের মানুষ অনুধাবন করে পৃথিবীকে আজীবন একইভাবে ব্যবহার করা যাবে না। গ্রহের প্রতি আমাদের আরও অনুরাগী হতে হবে। সেই উদ্দেশে ১৯৬৯, ‘৭০ ও ‘৭১ সালে ‘ফ্রেন্ডস অব দ্য আর্থ’, মার্কিন প্রতিষ্ঠান ‘এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি’ এবং ‘গ্রিনপিস’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই ছবিটি প্রকাশের ১৮ মাস পর ২০ মিলিয়ন মার্কিন নাগরিক পৃথিবী রক্ষার আন্দোলনে রাস্তায় নামে।

পৃথিবী রক্ষা করার জন্য মানুষদের উৎসাহিত করার বেলায় ছবিটি অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। এখনো অবদি মহাকাশ থেকে পৃথিবীর পাঠানো ছবিগুলোর মধ্যে ১৯৬৮ সালে বড়দিনের আগে তোলা সেই ছবিটিকে শ্রেষ্ঠ বিবেচনা করা হয়।

;

মাঝরাতে আইসক্রিম, পিৎজা খাওয়া নিষিদ্ধ করল মিলান!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: স্কাই নিউজ

ছবি: স্কাই নিউজ

  • Font increase
  • Font Decrease

আইসক্রিম, পিৎজা অনেকের কাছেই ভীষণ পছন্দের খাবার। তবে ইউরোপসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে মাঝরাতে এসব মুখরোচক খাবার ও পানীয় খাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। ইতালিতে জেলাটিনের তৈরি আইসক্রিম খুব বিখ্যাত। এজন্য ইতালিতে 'জেলাটো সংস্কৃতি' নামে একটা কালচার গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি ইতালির মিলানের বাসিন্দাদের জন্য একটি নতুন আইন প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিবেদন- স্কাই নিউজ।

মিলানে বসবাসকারীদের অধিকাংশই মাঝরাতে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে আইসক্রিম, পিৎজা, ফাষ্টফুড জাতীয় খাবার ও পানীয় পান করে থাকে। এতে করে সেখানকার এলাকাবাসীদের রাতের ঘুম বিঘ্নিত হয়। নতুন প্রস্তাবিত আইনে শহরবাসীর রাতের ঘুম নির্বিঘ্ন করতে মধ্যরাতের পর পিৎজা ও পানীয়সহ সব ধরনের টেকওয়ে খাবার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তবে মধ্যরাতের পর আইসক্রিম নিষিদ্ধ করার চেষ্টা এবারই প্রথম নয়। ২০১৩ সালে, তৎকালীন মেয়র গিউলিয়ানো পিসাপিয়া অনুরূপ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু 'অকুপাই জেলাটো' আন্দোলনসহ তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরে তিনি এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

এরপর আবারও মিলানে এ আইনটি প্রস্তাব করেছেন ডেপুটি মেয়র মার্কো গ্রানেল্লি। দেশটির ১২টি জেলা এই প্রস্তাবের আওতাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে মিলানের মেয়র গ্রানেল্লি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিকতা ও বিনোদন এবং বাসিন্দাদের শান্তি ও প্রশান্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা।

প্রস্তাবটি নিম্নলিখিত এলাকাগুলোতে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ: নোলো, লাজারেটো, মেলজো, ইসোলা, সারপি, ভায়া সিজারিয়ানো, আরকো ডেলা পেস, কোমো-গাইআউলেন্টি, পোর্টা গ্যারিবল্ডি, ব্রেরা, টিসিনিজ এবং দারসেনা-নাভিগলি।

জানা যায়, প্রস্তাবটি মে মাসের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর থাকবে এবং নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এটি প্রতিদিন রাত ১২.৩০ টায় এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং সরকারী ছুটির দিনে রাত ১.৩০ টা থেকে প্রয়োগ করা হবে। তবে এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নাগরিকদের মে মাসের শুরু পর্যন্ত আপিল করার এবং আইন পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়ার সময় রয়েছে।

 

 

 

;

অস্ট্রেলিয়ায় নিখোঁজ কুকুর ফিরলো যুক্তরাজ্যের মালিকের কাছে



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে এসে নিখোঁজ হয় যুক্তরাজ্যের এক দম্পতির পালিত কুকুর। যুক্তরাজ্যে আসার ১৭ দিন পর মিলো নামের কুকুরটিকে ফিরে পেয়েছেন জেসন হোয়াটনাল নিক রোল্যান্ডস দম্পতি।

হোয়াটনাল এবং তার সঙ্গী নিক সম্প্রতি তাদের কুকুর মিলোকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া পরিদর্শনে যান। তারা যখন সোয়ানসিতে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তখন মেলবোর্ন বিমানবন্দরে তার হ্যান্ডলার থেকে কুকুরটি পালিয়ে যায়।

সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী কুকুরটিকে অবশেষে মেলবোর্নের শহরতলিতে ১৭ দিন পর খুঁজে পাওয়া যায়।


হোয়াটনাল স্কাই নিউজকে বলেন, ‘মিলোকে ফিরে পাওয়াটা খুবই আশ্চর্যজনক ছিল আমার জন্য। যখন আমি আমার প্রিয় মিলোর (কুকুর) সাথে পুনরায় মিলিত হয়েছিলাম, তখন আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। আমার কান্না দেখে অন্যরাও কেঁদেছিল। এটি সত্যিই আবেগপ্রবণ ছিল।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্য প্রান্তে থেকে মিলোর কথা চিন্তা করে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। আমরা জানতাম না মিলো কোথায় আছে। এটি বেশ হতাশাজনক ছিল আমাদের জন্য, কিছুটা আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তাকে ফিরে পাবো ভাবিনি।

মিলোকে পাওয়ার জন্য সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলাম, তখন স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে সাহায্য আসে, তারা মিলোর সন্ধান দেয়। মিলোকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ।

;